নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ধুতেই থাকো, ধুতেই থাকো....."

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৩

আচ্ছা আল্লামা আহমেদ শফি সাহেবের বয়সটা কত যেন? ৯৫ বা ৯৬, রাইট? সে এই ওয়াজের কাজ/ব্যবসা কতদিন যাবৎ করছেন? অনুমান করতে পারি সেই ছোটবেলা থেকে অর্থাৎ কম করে হলেও ৬০/৭০ বছর হবে বলে মনে হয়। সাম্প্রতিকালে তার 'তেতুল ও নারী' বিষয়ক ওয়াজের যে ভিডিওটা বাজারে ছাড়া হয়েছে সেটা কতদিন আগের ওয়াজ? যাদের গ্রামে গন্জের ওয়াজ মাহফিল, মাওলানা, মৌলভি, পীর, মাজার, ইছালে সওয়াব কিংবা বাৎসরিক ওরশ মাহফিল সম্পর্কে ধারনা আছে তারা জানেন যে ঐ সব ওয়াজে কি ধরনের নসিহত দেয়া হয়। তাহলে ধরে নিতে পারি যে ঐ ধরনের তেতুল ও নারী বিষয়ক কথা বার্তা তিনারা দীর্ঘদিন যাবত প্রচার করে আসছেন। আওয়ামী লীগ এবার দিয়ে তিনবার ক্ষমতায়, সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলেন। আজ যুবলীগের ইফতার মাহফিলে শেখ হাসিনা তনয় জয় বললেন তার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে! অবশ্য সামনের টার্মেই নাকি পরবর্তি কোন টার্মে পত্রিকা পড়ে তা বোঝা গেল না। কথা হলো, আওয়ামী সরকার এতদিন কেন শফি সাহেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিল না? এখন কেন তাকে নিয়ে এত সমালোচনা করা হচ্ছে? আমি জানি গ্রামে গন্জে এখনও অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মৌলভীরা হরহামেশাই এ ধরনের কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। তাদের নিয়ে সরকারের মাথা ব্যাথা নাই কেন? এমন কি টংগিতে তাবলিগ জামাতের লক্ষ লক্ষ লোকের যে বাৎসরিক সমাবেশ হয় সে বক্তব্যগুলো নিয়েও কখনো কারো মাথা ব্যাথা দেখা গেছে? যায় নাই। এসবের কারন একটাই, তাহারা এখন পর্যন্ত সরকারের জন্য রাজনৈতিক থ্রেট হয়ে উঠে নাই। যদি উঠতো তাহলে 'ঢেউ এর পরে ঢেউ' শুরু হয়ে যেত। রাজনৈতিক মাওলানা মেনন, মাওলানা ইনু সাহেবদের মূখে খই ফুটতো, নারীসমাজকে খেপিয়ে তোলা হতো। তাহলে বিষয়টা কি দাড়ালো? সব কিছুই রাজনৈতিক। শফি সাহেব ৯৫ বছর বয়সেও সরকারী চাকূরী করেন, কি এক কওমী বোর্ডের নাকি প্রধান। ইউনুসের বয়সের দোহাই দিয়ে তাকে সরানো হলেও শফি সাহেবের বিষয়ে নাক গলানো হয় নাই। বহু কায়দা কসরত করেও যখন শফিকে রাজনৈতিকভাবে নিজেদের পক্ষে আনা গেল না, উল্টো বিপক্ষে 'রাজনৈতিক ব্যাম্বো' হয়ে দাড়িয়ে গেল, তখনই তার চরিত্র হননের কাজে সরকার ও তার পরিষদবর্গ উঠে পড়ে লাগলেন। একদিকে তাকে লোভ দেখানো হচ্ছে, অন্যদিকে চোখ রাংগানো। যে