![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের অনেক দেশের সরকার প্রধানকে দাওয়াত করা হয়েছিল। অনেকেই যোগও দিয়েছেন। আশা করি এই একই রেওয়াজ এবার বাংলাদেশেও চালু হবে। অবশ্য সরকার যদি গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়, ভোটে যদি জনতার রায় প্রতিফলিত হয়, তাহলেই হয়তো এ উদ্যোগ ফলপ্রসু হতে পারে!
টরন্টোতে অবস্হানরত কিছু ভারতীয় নাগরিকের সাথে কথা বলে এটাই প্রতীয়মান হলো যে ভারতীয় নির্বাচনে মোদির বিপুল বিজয়ের অন্যতম কারন কংগ্রেসের নজীরবিহীন দুর্নীতি। শুধুমাত্র 'হিন্দু' কার্ড এক্ষেত্রে এককভাবে কাজ করেনি, কংগ্রেস থেকে মানুষের মুখ ফিরিয়ে নেয়াটাও অন্যতম কারন। আর সেক্ষেত্রে যাদের 'ডালি' জনগনের কাছে দৃশ্যমান ছিল, নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে, জনগন সে 'ডালি'তেই ঠাই নিয়েছে। তবে মুল বিষয়টা হলো ভারতের শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, গনতান্ত্রিক মুল্যবোধ জনগনকে তাদের ইচ্ছেমত জায়গায় যাবার সুযোগটা দিয়েছে। যা বাংলাদেশে একমাত্র তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো ব্যাতিত আর কোন নির্বাচনে জনগনকে সে সুযোগ দেয়া হয় নাই, অস্ত্র, সন্ত্রাস দিয়ে গায়ের জোরে সে অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। সেটা বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে করা হয়েছে। জোর করে নির্বাচনে জিতে তারপর নিজেদেরকে নিজেরাই তথাকথিত বিপুল ভোটে জয়লাভকারী দাবি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটা ছিল সেই তামাসার নির্বাচন। সেই নির্বাচনটা বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ, পৃথিবীর সকল গনতন্ত্রমনা দেশসুমহ (ভারতীয় কংগ্রেস বাদে), এমনকি বাংলাদেশের সুশীল সমাজও মেনে নিতে পারে নাই। প্রশ্ন হলো যে নির্বাচনটাকে আপনি অবৈধ মনে করছেন, যে নির্বাচনের কারনে আজ দেশের প্রশাসনসহ, আইন শৃংক্ষলা ভেংগে পড়তে বসেছে, সর্বত্রই একটা অস্হিরতাভাব বিরাজ করছে, কেউ কারো কথা শুনছে না, সেই নির্বাচনেরই কোন শুন্য আসনে দৌড়ে গিয়ে উপনির্বাচনে অংশ নেয়াটা কোন নৈতিকতার পর্যায়ে পড়ে? আপনি ভালো করেই জানেন যে, মুল নির্বাচনেই কোন ভোট পড়ে নাই বললেই চলে, জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, তারপর এখন যে কোন উপনির্বাচনে আপনাকে সরকারের আনুকল্য ছাড়া আপনি যতবড় জনপ্রিয়ই হন না কেন, আপনি বিজয়ী হতে পারবেন? তাহলে এসবের মানে কি? জনগনকে উনারা বোকা মনে করেন, আপনারও বোকা মনে করছেন, তাহলে পার্থক্য কি?
আসলে বাংলাদেশে সত্যিকার গনতান্ত্রিক শক্তি, যারা সত্যি সত্যিই নীতি নৈতিকার বলে বলিয়ান, যারা সুযোগ বুঝে দেশপ্রেমিক নন, অবস্হার কারনে বিদ্রোহী নন, এধরনের দল বা শক্তির আবির্ভাব সুদুর পরাহত।
২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
মাইরালা বলেছেন: সহমত