নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: আবদুল হাফিজ

শুখি বালক

আমি অপার হয়ে বসে আছি ওহে দয়াময়....পারে লয়ে যাও আমায়.....।

শুখি বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাবিতে মূর্তি নির্মাণ প্রসংগে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯



বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম পলিটিক্স অনেক আগেই দুষিত হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই দুষণের ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে পৌছেছে তা বুঝলাম শাবির নতুন ভাস্কর্য/মুর্তি বিতর্ক থেকে। অহরহ মুক্ত-চিন্তার দুহাই দিয়ে মুখে ফেনা তুলা মানুষগুলো ও ভিন্ন মত সহ্য করতে পারছেননা। মানুষ হিসেবে আমরা একজন যেমন আরেকজনের থেকে আলাদা তেমনি আমাদের চিন্তাধারা ও। অন্যমত পোষণ করা কী দোষের কিছু? বরং উল্ঠোটাই তো দোষের। শুধুমাত্র ভিন্নমত পোষণ করার জন্য টিচারদের যেভাবে গালাগালি করা হয়েছে তা দেখে নিজেকে সাস্টিয়ান হিসেবে পরিচয় দিতেও ঘেন্না হচ্ছে। ফেসবুকে যারা এসব গালাগালির বিরোধীতা করছেন তারা ও গালাগালির শিকার হচ্ছেন! বাহ!



আমাদের সময়ে শাবি হাজারো সমস্যায় জর্জরিত ছিলো। এখনো সমস্যার কমতি নাই। কিন্তু কিছু সাস্টিয়ানের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে কয়েক মিলিয়ন টাকায় নতুন একটা মূর্তি বসাতে পারলেই সব সমস্যা রাতারাতি উধাও হয়ে যাবে। ভাবখানা যেনো পর্যাপ্ত বাসের অভাবে লক্করজক্কর বাসে বানরের মতো ঝুলেঝুলে ক্যাম্পাসে যাবো তবু মুর্তি চাই ! উন্নত ল্যাব লাগবেনা মুর্তির পায়ের নিচে বসে গাঞ্জা বিড়ি ফুকবো তাই মুর্তি চাই !! পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস লাগবেনা মেসে থেকে গরিব বাবার কষ্টার্জিত টাকার শ্রাদ্ধ করবো তবু মুর্তি চাই !!!



(চেতনাধারীরা অবশ্য মূর্তি কে মূর্তি বলিতে মানা করিয়াছেন। কারণ তাহারা নিজেরা ও অবগত যে বাংলাদেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোস্ঠীর কাছে মূর্তি আপত্তিকর জিনিস। তাহারা মুর্তিকে ভাস্কর্য বলিতে উপদেশ দিয়াছেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে ইন্টারনেট হইতে বিতর্কিত ছবিখানা নামাই্য়া আনিয়া আমার ফেসবুকের দেয়ালে ঝুলাইয়া দিয়াছিলাম। যাহা দেখিবামাত্রই আপামর বাংলাদেশের সমূস্ত কৃষক শ্রমিক মজদুর সবাই জানিতে চাহিয়াছে উহা কিসের মূর্তি? আমি বলিলাম উহা মূর্তি নহে ভাস্কর্য ভাহে। তাহারা তখন ভাস্কর্য কী জানিতে চাহিলে আমি প্রাণপন চেষ্ঠা করিলাম বটে। কিন্তু তারপর ও তাহারা উহাকে মূর্তি সম্বোধন করিতেছিলেন। আমি অগত্যা যাহা বুঝিবার তাহা বুঝিয়া লইলাম। তাহার পরে আমি যখন রিকসা দিয়া কাজে যাইবারছিলাম তখন রিকসাওয়ালা মামাকে আমার মোবাইলে ছবি দেখাইয়া জিগাইয়াছিলাম উহা কী? উনি বলিলেন কেন মামা মূর্তি চিনেন না? আমি বলিলাম শিক্ষিত ভায়েরা উহাকে ভাস্কর্য বলিয়া থাকেন। উনি বলিলেন মামা যাহা লাউ তাহাই কদু। তাহারপরে উনি আমাকে এ বিষয়ে বহুবিদ গিয়ান দিতে লাগিলেন। আমি তখন নিরুপায় হইয়া তাহার কথা মানিয়া লইয়াছিলাম।)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

কলাবাগান১ বলেছেন: পারলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার ভার্স্কয (মুর্তি না) টা ভেংগে দিন.... আপনারাতো তাই চান ....৭১ এর কে এভাবে পরের প্রজন্ম জানবে তাতে আপনাদের মত অনেকেরই ঘা লাগে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

শুখি বালক বলেছেন: পরের প্রজন্ম বই পত্র পত্রিকা জার্নাল ম্যাগাজিন পড়ে, মুভি নাটক সিনেমা দেখে কী জানলে অসুবিধা আছে?

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: অপরাজেয় বাংলার ভার্স্কয ভেঙ্গে দেখান! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্ম যেন না জানতে পারে তার বন্দোবস্ত করুন। নারায়ে তকবির!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

শুখি বালক বলেছেন: উপরে কোথাও ভাংগার কথা বলা হয়েছে নাকি?

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

তিমির কাণ্ডারি বলেছেন: আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন !!!( বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি নাই, তাই ছাত্রদের মানসিক স্তর কোন পর্যায়ের সেটা জানি না) :-& আর ভাস্কর্য এক জিনিস না রে ভাই । একটা ভাস্কর্য বানিয়ে দিলে কি ক্ষতিটা হবে! আর বানানো ভাস্কর্য গুলি ভেঙ্গে দিলে কি উপকারটা হবে ?? B:-) অর্থের অপচয় বলে যেটা ভাবছেন, আপনার চিন্তাটা বুঝলাম। হাজার মিলিয়ন টাকা লুটে পুটে খাচ্ছে কোন দেখার মতো প্রতিবাদ নাই। দেশব্যাপি কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে হাত ধুয়ে নেমে গেল। পাল্টা উত্তরে আপনি ও বলে বসবেন " কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত ভাস্কর্য বানাতে হাত ধুয়ে নেমে গেল" । আপনার লিখাটা কে একটা সাধারণ লিখা হিসেবে নিতাম যদি না ২০০৯ সালে ঢাকায় ভাস্কর্য ভাঙার চেষ্টা করা হতো। শুরুটা কিন্তু তখন থেকে। :#) আমি মুক্ত মনা নই, সত্যিকারের মুক্তমনা হওয়া অনেক কঠিন। আমি সরল মনা, সরল ভাবেই বুঝালাম। :)

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

শুখি বালক বলেছেন: ভাস্কর্য ভাংগার চেষ্টা হয়েছিলো নাকি? আমার জানা নেই। হলে সেটা উগ্রতা। আর উগ্রতা দেশ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সমানভাবে অহেতুক ভাস্কর্য নির্মানও ।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "জাহানারা ইমাম" নামটাই মৌলবাদীদের কাছে ভয়ের

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

চলতি নিয়ম বলেছেন: আমাদের নতুন প্রজন্ম কে কি শিক্ষা দিয়েছি যে তারা মূর্তি আর ভাস্কর্যের পার্থক্য করতে পারেনা। X(( X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.