করেই হোক হেফাজতকে ঠেকাতে হবে, কারন গত ৫ সিটির নির্বাচনে পরাজয়ের মূল কারন হেফাজত। ধরেই নিয়েছেন, সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিপক্ষ বিএনপিকে ঠেকাতে হলে বিশেষ করে দুটো কাজ করতে হবে ওনাদের। হেফাজত ও এরশাদকে যে করেই হোক, ভয়, ভীতি, হামলা মামলা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত দিয়ে যে ভাবেই হোক নিজের পক্ষে না হলেও বিএনপির বিপক্ষে রাখতে হবে। সর্বশেষ নিউজ, হেফাজতে ইসলামের সাথে নাকি আল-কায়েদার সম্পর্ক খুজে পাওয়া গেছে। অর্থাৎ সরাসরি আমেরিকাকে ইনভল্ব করে রাখা আর কি। কিন্তু সমস্যাটা এখানেই। বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিকে খারাপ দল হিসেবে বিবেচনা করে কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক নোংরামী করতে করতে এমন জায়গায় চলে যান যেখানে চরমভাবে জাতীয় স্বার্থ ভুলুন্ঠিত হয় যেটা বিএনপির দ্বারা অতটা হয় না। যেমন 'আল-কায়দা, জংগীবাদ' নিয়ে যে ভয়ংকর খেলাগুলো আওয়ামী লীগ করেন তাতে একদিন হয়তো সত্য সত্যই বিশ্ব মোড়ল সাম্রাজ্যবাদ তার সকল টুলস ফুলস নিয়ে আল কায়েদা খুজতে এসে পড়বেন, তখন কিন্তু কোন মক্কেলের বাজারে খুজে পাওয়া যাবে না। দেশের জনগনরে চরম বিপদের মূখে ফেলে তল্পি তল্পা নিয়ে বিদেশে লুটের টাকায় নির্মিত 'সেকেন্ড হোমে' গিয়ে নিরাপদ ঠাই নিবেন। আর এসব কারনেই কিন্তু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় বিএনপির 'দূর্ণীতিবাজ'দেরকে ভোট দেয় যাতে আর যাই হোক দেশের অস্তিত্ব নিয়ে টানা টানি পরবে না। হেফাজত আপনাদের ক্ষমতায় আসার পথে অন্তরায় তাই তাদেরকে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছেন, তাবলীগ জামাত যদি এ রকম অন্তরায় হতো আপনারা টংগীতে আর বিশ্ব এজতেমা করতে দিতেন না। এখনো সময় আছে, হুশে ফিরে আসুন। হেফাজতের কওমী সহ সারা দেশের মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকিকরনের ব্যবস্হা করুন। বাংলাদেশে আপনাদের হাতে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম ইসলাম বিপন্ন নয় এটা প্রমান করার চেষ্টা করুন। একটা বিষয় খেয়াল করুন, আপনারা ক্ষমতায় এলেই কেন দেশের একটা বিরাট ইসলাম বিরোধী শক্তি এত স্বস্তি অনুভব করেন? এই প্রশ্নের উত্তরটা বের করার মধ্যেই আপনাদের নির্বাচনে জয় পরাজয়ের কলকাঠি খুজে পাবেন কিছুটা। বাকী কারনগুলোতো জানাই আছে। উল্টোপথে হেটে লাভ হবে না। টিভি বিজ্ঞাপনটার কথা মনে পড়ে, 'ধুতেই থাকো, ধুতেই থাকো....."।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২২

