![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন মামলার অভিযোগ পত্র সহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ নীচে দেয়া হলো। পাঠক ভবিষ্যতের প্রয়োজনে তুলে রাখতে পারেন।
১.
কেরানিগঞ্জ ৩৪(১২)০৭:
মোজাফফর আহমদে খান
পিতা: মৃত নূর মোহাম্মদ খান,
———-বাদী
আসামীগন:
১। মতিউর রহমান নিজামী ২। আলী আহসান মো: মুজাহিদ ৩। মো: আব্দুল কাদের মোল্লা ৪। মো: কামারুজ্জামান ৫। হাজী নাজিম উদ্দিন ৬। আবুল হাশেম ৭। ফয়জুর রহমান ফয়েজ ৮। কে,জি করিম বাবলা ৯। মো: ইয়াছিন পিতামৃত ইদ্রিস আলী ১০। ডা: জয়নাল (মৃত) ১১। আ: খালেক (মৃত) ১২। আ: মান্নান সিদ্দিকী (মৃত) ১৩। পুইন্না আলবদর (মৃত)
জবানবন্দী: আমি অত্র মামলার ফরিয়াদী। আমি বর্তমানে ঢাকা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১-৪ নং আসামী সহ আরো অনেকে পাকিস্থানী সেনা বাহিনীকে সহায়তার জন্য রাজাকার, আলবদর, আল শামছ বাহিনী গঠন করে। ১-৪ নং আসামীর তত্বাবধঅনে এবং নির্দেশে ৫-১৩ নং আসামীরা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কেরানীগন্জ থানায় অনেক লোকদের হত্যা করে এবং বহু বাড়ীতে অগ্নি সংযোগ করে। গত ২৫/১১/১৯৭১ ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা এবং আমার আপন ভাগ্নে ওসমান গনি আমার বাসায় অবস্থান করার খবর পেয়ে সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় ১-৪ নং আসামীদের নির্দেশনায় অন্যান্ন আসামীরা সহ ৬০/৭০ জনের ছাই রঙের ড্রেস পরিহিত ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সী আলবদর, আল শামস, রাজাকারদের একটি দল আমার বাড়ী ঘেরাও করে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে ধরে ফেলে এবং সকাল ৮:৩০ মিনিটে সাক্ষীদের সম্মুখে তাদের বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। আমি কলাতিয় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প হতে গুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ করতে করতে এগিয়ে আসলে ১-৪নং আসামীরা পাকিস্থান বাহিনীকে আল বদর, আল শামসদের সাহায্য করার জন্য প্রেরন করে। তারা আমার বাড়ী সহ দুটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। এই আমার জবানবন্দী।
২.
পল্লবী ৬০(১)০৮
মোকাম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, ঢাকা।
পিটিশন মোকদ্দমা নং- ১০/০৮
মো: আমীর হোসেন মোল্লা, পিতা-মৃত হাজী সরজত আলী মোল্লা
——————-বাদী
বনাম
১। মো: মতিউর রহমান নিযামী, ২। আলী আহসান মো: মুজাহিদ, ৩। আ: কাদের মোল্লা, ৪। কামারুজ্জামান, ৫। মীর আবুল কাশেম, ৬। সরদার আব্দুস সালাম, ৭। খাজা অসিম উদ্দিন (মৃত) ৮। আকতার গুন্ডা (অবাঙ্গালী পালাইয়া বর্তমানে পাকিস্তানে আছে)।৯। নেওয়াজ (অবাঙ্গালী পালাইয়া বর্তমানে পাকিস্তানে আছে)।১০। ডোমা (অবাঙ্গালী পালাইয়া বর্তমানে পাকিস্তানে আছে)।আরো অপরিচিত ৬০/৭০ জন অবাঙ্গালী যাহাদের নিয়া ৩নং আসামী কাদের মোল্লা নিজস্ব বাহিনী গড়িয়া তুলিয়াছিল তাহারাও গনহত্যায় অংশগ্রহন করেন।
—————বিবাদী
বাদী স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনের পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনের আহব্বানে সাঁড়া দিয়া নিজে আহব্বায়ক হইয়া একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন। এ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী স্হানীয় ভাবে মিরপুরে ট্রেনিং শুরু করেন। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলে তৎকালীন ছাত্র নেতাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং শুরু করেন এবং অসহযোগ আন্দোলন চালাইয়া যাইতে থাকেন। ইতিমধ্যে ৩নং আসামী আব্দুল কাদের মোল্লা পাকিস্তানের অ-খন্ডতার রক্ষার নামে ৭০/৮০ জন অবাঙ্গালী বিহারীদেরকে নিয়া একটি যুগপৎ ট্রেনিং শুরু করেন। ২৫ শে মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ঢাকা শহরে গনহত্যা শুরু করিলে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। মানুষ দিগবিদ্বিগ শুন্য হইয়া গ্রাম-গ্রামান্চলের দিকে পালাইয়া যাইতে থাকে। বাদী পিতা, মাতা, ভাই, বোন, আত্নীয়-স্বজন নিয়া কোথায় যাইবেন বা কি করিবেন এ চিন্তায় দ্বিধাগ্রস্থ হইয়া বাড়িতে সতর্ক অবস্থান করিতে থাকেন। বিগত ২৪/০৪/১৯৭১ ইং তারিখে ফজরের নামাজের সময় পাক বাহিনী হেলিকপ্টার যোগে তুরাগ নদীর পারে আলবদী গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে অবতরন করে। পূর্ব দিক হইতে আসামী কাদের মোল্লার নেতৃত্বে অসীম, আকতার গুন্ডা, নেওয়াজ, লতিফ, ডোমা সহ ১০০/১৫০ জন লোক বাদীর আলবদী গ্রাম ঘিরিয়া ফেলে এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষন করে এবং ঘর হইতে বাহির করিয়া ৬৪ জনকে হত্যা করে। তম্মধ্যে বাদীর আত্নীয়-স্বজন ২১ জন শহীদ হয়। তাহাদের নাম যেমন-১। রুস্তম আলী বেপারী, পিতা মৃত জব্বর বেপারী, ২। সলিমউল্লাহ, পিতা-চান মোল্লা, ৩। আ: আউয়াল মোল্লা-সলিমউল্লাহ, ৪। সুলেমান মোল্লা, পিতা-দীরগজ মোল্লা, ৫। করিম মোল্লা, পিতামৃত-রুস্তম মোল্লা, ৬। জয়নাল মোল্লা, পিতামৃত- করিম মোল্লা, ৭। কাশেম মোল্লা, পিতামৃত-ইজ্জত আলী দেওয়ান, ৮। বদরুদ্দিন, পিতামৃত-আলম, ৯। মো: জোরা মোল্লা, পিতামৃত-লাল মিয়া মোল্লা, ১০। বিশু মোল্লা, পিতামৃত-কালু মোল্লা, ১১। অজল হক, পিতামৃত মোজাফফর, ১২। ফজল হক, পিতামৃত মোজাফফর, ১৩। রহমান বেপারী, পিতামৃত-চুন্নু বেপারী, ১৪। নবী মোল্লা, পিতামৃত-রহমান মোল্লা, ১৫। আলামত মিয়া, পিতামৃত-ফক্কু মিয়া, ১৬। মোখলেছুর রহমান (ধনা মৌলভী), পিতা-ইলিশচান, ১৭। ফুলচান, পিতামৃত-মো: আলম, ১৮। মো: নওয়াব মিয়া, পিতা,মৃত-মফু সরদার, ১৯। ইয়াছিন বানু, স্বামী-আন্তাজ আলী, ২০। লালু চান বেপারী, পিতামৃত-মেখু বেপারী, ২১। সুনু মিয়া, পিতামৃত-মিয়াচান এবং বিভিন্ন জেলা হইতে বোরো ধান কাটার জন্য আলবদী গ্রামে আসা ২৮০ জন কৃষি শ্রমিক সর্ব মোট ৩৪৪ জন লোককে হত্যা করিয়া পাক বাহিনী ও কাদের মোল্লার নেতৃত্বে অবাঙ্গালীরা ৩টি কূপে ফালাইয়া মাটি চাপা দেয়। ২নং সাক্ষী গইজ উদ্দিন মোল্লাকে অস্ত্রর মুখে ধরিয়া নিয়া এ সমস্ত লাশ কূপে ফালানোর ব্যাবস্থা কের । অত্র ৩টি কূপ আজও ঐ একই অবস্থায় মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় আছে। যাহা হইতে এখনো শহীদদের দেহাবশেষ উদ্ধার করার জন্য কোন সরকার বা প্রতিষ্ঠান উদ্দোগ গ্রহন করে নাই। বাদী সযত্নে কূপ ৩টি চিহ্নিত করিয়া রাখিয়াছে। এ ঘটনার সময় বাদী এবং তার পরিবার বিলের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে থাকিয়া আত্নরক্ষা করেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য আসামে চলিয়া যান। ঘটনার সময় পাক বাহিনী ও তাহার দোসররা গোটা গ্রাম পুড়াইয়া ছাই-ভষ্ম করিয়া দেয়।
ইতমধ্যে বাদী ভারত হইতে ট্রেনিং নিয়া সশস্ত্র অবস্থায় ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে গেরিলা অপারেশনে ব্যাস্ত থাকেন। মিরপুর, মোহাম্মদপুরে ইতমধ্যে অবাঙ্গালী বিহারীদেরকে নিয়া ঘরে ঘরে রাজাকার তৈরী করিয়া একটি দুর্ভেদ্য দূর্গ গড়িয়া তুলে। যার নেতৃত্বে এবং সমন্বয়ে এ বিশাল রাজাকার বাহিনী গড়িয়া উঠে সে হল কুখ্যাত নরঘাতক আবদুল কাদের মোল্লা। যিনি এ মামলার ৩নং আসামী। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করিয়াও মিরপুর এলাকায় কোন সাফল্য জনক অপারেশন করিতে সক্ষম হই নাই।
১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে অত্র মামলার আসামীরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ শত শত মানুষকে হত্যা করিয়া রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ফালানোর পর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হইলেও মোহাম্মদপুর ফিজিকেল ট্রেনিং ইনিষ্টিটিউট হইতে উক্ত অত্র মামলার আসামী মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর আবুল কাশেম, সরদার আব্দুস সালাম সহ প্রায় ১,০০০ আল বদর আব্দুল কাদের মোল্লার নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর কাছে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে। ফলে মিরপুর এলাকায় এ স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধি হয়। সারা বাংলাদেশ হানাদার শত্রু মুক্ত হইলেও মিরপুর তখনও পাক হানাদারদের সহযোগীদের দখলে থাকিয়া যায়।
