নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সত্যবাদী.।

মিথ্যাবাবা

ভালো নাম আর পাইলাম না । তয় মিথ্যা এতটা বলি না ।

মিথ্যাবাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গানরঙ্গ ।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

বি.দ্রঃ আমি IBELTS করা মাল । তাই উচ্চারনে ভুল বলিয়া লজ্জা দিবেন না ।



বাংলাদেশে গানশোনা নামক জিনিসটা একটা চরমারাত্মক (সন্ধিবিচ্ছেদ করব না :P ) অদ্ভুত রকমের জিনিস ।

ইতিহাস ঘাটলে যা পাওয়া যাবে তা হল এই যে, লক্ষন সেনের আমলে জয়দেব থেকে ডেলিভারি শুরু করে শ্রী-কৃষ্ণকীর্তন, বৈষ্ণব পদবলি তে বাউন্স করে আলাওল আঙ্কেলের ব্যাট ও লালন,রবিন্দ্র,নজরুলের প্যাডের ফাঁক দিয়ে মডার্ন যুগে এসে বোল্ড হলেও এখনও আম্পায়ারের পার্টশেয়ারিটির জন্য নো-বল ডাক পাওয়ায় এখনও টিকে আছে । শুধু তাই না । ফ্রি হিট পাওয়ায় ব্যান্ডদলগুলাও চরম পার্ট নিয়া ড্রেসিংরুমে খেলা দেখতেছে । ইতিহাস ঘাঁটিয়া মজা পাই না । মাফ করবেন, আমি সায়েন্সের ছাত্র ।

আসল কথায় আসি । এই বাংলাদেশের গানশোনায় আপনি অনেক কিছুই খুঁজে পাবেন (আমি কিন্তু বাংলাদেশের গানে না,বাংলাদেশের গানশোনায় বলছি)। আমি যা খুঁজে পেয়েছি তাই এখানে পয়েন্ট আকারে বললাম ।



১ . বাংলাদেশে এক গানের সমর্থকরা অন্য গানের সমর্থকদের, ২ চোখে তো বহুত দুর,এক চোখেও না...(মোট কথা চোখ মুইঞ্জাও দেখতে চায় না ) ।

এক দল আরেক দল রে কয়,

"এডা কুনু গান অইলে ???"

২ . কিছু কিছু শিল্পী তার মরা ধানক্ষেত মারকা গানকে বিখ্যাত করার জন্য গানে এমন কান্দন ইফেক্ট মারে যে ইচ্ছা হয়...(কইতাম না) বেচারা গাও-গেরামের মানুষ গুলা ভাবে যে "ব্যাটার কণ্ঠে আল্লাহয় কি যে দিছে ????!!!! অসাধারন । এত্ত কাপায় কেমনে ?"

৩ . গাও-গেরামে আসিফ আকবর দুনিয়ার সেরা শিল্পী । :D

৪ . বাংলাদেশি সিনেমায় ব্যাবহৃত ৯৫ % গানই এক কথা ধারন করে । (তুমি আমার প্রিয়-আমি তোমার প্রিয়া...জেন্ডার বিশেষে উল্টাই নিয়েন)

৫ . একজন শিল্পির প্রতিটি গানের মিউজিক একই রকম হইলেও তাতে 'ভালবাসি' কথাটা থাকলেই চলে । ওইটা জনপ্রিয়তা পায়া গেছে । (বড়োজোর ৩ মাস চলে)

৬ . এইটা অকেশনাল...আরেফিন রুমি তার জীবদ্দশায় বিয়ের সংখ্যা ১০০ তে উন্নীত করবেন ।

৭ . সময়ের সাথে সাথে গানের মান বদলায় । যেমন আলাওল থেকে বর্তমানে ব্যান্ডের গান । তবে বাপ চাচাদের কাছে লালনের গান যেমন,রবিন্দ্র নজরুলও তেমন ভাল লাগে । পুরান আমলের বা এখন থেকে ২০-৩০ বছরের আগের গানও তাদের কাছে অমৃত মনে হয় । কিন্তু ব্যান্ডের গান শুনলে তাদের চিরতার পানি খাওয়ানো হইছে বলে মনে হয় । মুখটাকে এমনভাবে বিকৃত করেন তারা যে মিস্টার বিনও ফেল ।

৮ . দেশাত্মবোধক গান বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিমপাতার রসের মতই তিতা ।

৯ . কিছুকিছু শিল্পীর গানে কান্দন ছাড়া আর কিছুই নাই । (আমি কিন্তু বালামকে চিনি না)

১০ . কনসার্টে ব্যান্ডের গানের তালে পোলাপান নাচার চেয়ে মেয়েদের গায়ে ঘেঁষতে বেশী পছন্দ করে । তবে এটা এখন আর একমুখী না । (মানে বলতেছিলাম যে সকলেই এই কাজ করে,মেয়েরা কি মানুষ না ? )

১১ . কনসার্টে গান গাওয়ার সময় হয়ত সকল প্রকার শিল্পীই গানের কথা ভুইলা যায়...তখন মাইক টা দর্শকের দিকে ধরিয়া তাদের কাছে সাহায্য চায় ।

১২ . পুরান দিনের গানে কিছু মিউযিক আছে যা কোন ইন্সট্রুমেন্ট দিয়া বাজানো হইছে তা নিয়া মডার্ন প্রজন্ম বিরাত কনফিউশানে থাকে অলটাইম । ( ৮০ সনের আগে যান )

১৩ . ছ্যাক খাইলে মেটাল গান খুব মজা লাগে ((বন্ধুদের কাছে "মামা, তুই ছ্যাক খাইছস" শুনার পরে ) । তয় প্রেমে পরলে নজরুল তুমি ভাগো...ইটস টাইম তো লিসেন রবিন্দ্রনাথ (দাড়িবাবা) ।

১৪ . ব্যান্ডের গান শুনলে প্যারেন্টসরা খুবই চিন্তায় থাকেন যে তার এত প্রতিভাবান ছেলে/মেয়েটা পাগল হয়ে গেছে (মাথা আপনি একটু বেশীই নাড়ান )

১৫ . পুরান দিনের গান বেশী শুনলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাট'খেত' উপাধি পাইতে হয়...





হইছে...আর বলব না । বলতে থাকলে শেষ হবে না ।

ব্যাক্তিগত ভাবে একজন মেটালগানের ভক্ত হওয়ায় আমার এসব জ্ঞান হইছে ।

এর বেশী কিছু না ।



বি.দ্রঃ সাধু,চলিত,গাইয়া,পাগলা,ছাগ্লা সব ভাষা ইউয কইরা ফেলছি...তাই আমার লেখা কোনও বাংলা শিক্ষক পরলে মাফ করবেন পিলিয । :D

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.