আলেমদের বধ্যভূমি

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

বুক ফেটে যায় আর্তনাদে, মন ভারি হয়ে ওঠে। হায়রে ওরা মানুষ না! ওরা তো পশু না যে এমনভাবে ওদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে হবে শুধু মাত্র একটু পার্থিব ক্ষমতার লোভে। হায়রে সরকার তোকে কিভাবে বুঝাবো যে শুধু ক্ষমতাই বড় কিছু নয়। দুনিয়ায় বেচে থাকার জন্য দুইটা রুটি আর একটু পানি যথেষ্ট। ওদের কি কথা বলার অধিকার নেই? ওরা কি ওদের বিশ্বাসটাকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবে না? ওরা কি শাপলা চত্বরে বসতে পারবে না? কেন এদেশ কি শুধু আওয়ামীলীগের? এদশ কি শুধূ ইমরান এইচ সরকারদের? এদেশ কি রানা প্লাজার মালিকদের? এদেশ কার? যে দেশে ৯০ ভাগ মুসলিম সেই দেশে সেই ধর্মের ধারক বাহকদের এই পরিণতি? এটা কি মেনে নেয়ার মত? ওদের অপরাধ কি ছিল? ওরা জেদ ধরছিল ১৩ দফা মানতে হবে আর তাই এই নির্মমতা!

কই গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এমনি কত অযোক্তিক আব্দার তো করা হয়েছিল, দেশের রাষ্ট্রপতির মত কত নির্দেশনামা, কত আস্ফালন, কত ব্যাভিচার, কত নোংরামিতা করা হয়েছে অথচ তাদের ওপর তো সেই ৭১ এর ২৫-এ মার্চের ভয়াল রজনী নামেনী তাদের কে তো জামাই আদরে পালন করা হয়েছে। আর আজ এই অতি সরল সোজা মানুষগুলোকে মেরে সরকার নিজের হাতকে আরও রক্তাক্ত করল কেন? তার কি রানা প্লাজার ১০০০ লাশের রক্ত নিয়ে ক্ষোভ মিটেনি?

৭১-এ যে বধ্যভূমি পাক বাহিনীর নির্মমতাকে স্বরণ করে দেয়, বাওয়ামী সরকার এই সহজ সরল আলেমদের বধ্যভূমি কই রচনা করবে?

ওকি মাটির নিচেই রয়ে যাবে না কোন এক সময় তাও বেড়িয়ে আসবে আর স্বরণকরিয়ে দেবে ধোকাবাজ এক সরকারের নির্মমতা।

আজ নিজামী মুজাহিদকে যদি শুধু সাপোর্ট করার জন্য ফাসির মঞ্চে দাড়াতে তাহলে এই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা, তার গাজাখোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা কে কি রাস্তায় সকলের সামনে উলঙ্গ করে ফাসি দেয়া উচিত নয়?

০ টি +০/-০