বিগত ১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং তারিখে বাদী মিরপুর মোহাম্মদপুর এর যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার জহির উদ্দিন বাবর, সহকারী থানা কমান্ডার মোমিনুল হকের নেতৃত্বে ১০০/১৫০ মুক্তিযোদ্ধা নিয়া আসামীদের আস্তানা ঘেরাও করিয়া গুলিবর্ষন শুরু করিলে আসামী কাদের মোল্লার নেতৃত্বে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর আবুল কাশেম, সরদার আবদুস সালাম সহ অন্যান্য আসামীদের ভারী অস্ত্রের গুলি বর্ষনে বাদীর সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মৃত্যু বরন করে। বাদী নিজের ডান পায়ে হাঁটুতে ও ডান হাতের বাহুতে গুলি বিদ্ধ হইয়া গুরুতর আহত হইলে এবং প্রত্যেক বাড়ী হইতে গুলি বর্ষন শুরু করিলে বেশ কিছু ক্ষতি স্বীকার করিয়া মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হইতে বাধ্য হন। ইহার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীও মুক্তিযুদ্ধের হাইকমান্ডের নির্দেশে শক্তি বৃদ্ধি করিয়া ট্যাংক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র সহ মিরপুর আক্রমন করিলে ৩১ শে জানুয়ারী ১৯৭২ সন ইং তারিখে মিরপুর সম্পূর্ন শত্রু মুক্ত হয়। ইতমধ্যে মিরপুরের সার্বিক অবস্থা না জানিয়া অনেকেই তাদের আত্নীয়-স্বজনদের খুজিতে আসয়া এ ঘাতক আল-বদর, রাজাকার এবং অ-বাঙ্গালী খুনিদের কবলে পড়িয়া নিহত হন। তাহাদের শিয়ালবাড়ী বধ্যভূমিতে ফালাইয়া দেওয়া হয়।
বাদী স্বাধীন বাংলাদেশের রক্তিম পতাকায় তাহার শরীকের সামান্যতম রক্ত ঢালিয়া দিতে পারিয়া নিজেকে গর্বিত মনে করেন। কিন্তু তাহারা পঙ্গুত্ব চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করিতে করিতে স্বাধীনতার সুফল তিনি আর উপভোগ করিতে পারেন নাই। দীর্ঘ সময় পর তিনি সুস্থ হইলেও দেশের সরকারের কর্ণধারদের অবাক চোখে প্রত্যক্ষ করেন যে, যাহাদের মধ্যে অনেকেই স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরন করিয়া বাংলার মাটিকে বাঙ্গালীর রক্ত দিয়া ভেজানোর পরও তাহাদের গাড়িতেই বাংলাদেশের পতাকা পত-পত করে উড়ে। তিনি আরও বিস্মিত হন এদেশৈ, এ মাটির সন্তান হইয়া ও এদেশের সরকার প্রধানগন কিভাবে এ খুনি, ধর্ষক, অগ্নিসংযোগকারীদেরকে পূনর্বাসন করিয়াছেন।। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নদান, রক্তদান এর সামান্যতম মুল্যও কি ছিল না? এ আসামীরাই স্বাধীনতার ৩৬ বছর পরও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে মহান মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে বিবৃতি প্রদান করে। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের হ্নদয় হইতে এমনিতেই রক্তক্ষরন শুরু হইয়া যায়। ঘটনার অনেক সাক্ষী আছে। সাক্ষীরাই ঘটনা প্রমান করিবে। ১৯৭৫ সনের পর হইতে ১১/০১/০৭ ইং তারিখ পর্যন্ত স্বাধীনতা বিরোধীদের সহিত আতাঁত করিয়া অথবা তাদের আশীর্বাদ পুষ্ট হইয়া ক্ষমতা অধিষ্টিত থাকায় অত্র মামলা দায়ের সম্ভব হয় নাই। বর্তমানে দেশে তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকায় এবং বিচার বিভাগ সম্পুর্ন স্বাধীন থাকায় মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়া যাইবে মর্মে আশ্বাম্বিত হওয়ায় বাদী দীর্ঘদিন যাবৎ পর মামলাটি হুজুরের আদালতে দায়ের করিলেন।
অতএব হুজুর সমীপে নিবেদন এই যে, উপরোক্ত অবস্থায় মামলাটি আমলে নিয়া আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করত: তাহাদের হাজতাবদ্ধ করিয়া সুবিচার করিতে হুজুরের মর্জি হয়।
৩.
র্ধমীয় অনুভূততিে আঘাত স,িআর১০১২/১২
পি, নং- ১৬০৭২ সং- ৩০/৬/১০,৬/৭/১০,৭/৭/১০, ৭/৭/১১
বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর আদালত, ঢাকা।
পি, এর মোকদ্দমা নং- ১০১২/২০১০
সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী পিতা- মাওলানা সৈয়দ গাজিউল হক চাঁদপুরী মহা, সচিব, বাংলাদেশ ওরিকত ফেডারেশন, ৮০, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।
————— বাদী।
—— বনাম ——
১। মাওলানা মতিউর রহমান নিযামী
আমীর জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ
২। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ
সেনেটারী জেনারেল, জামাতে ইসলাম।
৩। মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর আমীর
জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ।
৪। মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন, সাঈদী নায়েব এ আমীর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
৫। আসম ইয়াহিয়া, সভাপতি ছাত্র শিবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সর্ব স্পং- ৪০৫, এলিফ্যান্ট রোড বড় মগবাজার, ঢাকা।
থানা- রমনা, ঢাকা-১২১৭।
আরো অনেক আসামী আছে যাহারা অজ্ঞাত নামা।
স্বাক্ষীঃ-
১। স্ট্যাফ রিপোর্টার দৈনিক সমকাল
২। বার্তা সম্পাদক দৈনিক সমকাল
৩। সম্পাদক দৈনিক সমকাল সহ দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্টাফ রিপোর্টার আলোকচিত্র শিল্পী বৃন্দের স্বাক্ষ্য উপস্থাপন করা হইবে।
ঘটনার তারিখ ঃ ৪৭/৩/১০ ইং।
ঘটনার স্থানঃ আল ফালাহ, মিলনায়তন মগবাজার, থানা-রমনা, ঢাকা।
ধারাঃ ২৯৫ (এ)/২৯৮/১০৯ বাঃ দঃ বিঃ।
= (৩) =
বাদীর নালিশী দরখা¯ত দাখিল পক্ষে
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে,
১। অত্র মামলার বাদী একজন ধর্মীয় সম্ভাšত এবং সৈয়দ বংশীয় অলি আউলিয়া ঘরের সন্তান। বংশ ধারায় হযরত আলী (রাঃ) এ হযরত মা ফাতেমা বা আঃ এর রক্ত ধারার উত্তরসূরী এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এর মহা সচিব। অপর পক্ষে আসামীরা ওহাবী মতবাদের সমর্থক, মাওলানা মওদুদীর অনুসারী, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের যুদ্ধ অপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, নরঘাতক ও বুদ্ধিজীবি হত্যার নায়ক ঘটে।
২। বিগত ১৭/৩/১০ ইং তারিখ ১নং হইতে ৪ জন আসামীরা তাহাদের অফিস আল ফালাহ মিলনায়তন মগবাজার থানা রমনা, ঢাকায় ছাত্রশিবির আয়োজিত এক সভায় কুখ্যাত যুদ্ধ অপরাধী নরঘাতক ও স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধের বিরোধিতাকারী খুনী মতিউর রহমান নিযামীকে মহান আল্লাহ তায়ালার সর্ব শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আল্লাহর হাবিব আল্লাহর নূর, নবীগনের সর্দার রাহমাতুল্লিল আলামীন হযরত মোহাম্মদ মো¯তফা আহমেদ মো¯তফা (মাঃ আঃ) এর সহিত তুলনা করিয়া বক্তব্য পেশ করেন। এধরনের ধৃষ্টতাপূর্ন বেয়াদবীয় বক্তব্য পেশ করা কালীন ১ ও ২নং আসামীসহ বহু মওদুদীবাদী ওহাবী উপস্থিত থাকিয়া হাতাতালি দিয়া তাহাদের বক্তব্যকে স্বাগত জানাইয়া সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করিয়াছে।
৩। ইসলামের অপ ব্যাখ্যাকারী এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাহাদের জন্ম লগ্ন থেকেই আল্লাহ (রাসূল সাঃ) অলি, আল্লাহগন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করিয়া প্রতিটি সময় ধিকৃত হইয়াছে বাংলাদেশের স্বাধীনাত যুদ্ধের সময় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা সাধারন মানুষ হত্যা, ঘর বাড়ী লুন্ঠন, নারী নির্যাতন, বুদ্ধিজীবি হত্যা করিয়া গনধিকৃত হইয়া দেশ ছেড়ে পালাইয়া গিয়েছিল। পরবর্তী সময় রাজনীতি করার সুযোগ পাইয়া আবার আল্লাহ রাসুল (সাঃ) এবং দেশ ও জাতির বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে। দেশকে জঙ্গীবাদের দিকে ঠেলিয়া দেওয়ার মত ঘৃন্য কাজে লিপ্ত রহিয়াছে। তাহাদের মদদে ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের মধ্যে জঙ্গীবাদের বিষবাষ্প ছাড়াইয়া দিতেছে।
৫। আল্লাহ তায়ালার প্রেরীত নবীগণ নিস্পাপ। আল্লাহ পাক কোরআন পাকে এরশাদ করেছেন রাসূল পাক (সাঃ) কে সৃষ্টি না করিলে তিনি পৃথিবী সৃিষ্ট করতেন না। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নবীগণের নবী। তিনি সকল মুসলমানের ঈমানের অংশ। তিনি সকল নবী রাসুলগণের সর্দার। তিনি নূরুল্লাহ। তাহার সাথে পৃথিবীর অন্যান্য নবীগণের তুলনা করা যায় না। সেখানে একজন খুনী, পাপী নারী নির্যাতন কারী ওহাবী মওদুদীবাদী স্বাধীনতা যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মুসলমান হত্যার সহিত প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ও নেতৃত্ব দানকারীর সাথে রাসূল পাক সাঃ আঃ এর তুলনা করিয়া আমার বাদীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়াছে যাহা ক্ষমার অযোগ্য। যাহার বক্তব্য দিয়াছে এবং যাহারা হাততালি দিয়া বাহবা দিয়া তাহার বক্তব্যকে সমর্থন দিয়াছে তাহারা সমান অপরাধে অপরাধী। ঘটনার অনেক স্বাক্ষী আছে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত বিষয় নিয়া মুসলমানদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হইয়াছে। প্রতিদিন মিটিং মিছিল প্রতিবাদ তুমুল ভাবে বিস্ফোরন আকারে দেশব্যাপী ছড়াইয়া পড়িয়াছে। আদালত কর্তৃক উক্ত আসামীদেরকে গ্রেফতার করিয়া হাজতে নিয়া গণরোষ নিরসন করা আবশ্যক।
অতএব, হুজুর সমীপে নিবেদন এই যে, উপরোক্ত অবস্থায় অত্র মামলাটি আমলে নিয়া আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করতঃ তাহাদেরকে হাজতাবন্দ করিয়া সুবিচার করিতে হুজুরের মর্জি হয়।
নিবেদন ইতি।
৪.
