নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাঙ্গালি। বাংলা আমার ভাষা, নিভৃত আবাস ও অহংকার। বিঃ দ্রঃ- ব্লগে ছন্দ নামে দ্বন্দ্ব নাই।

কবি হাফেজ আহমেদ

অসাধারণ মানুষগুলো সাধারণ হয়, অতিসাধারণ মানুষগুলো মানুষ হ্য়, মানুষ হতে হলে সাধারণ হতে হয়। হাফেজ আহমেদ

কবি হাফেজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের পৃথিবী আর আমাদের জীবনযাএার মান এত উন্নত হল যেভাবে।

০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১:৪৯

অাজকের পৃথিবীতে আমরা যা কিছুই ভোগ করছি না কেন, তার প্রতিটি জিনিসই কারো না কারো অতি শ্রমের বা ঘাম ঝরানো কষ্টের ফসল।

প্রতিদিন সকালে আমি বা আপনি ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছেড়ে ফ্রেস হয়ে কেউ কেউ ইবাদত সেরে নাস্তা্ করে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি স্ব স্ব ক্ষেএে বা পৃথিবীর কোন না কোন সুুন্দর্য্য উপভোগ এর উদ্দেশ্যে । কিন্তু এই অতি সাধারণ বিষয়টিকে আমাদের কখনও এভাবে ভেবে দেখার সময় হয় না যে, যেই তুলতুলে বিচানাটির কোমল স্পর্সে আপনি স্বপ্নের ঘুমে বিভোর হয়ে পড়ছেন, সেই বিছানার লেপ, কাথা, কম্বল আর বালিশটিসহ এর প্রতিটি জিনিসই কেউ না কেউ একজন কোন এক দোকানে বা কারখানায় নিজে তন্দ্রাবিহীন থেকে আগে আপনার জন্য এতটা আরমদায়ক হিসেবে তৈরি করে দিয়ে তারপর সে ক্লান্তময় শরীর নিয়ে শক্ত মেঝেতে বিছানাহীন কাত হয়েই হয়ত দরিদ্রতাকে সগ্ঙী করে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তারপর অাপনি বিছানা ছেড়ে যেই ফ্লোরো পা রাখলেন, ফ্রেস হতে গিয়ে যা যা ব্যবহার করলেন, যা দিয়ে নাস্তা করলেন অার যেই রাস্তা দিয়েই বের হলেন, সবইতো কারো না কারো রক্ত অার ঘামঝরানো শ্রমের তৈরি। অাজ যেই জামাটি পরে অায়নায় বার বার নিজেকে দেখছেন সেটি হয়ত রানা প্লাজার কারো হাতের তৈরি। যাদের দেহ চাপা পড়ে কলিজা ভেদ করেছে ভাগ্ঙা প্র্রাচীরের অসংখ লোহা,শত অার্তনাদ অার চিৎকারের পরেও যাদের অামরা বাচা্ঁতে পারিনি, দুধের বাচ্চাকে রেখে কত মাকে সেদিন মরে পঁচে জেতে হয়েছে। কী বীভৎস সেই কাহিনী.........! পেয়েছে কি তারা অদৌ তার বিচার.....! মালিক পক্ষের কত না চড়ের দাগ এদের শ্যাম বর্ণের গালকে অারও কালো করে দিয়েছিল। তার অার সংখ্যা নাই। অার এদের নামই হল শ্রমিক। যারা নিজ সুখ বিলিয়ে দেয় অন্যের সুখে।

সুতরাং শ্রমিকের শ্রম দ্বারাই যে আজকের পৃৃথিবী এত সুন্দর এতে কোন সন্দেহ নাই। পৃথিবীর যেই জিনিস যতবেশি সুন্দর সেই জিনিসে শ্রমিকের ততবেশি রক্তঝরা ঘাম মিশে রয়েছে। অাসুন অাজকের এই দিনে অামরা সবাই শ্রমিকের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার আন্দলনে ন্যায্য মজুরি অাদায়ের দাবির সাথে একমত পোষন করে সকল প্রকার শ্রমিদেরকে কখনো কোনোভাবে না ঠকানোর প্রতিজ্ঞায় অাবদ্ব্ হই । অার সেই সাথে রানা প্লাজার সকল মৃত শ্রমিকের অাত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং রানার কঠিনতর শাস্তির দাবি জানাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ২:০৪

মুসাফির নামা বলেছেন: ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৬ রাত ২:৩৩

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রথম ফ্যক্টর শিক্ষা, তারপরে অনেককিছু, যার মাঝে শ্রম আছে।

০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হুম তবে আপনার বক্তব্য আমি গ্রহন করতে পারলামনা কারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বই কলম, যেই পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেে যাবেন, আর যেই রাস্তা দিয়ে যেভাবে যাবেন বা যা খেয়ে আপনি শিক্ষা অর্জন করতে যাবেন তার সব-ই শ্রমিকের হাতে গড়া। পেটে ভাত আর গায়ে জামা , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বা বই, কাগজ না থাকলে আপনার আর আমার শিক্ষা গ্রহন করতে হত না । তাই সবার আগে শ্রমের মূল্য দিতে শিখতে হবে। তাই বলে আমি শিক্ষাকে কম গুরত্ব দেই না। তবে বিষয়টি বুঝতে হবে।

৩| ০১ লা মে, ২০১৬ ভোর ৬:২৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ভাবে গুছিয়ে লেখছেন । ভালো লাগলো ।

০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.