![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্ভবত ১৯৮৬ সাল। প্রচলিত ঘুনেধরা সমাজের উল্টো স্রোতে চলাই ছিল আমার কাজ। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, জামাতের চিহ্নিত সো কলড প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমি সমর্থন দিলাম একজন মুক্তিযুদ্ধা ও তখনকার বিবেচনায় সৎ প্রার্থীকে যিনি সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার হয়েছেন। তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাড় করিয়ে একটা চ্যালেন্জ ছুড়ে দিলাম। তার মার্কা ছিল রিকসা। তো আমি আমার মোটর সাইকেল নিয়ে যখন ক্যাম্পেইনে বের হতাম আমার পিছনে কেউ না কেউ বসা থাকতো। একজনের নাম ছিল 'সাফকাত' (ধরুন), আমার ছোটবেলার বন্ধু। যখন আমি ভোট চাইতে চাইতে এলাকা সফর করতাম আমার বন্ধুটি তখন আমারই হোন্ডার পিছনে বসে আমার অগোচরে ইশারা করে ভোটারদেরকে না বলে দিত। অর্থাৎ চলছে আমার সাথে, খাচ্ছে আমার সাথে, এমনকি হয়তো আমরা একই বিছানায় রাতে ঘুমাচ্ছিও, তবুও সে আমার সাথে থেকেই আমার প্রার্থীর বিরোধিতা করতো। ভান করতো যে সে আমাকেই সাহায্য করছে কিন্তু আসলে আমার অগোচরে আমাকেই বিপদে ফেলছিল এবং আমার সাথে থেকেই আমার শক্তি, দুর্বলতা জেনে নিত, তারপর আমার বিরুদ্ধ পক্ষকেই সাহায্য করতো, তথ্য দিয়ে দিতো। একেই বলে মুনাফিক। মুসলমানদের ঘরে ঘরে আজ মুনাফিক। পলাশীর যুদ্ধে নিশ্চিত বিজয়কে ঠেকিয়ে দিয়েছিল এই মুনাফিকেরা, ওহুদের যুদ্ধেও প্রচন্ড ক্ষতির কারন ছিল মুনাফিকেরা, আজও এরা দৌর্দন্ড প্রতাপের সাথেই চলছে।
মুসলমানদের সবচেয়ে বেশী যদি কেউ ক্ষতি করে থাকে, সেটা চৌদ্দশত বছর আগেই হোক আর আজকের যুগেই হোক, সেটা অন্য কেউ নয়, কোন ভিন্নধর্মীরা নয়, কোন কাফের নয়, সেটা হলো মুনাফিকেরা। তারা নামে মুসলমান, মুসলমানের ঘরেই তাদের জন্ম, নামাজ কালামও হয়তো পড়েন, এমনকি নামাজ পড়তে পড়তে কপালে হয়তো কালো দাগও ফেলে দিয়েছেন, তবুও তারা মুনাফিক। তারাই মুসলমান ও ইসলামের জন্য ভয়ংকর বাধা ও ক্ষতির বড় কারন। সেটা ফিলিস্তিন, ইরাক থেকে শুরু করে বাংলাদেশেও আজ সুপ্রমানিত। সুতরাং মুনাফিক থেকে সাবধান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
এম এ কাশেম বলেছেন: মুনাফিকদের সাথে মুশরিকদের বেশ দহরম মহরম ,
এবার ভাবুন আমাদের দেশের মুনাফিক কারা।