পল্টন ২০(২)১০
তারিখঃ ২৭/৬/১০, ২৮/৬/১০, ২৯/৬/১০, ২৯/৬/১০
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী,
জি, আর, নং- ৮০/১০
পল্টন মডেল থানা, জেলা- ডি, এম, পি, ঢাকা।
মামলা নং- ২০, ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ- ইং ১২-০২-১০ ইং তাং ১৪.০০ ঘটিকা।
পেশ করার তারিখ ও সময়ঃ- ১২-০২-১০ ইং ১০.০০ মিঃ
ঘটনাস্থলঃ পল্টন থানাধীন কালভাট রোডের পূর্ব প্রান্ত দুরত্ব অনুমানিক কিঃ মিঃ দক্ষিণে। মতিঝিল পুলিশ ফাঁড়ী, বিট নং (রর) ওয়ার্ড নং- ৩৬। থানা হইতে প্রেরণের তারিখ- ১০-০২-১০ ইং।
বাদীঃ- মোঃ মোকাররম হোসেন এ, আই, মতিঝিল থানা, ডি, এম, পি, ঢাকা।
আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ শরফুদ্দিন (২১) ২। মোঃ ওবায়দুল্লা (২৮) ৩। সৈয়দ জয়নুল আবেদীন (৪১) ৪। মোঃ শাহজাহান (৩৮) ৫। মোঃ আলী উদ্দিন (২৮) ৬। মোঃ কামাল হোসেন (৩৮) ৭। মোঃ আমিনর রহমান (৩৬) ৮। কে, এম, আহসানুল হক কাকন (৪১) ৯। লায়ন এস, এ, মান্নান (৪৪) সহ অজ্ঞাত নামা ১৫০০/১৬০০।
ধারাঃ ১৪৩/৩৩২/৩৫০/৪২৭ পি, সি, একই উদ্দেশ্যে কল্পে ও বে-আইনী জনতা বদ্বে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা সৃষ্টি করিয়া আঘাত প্রদান ও ক্ষতিসাধন করার অপরাধ।
মামলার ফলাফল- বাদীর লিখিত অভিযোগ ধৃত আসামী সহ প্রাপ্ত হইয়া ও, সি, সাহেব এর নির্দেশে আমি ডিউটি অফিসার হিসাবে অত্র মামলা রঞ্জু করিলাম। ও, সি, সাহেব খতিয়ানে নোট সহ মামলাটি তদšেতর ব্যবস্থা করিবেন।
স্বা/- রাফাত আরা সুলতানা,
এস, আই,
পল্টন মডেল থানা,
বরাবর, অফিসার ইনচার্জ,
পল্টন মডেল থানা,
ডি, এম, পি, ঢাকা।
বিষয় ঃ এজাহার।
জনাব,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি এস, আই, মোঃ মোকাররম হোসেন মতিঝিল থানা ডি, এম, পি, ঢাকা। সঙ্গীয় ফোর্স সহ ধৃত আসামী ১। মোঃ শরফুদ্দিন (২১) ২। মোঃ ওবায়দুল্লা (২৮) ৩। সৈয়দ জয়নুল আবেদীন (৪১) ৪। মোঃ শাহাজাহান (৩৮) ৫। মোঃ আলাউদ্দিন (২৮) ৬। মো কামাল হোসেন (৩৮) ৭। মোঃ আমিনুর রহমান (৩৬) ৮। কে, এম, আহসানুল হক কাকন (৪১) ৯। লায়ন এ, এ, মান্নান (৪৪) সহ আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার করিতেছি যে, আমি স্বারক নং- ৩৭৮ (৭৫)/ = ডি সি (মতিঝিল)৮ তাং ১১-০২/১০ ইং মুলেইং ১২-০২-১০ তাং শুক্রবার জুম্মা নামাজের পূর্বে ও পরে বায়তুল মোকরম মসজিদের উত্তর গেইট ও আশপাশ এলাকায় ইসলামী সংগঠন কর্তৃক মিছিল মিটিং সমাবেশ সহ আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর আশংকায় মোতায়েনকৃত পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মতিঝিল থানার এম, সি, সি, নং- ৪৩৭/১০ তাং ১২-০২-১৫ ইং মুলে পল্টন মডেল থানাধীন কালভাট রোডের পূর্ব প্রান্তে বেলা ১১.০০ ঘটিকায় মোতায়েন হই। অদ্য দুপুর অনুঃ- ১৪.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও ইহার অঈ সংগঠনের ১৫০০/১৬০০ নেতা ও কর্মী পল্টন এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ হইতে বাহির হইয়া বিজয় নগর পানির ট্যাংকির দিক হইতে মিছিল করিতে করিতে কালভাট রোডের পূর্ব প্রাšেত আসিয়া ডিআইটি এক্স রোডে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। উক্ত সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন হইতে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা ও আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রন রাখার স্বার্থে আমি সঙ্গীয় ফোর্স সহ উত্ত নেতা কর্মীদেরকে রা¯তা ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি কিন্তু তাহারা পুলিশের আদেশ অমান্য করিয়া রা¯তা না ছাড়ার সিদ্ধাšেত অনড় থাকে। বিষয়টি আমি বেতার মারফত উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অতিহিত করিলে তাৎক্ষণিক জরুরী ভিত্তিতে উর্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং আশে পাশে মোতায়েন কৃত ফোর্স আসিয়া অবস্থানরত নেতা কর্মীদের রা¯তা হইতে সরাইয়া দেওয়ার চেষ্টা করি হেলার মাইক দ্বারা তাহাদিগকে রা¯তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারং বার অনুরোধ করি, কিন্তু তাহারা পুলিশের অনুরোধ ও নির্দেশ অমান্য করিয়া উক্ত স্থানে অবস্থান করিতে থাকে এবং পুলিশের সহিত বাক বিতন্ডা করিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর মারমুখী আচর করিতে ইট পাটকেল মাড়িতে থাকে ও রাস্তায় আটকে যাওয়া যান বাহন/ ভাংচুরের চেষ্টা করে ফলে জনস্বার্থে ও সরকারী জানমাল রক্ষার্থে আমি সঈীয় ফোর্স সহ উক্ত স্থানে সমবেত নেতা কর্মীদেরকে ওয়াটার ক্যাননের মাধ্যমে পানি নিক্ষেপ করাইয়া ও বাশি বাজাইয়া উক্ত উপরোক্ত আসামীগণ ও তাহাদের অন্যান্য সহকর্মীদের নিক্ষেপ কৃত ইট পাটকেলের আঘাতে পল্টন মডেল থানার এস, আই, মোঃ নুরুল হুদা ও কং ৩৬১২ মোঃ আনোয়ার হোসেনের মাথায় পরিহিত হেলমেট ভাঙ্গিয়া যায় এবং আমার সঈীয় কয়েকজন ফোর্স ও অন্যান্য কিছু সংখ্যক ফোর্স শরীরে সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয়। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা উপরোক্ত নাম ঠিকানা বলে।
উপরোক্ত আসামীগণ এবং বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও ইহার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাত নামা ১৫০০/১৬০০ নেতা কর্মী বে- আইনী জনতা বদ্বে বর্ণিত স্থানে সমবেত হইয়া একই উদ্দেশ্যে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করিয়া পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করিয়া সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করিয়া এবং কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাধারণ আঘাত করিয়া পেনাল কোড ১৪৩/৩৩২/৩৫০/৪২৭/৩৪ ধারায় শা¯িত যোগ্য অপরাধ করিয়াছে। আসামীদের ধৃত কালে ধ¯তাধ¯িততে ১ জন আসামী সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয় ।
অতএব, উল্লেখিত বিষয়ে যথাযথ আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মহোদয়ের মর্জি হয়।
বিনীত,
স্বা/- মোঃ মোকাররম হোসেন,
এস, আই,
মতিঝিল থানা,
ডি, এ, পি, ঢাকা।
৫.
