নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
ঘরে স্ত্রীকে চুমু খাবার আগে আশপাশটা একটু ভালো মতো দেখে নেই আমরা অনেকেই। মা কিবাং বাবা কিংবা অন্য কেউ দেখে ফেললো না তো আবার!
কাজের মেয়েটা কোন ছল-ছুতোয় এদিকে আসছে না তো আবার! ছোট ভাই-বোন কিংবা ছোট ছেলে-মেয়েটা এসে পড়লো না তো!
আমরা কেউ কেউ এ কাজটা করে থাকি। সংখ্যা হয়তো আমাদেরই বেশি হবে এই সমাজে। এটি ধারণা নয় জরিপ থেকে বললাম। কেন না আমার বন্ধু-বান্ধব ছোট কিংবা বড় ভাই-বোন যারা বিবাহ সম্পাদন করেছে। আমার জানা মতে তাদেরও একই অবস্থা। আত্মীয় স্বজন। পাড়া-প্রতিবেশি যাদের সাথে আমার কথা হয়। আড্ডা হয়। গল্প হয়। তাদের বেশির ভাগের বেলায় এমনটিই আভাস পাই কিংবা পেয়েছি আমি।
প্রেম কিংবা ভালোবাসা অপরাধ কিছু তো নয়। ছেলে-মেয়ে একে অপরকে ভালো লাগলে তাদের মাঝে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠবে এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃত ভালোবাসার সম্পর্ককে আমি উৎসাহিতই করি বরাবর। করেছি অতীতেও। পারলে সহযোগিতাও করেছি। এখনো করি...।
এমন অনেক প্রেমের জুটি দেখেছি আমি, যারা মাসের পর মাস সম্পর্ক গড়ে ওঠার পরও লোক সম্মূখে তো দূরের কথা আড়ালে আবডালেও একটা চুমো খাবার সাহস হয় নি।
এটিই ভালোবাসা। লজ্জাটাই ভালোবাসার মূল সৌন্দর্য। ভালোবাসায় লজ্জা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকলে সেটি পোড়া লোহার মতোই মজবুত হয়।
মনে পরে আমার এক বন্ধু প্রথম জীবনে একজনকে চুমু খেয়েছিল সম্পর্ক হবার দুই বছর পর। তাও আরেক বন্ধুর প্ররোচনায়।
সে অনেক আগের কথা। এই ঘটনার পর প্রায় মাস খানেক লজ্জায় কেউ কাউকে মুখ দেখাতে পারি নি।
এখন যুগ বদলেছে। এটা মানতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। হবে। প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে। সেটাই স্বাভাবিক।
তাই বলে পুলিশি পাহারায় প্রকাশ্যে জন সম্মূখে প্রেমিক-প্রেমিকার চুমো খাবার যে ইভেন্ট আপনারা জার্মানিতে বসে খুলেছেন। এবং কোমড় বেঁধে উঠে লেগেছেন। সেটি একটু নয়, অনেক বেশিই বাড়াবাড়ি। শুধু বাড়াবাড়িই নয়, চরম মানের অসভ্যতা। শুধু অসভ্যতাই নয়। অতি নিম্নমানের পশুত্বের বহি:প্রকাশ।
জার্মানিতে বসে বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতি ও সভ্যতা ধ্বংস ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নীল নকশা ও পায়তারা বন্ধ করেন।
বাংলার প্রেমিক-প্রেমিকাদের উদ্দেশে কবি Leigh Hunt এর বিখ্যাত সেই উক্তিটিই বলেই শেষ করবো, প্রকাশ্যে নয় বরং “Stolen kisses are always sweetest.”
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: আর না আর না...
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
আলী বলেছেন: হোক না
হলে ক্ষতি কি ?
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: টিভিতে এত্ত এত্ত কনডমের এড দেইখা যদি একটু চুমাইতেই না পারলো...তাইলে যৌবন ভাসিয়া গেল যমুনার জলে!
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লজ্জাটাই ভালোবাসার মূল সৌন্দর্য
ইউরোপে তো ভালবাসলে লজ্জা পাচ্ছে না কেউ, সেই ভালবাসার সৌন্দর্য নেই? নাকি সব ফাউল?
আমি আমার জিএফকে যখন ইচ্ছা চুমু খেতে চাই- যখন ওর গাল আপেলের মতো হবে তখন, যখন ওর চোখে চুল উড়ে আসবে তখন, যখন কোন কথায় হৃদয় ভিজে যাবে, তখন। এটার জন্য আমাকে কেন আড়ালে আবডালে যেতে হবে, কেন খোপখাপ খুঁজতে হবে?
গত কয়েকদিন থেকে আমি বাবার কাছে ম্যাথস বুঝিয়ে নিচ্ছি, সন্ধ্যাবেলা তাই বাবার সাথেই থাকি, তিনি টিভি দেখেন আর আমাকে অংক করান। একসময় আমারও চোখ সেখানে চলে যায়, আর তখন একটা কনডমের এড হচ্ছিল। একঝটিক ফ্লেবারের!
ওটা দেখা যাবে। কিন্তু নো কিসিং!
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫
বিপরীত বাক বলেছেন: ঠিকই আছে।
বেশি বেশি বিধি নিষেধ, আর আজাইরা কড়াকড়ি আরোপের প্রতিফল এটা। কাঠ মোল্লা আর বক ধার্মিক গুলো জুতার বাড়ি খাবে। ওগুলোর সেটাই প্রাপ্য।
বরং যা চলছে চলুক। এটাই যুগের চাহিদা। সময় বলে মেনে নাও।
মাঘের নীল আকাশ
বলেছেন: টিভিতে এত্ত
এত্ত কনডমের এড দেইখা যদি
একটু চুমাইতেই না
পারলো...তাইলে যৌবন
ভাসিয়া গেল যমুনার জলে!
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: চুমো নিয়ে....মাতামাতি.. আর না আর না......