নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।
সকালবেলা যখন বাসা থেকে অফিসমুখী হই, তখন স্কুলগামী ছােট ছোট শিশুদের মুখের দিকে তাকালে বড্ড খারাপ লাগে। কোন শিশু তার মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে। কোন মা সামনে বই মেলে রেখেছে পড়ার জন্য কিন্তু চোখ মেলতে পারছেনা ঘুমের ঘোরে। সাথে একগাদা বই আর খাতায় ঠাসা ভারী স্কুলব্যাগ। আমি একটি নিবন্ধে পড়েছিলাম-Most of the school going children carry more than 10 percent of their own body weight in their backpacks which are loaded with packed lunches, water bottles, sports kit, text books, exercise books, notebooks and stationary. The combined weight of the whole lot causes severe health problems which include backache, fatigue and even scoliosis of the spine and children develop a poor posture as they grow. The heavy school bags cause permanent damage and long term back deformities which lead to a heavy physical and emotional cost.
আমার জানা নেই, এই ব্যাপারে বাংলাদেশে কোন গবেষণা হয়েছে কিনা। নিত্যদিনের এই ঘুম ভাঙানো রুটিনটা শিশুদের মানসিক প্রতিভা বিকাশে সমস্যা করছে কিনা। আন্ডার ফাইভ শিশুদের এতো সকালে ঘুমের বারোটা বাজিয়ে স্কুল। তার ঘুমই ঠিকমত হচ্ছেনা। ঘুম যেমন ঠিকমত হচ্ছেনা, সাথে সাথে সকালের খাবারটাও। টিফিনটা হয়তো বাক্সবন্দীই থেকে যায়। সেই ভোর পাচটায় তাকে রেডি হতে হয় ঢাকা শহরের ট্রাফিকজ্যাম পেরিয়ে আটটার স্কুলে পৌছাতে হলে।
ওদের স্কুলে যাওয়া দেখে আমার ছেলেবেলায় স্কুলে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। আমি জন্মেছি গ্রামে, বড়ও হয়েছি গ্রামে। অজপাড়া গা। যেখানে রাস্তাঘাট ছিলনা, বিদ্যুতের আলো ছিলনা। সকালবেলা পাড়ার ছেলেরা মিলে পুকুরে ন্যাংটো হয়ে গোসল সেরে, গায়ে তেল মেখে, বারান্দার রোদে পাটিতে বসে ভাত অথবা রুটি খেয়ে স্কুলে যেতাম। স্কুল মাঠে প্রচুর খেলাধুলা হতো। আমি কাব স্কাউটের সদস্য ছিলাম। তারপর বয়েজ ও বড় হয়ে রোভার হই। আমি ছবি আঁকতে বেশি পছন্দ করতাম। হেডস্যার আমার জন্য তাই বেশি রংপেন্সিল আর কাগজ বরাদ্দ দিতেন। বিকেলবেলা বাড়ি ফিরে ছিপ নিয়ে বসে যেতাম মাছ ধরতে। বিকেলবেলায় কাক তাড়াতে যেতাম আমাদের শস্যক্ষেতে। কোনদিন দাড়িয়াবান্দা, হাডুডু। আবার কোনদিন বিলে যেতাম পোনা মাছ ধরতে। প্রকৃতির পালাবদলে আমার শৈশবটা ছিল সজীব। দাদা পুথি পাঠ করতেন ভালো। মাঝে মাঝে সব ভাইবোন মিলে বসে যেতাম পুথিপাঠ শুনতে। সন্ধ্যে হলে কুপি অথবা হারিকেন জ্বালিয়ে বসে যেতাম পড়তে। আমরা সব ভাইবোন একসাথে পড়তে বসতাম। সবাই জোড়ে জোড়ে পড়তাম। এটা কেন করতাম জানিনা। সেই ছেলেবেলা খুব মিস করি।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: দারুন নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করে দিলেন ভাই ।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
হাসান !
প্রোপিক বদলেছেন !
আর এতো নীরবে কেন ?
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ওহ সেই সব দিন, আর কোন দিন আসবেনা। বেঁচে থাকবে আমাদের স্মৃতিতে।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: আহা গ্রামের ছেলেবেলা! পড়ার মজাই আলাদা!!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
ডাঃ মারজান বলেছেন: একবার যদি ফিরে যেতে পারতাম ছেলেবেলায়!