![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোই নাটক হলো একটা। সেই পুরোনো সাজানো নাটক। লোকসভা নির্বাচনে চরম পরাজয়ের দায় স্বীকার করে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধির পদত্যাগ নাটক শুরু হবার সাথে সাথেই তার যবনিকাপাত হয়। দলের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের লোকেরা সাথে সাথেই নাকি তা প্রত্যাখান করেন!
আসলে এসব দলগুলো টিকে থাকেই ব্যাক্তির ইমেজের উপর। তাই এরা আতংকে থাকে যে ওইসব ব্যাক্তিবর্গ যদি দলে না থাকেন তা হলে তাদের দলও আর টিকে থাকবে না। আর এখানেই এ্যাকচুয়ালী 'গনতন্ত্রের' চরম পরাজয় ঘটে।
সেই দিক থেকে বিজেপি বরং অন্যরকম, গনতন্ত্রের সহায়ক। তারা জঙ্গিবাদী, মৌলবাদি যাই হোক না কেন, তাদের দলে কোন ব্যাক্তি বা পরিবারের গুরুত্ব নেই। এইতো বছর কয়েক আগে তাদের নেতা ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তিনি প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। তারপর সবার ধারনা ছিল যে বিজেপির নেতা হবেন কট্টোরপন্হী নেতা এল কে আদভানী। সে ধারনা ভুল প্রমান করে এগিয়ে এলেন গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এতে আগাম ধারনা করা যায় যে এরপর হয়তো অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য যে কেউই বিজেপির নেতা বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখতে পারবেন যেটা কংগ্রেসে আগামী পন্চাশ বছরেও সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াংকা গান্ধী, ওদের ছেলেমেয়ে নাতি পুতি গান্ধী! তো এই দলে গনতন্ত্র থাকলো কোথায়? যারা কংগ্রেস দল করেন তারা অন্য যাই স্বপ্ন দেখুন না কেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রি হবার স্বপ্ন দেখতে পারেবেন না। ঠিক যেমন আমাদের সেই দলগুলোর মত! হায় গনতন্ত্র, হায় বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.