পল্টন ৩৭(২)১০
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
থানা- পল্টন মডেল থানা জেলা- ডি.এম.পি
মামলা নং- ৩৭, ঘটনার তারিখ ও সময় ঃ ১৭/২/১০ ইং অনুঃ ১৪.০৫ মিঃ।
পেশ করার তারিখ ও সময় ঃ- ১৭/২/১০ইং, ১৬.১০ মিঃ।
ঘটনাস্থল ঃ ভি, আই, পি, রোডস্থ আনন্দ ভবনের সামনে রা¯তার উপর।
অনুমান ১ কিঃ মিঃ পশ্চিম দিক। মতিঝিল পুলিশ ফাঁড়ি বিট নং- ৩৬ নং ওয়ার্ড।
থানা হইতে প্রেরণের তারিখ ঃ ১৮/২/১০ইং।
অভিযোগকারী- মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, এস.আই. পল্টন মডেল থানা, ডি, এম, পি, ঢাকা।
আসামীদের নাম ও ঠিকানা ঃ (১) এহতেশাম বিল্লা (২৪), (২) মোঃ শামছুল আলম (১৯), (৩) মোঃ মনির হোসেন (৩০) ।
ধারা ঃ ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৪
বে-আইনী জনতা বদ্ধে পুলিশের কর্তব্যে বাধা দান রওশ ও জখম ও সরকারী সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ করার অপরাধ।
মামলার ফলাফল ঃ বাদীর লিখিত অভিযোগ থানায় পাইয়া আমি কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে ওসি সাহেবের নির্দেশে অত্র মামলাটি রজু করিলাম।
ওসি সাহেব খতিয়ানে নোটসহ মামলাটির তদšেতর ব্যবস্থা করিবেন। বিলম্বের কারণ এজাহারে উল্লেখ আছে।
স্বা/- মোঃ শাহ আলম
এস.আই
পল্টন মডেল থানা
ডি.এম.পি ঢাকা।
১৭/২/১০ইং।
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
পল্টন মডেল থানা
ডি, এম, পি, ঢাকা।
বিষয় ঃ এজাহার।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি এস.আই মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, পল্টন মডেল থানা, ডি এম পি, ঢাকা সংগীয় কং- ৩২৮৮ মোঃ আঃ রহিম, আনঃ ১২৫৬৭ আবুল কাশেম, ধৃত আসামী- (১) এহতেশাম বিল্লা (২৪), (২) মোঃ শামছুল আলম (১৯), (৩) মোঃ মনির হোসেন (৩০) এবং জব্দকৃত আলামত (১) ০৮টি লুচি মাইকের হর্ণ, যাহার মধ্যে ০৪ টি লম্বা অনুঃ ৩’৮” এবং ০৪ টি লম্বা অনুঃ ১’৮” (যাহা পুরাতন) (২) ৩৪টি পুরাতন এম্বলি ফায়ার (৩) ০২টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারী (৪) ০২ টি ১২ ভোল্টের ব্যাসার্ধ ৃৃৃৃ.. (৫) ০১টি হ্যাঙ্কার (৬) ০৩টি মাউথ এবং (৭) ১০টি ইটের টুকরাসহ থানায় হাজির হইয়া এজাহার দায়ের করিতেছি যে, অদ্য ইং- ১৭/০২/১০ তাং পল্টন মডেল থানার মোবাইল সিসি নং- ৩৮৭/১০ মুলে কে৫২ কল লাইন ধারী ডিউটিতে থানা এলাকার মোতায়েন হই। ডিউটি করা কালীন অনুঃ ১৪.০৫ মিঃ সময় নাইট এ্যাঙ্গেল মোড়ে অবস্থানকালীন দেখিতে পাই ভিআইপি রোডস্থ নয়া পল্টন মসজিদ হইতে এবং কালভার্ট রোডের পশ্চিম মাথা হইতে মিছিল করিতে করিতে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের অনুঃ ৫০০/৬০০ নেতাকর্মী নাইট এ্যাঙ্গেল মোড়ে একত্রিত হইয়া ভিআইপি মোড় দিয়ে ফকিরাপুল রোডের দিকে যেতে চাইলে রা¯তায় প্রচুর গাড়ি চলমান থাকায় আমি উক্ত মিছিলেৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ এ্যাংগেল মোড়েই মিছিল শেষ করার জন্য বার বার অনুরোধ করি কিন্তু তাহারা আমার কথায় কর্ণপাত না করিয় উত্তেজিত হইয়া আমাদের বাধা নিষেধ অমান্য করিয়া ফকিরারপুল মোড়ের দিকে রওয়ানা হইয়া মাত্রই বেতার মারফত অফিসার ইনচার্জ সাহবেকে অবগত করিলে তিনি থানা হইতে অফিসার ও ফোর্স নিয়ে আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌছামাত্র সামনে পুলিশ দেখিয়া পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারী ইট পাটকেল নিক্ষেপ করিতে থাকে। ইটের আঘাতে অফিসার ইনচার্জ সাহেব এর ডান হাতের মাধ্যমা আঙ্গুলের গোড়ার উপরে জখম হয়। ইহা ছাড়াও পুলিশের কয়েকজন সদস্য শরীরের বিভিন্ন অংশে ইটের আঘাতে নীলাফুলা জখম হয় এবং ৪/৫টি হেলমেট সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অতপর আশপাশ হইতে আরো পুলিশ সদস্য আসিতে দেখিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীগণ পলায়নকালে আমি উপরোক্ত আসামীকে গ্রেফতার করি এবং ঘটনাস্থল হইতে বর্ণিত আলামত জব্দ তালিকা মূলে ১০.৪৫ মিঃ জব্দ করি। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। ধৃত আসামী এবং পলাতক অজ্ঞাতনামা ৫০০/৬০০ নেতাকর্মী বেআইনী জনতাবদ্ধে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান এবং ইট পাটকেল মারিয়া পুলিশ অফিসারকে রওশও জখম প্রাপ্ত ও সরকারী সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ করিয়া পেনাল কোড- ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৪ ধারার অপরাধ করিয়াছে।
অতএব, আসামীদের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৪ পি, সি ধারার নিয়মিত মামলা রজ্জু করিতে জনাবের মর্জি হয়।
বিনীত
স্বা/ঃ মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন
এস.আই
তাং- ১৭/০২/২০১০ইং
পল্টন মডেল থানা
ডি এম পি, ঢাকা।
৬.
পল্টন ২৫(৬)১০
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
জি আর নং- ৩০৪/১০
পল্টন মডেল থানা জেলা- ডি,এম,পি, ঢাকা
মামলা নং- ২৫, ঘটনার তারিখ ও সময় ঃ ইং ২০/৬/১০ইং, ১৬.১৫ ঘটিকায়।
পেশ করার তারিখ ও সময় ঃ ২০/৬/১০, ২১.১৫ মিঃ
ঘটনাস্থল ঃ অত্র থানাধীন পল্টন মোড় থানা থেকে অনুমান দেড় কিঃমিঃ পশ্চিম/দক্ষিণ দিকে ওয়ার্ড নং ৩৬, মতিঝিল পুলিশ ফাড়ী, ম্ফম্ফডি, এম, পি, ঢাকা।
থানা হইতে প্রেরণের তারিখ ঃ ২১/০৬/১০
বাদী ঃ মোঃ মোশাররফ হোসেন টি,এস,আই আল হেলাল পুলিশ বক্স থানা- মতিঝিল, ডি,এম,পি, ঢাকা।
আসামীর নাম ও ঠিকানা ঃ (১) মোঃ কোমর উদ্দিন লিটন (৩৮), ডিএমপি, ঢাকা ও অজ্ঞাত নামা।
ধারা- ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৫৩ দঃবিঃ বে-আইনী জনতাবদ্ধ স্বেচ্ছাকৃত ভাবে সরকারী কর্মচারীর কর্তব্যপালনে বাধা প্রদান ও আঘাত করা।
মামলার ফলাফল ঃ বাদীর লিখিত অভিযোগ প্রাপ্ত হইয়া এজাহারের সকল কলাম পূরণ করতঃ খতিয়ানে নোট করিলাম। বিলম্বের কারণ এজাহারে উল্লেখ আছে।
মামলাটি ওসি সাহেব তদšেতর ব্যবস্থা করিবেন।
স্বা/- আবু মোঃ রেজা মানিক
এস,আই
২০/৬/১০ইং
পল্টন মডেল থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
পল্টন মডেল থানা, ঢাকা
বিষয় ঃ এজাহার।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, ইম টি.এস,আই/১০২৭৩ মোঃ মোশারফ হোসেন গলফ- ৫১২ আল হেলাল পুলিশ বক্স থানা- মতিঝিল, ঢাকা পল্টন মডেল থানার এস,আই/ শেখ মিজানুর রহমান ও তার সংগীয় ফোর্স এর সহায়তায় ধৃত আসামী (১) মোঃ কোমর উদ্দিন লিটন (৩৮), পিতা- মৃত- মোস্তাফিজুর রহমান, সাং- মানিক পাঠান, থানা- বাশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম বর্তমান ৩২ পুরানা পল্টন নীচ তলা, থানা- পল্টন ঢাকাকে থানায় হাজির করিয়া অজ্ঞাত নামা ৩০০/৩৫০ জন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও উহার অংগসংঘটন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার করিতেছি যে, স্মারক নং ১৬৫০ (৬০) /ডিসি (অতি) তাং ১৭/৬/১০ইং এর আলোকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা মহানগরী এর উদ্যোগে অদ্য ২০/৬/১০ইং তারিখ বেলা ১৪.০০ ঘটিকায় মুক্তাঙ্গনে জনসভায় আইন শৃংখলা রক্ষা মূলক ডিউটিতে পল্টন মোড় এলাকায় বেলা ১৩.০০ ঘটিকা হইতে নিয়োজিত ছিলাম। আমার সঙ্গে উক্ত স্থানে মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট হইতে ১ (এক) টি এসটিএফ ১৭ ফোর্স ডিউটিতে নিয়োজিত ছিল।
অদ্য ২০/৬/১০ইং তরিখ বেলা অনুমান ১৬.১৫ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা মহানগরী কর্তৃক আয়োজিত জনসভা শেষে কয়েক হাজার নেতা কর্মীর একটি মিছিল মুক্তাঙ্গনে হইতে পল্টন মোড় হইয়া মৌচাকের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রক্কালে পল্টন মোড়ে আসিলে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও তার অঙ্গ সংঘটন ৩০০/৩৫০ জনের একটি মিছিল খন্দকার আব্দুর রব, কমিশনার ৩৬ নং ওয়ার্ড ঢাকা ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সভাপতি বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী, ঢাকা মহানগরী ও মোঃ হামিদুর রহমান আজাদ সেক্রেটারী বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ঢাকা মহানগরীর দ্বয়ের নেতৃত্বে হাউজ বিল্ডিং এর দিক হইতে মিছিল করিতে করিতে পল্টন মোড়ের দিকে আসিতে থাকিলে ২টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হইলে তথায় শাšিত শৃংখলা বিঘœ ও যান মালের ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে মর্মে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি সংগীয় ফোর্সসহ উক্ত জামায়েত ইসলামী নেতা কর্মী/মিছিলকারীদের পল্টন মোড়ের দিকে যাইতে নিষেধ করি। আমার উক্ত নির্দেশনা ও বৈধ আদেশ অমান্য করিয়া মিছিলকারীগণ পল্টন মোড়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করিলে, আমি সংগীয় ফোর্স সহ বাধা প্রদান করি। মিছিল কারীরা উত্তেজিত ও মারমুখি হইয়া আমাদের দিকে এলোপাতাড়ী ইট পাটকেল মারিতে থাকে। ফলে কর্তব্যরত কং ১২৫৬৩ খান মোঃ কবিরুল হক ডিং মিডিয়া সেল, ডিএমপি ঢাকা জনাব মোঃ আবু সুফিয়ান এস,পি পেট্রল (মতিঝিল) ডিএমপি ঢাকা এবং আমি নিজেও মিছিলকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আঘাত প্রাপ্ত হই। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে আমার সাথে আমার সংগে কর্তব্যরত ননঃ ১৮৩১৮ মোঃ হাবিব এসটিএফ ১৪ ১নং কোম্পানী পিএমউমর ডিএমপি ঢাকা ১(এক) রাউন্ড টি,আর গ্যাস সেল নিক্ষেপ করেন। ইহাতে মিছিল কারীগণ ছত্র ভঙ্গ হইয়া বিভিন্ন দিকে চলে যায়। বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও তার অঙ্গ সংগঠন এর ৩০০/৩৫০ জনের নেতাকর্মীগণ ধৃত আসামী কোমর উদ্দিন লিটন সহ বে-আইনী জনতাবদ্ধে মিছিল করিয়া পুলিশী বৈধ আদেশ অমান্য করিয়া করিয়া পুলিশের উপর আক্রমন করিয়া ইট পাটকেল মারিয়া আহত করে। পেনাল কোডের ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৫৩ ধারায় অপরাধ করিয়াছে। আমি নিজ ও আহত ফোর্স এর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।
অতএব, উল্লেখিত বিষয়ে নিয়মিত মামলা রজু করিয়া তদšেতর ব্যবস্থা গ্রহনে মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
স্বা/- মোঃ মোশারাফ হোসেন
টি,এস,আই
আল হেলাল পুলিশ বক্স
থানা- মতিঝিল, ঢাকা।
৭.
