![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আদালত হলো মানুষের বিবেক।
ভারত বাংলাদেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর যার কোমর বা কটিতে তাগা বা কৃষ্ণসূত্রের বন্ধনী নেই। কিন্তু কেন এটার ব্যবহার ? অনেকের অভিমত, এটা মঙ্গলসূত্র। এটা না বাঁধলে অমঙ্গল হয়। এটা বিপদ দূর করে। কি বিদঘুটে কথা ! একটুখানি সুতোয় মঙ্গল এনে দেবে ! বিপদ দূর করে দেবে !! কি বিস্ময়কর কথা !!! মঙ্গলসূত্রের এ ধারণা তো মুসলিম সংস্কৃতিতে নেই। মঙ্গলসূত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি। তারা তাদেরটা করুক। আমরা তো তাদেরটা করতে পারি না। তাদের মন্দিরে তারা যাবে; আমরা তো যেতে পারি না। এখানে অতি উদারতার কোনো অবকাশ নেই। অনেকে এর কিছুই জানে না। সবাই পরে তাই পরে। কিছুই না জেনে অর্থ দিয়ে বাজার থেকে সুতো কিনে এনে কোমরে বাঁধবে। কেমন অদ্ভূত কথা ? এ অনর্থক কাজেরও কি অর্থ হয় ? আপনার সন্তানের কটিতে কৃষ্ণসূত্রের বন্ধনী না দিলে দেখবেন কত জনে কত কথা বলবে ? যেন এটা একটা অবশ্যকর্ম। এটা না করা মহাপাপ। কুসংস্কারের এর চেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে। অতীতে মুসলিম শাসকগণ মুসলিম অমুসলিমদের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়ের উদ্দেশে অমুসলিম নাগরিকদের কটিতে কালো সুতো বাঁধার ফরমান জারি করতেন বলে একটি উদ্ধৃতির কথা শোনা যায়। কটি বন্ধনির মূলসূত্র যদি এটাই হয় তাহলে রিজাল্ট কি দাঁড়ালো ? যদি বলেন, আমি প্রয়োজনে পরি। লুঙ্গি পরিধানের সহায়তায় কখনো এর প্রয়োজন হয়। চাবিকাঠি রক্ষণেও কদাচিৎ এর প্রয়োজন হয়। তবে আপনার প্রয়োজনকে আমি অস্বীকার করবো না। তবে এ প্রয়োজনটা বোধ হয় প্রাসঙ্গিক। মূলে ঐ কুসংস্কারই বিদ্যমান। এ প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে এ প্রথার প্রাদুর্ভাব ঘটে নি।
©somewhere in net ltd.