| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাফিজুর রহমান হাবিব
আমি হাফিজুর রহমান, শিক্ষার্থী , জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করি আর চেষ্টা করব আপনাদেরকে ভালো কিছু লেখা উপহার দেওয়ার
প্রায় ৩ বছর+ আগে আমি যখন প্রথম একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ শুরু করি, তখনকার সাংবাদিকতার ধরণ আজকের দিনের সঙ্গে তুলনা করলে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য চোখে পড়ে। সেসময় আধুনিক প্রযুক্তি বলতে ছিল মোবাইল ,ল্যাপটপ, আর কল রেকর্ড ডিক্টেশন শোনে লেখা তৈরি করা। এগুলোই ছিল প্রতিদিনের কাজের অঙ্গ।
কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসার পর থেকে মাত্র তিন বছর পরেই আজ কিন্তু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আর অসংখ্য নতুন ওয়েবসাইট সাংবাদিকতার জগৎকে ঘিরে রেখেছে। এমনকি প্রায় প্রত্যেকেই নিজেকে সাংবাদিক বা লেখক হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। সময়ে সময়ে বদল আসেই, আর সাংবাদিকতাও সেই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে।
তবুও কিছু বিষয় কিন্তু বদলায়নি। সত্যিকার সাংবাদিকতার মূলভিত্তি এখনও নির্ভর করে তথ্য-উপাত্ত, পরিসংখ্যান, সাক্ষাৎকার থেকে নেওয়া উক্তি এবং ঘটনার পাঁচটি মূল প্রশ্নের (কে, কী, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে) ওপর। এই মৌলিক কাঠামো ছাড়া সাংবাদিকতা দাঁড়ায় না।
তবে একটি বাস্তবতাও অস্বীকার করার উপায় নেই - ভালোমানের সাংবাদিকতার চাকরির সুযোগ গত কয়েক বছরে অনেকটা কমে এসেছে। অনেক সাংবাদিক এখন কর্পোরেট জগতে কাজ করছেন। যেমন স্ট্যাকার-এর সিইও নোয়া গ্রিনবার্গ উল্লেখ করেছেন, সাংবাদিকরা তাদের দক্ষতা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করছেন। কারণ, সাংবাদিকরা কেবল লেখনীতে পারদর্শী নন, তারা তথ্যকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে জানেন এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে পারেন।
আজকাল কেউ খেলাধুলা, ব্যবসা, সংবাদ, উদ্যোক্তা জীবন, ব্যক্তিগত উন্নয়ন অথবা এমনকি সকালের নাশতা নিয়েও লিখেন না কেন, সাংবাদিকতার মূল কাঠামো সব লেখার ক্ষেত্রেই সমানভাবে কার্যকর। তাই বলা যায়, সাংবাদিকতার মৌলিকতা সবসময়ই এক নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার।
সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাকেও বদলাতে হয়েছে। আজকের লেখালেখিতে হাইপারলিংক, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার - সবই যুক্ত করতে হয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিখে যাওয়া আমার কাজকে মানুষের সামনে ধরে রাখে। আমি নিয়মিত আমার লেখা শেয়ার করি, কারণ হয়তো কোনো প্রতিষ্ঠান আমার লেখা বা লেখনশৈলীকে কাজে লাগাতে চাইবে। অবশ্য ব্যর্থতার মুখোমুখিও আমাকে হতে হয়েছে, বিশেষ করে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের মানদণ্ড পূরণ করতে পারিনি একজন কপি এডিটর হিসেবে।
তবুও থেমে যাইনি। সাংবাদিকতা আমার হৃদয়ে ও আত্মায় গেঁথে আছে, শেষ দিন পর্যন্ত তা থাকবে। তথ্যনিষ্ঠ, নির্ভরযোগ্য উপস্থাপনার যে বুনিয়াদি কাঠামো, সেটি এখনও প্রতিটি লেখার জন্য অপরিহার্য।
আরেকটি বিষয় ভুলে গেলে চলবে না - সাংবাদিকতা এখনও বিশ্বের জবাবদিহিতার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার। হয়তো আজকের পাঠক চাই দ্রুতগতির খবর, কিন্তু অসংখ্য দক্ষ সাংবাদিক এখনো নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কিন্তু আমার মনে হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের লেখা পড়ুন, শিখুন, আর যেটি উপযোগী মনে হয় তা নিজের স্টাইলে প্রয়োগ করুন। সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, এটি মানুষের কাছে সত্য পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম দায়িত্বও বটে।
©somewhere in net ltd.