|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাফিজ রাহমান
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আদালত হলো মানুষের বিবেক।
শেকড়ের টানে একদিন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলাম বালুখালির শৃঙ্গচূড়ায়
বাস্তুহীনা লাখো মা বোনের মাঝে আমি একা নীরব নিস্তব্ধ
দু আঁখির মাঝে আটলান্টিকের মহা ঢল
কৃষ্ণ লালিমার ছেড়া তাবুতে অন্তহীন এক মহাপ্রান্তর
পর্বত শৃঙ্গের খাঁজে খাঁজে দেখি হাশর প্রান্তরের ভয়াল ছায়াছবি
গিরি শৃঙ্গের বক্ষ বেয়ে অবিরাম বয়ে চলে নীল কষ্টের ঝর্না নদী
পাঁচ ছ’ বছরী ছোট্ট কিশোরীর কলসী কাঁখে পাহাড় চূড়ায় হেঁটে চলা
সে যেন মৃত্যু সনে শীর্ণ-ক্ষীণ দেহের পাঞ্জা লড়া
জলবহ কত শিশুদেরে আমি মাঝ পাহাড়ে থামিয়ে দিয়েছি
বাবু আমাকে দাও বলে আলতো করে মাথায় তুলেছি
ছোট্ট দুটি আঁখির চিকচিকে আনন্দে হৃদয় ছুঁয়েছে অন্তহীন
জলপূর্ণ এ আয়ত আধার ন্যুব্জ করেছে আমায় সংখ্যাহীন
পাহাড়িয়া লতার আঁচল জড়িয়ে টিপটিপ পদে পান্থ হয়েছি
ক্ষুদে কিশোরীর নীল বদেনারাশি নেড়ে চেড়ে দেখেছি গভীর করে
গিজগিজে মানবের ঘিনঘিনে সমারোহে এক দুটি নলকূপের সেকি একাকিত্ব
জলযন্ত্রের পঙ্কিল উঠোনে মুখশুকনো শিশুদের সেকি জটলা
হাতল চাপার সাধ্য নেই তবু জল সিঞ্চনের ব্যর্থ সাধনা
জলপিয়াসী কত শিশুদের তরে নলকূপ চেপেছি, সময়ের হিসেব কষি নি
তমসাচ্ছন্ন গভীর রজনী
লক্ষ নোটের বাণ্ডিল চেপে ঢু দিয়েছি বিধবা অভাগিনীর জীর্ণ কুঠিরে
টিপটিপে ল্যাম্পের আলো আঁধারিতে বিধবা আঁখির আঁসু দেখি নি
অস্ফুট কান্নার নির্বাকতায় আনমনা হয়েছি বারবার
চোখের কোনায় জল এসে কখন শুকিয়েছে বুঝে উঠি নি
অর্থ নোটের নিবিড় ছোঁয়ায় কত বিধবার কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে দু ফোঁটা আনন্দ আঁসু
অর্ধ কোটির অর্থ সম্ভার; তবু শূন্য হস্তে বিদেয় করেছি কত শূন্য হৃদয়
কাস্তে কোদাল হাতে কত বেল অবেলায় হারিয়ে গিয়েছি ওদের মিছিলে
ঘর্ম মাটির কত চর পড়েছে কোমল তকের পথে প্রান্তে
মসৃন হাতের কোমল তেলোয় কত জলঠোস নেই হয়েছে সংখ্যা নেই
স্নানহীন দেহে কত সন্ধ্যার আপতন হয়েছে
নির্ঘুম রজনীর মলিন দেহে কত রোদেলা ভোর চুমি এঁকেছে
বালু চালে একাকার কত অন্ন মুখে পড়েছে
অন্তঃসত্ত্ব বিধবার অসংলগ্ন বিচরণ কত দেখেছি পথে প্রান্তে
তিন দিন হয়েছে এক মুঠো অন্ন জুটে নি অন্তঃসত্ত্ব এক বিধবার
ত্রাণ মাঠের শক্ত জটলা ঠেলে দাঁড়াবার সাধ্য নেই
মুখাবৃত নয়নে বেদনার অশ্রু ছেড়ে শুনিয়েছে আমায় বেদনার বাণী
চুপিসারে আমি হাজার টাকার নোট ধরিয়ে এক পৃথিবী তৃপ্তি লভেছি
নীল বেদনার অণুভাগ হলেও ছোঁয়া পেয়েছি
পাশে দাঁড়াবার ন্যুনভাগ হলেও কসরত করেছি
নয় কিছু নয় তা জানি শত তবু অণুভাগ সান্ত্বনা লাভ
নীল কষ্টের এক গোধূলী বেলায় উষ্ণ দেহে ন্যুব্জ হয়ে শেষ বিদায়ের হলো প্রস্থান
২ টি 
+০/-০ ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
হাফিজ রাহমান বলেছেন: গাজী ভাই ! আমি কোনো কবি নই। কবিতা সম্বন্ধে জানা শোনা যা তা খুবই সাধারণ। তাতে বিশেষত্বের কিছুই নেই। লেখাটি মূলত গদ্য। কবিতার লাইনের মত গদ্যটাকে সাজানো হয়েছে। পদ্যের সাথে এই যা মিল। অন্য কোনো দিক থেকে যদি কবিতার সাথে এর মিল থেকে থাকে তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয়। আর আমি মনে করি এতে ছন্দ নেই; স্নিগ্ধতা তো অনেক দূরের ব্যাপার। এটা মূলত কোনো পোষ্ট নয়; স্মৃতি ধরে রাখার সামান্য একটু চেষ্টা মাত্র। আমার বাড়িতে এলেন। কি দিয়ে আপ্যায়ন করাবো ভেবে পাচ্ছি না। যাক আপাতত এক পৃথিবী ধন্যবাদ দিয়েই আপ্যায়ন পর্ব শেষ করি। অনেক অনেক ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কবিতায় কথা ছন্দ হতে হবে স্নিগ্ধ