![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যের বলিদানে নিজের স্বর্গসুখ লাভ করা আমাদের মজ্জাগত স্বভাব। অমুক ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না শ্লোগানের মানেটাই হলো যে আমরা ক্ষমতাটা পাইলেই কর্ম সাড়া, আপনার রক্ত বৃথা যাবে না, না পাইলে পুরাই বৃথা। তবে এখন আর কারও রক্তই বৃথা যায় না বলা চলে, কারন দিলীপ বড়ুয়া থেকে শুরু করে ইনুভাই, পটল ভাই, রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধা কেউই এই বাংলায় আর মন্ত্রী হওয়া থেকে বাদ যায় নাই। তাই সকল হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া ভাই বোনদের রক্তই মোটামুটি বৃথা যায় নাই বলা চলে!
তারপরও ইয়ার্কির একটা সীমা থাকে। বাংলাদেশে এখন এমন কিছু ঘটছে যে মানুষ আর প্রতিক্রিয়া দেখাতেও আগ্রহ হন না। বিগত পাঁচ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে সকলেই দেশের ভালমন্দ নিয়ে কমবেশী একটা কিছু বলতেন, এখন আর বলেন না। কারন মানুষ এখন ক্রমেই যা দেখছে তাতে হাসবে না কাঁদবে বুঝতে না পেরে কিছুটা 'বোবা কাল' অতিক্রম করছে। তবে সেটা বেশী দিন থাকবে না বলেই মনে হয়। সর্বশেষ সার্কাসের যে খবরটা বের হয়েছে তা হলো এরশাদকে নিয়ে। তাঁকে নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। কারন তিনি তার মামলার ভয়ে বিগত কয়েক বছর রাজনীতিতে, সমাজে এমন ভাড়ামি করেছেন, তার আর কোন ক্রেডিবিলিটি আছে বলে মনে করি না। তারপরও তিনি আছেন কারন যারা তাকে নিয়ে খেলছেন তারা আর তিনি নিজে মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ কোন মানুষ নয়, সুতরাং এখানে যা কিছুই ঘটুক কিছু আসে যায় না, এত এত খারাপের মধ্যেও কিছু যদি ফায়দা তুলে নেয়া যায় মন্দ কি!
সেতো গেলো গলিত পচা রাজনীতি ও তার 'বিদ'দের নিয়ে কথা। এখন দেখুন দেশের নির্বাচন কমিশন ও আমলাদের তামশা! যে এরশাদ কোন নির্বাচনেই দাড়ান নাই, যাকে জোর করে কোথাও পাশ, কোথাও ফেল দেখানো হলো সেই ফেলতো ফেল, একবারে জামানত বাজেয়াপ্ত দেখানো হলো সেখানে নাকি তিনি কোন নির্বাচনী ব্যায়ের হিসাব দেন নাই। সেই কারনে বহুত ক্ষিপ্ত দেশের ন্যায় নিষ্ঠ ঠুটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশন। তারা আইন ভংগের কারনে এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। আরে বাপস! তামশারও একটা পরিসীমা থাকে। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়। আরে মিয়া তোমরা নিজেরাই একটা দিয়ে দাও না! এরশাদকেই কেনো জোর করছো। তিনি যেখানে নির্বাচনই করেন নাই, তোমরাই তার নামে সব কাগজপত্র বানিয়ে ঠানিয়ে দেখিয়েছো যে তিনি সেখানে ফেলটুস করেছেন, তাইলে এই কামটাও তোমরা করে কাগজপত্র ফাইল ঠাইল ঠিক করে রেখে দাও না! তোমরাতো মনে করো কাগজে ঠিক থাকলে সবই ঠিক! কারন এরশাদকেওতো হিসাবের কাগজটা বানিয়েই দিতে হবে, তারতো কোন খরচই হয় নাই, তিনিতো লালমনিরহাটে কোন নির্বাচনই করেন নাই! তো তাকে জোর করছো কেনো?
তয় শোন একখান কথা, নাহ দুইখান কথা। পরবর্তীতে যদি সেই রকম কেউ সরকারে আসে তারা কিন্তু তোমাদের ঐ বানানো কাগজে কি আছে সেটা দেখবে না, তারা বাস্তবে কি হয়েছিলো সেটার খোজ নিয়েই কিন্তু আসবে, সুতরাং অত শান্তিতে থাইকো না! দ্বিতীয় কথাটা হলো ওই জিনিষ মানে 'পয়ঃ' জিনিষটা যত কম নাড়াচাড়া করবা ততই কম দুর্গন্ধ ছড়াবে। কাজেই ওটার দুর্গন্ধ না ছড়িয়ে যে কটাদিন চলছে একটু রজনীগন্ধার গন্ধ বিলিয়ে যাও তাতে তোমাদেরও ভালো লাগবে আর আশে পাশে যারা আছেন তাদেরও ভালো লাগবে। কথায় বলে না, 'আমি বাড়িতেই ছিলাম না, নাপিত বাড়ীতে এসে নাকি আমার চুল কেটে নিয়ে গেছে'! যতসব! নীতিবান একটা!
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫১
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫১
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: দারুন একটা প্রবন্ধ পড়লাম! লিখতে থাকুন এগুতে থাকুন। অনেক ধন্যবাদ।