নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।
বেশ কিছুদিন আগে নেত্রকোনায় যতীন স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম...সেই পুরনো স্মৃতিচারণ....নাসিরাবাদ কলেজ...লম্বা টিনশেডের ঘর...বাংলা ক্লাশ...হৈমন্তী...
আনোয়ারুল হাকিম নামের একজন স্যার ছিলেন ...বাংলা পড়াতেন....চিরকুমার হয়েই রইলেন....নিভৃতচারী একজন ভালো মানুষ...
সময়টা ১৯৯৫-৯৬...আমার আস্তানা ছিল ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টর পাশে নাসিরাবাদ কলেজের পুরনো টিনশেডের কলেজ হোস্টলের ১১ নম্বর কক্ষে....মেসে থাকতে ভাল্লাগতোনা....তাই একদিন আমার তল্পিতল্পা নিয়ে....হোস্টেল সুপারের কাছে কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়ে উঠে গেলাম।
আজহার স্যারের কাছে ইংলিশ পড়তাম আর মাঠের কোণায় বাসা কাই্য়ুম সারের কাছে সাইকোলজী...আমার সাথে যে বিচ্ছুর দল ছিল ওদের খুব মনে পড়....আযহার, পংকজ, মামুন, জুয়েল, রনি, স্নিগ্ধা ও সুইটি...সময়ের ব্যবধানে সবাই ছিটকে পড়েছি ...
বিকেলবেলা রেললাইন ধরে হেটে দৈনিক সবুজ পত্রিকার অফিসে যেতাম...নিয়মিত লেখা হতো এই দৈনিকে...একদিন আমার সাথে যোগ দিল সুমন নামের আরেক বন্ধু....শিশু পাতায় সে ছিল নিয়মিত...
তারপর সাপ্তাহিক সাপ্তাহিক ব্রহ্মপুত্রে লেখা শুরু হলো...লিখেছি দৈনিক জাহান, দৈনিক স্বদেশ, আজকের স্মৃতিতে...সে সময়টাতে লিখেছি জনকন্ঠেও....
সে সময় ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত হতো 'দ্বিতীয় চিন্তা' নামে একটি অসাধারণ ছোটকাগজ....ইফফাত ম্যানসন, সেনবাড়ী রোড, ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত হতো কাগজটি...
©somewhere in net ltd.