![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে একেকটা ঘটনা ঘটে আর আমরা বিচ্ছিন্নভাবে, যার যার সুবিধা অনুযায়ী কখনো তীব্র, কখনো মৃদু লয়ে প্রতিবাদ করি, প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করি অথবা চুপ করে থাকি। কিন্তু কথা হলো, বিষয়গুলোতো আমার আপনার নয়। আমাদের সকলের। প্রশ্নটা যখন দেশের, বিষয়গুলোও তখন আমাদের। আমার বা আপনার নয়। এই কথাটা যতক্ষণ তথাকথিত রাজনীতিকেরা বুঝতে না পারবেন ততক্ষণ এই দেশে শান্তি আসবে না। গুম, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজী, দুর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি তথা সকল ধরনের অপকর্ম, অপশাষন, স্বৈরশাষন চলতেই থাকবে। পার্থক্য হলো, এখন তারা করছেন, তখন উনারা করবেন।
কথা হলো, যে খুন হন, তার কাছে যেয়ে যদি প্রশ্ন করা যেতো, আরে ভাই বলুনতো আপনি কি বিএনপি জামাতের হাতে খুন হয়ে বেশী শান্তি পেলেন নাকি আওয়ামী লীগের হাতে খুন হলে আরো বেশী মজা পেতেন! নাকি মার্কসবাদীদের হাতে! হাউ ফানি! প্রশ্নটা করা যাচ্ছে না। কারন তিনিতো মরেই খালাস। তবে তার নিকটাত্নীয়দেরকে প্রশ্নটা করা যেতে পারে! উত্তরটা কি হবে বুঝতেই পারা যায়।
সুতরাং যারা দেশ প্রেমিক, ভন্ড নন, যাদের সংখ্যা ৯৫% বা তারও বেশী, তাদের এখন ভাবার সময় এসেছে যে এভাবে দেশ চলতে পারে না। সময় এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করার। সে চাপটা হলো, দেশটা কে শাষন করবে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো, দেশে দল মত, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, আমির, ফকির, ঘুটেকুড়ানী নির্বিশেষে আইন সকলের জন্য সমান ভাবে প্রয়োগ হবে কি হবে না সেটা অনতিবিলম্বে নির্ধারন করা। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধানটা পুনঃ মুল্যায়ন করা। দুদক, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, পিএসসি, অডিটর জেনারেল স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কি পারবে না সেটা নির্ধারন করা। এমনভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে বসতে হবে যেন আমাদের দেশটা আজই কোন পরাশক্তির কাছ থেকে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে, এখন সকলে মিলে সবকিছু নুতন করে সাজাতে হবে।
এছাড়া দেশটা আজ নৈরাজ্যের, অবক্ষয়ের যে চরম অবস্হায় এসে পৌছেছে তার থেকে মুক্তির কোন পথ খোলা নেই। যে পথটা খোলা আছে সেটা কোন সুস্হ্য ও বিবেক সম্পন্ন মানুষের কাম্য হতে পারে না।
©somewhere in net ltd.