![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ আমিই দি হাবলু । আর আমার মত যারা তাদের জীবনে একটাই কথা সেটা হল: be the হাবলু to rule the world
হুম, ঠিক তাই , মাঝে মাঝে মনে হয় চোখ দুইডা যেদিকে যাই চলে যাই । ভালো লাগে না কিচ্ছু করতে । সামনে যারে পাই মনে হয় অরে ধরে আগে খানিক্ষণ পিডাইয়া নেই পরের কাজ পরে দেখা যাবে । মাথার যত ক্রিয়েটিভ চিন্তা চেতনা ছিল পরীক্ষার পর সব জানি কেমন করে উবে গেল
পরীক্ষার আগে মনে হত , পরীক্ষার পর হেন করমু তেন করমু , ইমেজ প্রসেসিং শিখমু, মুভি দেখমু আরও হাবিজাবি । পরীক্ষা শেষ তারপর ????
পিসি অন করতেই আলসেমি লাগে । মনে হয় দুনিয়াডা এত নিঠুর কেন রে মমিন ???
খুব বেশি হলে যে সব জুনিয়র পরীক্ষার পর দুই একদিন ছিল তাদের কে দিয়ে নাস্তা আনাইতাম । এখন তারা গেছে বাড়িতে , ছুটি কাটাতে । ৫৫ দিনের বিশাল ছুটি । আর আমি কি করতেছি ???
ভালো প্রশ্ন , একচুয়ালি আমি করতেছি টা কি ??? আমি অপেক্ষা করতেছি । কবে আসবে সেই দিন ? যেদিন আমি ' নিশ্চিত ফেইল ' মারা সাব্জেক্টটার 'ক্লিয়ারেন্স' দিব এবং পাশ করব । তারপর আমি বাড়ি যেয়ে ফুর্তি করব ।
তো যে উদ্দেশ্য আজ কিবোর্ডের শ্রাদ্ধ করতেছি , সে প্রসঙ্গে আসি,
ওয়ালেট এ টাকার পরিমান কম । তার প্রধান কারন হইল
আমি ইনকাম করি না (যার কারণে অভাবে আছি) । তো যেহেতু বাপের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বেশি পাইনা । টাকা উড়ানোর কোন সুযোগ নাই । ফলে স্বপ্ন দেখতেই দিন যায়।
আজ ফেবু ওয়ালে বিকাল থেকে অদ্ভুদ ভাবে নিউজফিডে একধরনের পোস্ট দেখা শুরু করলাম । প্রথমে একজন পোস্ট করল যে তার মনে নাকি ঈদ লেগেছে , তাই সে পিতজা খাচ্ছে । এবং সদ্য কেনা পিতজা র ইয়া একটা ছবি । টাকা বাচানোর জন্য দুপুরের খাওয়াটা স্কিপ দিছিলাম
পোস্ট দেখে পেটে টান পড়ল । পোস্ট টা কোন মতে এভয়েড করলাম । ১৫ মিনিট ও গেলো না । দেখলা কে যেন পোস্ট দিল ডাবল পিতজার ছবি । খালি পেটে মাথা টা ঠান্ডা করার চেষ্টা করলাম । মাথাডা কোন রকম কুল করে ফেবু চালিতে লাগলাম । তারপর একসময় ইউটিউব গেলাম , মেটালিকা র কনসার্ট দেখলাম । মিনিট দশেক দেখে আবার ফেবু ঢুকেই আমি মারা গেলাম ।
কারণ প্রথম পোস্ট এ একজন তার মেয়ে বন্ধু কে নিয়ে পিতজা খেতে গেছে সাথে ই্য়া বড় ছবি
তাই রাগ করে হল থেকে বেরিয়ে একটা শিক মেরে অশান্ত পেট টাকে শান্ত করলাম
