নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার একটু হাসুন এবং বুক ভরে বাতাস নিন

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৪

প্রায়ই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি হতাশাভরা কিছু ইনবক্স পেয়ে থাকি। যাদের ভেতর যেমন রয়েছেন আমার জুনিয়র। ঠিক তেমনি আছেন সিনিয়রও ।

আমি মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী নই। তবে একসময় মনোচিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলাম কিছুদিন। টিএসসির কাউন্সিলর কহিনূর আপা ব্যর্থ হয়ে আমাকে একজন ডক্টরের কাছে রেফার করলেন।

খুবই ক্রিটিক্যাল কিছু সমস্যা থাকে মানুষের জীবনে যা উতরে যাওয়া কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।

বাহির থেকে দেখতে স্বাভাবিক একটা মানুষ। সবকিছুই চলছে ঠিকঠাক মতো। তারপরও আমার চিকিৎসা চলতে থাকলো। একদিন আমার চিকিৎসককে ফোন দিয়ে বললাম, "সর্বনাশ হয়ে গেছে! আই নিড ইউর হেল্প!" শুধু এটুকুই বললাম। চিকিৎসক আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন, "তুমি কি এই কাজ করেছো?"

আমি বললাম, "জ্বি।" তখন ফোর্থ ইয়ারে পড়ি।

সেই সময় আমার মতো অসহায় এই পৃথিবীতে কেউ ছিল কিনা না জানি না।

এরকম হাজারো সমস্যা চলার পথে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রয়োজন শুধু একটু শক্ত মনোবল নিয়ে তা মোকাবেলা করে যাওয়া। সময় গড়িয়ে গেলে আপনা-আপনিই অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।

আমাদের ব্যক্তিগত অতীতই আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানে অনেক অনুপ্রেরণা দিতে পারে। সমস্যার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে
সাহায্য করতে পারে। আমি যখনই কোন কঠিন মুহূর্তের সম্মূখীন হই। বিশ্বাস করুন, তখনই আমি আমার অতীতের দিকে ফিরে তাকাই।... হ্যাঁ আমি দেখতে পাই এর চেয়েও কঠিন কোন সময় আমি পার করেছি। আর সেটিই আমাকে দারুণ মানসিক শক্তি যোগায় । আমার মনোবল শক্ত হতে সহায়তা করে।

কিছু কিছু সময় কিছু কিছু পারিবারিক জটিলতা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ ধরণের সমস্যার সম্মূখীন হলে আমি চোখ বন্ধ করে কিছু সময় ভাবি, ভেবে দেখি, অতীতে এর চে' জটিল সমস্যার মুখোমুখীও আমি হয়েছি এবং তার সমাধানও হয়েছে।

তাই আর হতাশ হই না। হতাশা আমাকে সহযে কাবু করতে পারে না।

একসময় যে সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ালে ভেঙে পড়তাম। এখন তেমন অনেক সমস্যার সময়ও স্থির থাকি। অতীতের দিকে তাকাই। অতীত আমার মনোবল যোগায়। নিজেকে নিজে বলি, "আরে! এর চে কঠিন সময় তো আমি পার করে এসেছি। এ আর এমন কি! একসময় আপনাতেই ঠিক হয়ে যাবে।"

আমাদের সবারই উচিত নিজের কঠিন কোন অতীত থেকে সাহস ও মনোবল সঞ্চয় করে এগিয়ে যাওয়া।

জগতের এমন কোন সমস্যা আজ অবধি আমি দেখিনি, আমরা কেউ না কেউ এ যাবত যার সম্মূখীন হই নি। তাই যে সমস্যার মুখোমুখী হবার অভিজ্ঞতা আমার নেই, সেটির বিষয়ে আমি সিনিয়র কারো সাথে আলাপ করি। এবং কোন না কোন সমাধান পেয়ে যাই...

আমাদের প্রত্যেকের জীবনই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের চেয়েও মূল্যবাণ। পৃথিবীতে মানব জীবনের চে' মূল্যবাণ বস্তু আর নেই।

সুতরাং আর নয় হতাশা। এবার একটু হাসুন এবং বুক ভরে বাতাস নিন...। লড়াই করে বাঁচার আনন্দই আলাদা...।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১০

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: '' আমি যখনই কোন কঠিন মুহূর্তের সম্মূখীন হই। বিশ্বাস করুন, তখনই আমি আমার অতীতের দিকে ফিরে তাকাই।... হ্যাঁ আমি দেখতে পাই এর চেয়েও কঠিন কোন সময় আমি পার করেছি। আর সেটিই আমাকে দারুণ মানসিক শক্তি যোগায় । আমার মনোবল শক্ত হতে সহায়তা করে।''--- আসলেই তো ভাউ। ভেবে দেখা হয়নি আগে। গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৭

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, খুব তত্তবহুল পোষ্ট করার জন্য। খুব ভালো লাগলো ।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩০

দেবাশীষ দাস বলেছেন: আমি একটা সমস্যায় প্রায়ই ভুগি । কোন খারাপ পরিস্থিতির স্বীকার হলে আমার সারা শরীরে খুব কাপুনি আসে । ধরেন কোন প্রকার বিপদের সম্মুখিন আমাকে হতে হবে আমি বুঝতে পারছি , বিপদ এর সামনে যাওয়ার আগেই সারা শরীর কাপতে থাকে । তেমনি সেইদিন নিজের চাচাত্তো বোনকে, এক ছেলে বিরক্ত করে । বিষয়টা ঠিক না ,ছেলের সাথে দেখা করে তা বুঝাতে , তার সাথে যখন কথা বলতে শুরু করলাম , মনে হল আমিই অপরাধ করেছি । কাপুনির জন্য কথাই বলতে পারছি না । কেউ দেখলে ভাববে আমি অপরাধ করেছি, তার জন্য অন্যদের কাছে হাসির পাত্র সাজতে হয় । দড়িয়ে আছি কিন্তু শরীর অনেক কাপুনি দিয়ে কথা বলা থামিয়ে দিচ্ছে । জোর গলায় কথাও বলতে পারি না । প্রায়ই এই রকম হয় । লজ্বায় এমন সময় খুব খারাপ লাগে । পরে অন্যরা বিষয়টা নিয়ে হাসাহাসি করে । অনেক খারাপ লাগে ।
কেউ কোন প্রকার সমাধান দিবেন প্লীজ ।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: হাসাহাসি শরীর মন দুটার জনই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.