নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I have a dream...

নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!

আব্দুল হালিম মিয়া

আব্দুল হালিম মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ নাটক,সিরিয়াল বাদ দিয়ে এখন এগুলোই দেখে। মন মেজাজতো ভালো রাখতে হবে!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩০

আওয়ামী লীগের নেতারাও জানেন যে স্বাধীনতার পর দেশে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিরপেক্ষ নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে একমাত্র তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। যে কারনেই আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসা।

পাঠক একবার কল্পনা করুন, ১৯৯৬ সালে যদি কোনভাবে খালেদা জিয়া সরকারের অধীনেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে চলে আসতো ফলাফল কি দাড়াতো? আর কিছু না হোক, আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে হয়তো আরো পাঁচটি বছর (২০০১) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।



তারপর যখন(১৯৯৬) তারা এলো, তারা কি করলো, ষড়যন্ত্র শুরু করলো কিভাবে স্বয়ং তত্বাবধায়ক রেখেই পরের বারও ক্ষমতায় ফিরে আসা যায়! সেটার প্রথম প্রমান ছিলো যাদের মনে আছে খেয়াল করুন প্লিজ, বিচারপতি লতিফুর রহমান সাহেবের তত্বাবধায়ক (২০০১) আসার ঠিক কয়েকদিন আগেও শেখ হাসিনা প্রশাসনে ইচ্ছেমত রদবদল করেই চলেছিলেন। কেন? তিনি কি জানতেন না যে নুতন কেয়ারটেকার সরকার এগুলো রাখবেন না! নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নিরপেক্ষ কোন সরকার এটা বহাল রাখতে পারেন না! রাখলেও বিরোধী দল সেটা মানবে না! জানতেন তারপরও তারা জোর করছিলেন লতিফুর সাহেবদের উপর যাতে ওই সাজানো প্রশাসন টাচ না করা হয়! তাই কি হয়! হয় নাই। লতিফ সাহেব মানুষের প্রত্যাশানুযায়ী একেবারে প্রথম কয়েকদিনেই তাদের সাজানো প্রশাসন তচনচ করে দিয়েছিলেন। ফলে লতিফুর সাহেবের তত্বাবধায়ককে আওয়ামী লীগ সবসময় গালি দেয়।



বিচারপতি হাবিবেরটা ভালো অথচ বিচারপতি লতিফুরেরটা ভালো না! একটায় ক্ষমতায় আসা গেছে আর একটায় ফিরা যায় নাই। বুঝতে পারেন নাই যেটা তা হলো, আসা গেছে কারন বিএনপির রেকর্ড ভালো ছিল না। দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, বিরোধীদলের মিটিং ভাংগা, গ্রেফতার নির্যাতন সবই তারা করেছে। ফলে মানুষ ভয় ভীতিহীনভাবে ভোট দেবার সুযোগটা পাবার সাথে সাথেই বিএনপিকে শিক্ষাটা দিয়েছে। বিএনপিও সেটা জানতো যে, যে পাপ তারা ১৯৯১-১৯৯৫ পর্যন্ত করেছে এখন সত্যিকারভাবে জনগনের মুখোমুখি হলে ভোট পাবেন না। যে কারনে তারা আওয়ামী লীগ, জাপা, জামাতের তত্বাবধায়ক আন্দোলনকে মানতে চাচ্ছিলেন না। পরে যখন মানলেন, মানতে বাধ্য হলেন, ফলাফল আপনাদের জানা আছে।



আজ দেখুন ঘটনাগুলো ঠিক একই। আওয়ামী লীগ ও তার জোট সরকার যদি ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত কোন দুর্নীতি না করতো, টেন্ডারবাজী, খুন, দমননীতি, গ্রেফতার, বিরোধী দলের উপর নির্যাতন না করতো, হলমার্ক, শেয়ারবাজার, ডেসটিনির মত লুটপাটগুলো না করতো, পদ্মা সেতু গিলে না খেতো তাহলে কিন্তু তাদের তত্বাবধায়ক বাতিল করার দরকার হতো না। কিন্তু যেহেতু তারা এটা করবে বলেই ধরে নিয়েছিল এবং জানতো যে এরপর আর জনগনের মুখোমুখী দাঁড়ানো যাবে না, অথচ ক্ষমতা ধরে রাখতেই হবে সুতরাং তারা প্রথম সুযোগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগে সংবিধানটা সংশোধন করে ও জনতার নিরপেক্ষ ও সত্যিকার রায় নেবার সুযোগটা বন্ধ করে দিল। যার প্রমান দেখুন এবারকার (২০১৪) নির্বাচনে ১৫৩টা সীটে তাদের কোন ভোটেরই দরকার হয় নাই, একটাও না। আর বাকী ১৪৭টা সীটে মাত্র পাঁচ ছয় পার্সেন্ট ভোট নিয়েও তারা সরকার গঠন করলো এবং আগামী পাঁচ বছরই থাকার চেষ্টা করবে বলে সদম্ভে ঘোষনা করেছে। যে কথাগুলো এখান বললাম, এগুলো স্বচ্ছ কাঁচের মত পরিস্কার, এইতো সেদিনের কথা। তারপরও প্রতিদিন এই বেগম খালেদা জিয়ার, শেখ হাসিনার গনতন্ত্রের ছবক আমাদের শুনতেই হবে। কারন টিভি খুললেই সবচেয় বড় বিনোদন বিগত তিন দশকে এগুলোই। মানুষ নাটক, সিরিয়াল বাদ দিয়ে এখন এগুলোই দেখে। মন মেজাজতো ভালো রাখতে হবে!





























মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪

গ্রীনলাভার বলেছেন: B-)) B-)) B-)) বিনোদন দেইখা মেজাজ ভাল আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.