উত্তরা ৩১(২)১০
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
জি, আর নং-১২১/১০
থানা-উত্তরা মডেল জেলা-ডি এম পি ঢাকা।
মামলা নং-৩১, ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ- ১২/২/১০ইং রাত ২৩.০৫ ঘটিকা। পেশ করার তারিখ ও সময়ঃ- ১৫/৩/১০ইং, ২০.১৫।
ঘটনাস্থলঃ উত্তরা থানাধীন ১৪নং সেকটরস্থ রোড নং-১৮ বাসা নং-৪৫। থানা হইতে অনুঃ ২ কিঃ মিঃ পশ্চিম দিকে। আজমপুর পুলিশ ফাঁড়ী বিট নং-। থানা হইতে প্রেরণের তারিখঃ- ১৬/৩/১০ইং।
অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানাঃ- মোঃ সেলিম হোসেন এস আই উত্তরা মডেল থানা ডি এম পি ঢাকা।
আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ- (১) মোঃ ইমরান আলী (২৪), (২) মোজাহিদুল ইসঃ (১৯), (৩) মোঃ নৃরুল ইসলাম (১৮), (৪) আমিনুল হক ওরফে আমিনুল হক (৩৬), (৫) ফাহিম মুনতাছির সমির ওরফে বেলাল (১৮), (৬) হোসাইন আহমেদ (১৮), (৭) মোঃ আরিফুজ্জামান ওরফে ফরহান (২০), (৮) ফিরোজ আহম্মেদ (৩০), (৯) আবদুল্লাহ আনছর ওরফে মোঃ আব্দুল্লাহ মানছুর (২৬), (১০) শাহীন হাওলাদার (২৪), (১১) শহিদুল ইসলাম (১৮), (১২) মোরশেদ আলম (৩৫), (১৩) আল আহিন (২১), (১৪) রাসেল মাহমুদ (২০), (১৫) রায়হান আহম্মেদ (১৮), (১৬) মাহমুদুল হাসান ওরফে মাহমুদ (১৮), (১৭) মোঃ জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া (১৮), (১৮) সাদেক আল হোসেন ওরফে সাদিক আল হোসাইন ওরফে জিনেট, (১৯) মোসলেহ উদ্দিন (২০), (২০) মামুনুর রহমান মামূন (২০), (২১) সুজাউদ্দিন ওরফে স্বাধীন (২০), (২২) এম, সাইফুল রহমান (৩২), (২৩) মামুন আকন্দ (২০), (২৪)আবদুল্লাহ আল আমিন ওরফে প্রদীপ চন্দ্র দাস (৩০), (২৫) সামসুজ্জামান বাবু (৩২), (২৬) ফারুক হোসেন (২৫), (২৭) মোঃ খলিলুর রহমান (৩৫), (২৮) কে এম কামাল উদ্দিন (২০), (২৯) মোঃ বদরশাদ্দৌজা (৪২), (৩০) মাইন উদ্দিন (১৮), (৩১) সাইফুল্লাহ হীল খালেদ (২৬)।
ধারাঃ- ১৫৩/১৫৩ (ক)/১৫৩ (খ)/৫০৫ (ক) পরস্পরযোগ সাজালে রাষ্টপ্রতি ভাবমুর্তি নষ্ট সহ সমাজে বিশৃংখলা সুষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রকার বই লিফলেট দখলে ও প্রচার করা সহ রাষ্ট্র দ্রোহিতার অপরাধ।
মামলার ফলাফলঃ বাদীর টাইপকৃত অভিযোগ থানায় প্রাপ্ত হইয়া আমি ডিউটি অফিসার হিসাবে ও সি সাহেবের নির্দেশে অত্র মামলা রাজু করিলাম।
বিলম্বের কারণ এজাহারে উল্লেখ আছে।
অফিসার ইনচার্জ খতিয়ানে নোট সহ মামলাটিতে তদন্তের ব্যবস্থা করিবেন।
স্বাঃ- মোহাঃ হারুন আর রশিদ
এস, আই
১৫/৩/১০ইং ডিউটি অফিসার উত্তরা মডেল থানা
ডি,এম, পি ঢাকা।
বাদীর টাইপকৃত অদ্য ১৫/৩/১০ রাত্র ২০.১৫ ঘটিকার সময় থানায় প্রাপ্ত হইয়া উত্তরা মডেল থানার মামলা নং-৩১ তাং ১৫/৩/১০ইং ধারা/১৫৩/১৫৩ (ক)/১৫৩(খ)/ ৫০৫ (ক) রুজু করা হইল।
স্বাঃ হারুন
এস আই
১৫/৩/১০ ডিউটি অফিসার উত্তরা মডেল থানা ডি, এ, পি ঢাকা।
বরাবর,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,
উত্তরা মডেল থানা
ডি, এম, পি ঢাকা।
বিষয়ঃ এজাহার প্রসংগে।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি এস আই মোঃ সেলিম হোসেন, উত্তর মডেল থানা, ডি এম পি ঢাকা অদ্য ১৫/০৩/১০ইং তারিখ এই মর্মে এজাহার দাখিল করিতেছিযে, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে উত্তরা বিভাগের জোনাল এসি জনাব এস এ নেওয়াজী পি, পি এম এম সাহেবের নেতৃত্বে উত্তরা মডেল থানার ও সি জনাব রেজাউল হাসান সহ উত্তরা বিভাগের অন্যান্য থানার ও সি সাহেব ও অন্যান্য অফিসার, ফোর্স সহ গত ইং ১২/০২/১০ তারিখ রাত ০৩.০৫ ঘটিকার সময় উত্তরা মডেল থানাধীন সেক্টর নং-১৪, রোড নং-১৮, বাসা নং-৪৫, উত্তরা ঢাকায় পৌছাইয়া আসামী (১) মোঃ ইমরান আলী (২৪), (২) মোজাহিদুল ইসঃ (১৯), (৩) মোঃ নৃরুল ইসলাম (১৮), (৪) আমিনুল হক ওরফে আমিনুল হক (৩৬), (৫) ফাহিম মুনতাছির সমির ওরফে বেলাল (১৮), (৬) হোসাইন আহমেদ (১৮), (৭) মোঃ আরিফুজ্জামান ওরফে ফরহান (২০), (৮) ফিরোজ আহম্মেদ (৩০), (৯) আবদুল্লাহ আনছর ওরফে মোঃ আব্দুল্লাহ মানছুর (২৬), (১০) শাহীন হাওলাদার (২৪), (১১) শহিদুল ইসলাম (১৮), (১২) মোরশেদ আলম (৩৫), (১৩) আল আহিন (২১), (১৪) রাসেল মাহমুদ (২০), (১৫) রায়হান আহম্মেদ (১৮), (১৬) মাহমুদুল হাসান ওরফে মাহমুদ (১৮), (১৭) মোঃ জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া (১৮), (১৮) সাদেক আল হোসেন ওরফে সাদিক আল হোসাইন ওরফে জিনেট, (১৯) মোসলেহ উদ্দিন (২০), (২০) মামুনুর রহমান মামূন (২০), (২১) সুজাউদ্দিন ওরফে স্বাধীন (২০), (২২) এম, সাইফুল রহমান (৩২), (২৩) মামুন আকন্দ (২০), (২৪)আবদুল্লাহ আল আমিন ওরফে প্রদীপ চন্দ্র দাস (৩০), (২৫) সামসুজ্জামান বাবু (৩২), (২৬) ফারুক হোসেন (২৫), (২৭) মোঃ খলিলুর রহমান (৩৫), (২৮) কে এম কামাল উদ্দিন (২০), (২৯) মোঃ বদরশাদ্দৌজা (৪২), (৩০) মাইন উদ্দিন (১৮), (৩১) সাইফুল্লাহ হীল খালেদ (২৬) আটক করি। আসামীদের হেফাজত হইতে ধর্মীয় উস্কানীমূলক পুস্তিকা, ম্যাগাজিন, ডিভিডি, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ভিসিডি ইত্যাদি মালামাল (১) পনেরটি ম্যাগাজিন। যাহার কতার পেজে লগি-বৈঠার রক্তশক্ত। ২৮ ইত্যাদি লেখা আছে এবং লাঠি-সেটা দিয়া মানুষকে মারার ছবি ও মিছিলের ছবি আছে। বইয়ের ভিতরে বিভিন্ন বক্তব্য লেখা আছে। (২) একশত চল্লিশটি ছবি বই । যাহার কভার য়েরী রংয়ের কভার পেজে জামায়াত এবং জামায়াত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বানোয়াট, মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রনোদিত লেখা আছে। বইয়ের ভিতরে এ বিষয়ে লেখা আছে। (৩) সওরটি চটি বই। যাহার কতার পেজে “দিন বদলের সনদ কি মানুষ হত্যার লাইসেন্স” ইত্যাদি লেখা আছে এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ব্যানারসহ মিছিলের ছবি আছে। (৪) একশত পয়ত্রিশটি লিফলেট। যাহার শিরোনামে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্রের পরিচিতি হারাবে লেখা আছে। নিচে এ সংক্রান্ত বিস্তৃত লেখা আছে। (৫) দুইটি ডিভিডি ডিস্ক। যাহার গায়ের লেবেলে রক্তশক্ত ২৮ অক্টোবর লেখা আছে। (৬) পনেরটি ডিভিডি ডিস্ক। যাহার গায়ের লেবেলে ২০০৯ সেশনে বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর লিখিত ডকুমেন্টরী মঞ্জিলের পথে লেখা আছে এবং জামায়াতের নেতৃবৃন্দের ছবি আছে। যাহা প্রত্যেকটি নীল রংয়ের কাগজের মোড়কেপৃথক পৃথকভাবে আছে। (৭) তিনটি পাসপোর্ট আকারের সবুজ রংয়ের কতারপেজে চটি বই। যাহার কভার পেজে পরকালের পাসপোর্ট গোলাকার বৃত্তের মধ্যে চধংংঢ়ড়ৎঃ ঃড় ঃযব ফধু ড়ভ লঁফমসবহঃ ও নিচের দিকে মোহাঃ জিল্লুর রহমান হাসেমী লেখা আছ্ েবইয়ের ভিতরে পরকালের বিভিন্ন বিষয়সহ উস্কানীমূলক বক্তব্য লেখা আছে (৮) একটি বই। যাহার কভার পেজে ইসলামের দৃষ্টিতে চরমপন্থী জংগীবাদ ও সন্ত্রাস লেখা আছে (৯) একটি কোর্ট ফাইলের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন এলাকার মাসিক-বার্ষিক রিপোর্ট সম্বলিত ফর্ম যাহা পুরনকৃত। (১০) একটি ভিসিডি ডিস্ক। যাহার গায়ে বিশাল জনসভা ২০মে ২০০৯ পল্টন ময়দান, আয়োজনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী লেখা ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দের ছবি আছে। যাহা একটি কাগজের মোড়কের মধ্যে। (১১) কিছু হ্যান্ডবিল। যাহার শিরোনামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণ সংযোগ পক্ষে দেশবাসীর প্রতি আমীর জামায়াত আহবান লেখা ও বিভিন্ন বক্তব্য লেখা আছে। (১২) কিছু হ্যান্ডবিল। যাহার শিরোনামে জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশে সহ চিন্তা গবেষণার ক্ষেত্রে এক ব্যাপক বিপ্লবসহ অন্যান্য বক্তব্য লেখা আছে। (১৩) পাঁচটি ছটি বই। যাহার কভার পেজে ব্যক্তিগত রিপোর্ট বই লেখা আছে। (১৪) বিভিন্ন সাইজে পাঁচটি আয়-ব্যয়ের রেজিষ্ট্রার (১৫) কিছু ব্যক্তিগত প্রতিবেদন ফর্ম। কিছু মাসিক