![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.
বাংলাদেশ। মাটির নিচে বিপুল প্রাকৃতিক গ্যাস আর উপরে সুজলা সুফলা উর্বর জমি। একই সাথে বিশাল মানব-শক্তি যারা তাদের কর্মট হাত দুটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে তিলতিল করে গড়া ভালোবাসায় সারা বাংলাদেশ ভরিয়ে দিতে এরা সবাই বদ্দ পরিকর। সব মিলিয়ে অপার সম্ভাবনার দেশ ছিলো আমার প্রাণের বাংলাদেশ। আমার বাংলাদেশকে এক সময় বলা হতো আগামীর উদীয়মান বাঘ। ইমারজিং টাইগার। স্বপ্ন ছিলো আমার বাংলাদেশ একসময় মাথা উচু করে দাড়াবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাবে তরতরকরে। সারা বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখবে আমাদের মসৃণ পথচলা।
কিন্তু আমারদেশ বাংলাদেশকে তার জন্মের পর থেকে ঘিরে ধরেছে একদল শকুণ । এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার পরই সারাদেশকে এরা নিজের বাপের সম্পত্তি মনে করে। তারপর সারাদেশের প্রতিটি সেক্টরে এরা লুটপাটের মহোৎসব বইয়ে দেয়। অপার সম্ভাবনাময় আমার বাংলাদেশকে তিলে তিলে এরা ধ্বংস করেছে। একটি ইমারজিং টাইগারকে ছিন্নভিন্ন করে আক্ষরিক অর্থেই তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত করেছে।
২.
আমার বাংলাদেশের শেয়ার বাজার হাটি হাটি পা পা করে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলো। দেশের শিল্পে-কল-করখানায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে এবং সর্বোপরি জনজীবনে শেয়ার বাজারের প্রভাব ছিলো বৈপ্লবিক। আধুনিক বিশ্বের সাভাবিক অর্থনৈতিক নিয়মে অত্যন্ত চাঙা এই শেয়ার বাজার আমাদের দেশীয় অর্থনৈতির সবগুলো চাকা উর্ধমুখী রেখে সুন্দর ভবিষ্যতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছিল। কিন্তু নব্য শকুন অর্থলিপ্সু পিশাচ সালমান এফ রহমান গং গোটা শেয়ার বাজারটাকেই সাবাড় করে দিলো। ত্রিশ লাখ লোক সর্বস্ব হারিয়ে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসার সব আয়োজন সম্পন্ন হলো আওয়ামী সরকারের প্রত্যক্ষ্য অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সারা বাংলাদেশের মানুষ এই অর্থ-লিপ্সু পিশাচদের শাস্তি দাবি করলেও সরকার এদের পুরস্কৃত করে বুঝিয়ে দিয়েছিলো খোদ সরকার-প্রধান ও লুটের টাকায় ভাগ বসিয়েছেন।
আওয়ামী সরকারের নেতা-কর্মী এবং মন্ত্রীরা লুটপাট চালিয়ে দেশের প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করেছে। অর্থনীতিতে ধ্বস নামিয়েছে। দেশকে ফতুর বানিয়েছে। নির্লজ্জের মতো বস্তা বস্তা টাকাসহ ধরা পড়েছে কালো বিড়াল খ্যাত সুরন্জিত বাবু। আওয়ামী সরকারের চেলা-চামুন্ডরা আমার বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় হাত দিয়েছে। খোদ প্রধান-মন্ত্রীর উপদেষ্ঠা হলমার্ক কেলেংকারীর মাধ্যমে ব্যাংক লুটে অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছেণ আওয়ামী সরকারের প্রত্যেকটি সদস্য লুটপাটে জড়িত।
পদ্মা সেতু নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক টাকা দেয়ার পূর্বেই এই সরকারের অর্থলিপ্সু বেহায়া মন্ত্রী আবুল হোসেন পদ্মা-সেতুর টাকার ভাগ -ভাটোয়ারার সমূস্ত আয়োজন করে ফেলে। বিশ্বব্যাংক অনেক দেনদরবার করে ও আবুল হোসেনের শাস্তির নিশ্চয়তা আদায় করতে না পেরে চলে যায়। ফলে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্ব-চোর খেতাব অর্জন করে সারা বিশ্বে আমার বাংলাদেশকে চুনকালি মাখিয়েছে ।
৩.
আওয়ামী লীগ সরকার বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জনন্দিত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আবারো ক্ষমতায় আসার সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে। আর সুবিদাবাদী সংকরদের দিয়ে গঠিত প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ক্ষমতার আগাম-স্বপ্নে বিভোর। দেশের মানুষের বারোটা বাজলেও এদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
শকুনেরা আমার বাংলাদেশকে খামচে ধরেছে। তিলেতিলে শেষ করে দিচ্ছে আমার স্বপ্নের স্বদেশ। ভালোবাসার বাংলাদেশ। এরা বাংলাদেশে ধ্বংস করেছে। ফতুর করেছে। কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলার মতো কেউ নেই। কারন এসবের বিরোদ্ধে বললেই সরকার এবং তাদের দালাল মিডিয়া রাজাকার উপাধী দিয়ে দিবে। এমনকী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী হলে ও রক্ষা নাই।
এই বাংলাদেশের সাথে আমার শৈশব এবং কৈশোরের স্বপ্নদেখা বাংলাদেশের কোন মিল নেই। এই বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ নয়।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
শুখি বালক বলেছেন: না পড়ে মন্ত্যব্য করবেন না।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
কবি আশরাফুল বলেছেন: ফারমার ভাইয়ের সাথে সহমত।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
চলতি নিয়ম বলেছেন: কিরে? আজকের জঙ্গী মার্কা পোস্ট সরায়লি ক্যান?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
ফারমার বলেছেন: হাসিনার কথা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন, ভালো!
হাওয়া ভবন বসায়ে বর্গীর উপনিবেশ কে বানায়েছিল?
উলফার সাথে অস্ত্র ব্যবসা কে করেছিল?
উলফাকে ঢাকাতে থাকতে কে দিয়েছিল?
২ টাকায় ৪৫০ কোটী টাকার সম্পত্তি কে দখল করেছে?
আপনার এক চোখ কানা, মগজের একাংশ কাজ করে, আবর্জনা!