নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরকারের এখনই ব্যবস্হা গ্রহন করা উচিত।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক বা নির্বাচনি ফায়দা লুটা কাম্য হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে কমবেশী সকলেই সেটা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত কয়েকমাসের বক্তব্যে সেই উদ্বেগটা খুব বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারন তিনি ভালো করেই বুঝতে পারছেন যে এ বিষয়ে তিনি বিরোধী দলের সাথে পেরে উঠবেন না। আর একথা সত্য যে এবারের নির্বাচনে ধর্মীয় ট্রামকার্ড খুব বেশী খেলা হবে। এখন এ বিষয়ে সবিনয়ে একটা প্রশ্ন করতে চাই, তা হলো এ ট্রামকার্ড খেলার সুযোগগুলো তিনি কেন বিরোধী পক্ষের হাতে তুলে দিচ্ছেন? এটা কি ইচ্ছাকৃত নাকি সাবোটাজ? যেমন উদয়ন স্কুলে মেয়েদের শার্টের হাতা কেটে দেয়া, তাও আবার এক মন্ত্রীর বউ কর্তৃক। মিতা হকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বা নেকাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ঠিক নির্বাচনের আগে আগে! এগুলো কিসের আলামত? তাহলে এখন যদি কেউ বলে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে এসব ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপকে আসকারা দেয়া হয় কিংবা উস্কে দেয়া হয়, কিংবা বৃদ্ধি পায়, তাহলে কি খুব ভুল বলা হবে? এগুলো যদি ভূল হয়, তাহলেতো এসব বদমায়েসির বিরুদ্ধে কঠোর এ্যাকশন নেয়া উচিত এবং তা সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই। না হলে শুধু মুখে মুখে 'আওয়ামী লীগ ইসলামের সেবক' বলেতো মানুষকে কনভিন্স করা যাবে না। যে কোন সভ্য দেশে কে কি পোষাক পড়বে তা কোন সরকার বা কতৃপক্ষ ঠিক করে দেবার কেউ না। এটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে ৯/১১ এর পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম এলার্জির কারনে 'ভুয়া অছিলায়' হেজাব, নেকাবের বিরুদ্ধে কিছু কিছু বিতর্কিত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকারকে এসব বিষয়ে পরিস্কার ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কানাডার ফেডারেল সরকার, বিরোধী দল সকলেই একযোগে সাম্প্রতিককালে কুইবেক প্রাদেশিক সরকারের নেয়া এ ধরনের একটা উদ্যোগের কঠোর বিরোধিতা করেছে। কারন ধর্মীয় কারনে শুধু মুসলিমরা নয়, শিখ, ইহুদি সহ অনেকেই বিভিন্ন ড্রেস পরেন। এগুলোর বিষয়ে কথা বলা মানেই সমাজে অযথা বিশৃংক্ষলা সৃষ্টি করা। আর যদি কারও সত্যিই সত্যিই ইসলাম এলার্জি থেকে থাকে, তা হলে বাপের বেটার মত বুক ফুলিয়ে প্রকাশ করে দেয়া উচিত। তারপর দেখা যাবে জনগন কাকে রায় দেয়। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরকারের এখনই ব্যবস্হা গ্রহন করা উচিত।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

উযায়র বলেছেন: উদয়ন স্কুলে মেয়েদের শার্টের হাতা কেটে দেয়া, তাও আবার এক মন্ত্রীর বউ কর্তৃক।

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বা নেকাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা

- এগুলো কিসের আলামত?

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

আদরসারািদন বলেছেন: এই পৃথিবীতে কারও কাছে না, তোমার কাছে বিচারপ্রাথী ও দুই হাত তুলে মুনাজাত করি, হে আল্লাহ্, তুমিই জানো কারা ইসলামের পক্ষে আর বিপক্ষে। তোমার দ্বীনকে তুমি তোমার কুদরতি হাতে রক্ষা কর।
------"আমিন"

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: সরকার নিবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, বাকশালীদের আর কাজ নেই?

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

শাহানা বুলবুল বলেছেন: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় তো বেসরকারী সবাই মোটা অংকের টাকা দিয়ে পড়ালেখা করে থাকে? এখানে আবার ড্রেসের বালাই কেন? বেটা ভাত দেয়ার মোড়ত নেই বউ পেটায়? আর কী?

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

অজানামন বলেছেন: এই বিষয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী পিয়াস করিম এর বক্তব্য শুনতে চাই

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কবে থেকে বাংলাদেশ এত সেকুলার হইয়া গেল? যেখানে দুই দলই দাবী করে তাদের আমলে ইসলামের বেশী হেফাজত হয়!

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ব্রাক ব্যাংক নিয়ে কি একটু বেশীই বলা হচ্ছে না??

