নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাখাল ছেলে

তাহলে, লড়াই শুরু করি। তৌববুদি মিরাং মহুমদা মিরাং অমা ওন্না লৈবাসিনা মনুঙাইখি...

হামোম প্রমোদ

নিংথম থা লোইরক্কদৌরে, অনৌবা পুন্সি অমা - ইহা একজন বাংলাদেশী-মণিপুরী` র ব্লগ। এখানে বাংলা ভাষার পাশাপাশি মণিপুরী ভাষাতেও ব্লগটি লেখা হবে। বাংলাদেশ, ভারত, বার্মা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, চীন, কানাডা, আমেরিকা সহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মনিপুরী ভাষার গুটি কয়েক পাঠক রয়েছে যারা বাংলা ভাষার ব্লগে কোনদিন ঢুকেনি কিংবা বাংলা ব্লগের কথা হয়তো জানেই না। ( যেমন, বাংলাদেশ-আসাম-ত্রিপুরা-পশ্চীমবঙ্গে শিক্ষা লাভ করা মনিপুরী, পরবর্তীতে উচ্চতর বিষয়ে অধ্যায়ন এবং পেশাগত কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বসবাস করছে। ) বাংলা ও মণিপুরী উভয় ভাষার পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখা, যা এই ব্লগের পরিচিতি বাংলা ভাষার পাঠকদের সীমানা ছাড়িয়ে মনিপুরী ভাষার পাঠকদের কাছেও পৌছে যাবে। পাশাপাশি মনিপুরী ভাষার পাঠক -লেখকের যোগাযোগও বিস্তৃত হবে। ( তবে এই তথ্যটিও সবাইকে জানানো আবশ্যক যে, অতীতে বাংলা বর্ণমালাতে মণিপুরী লেখার `চল ' থাকলেও বর্তমানে মণিপুরীদের নিজস্ব অক্ষর - মীতৈ ময়েক -http://www.omniglot.com/writing/manipuri.htm / http://en.wikipedia.org/wiki/Meitei_Mayek_alphabet ) এর প্রচলন শুরু হয়ে গেছে। আগামীতে হয়তো বাংলা বর্ণমালাতে মণিপুরী লেখার ` চল ' হয়তো উঠে যাবে একেবারেই। ) মণিপুর - মনিপুরী সম্পর্কে আগ্রহী হলে নিম্নের সাইট গুলো দেখতে পারেন, http://www.poknapham.in/ এবং http://www.e-pao.net , http://www.kanglaonline.com

হামোম প্রমোদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

``ডিম'' নিয়ে একটি কবিতা

১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

ঘোড়ার ডিম নয়, হাঁসের ডিম নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করতে করতে ভাবলাম বেচারা ( কিংবা বেচারি) ডিম কে নিয়ে আমরা যত হাসি ঠাট্টা করি না কেন আমাদের জীবনের পরতে পরতে ডিমের প্রয়োজনকে কখনোই উড়িয়ে দিতে পারি না। আমাদের কুঁড়েঘড়ের রান্নাঘড় থেকে শুরু করে পাঁচতারা কি সাততারা হোটেলের সুসজ্জিত ডাইনিং রুম পর্যন্ত ডিমের সমাদরের কোন কমতি নেই। তারপরতো আমাদের নিত্য কৃত্য তে ডিমের আবশ্যকতা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। জুয়েল আইচের যাদুর কথাই বলুন কিংবা আদিবাসীদের লোকাচারের ( যেমন মৈতৈদের চাবান থাবা, সরোই খাংবা ) কথায় বলুন `ডিম' সেখানে গুরুদায়িত্ব পালনে সদাব্যস্ত।





সুতরাং '' ডিম '' কোনভাবেই শুন্যতার প্রতিক হতে পারেনা বরং অযুত সম্ভাবনার প্রতিক হিসেবে আমরা '' বিনির্মাণ '' করতে পারি।