পরিকল্পনা ফর্ম। যাহার শিরোনামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির লেখা। উপস্থিত সাক্ষী (১) মোঃ শফিক রানা (২) মোঃ মানিক হোসেন (৩১) আঃ খালেক-দের মোকাবেলায় জব্দ তালিকা মুলে জব্দ করি এবং জব্দ তালিকায় সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেই। আসামীরা গত ০৮/০২/১০ইং তারিখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উশৃংখল জামাত-শিবির ক্যাডার বাহিনীর হাতে নিহত ছাত্র ফারুক হত্যাসহ অন্যান্য ছাত্রদের মারাত্মকভাবে জখম করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশ এলাকায় তান্ডব লীলা চালানোর সংগে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে সন্দেহে এবং উক্ত ঘটনার পূর্বে জামাত-শিবিরের এহেন কার্যক্রমের পূর্ব পরিকল্পনা করিয়াছে সন্দেহে, অতঃপর আসামীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তান্ডব লীলা চালাইয়া উল্লেখিত ঠিকানায় আত্তগোপন করিয়া রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা বিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি শক্তি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশ ব্যাপী ব্যাপক ত্রাস ও ধ্বংসাত্বক নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার পরিকল্পনা করাকালীন তাহাদের কাঃবিঃ ৫৪ ধারা মোতবেক গ্রেফতার করিয়া গত ইং ১২/০২/১০ইং তারিখে বিজ্ঞ কোর্টে সোপর্দ করি। অত্র মামলা অর্থাৎ উত্তরা মডেল থানা জিডি নং ৮৫৪/০২/১০ইং ধারা কাঃবিঃ ৫৪ সংক্রশনের তদ›ত কালে উল্লেখিত সকল আসামীগণ বিভিন্ন প্রকারের লিফলেট বই ও সিডির মাধ্যমে প্রচারনা চালাইয়া বাংলাদেশের নিরপত্তা, জনশৃংখলা, বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি ঘটাইবার উদ্দেশ্যে জব্দকৃত বর্ণিত আলামত সমুহ তৈরী করে যাহা পেনাল কোডের ১৫৩/১৫৩ (ক)১৫৩ (খ)/৫০৫ (ক) ধারার অপরাধ। প্রাথমিক তদন্তে সাক্ষ্য প্রমানে উল্লেখিত সকল আসামীদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ধারায় তথ্য ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদোহীতার অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যাওয়ায় উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে পেনালকোডের ১৫০/১৫৩ (ক)/১৫৩ (খ) ৫০৫ (ক) ধারা নিয়মিত মামলা রাজু করার নিমিত্তে কাঃ বিঃ ১৯৬ ধারা মোতাবেক সরকারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন শাখা-১ বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা এর স্বারক নং-স্বম (আইন-১) মঞ্জুরী ১২/২০০৫/১১১১ তাং ১৪/০৩/২০১০ খ্রিঃ মোতাবেক সরকারের মঞ্জুরীপজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রাপ্ত হইয়া অত্র এজাহার দাখিল করিতে সামান্য বিলম্ব হইল। উক্ত প্রজ্ঞাপনের কপি এতদসহিত সংযুক্ত করা হইল। মুল জব্দ তালিখা উত্তর মডেল থানার জিডি নং ৮৫৪ তাং ১২/০২/১০ইং ধারাঃ কাঃবিঃ ৫৪ মামলার জুডিশিয়াল নথিতে আছে।
উল্লেখ্য, যে, আসামীরা রাজশাহী মেট্রোফলিটন পুলিশ, রাজশাহীর মতিহার থানার মামলা নং-০৪ তাং ০৯/০২/১০ইং ধারা-১৪৮/১৪৯/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩২৪/৩২৫/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৪৪৮/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড মামলায় উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনঃগ্রেফতার হয়।
অতএব, বিনীত অরাজ এই যে, উপরেল্লিখিত আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৫৩/১৫৩ (ক)/১৫৩ (খ)/৫০৫(ক) ধারায় নিয়মিত মামলা রজ্জু মর্জি হয়।
বিনীত,
স্বাঃ-মোঃ সেলিম হোসেন
(মোঃ সেলিম হোসেন)
এস আই
উত্তরা মডেল থানা
ডি,এম,পি ঢাকা।
৮.
রমনা ৫৫(৬)১০
মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, ঢাকা।
সূত্র ঃ রমনা থানার মামলা নং- ৫৫ (৬) ১০
ধারা ঃ ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৩৫/৩০৭/৪২৭ পেনালকোড এবং সংযোজিত ধারা ঃ ৩০২ পেনাল কোড।
ডি, আর নং- ৩৪০/১০
আদেশনামা
সরকার বনাম আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
জি,আর নং- ৩৪০/১০
রমনা মডেল থানা জেলা- ডি.এম.পি ঢাকা।
মামলা নং- ৫৫, ঘটনার তারিখ ও সময় ঃ ইং- ২৬/০৬/১০তাং রাত ২১.০০ ঘটিকা ও ২৬/০৬/১০ রাত ২২.৪০ মিঃ
পেশ করার তারিখ ও সময়ঃ ২৭/০৬/১০ইং, ০৯.১০।
ঘটনার স্থলঃ অত্র থানাধীন টংগী ডাইভারশন রেলক্রসিং এর উত্তর পাশ্বে তালতলা গলির মুখে থানা হইতে অনুঃ ১ কিঃমিঃ দূরে ও অত্র থানাধীন মগবাজার ডাক্টার গলির মুখে থানা হইতে অনুমান দেড় কিঃমিঃ উত্তর পূর্ব কোনা নয়াটোলা পুলিশ ফাঁড়ি বিট নং- ম্ফম্ফম্ফ, ওয়ার্ড- ৫৪।
থানা হইতে প্রেরনের তারিখ ঃ ২৮/০৬/১০ইং
বাদীঃ- মোঃ শাহেদ আল মামুন, এসআই, রমনা মডেল থানা, ডি.এম.পি, ঢাকা।
আসামী ঃ (১) মির্জা আব্বাস (৫৭), (২) সেলিমা ইসলাম (৩৫), (৩) মোঃ আব্দুল মজিদ (৫০) সহ সভাপতি, রমনা থানা বি এন পি ও ৫৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার, ঢাকা। (৪) মোঃ আমির হোসেন (৪২), সেক্রেটারী ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৫) প্রিন্স (৩০), (৬) হাতকাটা সুমন (৩৮), (৭) কালা সেলিম, (৮) লম্বা সেলিম, সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন।
ধারা ঃ ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৩৫/৩০৭/৪২৭ পেনালকোড খুনের উদ্দেশ্যে আসামীরা বেআইনী সমাবেশ ঘটাইয়া একই উদ্দেশ্যে প্রাইভেট কার ও বাসে অগ্নি সংযোগ গুরুতর জখম ও পোড়াইয়া ক্ষতিসাধন করিবার অপরাধ। ক্ষতির পরিমাণ- ১০,০০০০০/- টাকা এবং সংযোজিত ধারা ঃ ৩০২ পেনালকোড।
মামলার ফলাফল- বাদীর টাইপকৃত অভিযোগ থানায় প্রাপ্ত হইয়া আমি কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহেবের নির্দেশে এ মামলা রজু করিলাম। অফিসার ইনচার্জ খতিয়ানে নোটসহ তদšেতর ব্যবস্থা করিবেন।
এস,আই
রমনা মডেল থানা
ডি.এম.পি, ঢাকা।
তাং- ২৭/০৬/১০ইং
ডিউটি অফিসার
রমনা মডেল থানা, ডি.এম.পি, ঢাকা।
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
রমনা মডেল থানা, ডি.এম.পি, ঢাকা।
বিষয় ঃ এজাহার
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি এস.আই. মোঃ শাহেদ আল মামুন রমনা মডেল থানা ডি.এম.পি, ঢাকা। এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, রমনা থানার নৈশ সিসিনং- ১৩৯/১০ তারিখ ২৬/০৬/১০ইং মুলে সঙ্গীয় কং/৬৯৯৮ হীরন মিয়া, আনছার সদস্য ৩০৮৭১ মোঃ মোকছেদ ও আনছার সদস্য ২৯২৬১ মোঃ মকবুল সহ থানা এলাকায় কিলো ২১ ডিউটিতে নিয়োজিত হই। ডিউটি করাকালীন ইং- ২৬/০৬/১০ তারিখ রাত ২১.১০ ঘটিকার সময় বেতার মারফত সংবাদ পাই যে, অত্র থানাধীন টঙ্গী ডাইভারশন রেলক্রসিং এর উত্তর পাশে তালতলা গলির মুখে বিরোধীদল কর্তৃক আহুত ইং- ২৭/০৬/১০ইং তারিখের হরতাল উপলক্ষে বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীরা একটি প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ করিয়াছে। উক্ত সংবাদ পাইয়া আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উক্ত প্রাইভেটকারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তদুপরি প্রাইভেটকারটির ভিতরের সিটসহ যন্ত্রপাতি পুড়িয়া অনুমান ৫,০০০০০/- টাকার ক্ষতি হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানিতে পারি যে, বিএনপি নেতা (১) মির্জা আব্বাস (৫৭), (২) সেলিমা ইসলাম (৩৫), (৩) মোঃ আব্দুল মজিদ (৫০) সহ সভাপতি, রমনা থানা বি এন পি ও ৫৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার, ঢাকা। (৪) মোঃ আমির হোসেন (৪২), সেক্রেটারী ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি, (৫) প্রিন্স (৩০), (৬) হাতকাটা সুমন (৩৮), (৭) কালা সেলিম, (৮) লম্বা সেলিম, সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের হরতাল সমর্থনের একটি মিছিল হাতে লাঠি সোঠা সহ ইং- ২৬/০৬/১০ তারিখ রাত ২১.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত স্থানে পৌছাইয়া উক্ত পার্কিং করা ঢাকা মেট্রো-ক-০০১০৭১ নং প্রাইভেটকারে পেট্রোল দিয়া অগ্নি সংযোগ করিয়া চালক সুমন ও যাত্রী ফারুককে খুন করার উদ্দেশ্যে আগুন পুড়াইয়া মারাত্মক জখম করে। ইহা ছাড়া উক্ত আসামীরা ইং- ২৬/০৬/১০তারিখ রাত ২২.০০ মিনিট সময় অত্র থানাধীন মগবাজার ডাক্টারগলির মুখে পার্কিং করা ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২০৮১ নং মিনি বাস অগ্নি সংযোগ করিয়া বাসটি পুড়াইয়া অনুমান ৫,০০০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আগুনে পোড়া প্রাইভেটকার ও বাস নিয়ম মোতাবেক জব্দ তালিকা মুলে জব্দ করা হয়।
