![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীতে নয় আমি একা,সঙ্গে আছে আমার সৃষ্টিকর্তা,পরিবার এবং বন্ধুরা।
JAGANNATH UNIVERSITY
...জবি কে নিয়ে নতুন উপাচার্যের পরিকল্পনা ও
প্রতিশ্রুতি...
# “পুরান ঢাকার ঐতিহ্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টির
অন্যতম সমস্যা হলো অবকাঠামোগত ও সেশনজটের
সমস্যা। খুব দ্রুতই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ
দুটি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
# “বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাহাদুর শাহ কেন্দ্রিক
একটি সাংষ্কৃতিক বলয় গড়ে তুলবো। ঢাকা শহরের
শুধু চারুকলা, টিএসসি কিংবা রমনা-সোহরাওয়াদী
পার্ক কেন্দ্রিক সাংষ্কৃতিক বলয় থাকবে তা ঠিক
নয়।”
# “ঢাকা শহরের অর্ধেক লোক পুরান ঢাকায় বসবাস
করে। জানজট ও অন্যান্য কারণে তারা বিভিন্ন
উৎসব ও জাতীয় কোনো দিবসে অংশগ্রহণ
করতে পারেন না। এছাড়া পুরান ঢাকার
আলাদা একটা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও রয়েছে। এক সময়
ঢাকার বিউটি বডিং ছিল জগন্নাথ কলেজ কেন্দ্রিক।
রবীন্দ্রনাথসহ অনেক শিল্পি সাহিত্যিক এক সময়
সেখানে আড্ডা দিতো। শিল্প সাহিত্য চর্চা করতো।
সব মিলিয়ে আমি চেষ্টা করবো বাহাদুর শাহ
কেন্দ্রিক একটা সাংষ্কৃতিক বলয় গড়ে তুলতে।
ঢাকা শহরে একটাই বলয় থাকবে তা উচিত নয়।”
# “সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার
সম্মতি পেলে আবাসন সংকট নিরসনের জন্য
বুড়িগঙ্গার ওপারে (কেরানীগঞ্জ) ছাত্র ও
শিক্ষকদের আবাসনের জন্য জায়গা চাইবো।
আমি মনে করি এই
বিষয়টি সরকারকে ভালোভাবে বুঝাতে পারলে এই
জায়গায় আমি সফল হতে পারবো।”
# দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার মনে হয়েছে,
এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো একাডেমিক
বিল্ডিং ও পর্যাপ্ত ক্লাশরুম নেই। দ্রুত একাডেমিক
ভবন নির্মাণের দিকে নজর দিতে হবে।”
#“কয়েকটি হল আছে তবে সেগুলো বেদখল
হয়ে আছে। এই হলগুলো পুনরুদ্ধার করার
পাশাপাশি নতুন হল নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
হল নিমার্ণের ক্ষেত্রে মেয়েদের হলের
ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবো।”
# “আমি যতদূর জানি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের
উন্নয়নের জন্য একশ’ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ
দিয়েছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিকাংশ
টাকাই ব্যয় করা যায়নি। দ্রুত এ
টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ব্যয় করার
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে যাতে ভবন
নিমার্ণ করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হবে।”
# "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১ সালে ‘একুশে’ হল
নিমার্ণের পর ২০১১ সাল পর্যন্ত আর
কোনো নতুন হল নিমার্ণ করা হয়নি।
আমি কোষাধ্যক্ষ হওয়ার পর ‘বেগম সুফিয়া কামাল
হল’ নিমার্ণ হয়েছে, এদ্বোধনের অপেক্ষায়
‘একাত্তর স্মৃতি হল’। এই দুটি হল ডিজাইন থেকে শুরু
করে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি জড়িত ছিলাম।
সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার
থাকা অবস্থায় ভবন নির্মানের
যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকে আমি জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে লাগাবো।”
# "ইতোমধ্যে সেখানে ২৮টি বিভাগ ও
একটি সেন্টার রয়েছে। আমার অভিপ্রায় হবে নতুন
বিভাগ খোলা। সেই বিভাগগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার
থাকবে সঙ্গীত, চারুকলা, নাট্যকলা, নৃত্যকলা, ফিল্ম
ও টেলিভিশন। এই বিভাগগুলো আমরা দ্রুত
আলাদাভাবে খুলবো। কারণ আমাদের দেশে যেমন এই
বিভাগগুলোর চাহিদা বেড়েছে তেমননি দেশের
বাইরেও।”
# “ইতোমধ্যে উন্নয়ন ফি বাতিল করা হয়েছে।
তাছাড়া অন্যান্য সমস্যাগুলো আমি চিহ্নিত
করে সমাধানের উদ্যোগ নিবো। পরিবহন
সমস্যা নিরসনের জন্য রুট ও বাসের
সংখ্যা বাড়ানো হবে।”
# “শিক্ষার মান উন্নয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি
কে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়াই হলো আমার প্রথম
স্বপ্ন।”
সুত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
............................................................
প্রাক্তন ভিসি'র কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও
শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি ও তার বরখেলাপ
ই দেখতে পেয়ছে... শিক্ষার্থীরা আশা করে নতুন
ভিসি তার কথার মর্যাদা রাখবেন...
তাদেরকে ক্লাশরুম ফেলে রাস্তায় নামতে হবে না।
©somewhere in net ltd.