নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
তিনি বসে আছেন। অর্ধ আসামের মতো পা জোড়া ভাজ করে সিঁড়ির উপরের ধাপটিতে বসে আছেন। পাশেই কাৎ হয়ে পড়ে আছে বৃষ্টি স্নাত কালো রঙের ছাতাটি। ছাতা তো নয়, যেন পড়ে আছে আমাদের খসে পড়া বিবেক।
খানিক আলগা হয়ে নাকের উপর চেপে থাকা চশমাটা একটু নিচে নেমে এসেছে যেন। চশমার উপর দিয়েই বিহ্বল আর হতাবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন তিনি।
বৃষ্টি পড়ছে, ঝুম বৃষ্টি।.... সেই ঝুম বৃষ্টিজলও তাঁর মলিন চেহারা ও ঝাঁপসা হয়ে আসা দৃষ্টিকে আড়াল করতে পারে নি।
পাথর চোখে তিনি তাকিয়ে আছেন। আর তাঁর সেই তাকিয়ে থাকাটা বিশাল দৈত্যাকৃতির এক পাথর হয়ে যেন বুকের উপর চেপে বসেছে আমাদের কারো কারো।
তাঁর এই তাকিয়ে থাকাটার দিকে আমরা আর তাকিয়ে থাকতে পারছি না...। আমাদের চোখ টন টন করে উঠছে। দীর্ঘশ্বাস আরো দীর্ঘ হচ্ছে...।
একদিন বাংলা একাডেমির বটতলায় তিনি বসে ছিলেন। আমি বললাম, স্যার আপনার পাশে একটু বসবো। তিনি হেসে বললেন, "আসো বসো।"
বসার পর আমার মাথায় হাত বুলালেন। তাঁর ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলাম। তাঁর হাতটা একটু ধরতে চাইলাম। তিনি শিশুর মতো হেসে বললেন, "ধরো।"
যে দেশে গুনির কদর হয় হয় না। সে দেশে গুনি হয়ে জন্মানোটা মস্তবড় পাপ।
প্রিয় জাফর ইকবাল স্যার, আপনি সেই পাপে পাপী। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ব আপনাকে কিংবা আপনাদেরকে করতেই হবে।
ভালো থাকবেন স্যার। বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। একটু বারান্দায় যাই, ঝাঁপসা দৃষ্টিতে আকাশের অঝোর কান্না দেখি...
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৫
কলাবাগান১ বলেছেন: "ভালো থাকবেন স্যার। বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। একটু বারান্দায় যাই, ঝাঁপসা দৃষ্টিতে আকাশের অঝোর কান্না দেখি..."