![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম আলোর কলাম লেখক জনাব সোহরাব হোসেন দেশের দুজন নেত্রীকে নিজের সাথে নিজের সংলাপ শুরু করতে বলেছেন। যেহেতু তারা দু জন একে অপরের সাথে সংলাপে আগ্রহী নন, সুতরাং নিজের সাথে নিজের সংলাপ করার কথা বলতে হয়েছে তাকে। আমি উনার লেখাটা পড়তে সময় পাই নি। তবে শিরোনামটা আমাকে ভাবিত করে তুলেছে।
ভাবছি উনারা সেটা করবেন কি না? মনে হয় না করবেন, কারন,উনারা তাদের বিবেক বিবেচনা দ্বারা পরিচালিত হন না। পরিচালিত হন, 'তোষামোদে যারা খোশ আমোদ' অনুভব করেন, মোদ্দাকথা চামচা ও দলকানাদের স্তুতিবাক্যে। যেমন ধরুন, কেউ একজন সম্ভবত কোন এক নেত্রীকে বলেছেন, হে মহিয়ষী নেত্রী, ডক্টর ইউনুস নন, নোবেল কমিটির উচিত ছিল আপনাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া। তা না করে, ইউনুসকে দিয়ে তারা অনুচিত কাজ করেছে। এখানেই তারা ক্ষান্ত হন নি, বলেছেন, দাড়ান, আমরা যেভাবেই হোক, আগামীতে আপনাকেও আমরা নোবেল এনে দিব। সে কারনেই তারা একটা বিশ্ব শান্তি, সামজিক উন্নতি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি নিয়ে একটা লেখা রেডি করে দিলেন, নেত্রী সেটা পাঠ করলেন জাতিসংঘে। আমার ধারনা ঐদিন রাত থেকে তিনি শোবার আগে নিজের আয়নায় একটু হলেও নিজে দাড়ান, চুল আচরান, ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, তখন সারাদিন কি করলেন, কয়টা কাজ ঠিক করলেন বা বেঠিক করলেন বিবেকের সাথে সেটা নিয়ে কথা বলেন না, বরং মুচকি হেসে ভাবেন, এইতো নোবেল প্রাইজটা সম্ভবত এবার পেয়েই যাবো।
আর একজন নেত্রীর ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। সারাদিন যে সমস্ত তোষামোদকারীকে ঘিরে তিনি থাকেন, তারা তাকে সারাক্ষন বুষ্টিং করেন, হে মাননীয় ম্যাডাম, এইতো, আর কটা দিন, তারপর আবার আপনি প্রধানমন্ত্রী। পুরো টার্ম শেষ করার বছর তিনেক আগেই আপনি অসুস্হতার কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করবেন, রাজপুত্রকে বসিয়ে দিবেন আপনার আসনে। সব অত্যাচার, নির্যাতনের জবাব তখন আমরা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিব। এইসব তোষামোদকারীরা বলবেনই না কেনো? তাদের পদ পদবী অর্থ সম্পদ, সামাজিক প্রতাপ প্রতিপত্তি, মর্যাদা সবই পেয়েছেন এই ম্যাডামের বদান্যতায়। সুতরাং তাকে খুশি করাই উনাদের একমাত্র কাজ। কে কত প্রাকটিক্যাল খুশি করতে পারেন, তার উপর নির্ভর করে এমপি নমিনেশন, মন্ত্রী হওয়া, দলের বড় পদ পাওয়া। যে কারনে দেখা যায়, যখন কোন দলীয় সম্মেলন বা কাউন্সিল হয় কিংবা তথাকথিত বিশাল জনসভা হয়, তখন শুরু হয় 'বন্দনা' বক্ত্বতা। ঠিক অনেকটা এরকম, প্রথমে বন্দনা করি আল্লাহ নবীর নাম, তারপরে বন্দনা করি রাজপুতের নাম! 'আহা বেশ বেশ' সুরে চারিদিক থেকে আসে সমর্থনের খুশবো।
তো এই যখন অবস্হা, উনারা কেনো একে অপরের সাথে সংলাপ করবেন? তার থেকে বরং এক কাজ করি। চলুন, আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে সংলাপ শুরু করি।
প্রথমেই আমি শূরু করি। (চলবে)।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"তবে শিরোনামটা আমাকে ভাবিত করে তুলেছে। "
-শিরোনাম দেখে এত বড় পোস্ট লিখলেন; প্রথম ২ লাইন যদি পড়তেন, তা'হলে আমরা আপনার থেকে একটা বই আশা করতে পারতাম!