![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজা যত বলে পরিষদবর্গ বলে তা সদলবলে! ১৯৭৫ এর আগে দেশে কিছু অতি উৎসাহী 'কোরাস' গায়ক ছিলেন যারা খুব উগ্র শ্লোগান টোগান দিতেন, প্রচুর উস্কানী দিতেন। যেমন 'এক নেতা এক দেশ ....'। তারপর ৭৫ এর আগষ্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর বহুদিন তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। সেই যে উনাদের বিশেষ 'মুজিব কোট' গায়ে থেকে খুলে ফেললেন, দীর্ঘদিন তা পরে রইলো অন্ধকার বাক্সে। কুচিমুচি অবস্হায়। ইতিমধ্যে দেশে এসে গেল 'জিয়া সাফারী স্যুট'। সে কি সাফারির বাহার! রাতের বেলায়ও চোখে সানগ্লাস, গায়ে হাফ হাতা সাফারী! ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। চারিদিকে দেয়াল লিখনে ভরে গেছে, 'শেখ হাসিনা আসছে, জিয়ার গদি কাঁপছে'। এরপর এলো আরো একটা মর্মান্তিক ঘটনা, ৩০শে মে। হাতা কাটা সাফারী এবার বাক্স বন্দী হলো। চোখ থেকে সরিয়ে নেয়া হলো কালো সানগ্লাস! ধুলো বালি ঝেরে মুছে পুরোনো বাক্স থেকে দুমরানো মুচরানো মুজিব কোট আস্তে আস্তে বের হতে শুরু হলো। মাঝখানে এরশাদের ফুল হাতা সাফারীর নয় বছর। ৯০ এর পর মুজিব কোট, হাতাকাটা সাফারী পালা করে পাচ বছর পর পর বাক্সবন্দি হয় আর বের হয়ে আসে। বিগত পাঁচটি বছর ছিল মুজিব কোটের প্রদর্শনী, এখন আবার বাক্স থেকে বের করে অনেকেই পুরোনো হাতা কাটা সাফারী ঘষা মাজা শুরু করছেন, যে কোন মুহুর্তে চোখে কালো সানগ্লাস লাগিয়ে বের হয়ে পরবেন পরবেন ভাব। তো এতদিন কোথায় ছিলেন হে কান্ডারী? না রাস্তায়, না পার্টি অফিসে, না আন্দোলনে! জেল জুলুম হুলিয়ার কোন আচরই লাগলো না আপনাদের গায়ে। কিন্তু তারপরও আপনারা জানেন কেমনে কিভাবে 'দৃষ্টি আকর্ষন' করা যায়। আর এক্ষেত্রে আপনাদের প্রধান অস্ত্রই হলো 'স্তুতি বাক্য'। যিনি যা নন, জীবনে যা করেন নাই কখনো তাকেই তা বলে স্তুতির অস্ত্রবাণ নিক্ষেপ করেন, 'যদি লাইগ্যা যায়' উদ্দেশ্য নিয়ে।
সর্বশেষ স্তুতির বাহার দেখেছিলাম ২০০৯ এর ডিসেম্বরে তাদের দলীয় কাউন্সিলে। সেখানে যত বক্তা বক্তব্য দিয়েছেন, কেউই দল ও দেশ নিয়ে কোন গবেষনামুলক বক্তব্য দেন নি, একের পর এক বক্তা 'ভাইয়া'র স্তুতি করে গেছেন। এবার শুরু হয়েছে 'The Political Thought of Tarique Rahman' নামের প্রকাশিত বই নিয়ে। দলের দীর্ঘদিনের ডেডিকেটেড কর্মীদেরকে না জানিয়ে, রাজনীতি, সমাজনীতি, দেশ নিয়ে যারা নিঃস্বার্থ ভাবনা চিন্তা করেন তাদের সকলেরই অজ্ঞাতসারে শুধুমাত্র 'ভাইয়াকে' খুশি করতে এই যে তোষামোদের প্রতিযোগীতা বিশ্বের দেশে দেশে করা হচ্ছে তাতে আর যাই হোক 'নুতন ধারা'র রাজনীতি, পরিবর্তনের রাজনীতি চালু করা যাবে না। আর তারেক রহমানকে যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক করেও গড়ে তোলা যাবে না। পরিবারতন্ত্র গনতন্ত্রের একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্হান করলেও, তারেক রহমান কিংবা সজীব ওয়াজেদ জয় এ মুহুর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাস্তবতা এটা অস্বীকার করা যাবে না। সুতরাং তাদের যারা ভালো চান, তাদের উচিৎ তোষামদি না করে, বরং তাদের এবং তাদের পরিবারের অতীতের ভুল ত্রুটি সাহসের সাথে তুলে ধরা এবং সে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে তারা কি ধরনের পরিবর্তন আনবেন তার একটা 'তুলনামুলক' ও 'কমপেটিটিভ' কর্মসূচি তাদের সামনে নিয়ে আসা। যাতে করে তারা তাদের মা বাবার চেয়ে তারা আরো ভালো রাষ্ট্রনায়ক হবার সুযোগ পান। দেশের মানুষ পান শান্তিতে বাস করার সাংবিধানিক সুযোগ, আর জন্মগত অধিকার!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: লাগলেই তো কপাল খুলবো.......