নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।
শিশু অধিকার সনদের তৃতীয় প্রটোকল অনুসমর্থনের আহ্বান
শিশু অধিকার সনদ, ১৯৮৯-এর তৃতীয় ঐচ্ছিক প্রটোকল স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও আটটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। এর আগে প্রথম দুটি ঐচ্ছিক প্রটোকল জাতিসংঘে গৃহীত হওয়ার পর পরই বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। এখন তৃতীয় প্রটোকল বাস্তবায়ন করে শিশু অধিকার রক্ষায় আবারো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বাংলাদেশ।
অধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে সরাসরি জাতিসংঘে অভিযোগ জানাতে শিশুদের এখতিয়ার দিয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় প্রটোকলটি গৃহীত হয়। এর পক্ষে ২৯ জুন ২০১৩ ঢাকায় ‘Signing and Ratification of Optional Protocol-3 to the CRC’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, অ্যাকশন এইড, ব্লাস্ট, বিএসএএফ, সিআরজিএ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিফাত বিন সাত্তার ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের গ্রুপ ডিরেক্টর স্টিফেন কে হালদার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
২০০০ সালের মে মাসে শিশু অধিকার সনদের প্রথম ও দ্বিতীয় ঐচ্ছিক প্রটোকল গ্রহণ করে জাতিসংঘ। যথাক্রমে যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার এবং শিশুদের বিক্রি, পতিতাবৃত্তি ও পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রটোকলগুলো করা হয়। সে বছরই সেপ্টেম্বরে প্রটোকল দুটিতে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করে বাংলাদেশ। বিষয়টি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তৃতীয় প্রটোকলটি স্বাক্ষর ও অনুসমর্থনের জন্য জাতিসংঘ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে উন্মুক্ত করে দিলেও এখনো সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.