![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে আজাইরা, অন্যরেও আজাইরা থাকতে উৎসাহিত করি।
কথা হলো
গণজাগরণ মঞ্চের উদ্দেশ্য আদর্শ আর সেখানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে এক এবং অভিন্ন সত্ত্বা ভাবা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এক।
মঞ্চের মূল উদেশ্য ছিল একটি - যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।
আর সেই উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাই সেখানে জড়ো হয়েছিল।তারা কে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোক সেটা তখন মুখ্য ছিল না।
আন্দোলন যখন তুংগে তখন সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।
মাজহার মিথুন,দিগন্ত বাহার সহ আরো কয়জন মিলে ছবির হাটে একদিন আড্ডার ফাঁকে আন্দোলন নিয়ে কথায় কথায় বলছিলাম যে এই গনজোয়ারের সফলতার অংশীদার অংশগ্রহণকারী সব্বাই হলেও কিছুদিন পরেই এই ইস্যুতে ঠিকই ভিন্নমত দেখা যাবে।
বাস্তবে হলোও তাই।
সেই সাথে দেখা দিলো কিছু দুধের মাছিকে, যারা এই আন্দোলনকে ব্যাবহার করে নিজেদের লাইমলাইটে রাখতে চান সবসময়।
সত্যি বলতে কি আন্দোলনের শুরুর দিকটায় যখন সরকারকে ইংগিত করে,
রাজাকারের দালালেরা,
হুঁশিয়ার -সাবধান শ্লোগান উঠে,
তখন লীগের একনিষ্ঠ সমর্থক হয়েও খারাপ লাগে নি তেমন,কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ে কিছুটা যেনো আঁতাতের গন্ধ পাচ্ছিলাম।কিন্তু পরবর্তীতে এই ভুল ভাংগে আমার মতন অনেকেরই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত করায় গণজাগরণ মঞ্চের অবদান অপরিসীম, কিন্তু যারা আজকে রব তুলেছেন সরকার এর চাইতে মঞ্চ বড়,অথবা আমরা না থাকলে এই হইতো,আমরাই সব,আবার কেউ কেউ আমিই সব।তারা আসলে যে কি চাইতেছেন সেটা বুদ্ধিমান মাত্রই আঁচ করতে পারেন।
এইখানে আরেকটু যোগ করা লাগে,আন্দোলন যখন তুংগে তখন বার বার সবাই আওয়াজ তুলেন যে জামাত শিবিরকে রাজপথে প্রতিহত করা হবে,কিন্তু ইমরান এইচ সরকার এবং মঞ্চের অন্য সংঘটকরা হাটেন স্মারকলিপি, পদযাত্রা এইসব কর্মসূচীর দিকে।যার ফলে তখন কিছু ছেলে পেলে মঞ্চের উপর একপ্রকার রাগ করেই শহীদ রুমী স্কোয়াডের ব্যানারে আমরণ অনশনের কর্মসূচী পালন করে।
আজকে সেই সংঘটকরাই পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে একটু কি বেশিই এগ্রেসিভ নন?
নিষেধ সত্ত্বেও কেনো ব্যারিকেড ভাংগার চেষ্টা?
কেউ কেউ সজীব ওয়াজেদ জয়কে টেনে এনে বলছেন উনিও তো পদযাত্রার কথা বলছেন।
আরে বাপ উনি কি বলছেন গিয়া পুলিশের সাথে লাগতে??
মনে রাখা কি দরকার না যে সরকারে এখন শেখের বেটি যিনি কখনোই পাকিদের দুছে নাই।
হিনা রাব্বানী বাংলাদেশে আইসা দাওয়াত দিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও উনি পাকিস্তান সফর বাতিল করছিলেন।
পাকিদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা কি রেডিমেড মোয়া নাকি যে চাইলাম আর পাইলাম,অমনি হাতে নিয়া খাইলাম।
দুধের মাছিদের বলি,লীগ আছে বইলা মঞ্চ বেইচা খাওয়ার চেষ্টায় আছেন।চামে চামে সরকার আর মঞ্চরে মুখোমুখি করার ধান্দায় আছেন। যখন মাথার উপরের ছাতা থাকবো না,তখন দেইখেন কি সুন্দর পিঠের ছালও তুলে নিবে জামাতি ভাই ব্রাদাররা।
পরিশেষে
শাহবাগে সাধারন মানুষেরা বৃহৎ স্বার্থে দাড়িঁয়েছিল,ব্যাক্তিগত কোন অর্জনের জন্য নয়, ঐভাবে ডাক পড়লে তারা আবারও যাবে।
তবে কেউ সেখানে ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালালে তাও রুখে দেয়া হবে।
শাহবাগ একটি চেতনায় উদ্ভুদ্ধ মিলনমেলার নাম।
শাহবাগ ঘুমায় না,
শাহবাগ জেগে থাকে
জয় বাংলা
©somewhere in net ltd.