নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হরিশ চন্দ্র রায়

আমি হারিশ চন্দ্র রায় । আমি ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সিটিউট এ পড়ি আর এসি ডিপামেন্টে।

হরিশ চন্দ্র রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীষ্মের ফলের গুনাগুনঃ

৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

আমঃ ১০০ গ্রাম আমে ক্যালরি আছে ৬০,

এতে কার্বোহাইড্রেট আছে ১৫ গ্রাম,

ফ্যাট ০.৩৮ গ্রাম, প্রোটিন ০.৮২ গ্রাম।

আমে ভিটামিন এর মধ্যে আছে এ, বি,

সি এবং মিনারেল এর

মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন,

ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও

জিঙ্ক। আমে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট

যা ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

আম ভিটামিন এ দ্বারা সমৃদ্ধ। মাত্র

১০০ গ্রাম আমে যেই পরিমাণ ভিটামিন

এ আছে তা দৈনিক ভিটামিন এ এর

চাহিদার ৭৫% পূর্ণ করতে সক্ষম।

ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি ও ত্বকের

সৌন্দর্যের জন্য অত্যাবশ্যক।

জামঃ ১০০ গ্রাম

জামে ক্যালরি আছে ৬০,

এতে কার্বোহাইড্রেট আছে ১৫.৫৬ গ্রাম,

ফ্যাট ০.২৩ গ্রাম, প্রোটিন ০.৭২ গ্রাম।

জামে ভিটামিন এর মধ্যে আছে এ, বি,

সি এবং মিনারেল এর

মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন,

ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও

সোডিয়াম। হাত-পা জ্বালায় জামের রস

লাগালে চটজলদি কমে যায়। জামের

বীজে “জাম্বোলিন”

নামে একটি উপাদান

আছে যা ডায়বেটিক্স রোগীদের জন্য

অত্যন্ত উপকারী। জামের

বীচি গুড়ো করে পানিতে মিশিয়ে দিনে

বার ডায়বেটিক্স

রোগীকে খাওয়াতে হবে।

এটি ডায়বেটিক্স রোগীর সারাক্ষন

পিপাসা লাগা ও টয়লেট এ যাওয়াকেও

নিয়ন্ত্রন করে। জাম মধু দিয়ে প্রতিদিন

সকালে খেলে পাইলস এর রোগীর

রক্তপাত বন্ধ হয়।

কাঠালঃ ১০০ গ্রাম

কাঠালে পাওয়া যায় ৯৪ ক্যালরি।

এতে কার্বোহাইড্রেট আছে ২৪ গ্রাম,

প্রোটিন ১ গ্রাম। কাঠালে ভিটামিন এর

মধ্যে আছে এ ও সি এবং মিনারেল এর

মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন।

কাঠালে আছে ফ্রুক্টোস এবং সুক্রোস

যা অতি জলদি হজম

হয়ে শরীরে ইন্সট্যান্টলি শক্তি যোগায়।

প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে পরলে কাঠালের রস

দুধে মিশিয়ে খেলে সাথে সাথে ক্লান্তি

যাদের বুক ধরফরানি আছে, কাচা কাঠাল

খোসাসহ অল্প পানি দিয়ে বেটে,

নিংরে ৪/৫ ফোটা রস অল্প

দুধে মিশিয়ে ৩/৪ ঘন্টা পরপর খেলে বুক

ধরফরানো কমবে।

লিচুঃ ১০০ গ্রাম লিচু

তে ক্যালরি পাওয়া যায় ৬৬, এর

মধ্যে কার্বোহাইড্রেট আছে ১৬.৫ গ্রাম,

ফ্যাট ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৮ গ্রাম।

লিচুতে ভিটামিন এর

মধ্যে আছে সি এবং মিনারেল এর

মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,

কপার ও ফসফরাস। লিচু

তে আছে “অলগোনোল” নামক

একটি পদার্থ,

এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করে, রক্ত

চলাচল বৃদ্ধি করে ও ত্বক কে সূর্যের

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

আনারস: ১০০ গ্রাম

আনারসে পাওয়া যায় ৪৮ ক্যালরি।

এতে কার্বোহাইড্রেট আছে ১২.৬৩ গ্রাম,

ফ্যাট ০.১২ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫৪ গ্রাম।

আনারসে ভিটামিন এর মধ্যে আছে বি,

সি এবং মিনারেল এর

মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন,

ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস,

পটাশিয়াম ও জিঙ্ক। অপুষ্টিজনিত

কারণে কেউ রোগা থাকলে, আনারস

যে কয়টা দিন পাওয়া যায় রোজ খান।

এটি ভরাট স্বাস্থ্যগঠনে ভূমিকা রাখে।

বাইরে গরম থেকে ঘুরে এসে-

ঠান্ডা পানি খেলে বা ফ্যান এর

বাতাসের শরীরেই ঘাম

শুকিয়ে ফেললে একধরণের কাশি হয়

যাতে প্রচন্ড পিপাসা লাগে। রোজ

আনারসে রস চিনি মিশিয়ে খেলে এই

কাশি সেরে যায়। পেট ফাপলে আনারসের

কয়েক টুকরো লবন ও গোলমরিচ

মাখিয়ে খান।

আনারসে আছে “ব্রোমিলেইন” নামক

এনজাইম যা প্রোটিন

ভেঙ্গে পরিপাকে সহয়তা করে।

গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত আনারস

খেলে বাত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

তরমুজঃ ১০০ গ্রাম তরমুজ এ পাওয়া যায়

৩০ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট

আছে ৭.৫৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.১৫ গ্রাম,

প্রোটিন ০.৬১ গ্রাম। তরমুজ এ ভিটামিন

এর মধ্যে আছে এ, বি, সি এবং মিনারেল

এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন,

ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও

জিঙ্ক। উচ্চমতার পটাশিয়াম রক্তচাপ ও

স্ট্রোক নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখে,

কিডনিতে পাথর ও বার্ধক্য জনিত

হাড্ডি ক্ষয় রোধ করে। তরমুজের রস

খেলে ইন্সট্যান্ট ক্লান্তি দূর হয়।

তরমুজে আছে “লাইকোপিন”

যা নানা ধরণের ক্যান্সার

প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে। তরমুজ

শরীরে মেটাবলিসম বাড়িয়ে ওজন

কমাতে সহায়তা করে। তাই

অনেকে ভাতের বদলে তরমুজ

খেয়ে ডায়েট করেন।

পেপেঃ ১০০ গ্রাম পেপেতে পাওয়া যায়

৩৯ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট

আছে ৯.৮১ গ্রাম, ফ্যাট ০.১৪ গ্রাম,

প্রোটিন ০.৬১ গ্রাম। তরমুজ এ ভিটামিন

এর মধ্যে আছে এ, বি, সি এবং মিনারেল

এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন,

ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও

সোডিয়াম। পেপে কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।

কয়েক টুকরো পেপে লবন ও গোলমরিচ

মিশিয়ে খেলে পেট ফাপায় কাজে দেয়।

যেসব মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার

বয়স হয়েনি কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে,

পাকা পেপের বীজ চূর্ণ (৪/৫

টা বীজে যতটুকু হয়) পানিতে মিশিয়ে দু-

বেলা খেলে ঠিক হয়ে যায়

(তবে টিউমারের কারণে বন্ধ

হলে হবেনা)। ১ চামচ পেপের আঠা ৭/৮

চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলের গোড়ায়

কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেললে উকুন

মরে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.