![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাসপাতালে দেখতে আসা প্রধানমন্ত্রীর সামনেই, একেবারে তার মুখের উপর বলে দিলেন, পেট্রল বোমার আগুনে পোড়া, নোংরা রাজনীতির শিকার এক বোন, 'আপনারা আমাদেরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, আপনারা আমাদেরকে বানান নাই, আমরা আপনাদেরকে বানিয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রী যিনি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে গেলেও ক্ষমতা ছাড়বেন না। তবে এ রক্ত জনগনের, সাধারন মানুষের, যাদের সেবা করার কথা বলে উনারা ভোট নেন। নিজের পরিবারকে আমেরিকা, কানাডা, লন্ডনে নিরাপদে রেখে একেবারেই নিরাপরাধ মানুষগুলোকে বানান নিজেদের দাবার গুটি, তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়েই নির্বিকার চিত্তে সমস্ত দায় দিয়ে দিলেন বিরোধী দলের উপর।
পাঠক একবার শুধু কল্পনা করুন, আজ যদি তিনি বিরোধী দলে থাকতেন তাহলে কি বলতেন, কি করতেন? অতীতে তিনি কি বলেছেন?
সেই একই কায়দায় বিগত ২০০১ সালের মতই, ওমরা করে এলেন, পাঁচটি বছর পর আবার ঠিক নির্বাচনের সামনেই মাথায় পট্টি বাধলেন, প্রশাসন সাজিয়েছেন নিজের মত করে। তারপরও ভয়, ক্ষমতা ছাড়বেন না। সেবার চুক্তি করেছিলনে খেলাফতে মজলিশ, আফগানিস্তানে তালিবানি ট্রেনিং নেয়া মুফতি শহীদুলের সাথে, এবার পারলে করতেন হেফাজতে ইসলামের সাথে। উদ্দেশ্য একটাই ক্ষমতা ধরে রাখা। ঠিক গত ২০০৬ সালে যেমনটি চেষ্টা করেছিলেন, খালেদা জিয়া ও তার পরিবার। পারেন নাই। এবার শেখ হাসিনাও পারবেন না।
বিরোধী দল সেতো বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্ষমতার জন্য তারাও কতখানি রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার রেল বাস যাত্রী যেখানে সেখানেই তাদের হিংসাত্নক আক্রমন। শত শত মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।
এ মুহুর্তে আমার হ্রদয় ফেটে চৌচির। শুধু কায়মনে বাক্যে কামনা করি, সরকার ও বিরোধী দলের রক্ত পিপাসার যে হোলি খেলা চলছে, এ মুহুর্তে কি এমন কোন শক্তি, এমন কেউ নেই যারা এসে বলবেন, এনাফ ইজ এনাফ। ষ্টপ দিস বুলসিট রাইট নাউ। গেট দ্যা হেল আউট অব হিয়ার।
শত শত ঘুমন্ত ট্রেন যাত্রী, বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে, মেরে ফেলে যারা আজ মানবতাবিরোধী অপরাধ করছেন, আশা করি ঠিক ৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের সাথে সাথে সরকারী ও বিরোধী দলের এই মানবতা বিরোধী অপরাধীদেরও খুব শীঘ্রই একদিন বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। আর সাক্ষী হিসেবে সেদিন হাজির হবেন, আজকের এই জ্বলন্ত কাবাব হয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলো। ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য। বিশ্বব্রম্মান্ডের মহাপরাক্রমশালীর পক্ষ থেকে, খুব বেশি দিন নেই। নো মেটার হু এভার ইউ আর!
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
নানাভাই বলেছেন: http://abuls.blogspot.
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
নবীউল করিম বলেছেন: আমি আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত। এই দেশের মানুষ রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে এই রকম ভালোবাসা পাওয়ারই উপযুক্ত!
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বলেছিলাম যদি এঁরা বেরথ হয় তবে এই দেশে হিংস্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেরে যাবে! আজকে তাই হয়েছে। সামনে এরচেও ভয়ংকর সময় আসছে!
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, সুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।
আসলে, রাজনীতির নামে বর্তমান বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা আসলে কিছু সন্ত্রাস-প্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদ আর দুর্নীতিবাজ বদ আমলাদের চক্রান্তমূলক ষড়যন্ত্র, এটা লুটপাট আর হিংসার রাজিনীতি, এর ভিতরে গন-মানুষের জন্য ইতিবাচক কিছু নেই| কারন হিসাবে বলা যায় যে - কোনো মানব সমাজ যদি দীর্ঘ দিন ধরে দরিদ্র, অশিক্ষিত, যথাযথ কর্ম-সংস্থানহীন, নৈতিক অবক্ষয়-এর মধ্যে থাকে তবে সেই সমাজ ধীরে ধীরে ধংসপ্রাপ্ত হয় - জাতি পরিনত হয় হতদরিদ্র, কুশিক্ষিত, লোভী আর দুর্নীতিপ্রিয় এক অসভ্য সমাজে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়ার প্রভাব যথেষ্ট ক্রিয়াশীল। এই অবস্থায় "কল্যণমূখী গণতন্ত্র" তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারায়, শাষন ব্যবস্থা পরিনত হয় সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট কু-রাজনীতিবিদদের হাতিয়ারে। ফলে,
বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি =সন্ত্রাসপ্রিয় নষ্ট রাজনীতিবিদ +দুর্নীতিবাজ আমলা + লোভী ব্যবসায়ী +অনৈতিক শিক্ষক +কুশিক্ষিত লোভী বৃহৎ জনগোষ্ঠি + নির্যাতিত অসহায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি।
সুতরাং দেশের উপর রাজনৈতিক ধর্ষন চলতেই থাকবে, যতদিন না সংশ্লিষ্টজনদের নৈতিক উন্নয়ন ও সৎ-দেশপ্রেম উদয় হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
নানাভাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
পড়ুন লাশের রাজনীতি গুতান এইখানে