![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে আজাইরা, অন্যরেও আজাইরা থাকতে উৎসাহিত করি।
১৫ বছর বয়সের এক কিশোর,
কোরআনে হাফেয,মফঃস্বলের এক মসজিদে ইমামের দায়িত্বে আছে।
বাদ আসর মসজিদের সামনের প্রশস্ত মাঠে তার বয়সী একদল ছেলে ফুটবল খেলছে।
হৈ হুল্লোড়ে মুখোর তারা,আর মসজিদের বারান্দায় বসা কিশোর ইমামের দৃষ্টিতে পরিষ্কার অসহায়ত্বের ছাপ,বুকে দীর্ঘশ্বাস চাপা।
কলেজ লাইফে বিকেলের সময়টাতে কখনো আড্ডা চলতো কুমিল্লার বিখ্যাত ধর্মসাগর পাড়ে। ৮-১০ জনের একটা গ্রুপ ছিল আমাদের।
এক বিকেলে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম,দেখলাম বোরখা পরা এক মেয়ের হাত ধরে পার্কের বেঞ্চিতে নিচু মাথায় বসে আছে দাড়ি টুপি পরা এক ছেলে।আমার সাথের বন্ধুরা টিপ্পনী কাটছিল, মোল্লারও দেখি পিরিতের সখ জাগছে।
কেউ বলছিল, ডিজিটাল মোল্লা।
তীর্যক সেসব মন্তব্যে ছেলেটি কুকঁড়ে যাচ্ছিল ভেতরে ভেতরে।মাথা তুলে তাকায়নি একটি বারের জন্যেও।
অথচ ঐ সময়টাতে প্রেমিক প্রেমিকা জুটির অভাব ছিলনা পুরো পার্ক জুড়ে,আর কারোর দিকে চোখ গেলো না আমার বন্ধুদের।
মাদ্রাসা পড়ুয়া অথবা দাঁড়ি টুপি সমেত মানুষগুলিকে সমাজের বাকি মানুষেরা চিহ্নিত করছে অন্যভাবে।তাদের কৈশোর মাতছে না দুরন্তপনায়, যৌবনের উদ্দীপনার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা নেতিয়ে পড়ছে ভীষনভাবে।
ফলস্রুতিতে চাপা ক্ষোভে তাদের কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছে চরম বিধ্বংসী।
আমদের এমন সমাজ চাই যেখানে,
স্কুল পড়ুয়া আর মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই কিশোর চলবে কাঁধে কাঁধ রেখে,কেউ কারো কাছ থেকে জানবে ইসলামের ইতিহাস অপর জন জানাবে বিজ্ঞানের কোন আশ্চর্য আবিষ্কারের কথা।
প্রগতিশীলতার সিড়িঁ বাইতে বাইতে তারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করবে।
দুইজনের পথ ভিন্ন হলেও তারা এগুবে ঠিক সমান্তরালে।
২| ২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০১
গাধা গরু বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সামনে এই অবস্থা আরও বাড়বে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০০
আমি দিহান বলেছেন: তাদের কৈশোর
মাতছে না দুরন্তপনায়, যৌবনের
উদ্দীপনার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত
হয়ে তারা নেতিয়ে পড়ছে ভীষনভাবে।
ফলস্রুতিতে চাপা ক্ষোভে তাদের
কেউ কেউ হয়ে যাচ্ছে চরম
বিধ্বংসী।
খুবই সত্য কথা। তাদের সম্পর্কে আমাদের মনোভাব পাল্টাতে হবে।