![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি মানুষের জন্য
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দুটি বিষয়ের
মাধ্যমেই একজন মানুষের মানসিক
উৎকর্ষ বোঝা যায়। যে মানুষের মধ্যে এ
দিকটি যত বেশি প্রবল, সব
স্থানে তারই তো জয়জয়কার! আর তাই
মানুষ চায় নিজের মনের দিকগুলোর
ক্ষমতা বাড়াতে। এ জন্য অনেক ওষুধও
বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু মনের
ক্ষমতার একটি সর্বোচ্চ
সীমারেখা আছে।
মানুষ এখন যতটা বুদ্ধিমান ও স্মার্ট,
এর চেয়ে আরো অনেক বেশি বুদ্ধিমান
হওয়ার প্রয়োজন সে অনুভব করে। কিন্তু
বিবর্তনের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়,
সবকিছু যেভাবে এগিয়েছে, তাতে এরই
মধ্যে মানুষের আরো অনেক
বেশি বুদ্ধিমান ও স্মার্ট হয়ে ওঠার
কথা। তবে তা হয়নি। প্রাকৃতিক কারণেই
এ সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
বিবর্তনের
ধারা অনুযায়ী এতদিনে মানুষের
স্বাভাবিক উচ্চতা ৮ ফুট
ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ছোট্ট
একটি হৃৎপিণ্ডের পক্ষে এত দীর্ঘাকৃতির
শরীরে সঠিকভাবে রক্ত পরিসঞ্চালন
করা সম্ভব নয়। তাই প্রকৃতির নিয়মেই
মানুষের স্বাভাবিক গড় উচ্চতা ৬ ফুটের
নিচে। আবার মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর
মস্তিষ্কের আকৃতি গর্ভের কাঠামোগত
কারণেই ছোট থাকে। বড় আকারের
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বেশি হয়। আর
বিবর্তনের সূত্র অনুযায়ীই মায়ের
গর্ভে সন্তানের মস্তিষ্কের আকার
প্রতিনিয়ত বড় হতে থাকার কথা। কিন্তু
এমনটিও হয়নি।
মানুষের মনের বিভিন্ন ক্ষমতা যেমন,
মনোযোগ, স্মৃতি ও বুদ্ধি সীমারেখায়
আটকে আছে আর তা মঙ্গলের জন্যই।
কাজেই অযথা প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে এ
ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা না করাই
মঙ্গল। তাই কৃত্রিম উপায়ে মনের উৎকর্ষ
বাড়িয়ে তোলার
চেষ্টা করাটা আসলে বোকামি ও
দুর্ভাগ্য ডেকে আনা ছাড়া আর কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.