![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাধার মনে ক্ষনে ক্ষনে বাড়ে কৃষ্ণ জ্বালা
তুমি কোথায় গিয়া লুকাইলা মোর বংশী ধারি কালা।।
রাই গোপিনী আমি তোমার প্রেমে পাগল পারা
সেই দোষেরই দোষি আমি হইছি গৃহহারা
বিন্দাবনে আবাস তোমার...
দিলা তুমি আমায় যারে আমারই দেহের মাঝারে,
তাহার সাথে আমার বিরধ লইলা তুমি এ
কেমন শোধ,
দেখা তাহার পাইলাম না কেমনে তারে চিনি
না জানাইয়া না বলিয়া লইবে উড়ানি।।
আমার দেহ আমার জ্বালা তাহার মাঝে
প্রেমের...
আমি ভাটির সুরে, মাটির টানে ধরেছি একতারা
এই সুরেতেই বাঁচব আমি এই সুরেতেই সারা।।
এক জনমে চাইনা কিছু বাউল যোগী ছাড়া
সেই কারনেই আজকে আমি কাছের মানুষ হারা,
ছয় শঠেরে বাধতে...
জমাট নিরবতা খসে পরে ধমনির গহীনে
অঙ্গ থেকে অঙ্গে
বুকের বা পাশে পলকে পলকে ছলকে ওঠা
ঢেউ শেষ বারের মত আছরে পরে,
সে বুকের পাজরে সময় থমকে দাড়ায়।
বুক চেরা দীর্ঘ শ্বাস পরেনা আর চেরা...
মনে জায়গা নাইরে আমার মনে জায়গা নাই,
সেই ধনেরে কেমন করে এই খানে লুকাই।।
আন্ধার জমিন আন্ধার কুঠির পাপীর বসবাস,
সেই খানেতে কেমন করে গড়ি তার আবাস,
নোংরা ভুমি কেমন করে হইবে তাহার ঠাই।
অযুত...
কুনো ব্যাঙের বুকের তলায় নিষ্ঠ যাপন
আধার কালের তপ্ত হাওয়ায়,
দহন কালে ভাসুক সকল তুচ্ছ প্রান
মৃত্যু নদীর রক্ত ধারায়
আমার তাতে কি আসে যায়।
এখন আমার শঙ্খ জীবন একটু বাঁচা...
তোমায় দিনে রাইতে খুজি কত রে দয়াল,
অবুঝ মনের বাসনা আর কামনা,
ধিরে ধিরে বাড়ে জ্বালা,
দেখা তবু দিলানা,
কাঞ্চা মনে সহেনা।।
মাটির মানুষ মাটির কায়া,
দিলা তুমি ভবের মায়া,
তাই তোমারে খুজতে যাইয়া,
করছি দোনামনা।
দিনে দিনে...
আমার হাতে হাত ছিল কই ছেড়া ঘুড়ি
খুজছে নাটাই চোরা গলির রূপ আধারে,
চলছে সময় উল্টো কাঁটায় খুলছি দোকান
প্রেম পসরায় জীবন যখন তেরোর ঘরে।
সেই যে তখন ঝুলতো বেনী খুব...
একটা সাধের গল্প বলি আয়,
এক নদীতে ভাসুক তরি গোপন নিরালায়।
চক্ষু বোজা আদর মাখি চাঁদের মোহনায়,
একটা শিতল রাত্রি পোহাই নীলাভ জোছনায়।
একটা দুঃখের কাব্য লিখি আয়,
একটা শোকের কাব্য লিখি স্মৃতি আয়নায়।...
এক টুকরো রোদ চেয়েছিলাম বুকের মাঝে পুষি
জোৎস্নার জমিন আধার পালকে ঢেকে যায় পক্ষ কালে
চন্দ্র নদী চুপি চুপি আসে রৌদ্রের পাশাপাশি
মেঘেদের চোখে চোখ রেখে কথা কয় দক্ষিণার দলে।
রাত ঘুম নেমেছিল...
এখানে মানুষ নেই,
শুধুই মানুষের ছায়া-অবয়ব
হৃদয়ের বধ্যভূমিততে আত্মার কঙ্কালে শরীরি ভূষণ।
আলোহীন আলোতে বাঁচিবার অন্ধ প্রয়াস
বদ্ধ মোহময় আধারে তাহাদের সুনিপুণ অভিলাষ।
এখানে বাতাস নেই,
অভিশাপের লু-হাওয়ার দীর্ঘশ্বাস,
ঘৃনার পরশ মাখা প্রেমোময়...
নক্ষত্র ধোয়া জল সেচে কুয়াসা হয়ে
দাড়ালে বকুলের সজ্জা পাশে,
তার পর ধুয়ে দিলে সোনালুর হলদে ডানা।
পাশ ফিরে শুয়ে থাকা বেউড়ির শাখা
খসখসে আলাপনে মেতে ওঠে দক্ষিণার সনে,
বয়সী পাতায় আঁকা রঙিন আলপনা
কাঠ বাদামের...
নৈঃশব্দ মাঝে মাছ রাঙ্গা পাখি তুমি আমি
তার জলজ ছায়া,
তোমার ধ্যানে তুমি অপলক সাধনার ছল,
আমার ভাসান বুক জল মাখা
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাঙ্গে মোর অবোধ পাখা।
শীত শেষে পাতা ঝড়া গাছ তুমি
আমি ভাসি...
শেষপর্যন্ত ঝড়েই গেল সব, পাতা বাকল
ফুল আর সকল...
এখন আমি চির পত্রহীন, এখন আমি রাত
দিন শুধুই বর্ণহীন! প্রাচীন আধার অমাবস্যায়!
এই তো সেদিন আমার পাতার ফাঁকে
ঝলসা তো...
বৃষ্টি নামুক তোরে, বৃষ্টি নামুক শুকনো
মাঠে বালু চরে নদী ও পুকুরে।
বৃষ্টি নামুক ভোরে, বৃষ্টি নামুক শুষ্ক চোখে
পাষাণ বুকে মনে ও অন্তরে।
বৃষ্টি নামুক কোলে,বৃষ্টি নামুক সুগন্ধি
আচলে লালাভ গালে কোমল করতলে।
বৃষ্টি নামুক...
©somewhere in net ltd.