য়েরুম



হামোম প্রমোদ

ঙরাংদো, ঙরাংগী অহিংদো

তুম্বা য়াদ্রবা অহিং

অমুক হৌগৎ, অমুক হিপথা



ঙৌশোক ঙৌরবা য়েরুম

নিম্বু নিম্বু ঙাল্লবা অহিং

নুপি অঙাংগি ঈ য়ুং তৈরবা মাইথফিদক

শক্রাক শেৎনা তারিবা টেবল ঘড়ি, টিক টিক

টিক টিক



মুরুম মুরুম তুমিন তুমিন ঙাংনরম্বা য়েরুমশিংদো

মখোন থোক্লকই, খোংগ্রাই শেৎলম্বাদগী লেপখৎনরকই

অমনা অমবু ইনথরকই, অচৌবদুনা মচাদুবু কাউথরকই, উশিত্তেদা-





ইকাই-নুংশি য়ান্নদুনা য়েনবিদুনা চীংনা য়েংলি



তপ্না তপ্না কোনশিনজৈ মচা ময়াম, ফোং ফোং শারব শিয়োমনুংদা।



বাংলা অনুবাদ -



ডিম

গতকাল, কাল রাত

ঘুমপরীহীন রাতে



ছটফট কষ্টেভরা সখ্যহীন আমি



ধবধবে সাদা ডিম

ভোরের প্রদেশের মুখোমুখি রাত

নারী আর শিশুদের রক্ত-মুত্রে একাকার চাদর

চিৎ হয়ে পড়ে থাকা পাছাখোলা টেবিলঘড়ি, টিক টিক

টিক টিক



অস্ফুটস্বরে আলাপরত ডিমগুলো ক্রমশ হয়ে ওঠে

উচ্চকন্ঠ, জ্বলে ওঠে অগ্নিবর্ণে যুদ্ধংদেহী

বিব্রত মুরগী অসহায় চোখে চেয়ে চেয়ে দেখে

উষ্ণ বুকে টেনে নেয় প্রিয় সন্তানদের ভালোবেসে ।



[ অনুবাদ : শেরাম নিরঞ্জন ]













মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮

মানবী বলেছেন: "জুয়েল আইচের যাদুর কথাই বলুন কিংবা আদিবাসীদের লোকাচারের ( যেমন মৈতৈদের চাবান থাবা, সরোই খাংবা ) কথায় বলুন `ডিম' সেখানে গুরুদায়িত্ব পালনে সদাব্যস্ত।"

- মৈতৈদের চাবান থাবা, সরোই খাংবা লোকাচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহবোধ করছি।


ডিম সম্পর্কিত কবিতাটি ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারনে বুঝতে পারিনি, তবে ধারনা করছি পুষ্টিকর কবিতা নিশ্চয়... :-)

ধন্যবাদ হামোম প্রমোদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৮

হামোম প্রমোদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।

'' চাবান থাবা" হলো আমাদের এক ধরনে লৌকিক প্রথা কিংবা সংস্কার বলতে পারেন। পরিবারে কেউ অসুস্থ কিংবা দূর্ঘটনা হলে আমাদের পূর্বপুরুষেরা স্থানীয় একজন ''মাইবা" ( বাংলায় কবিরাজ কিংবা ইংরাজিতে `ম্যাডিসিন ম্যান' বলা যেতে পারে ) কে ডেকে এনে দেবতার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য যে `কৃত্য' টি করা হয় তাকেই আমরা `চাবান থাবা ' বলে থাকি।
আর '' সরোই খাংবা'' ও আমাদের একটি প্রথা কিংবা সংস্কার, যা নব বর্ষের ( অথবা বৎসরের শেষ দিনে, আমার এই মূহুর্তে ঠিক মনে নেই) সাথে সম্পর্কিত। ঐ দিন গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে দেবতার সন্তোষ্টি বিধানের জন্য বিভিন্ন ফলমুল সহ উন্মুক্ত মাঠের যে কোন প্রান্তে নৃত্য গীত সহ একধরনের আচার পালন করে থাকেন। সেটাকেই আমরা ''সরোই খাংবা'' বলে থাকি।

আমার এই সংক্ষিপ্ত উত্তর আপনার আগ্রহের কতটুকু সন্তোষ্ট করতে পেরেছে কি না জানিনা। এই বিদেশ বিভূইয়ে থাকি আর কতটুকুইবা মনে করতে পারি। আমার পক্ষে যতটুকু জানি সেগুলোই একটু গুছিয়ে বল্লাম ।

কিছুটা সময়াভাবে কিছুটা আলস্যতার কারণে কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করতে পারিনি। পুষ্টিগুন যাচাইয়ের জন্য ডায়েটিশিয়ানদের কাছে পাঠানোর ( আই মিন কাব্য কৃতিক ) ব্যবস্থা করছি দেখি উনারা কি বলেন।

আশা রাখি, একদিন আমাদের দেশেও এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ''ভাষা'' এবং '' জাতি'' গুলোও ''আপদ'' কিংবা ''জঞ্জাল'' না ভেবে '' সম্পদ '' ভেবে যথাযথ মর্যাদা এবং বিকাশের সুযোগ পাবে।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬

ডলুপূত্র বলেছেন: Click This Link

২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩১

হামোম প্রমোদ বলেছেন: পড়েছি, ভালো লাগলো।
কবি নুরুল হুদার সাথে আমাদের গ্রামের ভাল একটা সম্পর্ক আছে। বিষয়টা নিয়ে ভবিষ্যতে আলাপ করা যাবে।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬