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৩

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: এই সব অপপ্রচার চালিয়ে কি লাভ আপনাদের? দয়াকরে এই লিঙ্কে ক্লিক করে যুম করে পোস্টটি পড়ুন।
Click This Link

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: আপনার লেখার পুরোটা পড়ার ধৈয্য পেলাম না বলে দুঃখিত। তবে দেখেছি আপনি কি বলতে চেয়েছেন। শুধু দুটো পয়েন্ট বলি, বাংলাদেশে কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গতকাল থেকে চালু হয়েছে নাকি শত বছরের পুরোনো? যদি শত বছরের পুরোনো হয়ে থাকে, তাহলে বলুন বিগত দশক এমনকি শতকে কেউ কি কখনো নেকাব পরে ক্লাসে আসেন নি? এসেছেন। আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে ৭/৮ বছর কাটিয়েছি। তখনোতো অনেকেই নেকাব পরে এসেছেন, কোন সমস্যাতো হয় নি। এখন, নেকাবকে বন্ধ করতে নানা কু যুক্তি হাজির করে লাভ কি, মিনি স্কার্ট, হাফ প্যান্ট এর কথা বলে লাভ কি? বরং ওগুলোই আমাদের সমাজে নুতন, ওগুলো কখনো ছিল না, কেউ কখনো অতীতে পরে আসে নাই। সমস্যা হলে ওগুলো নিয়ে হতে পারে। যেটা নিয়ে অতীতে কোন সমস্যা হয় নাই, সেটা বন্ধ করতে যেয়ে ঐ সব বুলসিট উদাহরন দিয়ে লাভ কি? এখন আসল কথা শুনুন, ইহুদি সাম্রাজ্যবাদকে খুশি করতে, আমেরিকা ও ইন্ডিয়া ও কিছু পাশ্চাত্য ইসলাম এলার্জিকদেরকে খুশী করতে এটা করা হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আজাইরা বুলসিট মাইরেন না, লাভ নাই। আপনি যদি, মানবতার পক্ষে থাকেন, ধর্মের পক্ষে থাকেন সেটা যে ধর্মই হোক না কেন, নিরপেক্ষ থাকুন। অন্যের পোষাক নিয়ে সমালোচনা কইরেন না।

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০২

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: পুরোটা না পড়েই মন্তব্য কইরা দিলেন? কুরান হাদিস বুঝেন? কুরান হাদিসের রেফারেন্সে কথা বলেছি।। আরেকবার পারলে পইড়েন আর বুইঝেন। নারীদের আর কত শোষণ করবেন আপনারা ধর্ম পাপীরা? মাথায় ঘিলু নাই আইছে ধর্ম আর নেকাব নিয়া বাড়াবাড়ি করতে :D

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: দ্বীন মোহাম্মদ, আপনার বয়স কত আমি জানি না, তবে আপনি কোরান হাদিসের যে রেফারেন্স দিয়েছেন তা আমি দেখেছি। আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, আপনি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েনতো নাকি? ঠিক মত ফরয কাজগুলো করেনতো? নাকি হুদাই কোরান হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বেড়ান। আমার মাথায় ঘিলু নাই ঠিক আছে, আপনার মাথায় আছেতো? সন্দেহ হয়, নাইলে আপনি আইছেন আমার পোষ্টিং এ কমেন্ট করতে, আর আমার সংক্ষিপ্ত লেখাটার পুরোটা না বুঝেই আপনার 'সমাজে শান্তি নষ্ট করার' পোষ্ট পড়ার নসিহত করেন! রিডিকিউলাস! আমার মনে হয়ে অভিজ্ঞতা, লেখাপড়া, দেশ বিদেশের মানুষের সাথে উঠাবসা, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আপনার চেয়ে অনেক বেশীই আছে আমার। দেশে এখন নুতন করে কিছু 'গজাইছে' যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখে নাই অথচ হুইন্যাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া ফাল পারে, যারা দেখছে, সরাসরি মু্ক্তিযুদ্ধ করছে তাগো শিখায়, মুক্তিযুদ্ধের কাহীনি শুনায়। ৭২-৭৫ দেখে নাই, আজাইরা টেলিভিশনে গিয়া জ্ঞান দেয়, সরাসরি ৯/১১ দেখে নাই, আমেরিকা-কানাডা-ইংল্যান্ডে তার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখে নাই, বাটে পরে নাই তারা জংগি কাহীনির গান শুনায়। ধর্মের নামে মিডল ইষ্ট, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পাপাচার দেখে নাই তারা আবার কথায় কথায় কোরান হাদিসের রেফারেন্স দেয়, যারা ইন্ডিয়ায় বসে হাজার হাজার মানুষের রক্তে হলি খেলে তারাই আবার গরু কোরবানীর বিরুদ্ধে কথা বলে। যতসব ফালতু কোথাকার! এবার বঝুন বাড়াবাড়ি কে করতাছে? বাংলাদেশে একটা পরিবারে মা, শাশুড়ি যেমন বোরখা, নেকাব পরে, তেমনী বউ কিংবা মেয়ে মাথায় বা বুকে ওড়নাও দেয় না। পুরোটাই বাস্তব। তাই বলে, কাউরে ইউনিভার্সিটি থেকে নিষিদ্ধ করার অধিকার কারও নেই। কথা না বুঝলে এইখানে ল্যাদাইতে আসবেন না, আসলে কমেন্ট ডিলিট করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.