![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am always fine and try to know the real thing. Thinking is my habit .
বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান রাজনীতীতে। কে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর কে বিপক্ষের শক্তি তাই এখন মুখ্য বিষয়।
বিষয়টা নিয়ে আলোচনায় গেলে আগে ইতি হাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি ছিল সেখানে আসতে হবে। কারণ আওয়ামীলীগ যদি পক্ষের শক্তি হয় তবে বিএনপি বিপক্ষ হওয়ার কোন প্রশ্ন ওঠে না কারণ শেখ মুজিব পাকিস্তানে জেলে ছিল মুক্তিযুদ্ধ করেনি কিন্তু জিয়া প্রত্যক্ষ যদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে।
যতটুকু জানাযায় শেখমুজিব কখনও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেনি যদিও অনেক বিতর্ক আছে বরং তিনি পাকিস্তানেরে অধীনে থেকে কিভাবে আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা নেয়া যায় সেই চেষ্টায় তৎপর ছিলেন।এবং তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়িয়েছিল শুধূ এই লক্ষে যে যাতে পাকিস্তান সরকার পূর্বপাকিস্থানে তাদের কতৃত্ব মেনে নিয়ে এই অন্যায় ক্রাকডাউন বন্ধ করে কিনন্তু ভারতের সরাসরি হন্থক্ষেপে তা আর সম্ভব হয়নি কারণ ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সমস্ত ক্রেডিটটা তারা নেবে এবং এটা হবে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের ফলস্বরুপ পাওয়া একটি রাষ্ট্র আর যার কারণে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ওসমানীর কাচে নয় বরং অরোরার কাছে পাকিস্তানী সেনাবাহীনী আত্মসমার্পণ করেছিল।
যাক সে অনেক ইতি হাস এখন আসি চেতনার কথা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আওয়ামীলীগের সব নেতারাই মোটামুটি বাংলাদেশের ব্যাংক বীমা থেকে লুটপাট করে ভারতের আশ্রয়ে লাটসাহেবের মত জীবন যাপন করছিল আর সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল যুদ্ধ যে অস্ত্র ছিল শত্রু বাহীনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া।
এখন সাধারণ মানুষ যুদ্ধ শুরুকরেছিল জীবন বাচানোর জন্য কোন ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্টার জন্যে নয়। কারণ তারা যুদ্ধকরেছে আবার নামাজ পড়েছে আবার আল্লাহকে ডেকেছে কখনও মুনতাসীর মামুনের মত বলেনি যে আল্লাহকে ডেকে অত্যাচার থেকে রক্ষা পেলামনা তাহলে কিসের আল্লাহ।
কখনও অসাম্প্রদায়িক আর সাম্প্রদায়িক এই নিয়ে মাথা ঘামায়নি। কারণ এই দেশে হিন্দুরা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে লড়েছে এরকম নজির খুবই কম আছে। সবদিকদিয়ে মসুলমান মসুলমানের অত্যাচার থেকে বাচার জন্য লড়েছে কোন অসাময্রদায়িক সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়েনি।
সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠাও তাদের চেতনা ছিলনা কারণ তখন মার্কবাদী-লেনিনবাদীরা এটাকে কুকুরে-কুকুরে লড়াই বলে আখ্যয়িত করেছিল।
সবদিক দিয়ে আওয়ামীলীগের যে চেতনা ছিল তার থেকে সাধারণ মানুষের চেতনা অনেক ভিন্ন ছিল।
সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিল এক দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে তাদেরই দ্বারা অর্জন হবে তাদের প্রিয় স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ আর আওয়ামীলীগ একপর্যায়ে এসে চেয়েছে ভারত সরকার তাদের সেনাবাহীনীর মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকরে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যটা কায়েম করে দেক। এবং সর্বপোরি তাই হয়েছিল। ভারত যখন রাশিয়ার সমর্থন পেল আর পাকিস্তান ভারতের কিছু কিছু জায়গায় হামলা চালালো আর সেই সুযোগটা নিয়েই ভারত এদেশে স্বাধীনতাই ভূমিকা রাখলো।