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: গত পরশু মনে হয় চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে দেখলাম বিটিভিতে মওলানা শফি সাহেবের উক্ত ওয়াজ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান- উপস্থাপিকাসহ দুজন নারী, একজন স্যুট পড়া পুরুষ ও একজন ভাড়াটে দাঁড়িটুপিওয়ালা হুজুর।
আওয়ামী লীগ কত নিচে নামতে পারে যে একজন মওলানার বিরুদ্ধে এভাবে দিনরাত ২৪ ঘন্টা ঘটা করে অপপ্রচার করতে হয়!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: আজই সব অপপ্রচার বন্ধ হয়ে যাবে, উল্টা ওয়াজের সুরে বলতে থাকবেন 'আল্লামা শফি সাহেব একজন পীরে কামেল', যদি হেফাজত তাদের পক্ষে চলে আসেন। থ্যাংকস, স্পেলবাইন্ডার।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫

গরম কফি বলেছেন: এইসব মোল্লাদের ব্যাপক সম্মান করা উচিত ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ব্যাপক সম্মাননা! ধন্যবাদ, গরম কফি।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৭

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এই চরম সত্যি কথাগুলো এতো সুন্দর সহজ সরল ভাষা তে লেখার জন্য । আমরা সবাই যেন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছি চোরের দল আসছে যাচ্ছে যা খুশি লুট করছে আমরা নির্বিকার. :(
এতো টাই প্রেমিক বাংগালী যে দল প্রীতির কারনে নিজেত অস্তিত্ব ,মানবতা সব ভুলে নর্দমায় দাঁড়াতেও কেউ পিছ পা হয় না

।দেশের মুরব্বীদের কাছে শুধু একটাই প্রশ্ন রোজা ইফতার করছেন মোড়লদের দাওয়াত খাওয়াচ্ছেন ভালো কথা ,কিন্তু নিজেরাই যে খাবার হয়ে যাচ্ছি সে খেয়াল কখন হবে দেশের মানুষের? ?

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, সায়েদা সোহেলী।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

শফিক আলম বলেছেন: ধর্মের ব্যাপার দু'এক কথাতেই সব শেষ করে দেয়া যায় না। এই ধর্ম ব্যাবসায়ীরা প্রশ্রয় পেয়ে যে পর্যায়ে চলে এসেছে তাদের ঠেকানো কঠিন। আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামের অযাচিত রাজনৈতিক ব্যবহার রোধে শুধু বিসমিল্লায় হাত দিয়েছে, তাতেই যে অবস্থা, এর পর যদি মওলানাদের ওয়াজের মধ্যে হাত তা'হলে আর রাষ্ট্র চালাতে হবে না। আল্লামা শফির ওয়াজের ভাষা পর্নোগ্রাফির চেয়ে কম নয়, পার্থক্য এই যে তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেছেন। একবার ভেবে দেখুন তার ঐ ওয়াজ আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে শুনতে পারবেন কিনা? এইরকম জ্ঞান যিনি রাখেন তিনি আল্লামা বা আলেম হতে পারেন না। এরা বাংলাদেশের মানুষদের সেন্টিমেন্ট ভালই বুঝতে পেরেছেন। আর হ্যা, কালকের খবরেই দেখলাম এক মাদ্রাসা শিক্ষক ১১ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। ছাত্রীটি সন্তানও প্রসব করেছে। এই রকম একটা নয়, অনেক ঘটনা ঘটছে। কি ভয়াবহ! নারীরা এদের কাছে ভোগের সামগ্রীই বটে! এটা নিয়ে তেমন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। আসলে যা নিয়ে আমাদের কথা বলা দরকার তা আমরা বলি না। আর তাই অন্ধকার এতো গভীর হচ্ছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: মূল কথাটা হচ্ছে যেখানে অনিয়ম, বিশৃংক্ষলা, আইন বিরোধী, দেশ বিরোধী কাজ হবে সেখানেই সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে, বিচারের ব্যবস্হা করতে হবে, সে আল্লামা শফিই হোক আর আল্লামা সৈয়দ আবুল হোসেনই হোক। সে কাজটাইতো সরকার করতে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছে। পক্ষে থাকলেই 'লিয়াকত আলী' আর বিপক্ষে গেলেই 'জুতার কালি' নীতি পরিত্যাগ করতে পারছে না শুধুমাত্র একটা কারনে সেটা হলো ক্ষমতা। ক্ষমতার মোহটা কেন? গনতন্ত্রের আবরণে পরিবারতন্ত্র কায়েম করে চিরকাল লুটপাট চালিয়ে যাওয়া। সেটা নিশ্চিত করতে যখন যাকে দরকার (কখনো হেফাজত, কখনো এরশাদ, কখনো জামাত) তাকে নিয়ে জোট করা, কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা, কখনো আবার ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি শহীদুলের সাথে লিখিত চুক্তি করা। এসব মানুষ ভালই বোঝে এখন। কিন্তু খেলাগুলো কখনো সীমা লংঘন করে গেলে সেটা কারো জন্যই ভালো হবে না। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শফিক আলম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.