![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
ছুটির ফাঁদে পড়ছে পুরো আগামী সপ্তাহ। এই সপ্তাহে তিনদিন হরতাল, একদিন সরকারি ছুটি। এরপরই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এই শুক্রবার থেকে আগামী সপ্তাহের শনিবার পর্যন্ত টানা নয়দিনের মধ্যে মাত্র একদিন স্বাভাবিক কর্মদিবস পাচ্ছে রাজধানীবাসী।
শনিবার সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ। ১৭ মার্চ রোববার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সরকারি ছুটি। আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবিতে আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ সোম ও মঙ্গলবার হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক প্রায় দেড়শ’ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি। গত ১১ মার্চ নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আটকের পরপরই তাদের মুক্তি দাবিতে এ হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার আবার রাজধানীতে হরতাল ডেকেছে ঢাকা জেলা বিএনপি। ঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য আমানউল্লাহ আমানসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবিতে ২১ মার্চের হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গত বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান এই ঘোষণা দেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার ঢাকার সব থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি রয়েছে।
বিভিন্ন ইস্যুতে মার্চের শুরু থেকেই জামায়াত ও বিএনপির ডাকে বেশ কয়েকদিন হরতাল পালিত হয় সারা দেশে। হরতাল-সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। আগামী সপ্তাহে ঢাকাবাসী স্বাভাবিক কর্মদিবস পাচ্ছে মাত্র একদিন, শুধু বুধবার। এছাড়া সামনের শুক্র ও শনিবার ছুটি তো আছেই। ফলে টানা নয় দিনের মধ্যে হরতাল ও ছুটি বাড়াবে জনদুর্ভোগ।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সদস্যায় পড়েছেন যাদের এখনো বেতন হয়নি। ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন পরিশোধ করার নিয়ম থাকলে, ২৪ তারিখের আগে তারা বেতন না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবচেয়ে সুবিধায় রয়েছেন, সরকারি চাকুরিজীবীরা। রোববার সরকারি বন্ধ থাকায় টানা তিনদিনের ছুটির কাটাচ্ছেন তারা।
আমজনতার কথা বলে তো কোনো লাভই নেই। সব বন্ধ হলেও বাজারের উত্তাপ কিন্তু দিনদিন বাড়ছে। এই শ্রেণীর জন্য এই সপ্তাহে আরো দুর্ভোগ রয়েছে। আর দৈনিক আয়ে নির্ভর মানুষগুলো এই সপ্তাহে ইহকালে জাহান্নামের আজাব ভোগ করতে হবে। অবশ্য এদের নিয়ে কারোরই কোনো মাথাব্যথা কখনোই ছিল না, এখনো নেই॥
কারণ রাজনৈতিক দল কিংবা নীতি-নির্ধারকদের কাছে শেষোক্ত দুই শ্রেণী কোনো মানুষ-ই নয়।
©somewhere in net ltd.