সন্ধ্যা গড়ালো । মুভি দেখা শুরু করলাম Oculus .দেখা শেষ করে বিছানাতে একটা গড়ান্টি দিতেই ঘুমিয়ে পড়লাম । ঘুম ভাঙল ১০ টা ২৫ (রাত) এ । তারপর মাসল মেমরির কারসাজিতেই অটোমেটিক ফেবু ঢুকেই মাথা ফেটে চৌচির । কার আম্মায় যেন পিতজা বানিয়েছে তার একটা গামা সাইজের ছবি আমার ওয়ালে পোস্ট হইছে । সেই মুহুর্তে আমার রুম মেট রে বললাম চল পিতজা খাইতে যাই । সে বেচারার অবস্থা আরও করুণ । সেও পেট এ হাত দিয়ে বলল , "চল আমার ও খিদা লাগছে " । যা হয় হবে যত টাকা লাগে লাগুক পিতজা খেয়েই ছাড়ব
। মনের বেয়াদ্দপ দত্য টাকে আগে বশ করতে হবে
।
কিন্তু এত রাতে পিতজা পাব কোথায় ?? ফোন দেওয়া হল বড়লোক বন্ধু দের কাছে । আমার রুমমেট ই ফোন দিল । ফোন করে কিছুক্ষণ হু হাঁ করে বলল ,যে এই রাতে পাওয়া মুশকিল , খেতে হলে কাল খেতে হবে । আমি বললাম কিছু একটা এলাহি খাবার দিতেই হবে । তা না হইলে হবে না।
রিকশা চড়ে গেলাম একটা সস্তা রেস্টুরেন্ট এ , হাত ধুয়ে বসলাম । ওয়েটার কে জিজ্ঞেশ করলাম , কি আছে ? সে একটা গভীর নিঃশ্বাস নিল । বুঝলাম লম্বা একটা খাবারের তালিকা বলতে যাচ্ছে । আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম , মাছ এর আইটেম কি কি আছে ??
১. পোয়া মাছ
২. কাতল মাছ
৩. রুই মাছ
৪. বাইন মাছ
মাছ গুলার সাইজ দেখলাম । পোয়া মছের সাইজ বড় আছে । কইলাম আমারে একটা ল্যাঞ্জা দাও । আমার রুমমেট খাশির একটা চাপ অর্ডার দিল ।
অতঃপর , সেই ক্ষণ আসল । আমি ও আমার রুমমেট হাম হুম করে খাওয়া শুরু করে দিলাম । নিমেশে প্লেট শেষ । আরও একপ্লেট ভাত নিলাম । ধুমায়ে টান দিলাম । তারপর এক সময় প্লেট খালি হল । হাত ধুইলাম । বিল মেটালাম । তারপর রিকশায় আসতে আসতে কথোপকথন
রুমমেট : সকালের নাস্তার একটা ভিজুয়ালাইজ করলাম ।
আমি : কি ?
রুমমেট : ধর , টেবিলে পাউরউটি টোস্ট করে রাখা আছে , টেবিল এ বসলাম , তাতে বাটার লাগালাম । তারপর কামড় দিলাম । চোখ বন্ধ করে পুরো স্বাদ টা নিলাম । মুচমুচিয়ে খেলাম । সেই সাথে একটা গ্লাসে রাখা আসল জুস এক ঢোক খেলাম । আহ শান্তি ।
ওর সাথে আমিও অইগুলো কল্পনায় খাওয়া শুরু করলাম । তারপর বেরসিক এর মত বললাম............
আমি : কিন্তু দোস্ত, ইন রিয়েলিটি , এইডা হইল 'অল টাইইমের' ৮ টাকার টোস্ট বিস্কিট আর টঙ্গের কন্ডেন্স মিল্কের ৫ টাকার চা
রুমমেট : এটাই তো জীবনের দুঃখ রে, মমিন
হল এর সামনে এসে রিকশা থেকে নেমে দুজন এ কন্ডেন্স মিল্কের ৫ টাকার চা খেয়ে হলে উঠে গেলাম
এইতো এভাবেই চলছে আমাদের ব্যচেলর জীবন
বি.দ্র. আমার রাতের খাবারের বিল ছিল ৬০ টাকা (আমার জন্য অনেক)
©somewhere in net ltd.