![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
হেফাজতে ইসলাম বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বহুল উচ্চারিত সংগঠনের নাম। এর আগেও সংগঠনটি সংবিধান সংশোধন বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রেখেছিল। মূলত এই সংগঠনটি মাত্র আড়াই বছর আগে সৃষ্টি।
বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্রদের নিয়ে হেফাজতে ইসলাম ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসা থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই বছর হাটহাজারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আহমদ সুফিকে প্রধান করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়। এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইসলামের মৌলিক বিধানাগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। যদিও অনেকেই এদের অরাজনৈতিক বলতে নারাজ।
২০১০ সালের মহাজোট সরকার সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতে ইসলাম প্রতিবাদ করে। তখন তাদের প্রতিবাদের মুখে সরকার পিছু হঠতে বাধ্য হয়। এখন অনেকেই বলছেন, শুধুমাত্র শাহবাগ ঠেকাতে সরকারের প্ররোক্ষ মদদ রয়েছে তাদের পেছনে। (যদিও আমি রাজনীতি বুঝি না, তাই এই বিষয়টিও কম বুঝি। পাঠকরা বুঝে নিবেন, আশা করি)।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের ব্লগাররা নবী করিম (সা.) কে কটূক্তি করায় আবারও ঝড় তোলেন তারা। হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে অবমানা করে ব্লগাররা কটূক্তি করেছে অভিযোগ এনে ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ সম্মোধন করে ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আগামী ৬ মার্চ ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করবে সংগঠনটি।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: সহমত পোষন করছি। কিন্তু পরিস্থিতি তো দেখছেন!
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৫
মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: আহারে, কইলজা টা ফাইটা যায়তাছে হনুরাজ কট খাওয়ার খবরে ? মনে রাইখো হাতে তসবিহ নেয়ার সময় কিন্তু সামনে, সো জাতির বইন জন বিচ্ছিন্ন হনুর চাইতে, ভোটের হিসাব বেশি করবে। আপাতত সুখবরের সূর্য ডুবে যাচ্ছে ভ্রাতা। দুঃখিত।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১০
নষ্ট ছেলে বলেছেন: শাহবাগ থেকে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে ছিল এটা কি মিথ্যা? @নায়করাজ
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
নায়করাজ বলেছেন: ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি শাহবাগের আন্দোলনের অনেক বামপন্থীরা তুলেছিল। কিন্তু শাহবাগের দাবীতে সেটা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বামপন্থীরা অনেক আগে থেকেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী করে থাকে। এটা তাদের নিজস্ব দর্শন। এটার সাথে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে গুলিয়ে ফেলার কিছু নাই।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ পরিষ্কারভাবে যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে। এটাকে জোর করে ইসলাম বিরোধী বানানো হচ্ছে। এটাও জামাত শিবিরের কলকাঠি নাড়ার মাধ্যমেই হচ্ছে।
ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন। Click This Link
ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link
জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link
@ নষ্ট ছেলে।
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০
মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: হে মুত্রমনা বৃন্দ
গন জাগরণ কেন্দ্রিক নেতাদের কাছে বিরোধী দল যখন আহবান করলো, পদ্মা সেতু ডাকাতি, ডেস্টিনি , হলমার্ক কেলেংকারি, শেয়ার বাজার মহা ডাকাতির বিচারের আহবান কেন করছেনা ? তখন ওরা শিশু সুলভ যুক্তি দিয়ে ব্যাঙ্গ করলো যে " আমরা বাংলা পরীক্ষার দিনে ইংরেজি পরীক্ষা দেব না, আগে এই বিচার হোক, তার পরে অন্য গুল দেখা যাবে" । ওরে নাদান, আজ হেফাজতে ইসলাম এর কাছে কেন তোরা জামাত বা অন্য বিষয়ে জবাব চাস? নিশ্চয় এরা সারা দুনিয়ার সব বিষয়ে সমান পদক্ষেন নিতে সামর্থ্য রাখবেনা, কিন্তু আপাতত তোদের ইসলাম বিদ্বেষী (এরা আসলে নাস্তিক না, শুধু ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধেই এরা লেখে) হনু দের বিচারে সোচ্চার, এদের এই ১৩ দফাই সরকার বাস্তবায়ন হোক। এর বেশি তেনা পেচাইলে উত্তর তোদের সেই একটাই > "বাংলা পরীক্ষার দিনে তোরাই ইংলিশ পরীক্ষা দিতে চাস না, আগে সেই বাংলা পরীক্ষা ( হনু বধ ) শেষ হোক, তারপরে প্রশ্ন করিস" ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
নায়করাজ বলেছেন: শাহবাগ থেকে কেউ আল্লাহ রসুলের নামে কটূক্তি করেছে এটা হল ডাহা মিথ্যা কথা।
শাহবাগের ৬ দফার মধ্যে কোথাও আল্লাহ রসুল সম্পর্কে কোন কথাই নাই।
৬টি দাবী :
১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।
৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।
৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।