সরকারী ডিউটি পালন করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দিতে বিলম্ব হইল।
প্রকাশ থাকে যে, মীর্জা আব্বাস ইং- ২৬/০৬/১০ তারিখ সমস্যার পর এলাকায় ঘোষনা দেন যে ব্যক্তি ০১টি গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ করিতে পারিবে তাহাকে গাড়ি প্রতি ৩,০০০/- টাকা পুরষ্কার দেওয়া হইবে। তাহার এই রূপ উস্কানিমূলক বক্তৃতা ও নির্দেশের কারনেই উল্লেখিত আসামীরা গাড়ী ০২টিতে অগ্নি সংযোগ করে। যাহার ক্ষতির পরিমাণ ১০,০০০০০/- টাকা। আসামীরা ১। মীর্জা আব্বাস ২। সেলিমা ইসলাম ৩। আঃ মজীদ কমিশনার ৪। আমীর হোসেন ৫। প্রিন্স ৬। হাতকাটা সুমন ৭। কালা সেলিম ৮। লম্বা সেলিম তাহাদের সহযোগী মিছিলকারীগণ সহ বেআইনী সমাবেশ ঘটাইয়া একই উদ্দেশ্যে উল্লেখিত প্রাইভেট কার ও বাসে অগ্নি সংযোগ করতঃ খুন করার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম সহ পুড়াইয়া ক্ষতিসাধন করিয়া পেনাল কোড এর ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৩৫/৩০৭/৪২৭ ধারার অপরাধ করিয়াছে। প্রকাশ থাকে যে, ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে তাৎক্ষনিকভাবে মামলা না করায় ঘটনাটি গুরুতর ও চাঞ্চল্যকর বিধায় আমি নিজে বাদী হইয়া অত্র এজাহার দায়ের করিলাম।
অতএব, বর্ণিত আসামীদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় নিয়মিত মামলার রজু করিয়া তদšেতর ব্যবস্থা করিতে মর্জি হয়।
বিনীত
স্বাঃ/- শাহেদ আল মামুন
এস আই
রমনা মডল থানা, ডি.এম.পি, ঢাকা।
তাং- ২৭/০৬/১০ইং।
৯.
কদমতলী ৫৭(৪)১০
বরাবর
অফিসার ইনচার্জ
কদমতলী থানা,
ডিএমপি, ঢাকা।
বিষয়ঃ এজাহার।
আমি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মঞ্জুরুল মোর্শেদ এসবি ঢাকা এই মর্মে এজাহার করিতেছি যে, গত ২৩/০৫/২০১০ইং তারিখ রাত অনুমান ২১ঃ৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ শাখা জঙ্গী দমন সেলের বিশেষ টিমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জান্নাতুল হাসান এর নেতৃত্বে আমি বিশেষ শাখা ঢাকার (১) সার্জেন্ট শাহ আলম (২) কং/১১৪১ মোঃ নেউইন ইসলাম; ডিএমপি ঢাকা এর (৩) কং/২৪৩৭০ মোঃ মোরশেদ আলী মোল্লা, (৪) কং/২৫২২৪ মোঃ জনি বিশ্বাস (৫) কং/২৬১৬৯ শামীম রেজা খন্দকার: কদমতলী থানার (৬) এস আই মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৭) এএসআই/সিরাজউদ্দৌলা (৮) কং/১৮৫৩৪ মোঃ সোহরাব হোসেন (৯) কং/২১৭৫৬ জাহিরুজ্জামান (১০) কং/৮৩৫৫ জুলফিকার (১১) কং/১২৭০৭ শামসুদ্দোহা (১২) কং/১৮৩৯৭ ফারুখ হোসেন সহ কদমতলী থানাধীন হযরত শাহজালাল বাগ, দক্ষিন দনিয়া, মামসুদ্দিন রোডস্থ, ১৯২২ নং হোল্ডিং এর জনৈক হাজী নানু মিয়া (৬০) এর তিন তলা বসত বাড়ীর তৃতীয় তলার দক্ষিণ পাশের ফ্লাটে বাড়ীওয়ালাকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য গমন করি। উক্ত ফ্লাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবির সদস্যরা ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠক করছে এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত ফ্লাটের দরজা খুলতে বললে অনুমান ২০-২৫ বছর বয়সী একজন মহিলা দরজা খুলে দেয়। তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাব মোঃ জান্নাতুল হাসান ঘরে কোনো পুরুষ লোক আছে কিনা জিজ্ঞেস করতেই মুহূর্তেই মধ্যে পিছনের অন্ধকার কক্ষ হতে একজন পুরুষ দরজার সামনে দাড়ানো আমাদের সকলকে সরকারী কর্তব্যে বাধাপ্রদান করে হত্যা ও জখমের উদ্দেশ্যে আমাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত বোমা নিক্ষেপ করে যা প্রচন্ড শব্দে বি¯েফারিত হয়। তখন পাশের ফ্লাটে পজিশন নিয়ে আমি আমার সরকারী পিস্তল হতে ০২ (দুই) রাউন্ড গুলি করলে ভিতরে থাকা পূর্বের পুরুষ জঙ্গীর সাথে আরও একজন পুরুষ এবং দুই জন মহিলা আমাদের দিকে ক্রমাগত একের পর এক বোমা ছুড়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে দ্রুত নেমে যেতে থাকে। সিঁড়ির নিচে লোহার গেটে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হলে তারা সেখানে দাঁড়ানো পুলিশকে হত্যা ও জখমের উদ্দেশ্যে পুণরায় একাধিক বোমা নিক্ষেপ করে যার প্রত্যেকটি প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তখন আমিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাদের ধাওয়া করলে প্রথম বোমা নিক্ষেপকারী পুরুষ জঙ্গী পূনরায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে গেলে তা তার হাতে বিস্ফোরিত হয় এবং সে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে ধৃত করি। অন্যান্য জঙ্গীরা রাস্তায় বোম নিক্ষেপ করতে করতে ত্রাস সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জঙ্গী তার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০) পিতা-মোঃ শাহ আলম, সাং-ভাসান টেক, দাগ নং-৮৪৯ মাহাবুব স্ব-মিলের দক্ষিণ পাশে, থানা-কাফরুল, জেলা-ঢাকা বলে জানায়। সে আরও জানায় যে, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে আসামীর সাথে তার স্ত্রী তামান্না, সহযোগী জঙ্গী মিলন ও মিলনের স্ত্রী আখি উক্ত বাসায় উপস্থিত ছিল। জঙ্গীদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে আমিসহ অতিরক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জান্নাতুল হাসান, সার্জেন্ট শাহ আলম, এএসআই সিরাজ উদ দৌলা, কং/১১৪১ মোঃ নেউইন ইসলাম, কং/২৪৩৭০ মোঃ মোরশেদ আলী মোল্লা, কং ২৫২২৪/মোঃ জনি বিশ্বাস, কং/১৮৫৩৪ মোঃ সোহরাব হোসেন এবং কং/১২৭০৭ শামসুদ্দোহা শরীরর বিভিন্ন স্থানে জখমপ্রাপ্ত হই। এদের মধ্যে সার্জেন্ট শাহ আলম পায়ে এবং পিঠে, কং/১১৪১ মোঃ নেইউন ইসলাম উভয় পায়ে এবং কং/১২৭০৭ শামসুদ্দোহা পায়ে, পেটে ও হাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে ধৃত জঙ্গি এবং আহত সকল পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। ধৃত আসামী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। এই সময়ে কদমতলী থানার এসআই/মোঃ সিরাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল তল্লাশী পূর্বক ঘটনাস্থল হইতে (ক) ০১ (এক) টি কালো রঙের সাই ব্যাগ (খ) ০৯ (নয়) টি তাজা বোমা যে গুলো লোহার পাইপ দ্বারা তৈল,ি বোমা গুলিল উপরিভাগ কালো স্কচটেপ দ্বারা ব্যাটারি সহ মোড়ানো যাতে সেফটি পিন বিদ্যমান (গ) বিস্ফোরিত বোমার ব্যবহৃত ০৪ (চার) টি থেতলানো ঝটঘখওঞঊ পেনসিল ব্যাটার ৯চ) বিস্ফোরিত বোমার কেইস সহ ০১ (এক) টি প্রেসার রিলিজ সুইচ, ০২ (দুই) টি সুইচ কেইসের অংশ (ছ) বিস্ফোরিত বোমার ০৮ (আট) টুকরা তার (জ) বিস্ফোরিত বোমার লোহার পাইপের ২৩ (তেইশ) টুকরা স্পিলিন্টার (ঝ) বিস্ফোরিত বোমার স্কচটেপে ২০ (বিশ) টি টুকরা যেগুলো কালো রংঙের ও ছিড়া/ফাটা এবং ০৩ (তিন) টি লাল রঙের প্লাষ্টিকের টুকরা (ঞ) ০৪ (চার) টি সিম বিহীন মোবাইল ফোন সেট যেগুলোর মধ্যে ০২ (দুই) টি ঘঙকওঅ ও ০২ (দুই) খএ এবং একটি ব্যাক কভার বিহীন (ট) ০২ টি অকঞঊখ সিম কার্ড (ঠ) ছঢ পাতা বিশিষ্ট বোমা তৈরীর নিয়মাবলীর একটি বই (ড) শায়খের পক্ষ থেকে তাগুতদের দ্বারা ভুক্তভোগী মুসলিম ভাইবোন ও তাদের পরিবারদের প্রতি একটি খোলা চিঠি-শিরোনামের ০২ টি লিফলেট (ঢ) একটি অসম্পূর্ণ হাতে লেখা চিঠির অংশ বিশেষ (ন) তাফসীর ইবনে কাসির, রিয়াদুস সালিহীন, শরিয়তে নিষিদ্ধ কাজ হতে সাবধান, হিসনুল মুসলিম, পূন্যলাভের উপায় ও উম্মেতে মুহাম্মদির মুক্তি সঠিক পথ-নামের ছয়টি ইসলামী বই সাক্ষীদের মোকাবেলায় জব্দ তালিখা মূলে জব্দ করেন।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীগণ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন “জেএমবি”র সদস্য ও সমর্থক হিসাবে দেশের অভ্যন্তরে অপরাধ সংগঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে সন্ত্রাস বিরোধ আইন/২০০৯ এর ৮/৯/১০ ধারা মোতাবেক অপরাধ করেছে। আহত পুলিশ সদস্যদের এবং আহত আসামীর চিকিৎসা ব্যবস্থা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে থানায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো।