মানবী বলেছেন: চাবান থাবা ও সরোই খাংবা সম্পর্কে অবগত করাবার জন্য ধন্যবাদ। উৎসব বা লোকাচার দুটোতে ডিমের ভূমিকাটি স্পষ্ট হলোনা :-)


"আশা রাখি, একদিন আমাদের দেশেও এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ''ভাষা'' এবং '' জাতি'' গুলোও ''আপদ'' কিংবা ''জঞ্জাল'' না ভেবে '' সম্পদ '' ভেবে যথাযথ মর্যাদা এবং বিকাশের সুযোগ পাবে। "

- আদিবাসী বা তাঁদের ভাষা, সংস্কৃতিকে কেউ ''আপদ'' কিংবা ''জঞ্জাল'' মনে করেনা, এসব আমাদের দেশের ভাষা সংস্কৃতির অংশ, এবং নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের সম্পদ!


এন্ড বাই দ্যা ওয়ে, আমি আবর্জনা ও জঞ্জাল এড়িয়ে চলি, তেমন কিছু হলে তো অজানা ভাষার কবিতাটি পড়তাম না B-)

ভালো থাকুন হামোম প্রমোদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৬

হামোম প্রমোদ বলেছেন:
তাইতো, ডিমের ভূমিকা নিয়ে কিছুইতো বলা হয়নি। থুক্কু ।

ঐ দুটো লোকাচারের ক্ষেত্রে মুরগীর ডিম ( তাও কালো মুরগির ডিম হলে ভাল হয় ) অত্যাবশ্যকিয় উপাদান। কারণটা আমি ঠিক বলতে পারছি না। তবে এইটুকু বলতে পারি, মুরগীর ডিম সেখানে একটা ''প্রতিকি" ভূমিকা পালন করে। যা হয়তো আমাদের `` মাইবা '' এবং সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ কিংবা নৃতত্ত্ববিদরা ভাল বলতে পারবেন।

আপনি এসব কে জঞ্জাল বা আপদ মনে করেন না জেনে খুশি হলাম। এবং এটাও জানি, আপনার মতো অনেকেই মনে করে না। আমার হতাশার মূল কারণ দানবেরা যে দিন দিন শক্তিশালি হয়ে উঠছে দেশে।


যদিও আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে দানবের চাইতে ''মানব'' এবং ''মানবী''র সংখ্যা ( মহামানবে'র কথা বলছি না ) অনেক অনেক বেশী। তারপরও মাঝে মাঝে খুব হতাশ হয়, দানবেরা যখন আমাদের ''মানব '' এবং '' মানবী'' দের পরাভূত করে ছিনিয়ে নেয় বিজয়ের বরমাল্য। দেখুন না এই ছোট্ট একটা পেপার কার্টিং -


Click This Link

হয়তো হাজারো খবরের মধ্যে হারিয়ে যাবে অনায়াসে।

যদিও ঘটনাটির গুরুত্ব আমাদের কাছে খুব সামান্যই, কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক। আবার অনেকেই এটাকে বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা বলে ফুঁৎকারে উরিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি এটাও ঠিক এরকম হাজারো ঘটনা আমাদের মতো দেশে ( দূর্বলের প্রতি সবলের, নারীর প্রতি পুরুষের, সংখ্যালঘুর প্রতি সংখ্যাগুরুর ইত্যাদি ইত্যাদি..... ) অহরহ ঘটে যাচ্ছে, তাই সবার গা সওয়া গেছে। তাহলে কি দানবেরা সব কিছু তে জিতে যাবে?


না, পারবে না। আমাদের যে জিততেই হবে।

কারণ, কোথাকার কোন এক 'মেয়ে' হাজারো ''নারী'' র হয়ে একটা স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নটাকে বাস্তবে পাওয়ার জন্য যতটুকু তাঁর
পক্ষে সম্ভব, তা করার দৃপ্ত শপথ নিয়ে অগ্রসর হই, তখন আমি আবার বিশ্বাস ফিরে পাই, আমাদের` মানব - মানবি' দের কাছে।

Click This Link


Click This Link

তাই, হাজারো ভালো না থাকার ঘটনা-সংবাদ-গল্প-কবিতার মধ্যেও ভাল থাকি , ভালো থাকার চেষ্টা করি। আপনিও ভালো থাকুন।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১২

মাইবম সাধন বলেছেন: ফজৈ। শজিবুদা পারে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৪

হামোম প্রমোদ বলেছেন: ১২ ই ডিসেম্বরদা চেফোংগাক ফোংদ্রবো? য়ারগদি খংহল্লকউ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.