বিষয়টা হল আওয়ামীলীগ কখনও ডিটারমাইন্ড ছিলনা সেই সুযোগটা ভারত নিয়েছে। আর আমাদের ওপর তাদের চেতনাগুলো চাপিয়ে দিয়েছে আর এই জন্য দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সংবিধান তৈরীর ক্ষেত্রে ভারতের চেতনাই লিপিবদ্ধ করতে।অর্থাৎ গোলামীতার একটা উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
আর আওয়ামীলীগযে ডিটারমাইন্ড ছিল না তা পরবর্তীতে তাদের লেজেগবরে অবস্থাদেখে বোঝা যায়। কই থেকে মুজিববাদ নিয়ে এসেছিল যেখানে সমাজতন্ত্র আর গণতন্ত্র দুটি পরস্পরবীরোধী চেতনাকে তারা একত্রে মিলিয়েছিল ।যেটা নিয়ে আসম রব, মেজর জলিল তাদের থেকে দুরে সরে গেল।
আর ভারতের সৃষ্টিকরা রক্ষীবাহীনীর অত্যাচারে তখণকার জনগণ হয়ে উঠেছিল মুমূর্ষ প্রায় যার ফলস্বরুপ ১৫ই আগষ্টের পরে সবাই মিষ্টি বিতরণ করেছিল।
মোট কথা আওয়ামীলীগ যে চেতনার কথা বলে সেটা ভারত থেকে ধার করা সেটা কখনও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা ছিলনা। আর মুক্তিযুদ্ধে তাদের একচ্ছত্র অধিকার দাবি করলেও সেটা অগ্রহণযোগ্য এবং তারা সেটা তখনও দাবী করত আর এখনও দাবী করে আসছে, তারা কখনও আর কারও ভাগ দিতে চায় না যেটা ভারত চেয়েছিল এবং সর্বপোরী ভারতের ধার করা চেতনা আমাদের চেতনা কখনও ছিল না আজও নেই ভবিষ্যতেও থাকবে না।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
হাবিবএফটিজি বলেছেন: সত্য বলার সাহস দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। হাবা বাবা০০০১ হ্যাপী
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭
গ্রাম্যবালক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন একটা ব্যাবসার পুজিতে পরিনত হয়েছে। আর আওয়ামীলিগে ভারতীয় দালাল,পাকিস্থানী দালাল,চোর ডাকাত কশাই মুচি যারাই নাম লেখায় তারাই মুক্তিযোদ্ধার পক্ষের লোক হয়ে যায়। যুদ্ধে অংশগ্রহনের কোণ দরকার পরে না। ইঞ্জিনিয়ার মোসাররফ[ নাসিনার বেয়াই] কামরুল ইসলাম, মখা আলমগীর এরা সবাই পাকিস্থানের পক্ষে কাজ করার পরেও আওয়ামীলিগ করার কারনে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। ৭১ এর জন্মিত শিশু ইমরান সরকার ও আজকে মহান মুক্তিযোদ্ধা। এই হল আওয়ামিলিগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৯
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেনা, আমার বাবাকে দেখেছি, খালু,চাচা যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে। তারা ১ বারের জন্যও রাষ্ট্রের কাছ থেকে ১টাকার সুবিধা নেয়নি। আমার বাবার মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়ে কোন চাকুরী লাইনে দাড়াতে পারিনি কারন ঐ সনদ বাবা আমাকে দেয়নি। ১বছর হলো বাবা মারা গেছেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাবা তার চেতনা বিক্রয় করেনি বা কখনো শুনিনি যে তিনি কারো কাছে মুক্তিযোদ্ধার ব্যপারটা নিয়ে কোন বড়াই করেছে। সব সময় বলেছে নিজের যোগ্যতায় যতটুকু পারো করো কিন্তু আমাকে কোথাও বিক্রি করতে চেষ্টা করোনা। কিছু পাবার জন্য ৭১ এ অস্ত্র হাতে নেই নাই।
বাবার সনদ ও আমার এম এ ডিগ্রী দিয়ে হয়তো বড় কোন সরকারী চাকুরী পেতাম কিন্তু বিক্রয় করিনি তাই এখন আমি বেসরকারী চাকুরীজিবী যা আমার যোগ্যতায় অর্জন করেছি এবং এতে আমি ও আমার ফ্যামিলি খুব খুশি।
আর এখন দেখতে হচ্ছে সব ভন্ড চেতনা ব্যবসায়ীদের আস্ফালন!! এমন ভন্ডামী ও মিথ্যার বেশাতি করা রাজনৈতিক নেতাদের এতোটুকু লজ্জাও বোধ করেন না!! আমরা আর কতোটা নির্লজ্জ হবো যানি না।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
নানাভাই বলেছেন: আওয়ামী চেতনা এইখানে