অতএব গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে অনুরোধ করা হলো।
মাঃ মঞ্জুরুল মোর্শেদ)
বিপি-৭০৯৩০৭৬৩২৫
পুলিশ পরিদর্শক, এসবি, ঢাকা।
১০. রমনা ৮২(২)০৪
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
জি আয় নং ১৭৭/০৪
রমনা থানা জেলা- ডিএমপি, ঢাকা।
মামলা নং ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং ২৭/২/০৪ তারিখ রাত অনুঃ ২১.৩০ মিঃ পেশ করার তারিখ ও সময় ২৮/২/০৪ ইং ১৪.১৫ মিঃ।
ঘটনাস্থলঃ বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সামনে থানা হইতে অনুমান ২ কিঃ মিঃ ;ঃ/পঃ বিট নং নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি।
থানা হইতে প্রেরনের তারিখঃ ২৮/২/০৪ ইং
বাদীঃ মোঃ মনঞ্জুর কবির পিং মৃঃ আব্দুর রাশেদ আকন্দ সাং রাড়িখাল থানাÑ-শ্রীনগর জেলা-মুন্সীগঞ্জ এ/পি-৪১০ কাজী পাড়া, মিরপুর, ঢাকা আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ কতিপয় অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসী। ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪ দঃ বিঃ তৎ সহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩ ধারা/পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করিয়া গুরুতর জখম ও বোমা হামলার অপরাধ।
মামলার ফলাফলঃ বাদীর লিখিত অভিযোগ পাইয়া আমি থানার ডিউটি অফিসার হিসাবে অত্র মামলা রঞ্জ করিলাম।
তারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহেব খতিয়ানে নোট সহ তদন্তের ব্যবস্থা করিবেন।
স্বা/আব্দুল কাদির ভূঁঞা
এস, আই
রমনা থানা, ডি, এম, পি, ঢাকা
তাং ৮/২/০৪ ইং
বরাবর,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
রমনা থানা, ঢাকা।
বিষয়ঃ এজাহার দায়ের প্রসংগে।
জনাব,
নিবেদন এই যে, আমি মোঃ মঞ্জুর কবির পিতা মৃত- আব্দুর রাশেদ আকন্দ সাং বাড়িখাল থানা-শ্রীনগর জেলা-মুন্সীগঞ্জ। বর্তমান-৪৯০ কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা। এই মর্মে এজাহার করিতেি যে, আমার বড় তাই ডঃ হুমায়ন আজাদ অধ্যাপক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি একজন খ্যাত নামা সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী। গতকল্য ইং ২৭/০২/০৪ তারিখ রাত্রি অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় বাংলা একাডেমী বইমেলা থেকে তাহার ১৪ই ফুলার রোডের বাসায় যাওয়ার পথে বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সামনে পৌঁছিলে কতিপয় সন্ত্রাসী তাহাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো চাপাতী, কুড়াল, আগ্মেয়াস্ত্রি ও বোমা সহ সজ্জিত হইয়া আমার বড় ভাইকে আক্রমন করে। সন্ত্রাসীরা তাহাকে হত্যা করার জন্য মাথায় মুখে, ঘাড়ের উপর সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাথারী কুপিয়ে গুরুতর আঘাত করে রক্তশক্ত জখম করে। তিনি চিৎকার করিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাহার চিৎকারে পথচারী লোকজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিহত ছাত্রগন আগইয়া গেলে সন্ত্রাসীরা উপুর্যুপরী কয়েকটি বোমা ফাটাইয়া পার্কের ভিতর দিয়া পালাইয়া যায়। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়িলে বই মেলায় হাজির বিভিন্ন লেখক ও ছাত্রগন মারাত্মক রক্তশক্ত জখম এবং মুমুর্ঘ অবস্থায় আমার বড় ভাইকে উদ্ধার করিয়া ঢাকা মেডক্যিাল কলেজ হাসপাতালে লইয়া যায়। খবর পাইয়া আমরা পরিবারের লোক জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাই এবং তাহার চিকিৎসার খোজ খবর সহ ঘটনার কথা বিস্তারিত শুনি। আমার বড় ভাইয়ের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার তাহার উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে রাত্রেই তাহাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করি। বর্তমানে তিনি সি, এম, এইচ এর ইনটেনসিত ক্যায়ার ইউনিটে মৃত্যুর সংগে পাজ্ঞা লড়িতেছেন। তাহার অবস্থা আশংকা জনক। এই ঘটনার সংগে একটি বিরাট স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত আছে বরিয়া আমা সন্দেহ করি। তাহারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বড় ভাইকে হত্যা করার জন্য এই ঘটনা ঘটাইয়াছে। ঘটনার পর থেকে উক্ত চক্রের লোকজন টেলিফোনে বার বার আমাদের পরিবারের অন্যান্য লোকজন কে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
আমরা সবাই আমার ভাই কে লইয়া চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় এই এজাহার করিতে একটু লিম্ব হইল।
অতএব, এই ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করা হইল।
নিবেদক
স্বা/-মোঃ মঞ্জুর কবির
২৮/০২/০৪
মোবাইলঃ-০১৭১৯০৪৪৭৭
১১.
পরিোজপুর ১৩৫/০৯
মোকাম- মাননীয় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের আদালত।
পিরোজপুর।
মোকদ্দামা নং- ১৩৫/০৯পি:
ধারাঃ ৩০২/৩৮০/৪৩৬/৩৪ বাঃদঃবিঃ।
ঘটনার তারিখ ও সময় ঃ ০৮/৫/৭১ রোজ
সময়ঃ অনুমান দুপুর ৩ টা।
বাদী ঃ
আঃ মালিক পশারী, পিতা মৃত- সৈজদ্দিন পশারী,
সাং- চিতলিয়া, থানা- পিরোজপুর, জেলা- পিরোজপুর।
বিবাদী ঃ
১। দেলোয়ার হোসেন সাইদী, পিতা- মৃত. ইউছুফ আলী সিকদার
সাং- সাউদখালী, থানা- বর্তমান জিয়ানগর, পূর্বে- পিরোজপুর সদর।
২। আঃ মহাসীন, পিতা- মৃত. শফিজদ্দিন, সাং- পাড়ের হাট বন্দর।
৩। মমিন হাওলাদার, পিতা- মৃ. গণিহাওলাদার, সাং- গাজীপুর
৪। হাকিম কার,ি পিতা- মৃত. সাইজদ্দিন বিশ্বাস, সাং- গাজীপুর,
৫। সোবাহান হাওলাদার, পিতা- মৃত. হাসেম হাওলাদার , সাং- থানা+জেলা- পিরোজপুর
এবং ২০/২৫ জন পাকসেনা সহ
স্বাক্ষী ঃ
১। আলমগীর পশারী, পিতা- মৃত. সইজদ্দিন পশারী
২। মাহবুব পশারী, পিতা- মৃ. মান্নান পশারী,
৩। চান মিয়া পশারী, পিতা- মৃত. সইজদ্দিন পশারী,
৪। জাহাঙ্গীর পশারী, পিতা- ঐ
৫। কাঞ্চন পশারী, পিতা- ঐ
হরিপদ মিস্ত্রিী, পিতা- মৃত. চুড়া মনি মিস্ত্রী
৭। যাদব চন্দ্র রায়, পিতা- মৃত. মদন রায়,
৮। যতীন হালদার, পিতা- মৃত. মুকুনদ হালদার
৯। আইউব আলী তালুকদার, পিতা- মৃত. ইমাম উদ্দিন, সাং- চিতলিয়া
১০। হালিম তালুকদার, পিতা- মৃত. তাছেন তালুকদার
১১। মোজাহার খা, পিতা- চান খা
১২। বাসুদেব মিস্ত্রী, পিতা- মৃত. খসী মিস্ত্রী
১৩। খবির হাওলাদার, পিতা- মৃত- তোফেল হাওলাদার
১৪। এছাহাক খা, পিতা- মৃত. মজিদ খা, সাং- চিতলিয়া, থাতা/জেলা- পিরোজপুর
আরো বহু স্বাক্ষী আছে।
বিবরণ এই যে, বিবাদীগণ পরস্পর একই দলীয় লোক। তাহারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাক সেনাদের ও রাজাকারদের দোষর হিসাবে ভূমিকা পালন করেন। আমি এবং আমার ভাইয়েরা ও পরিবারবর্গের সকল লোক ও কতেক স্বাক্ষীগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহণ করিয়া ছিলাম। বিবাদীরা ১নং বিবাদীদের নেতৃত্বে পাক সেনাদের দোসর হিসাবে স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ঘর বাড়ি আগুন দিয়া পোড়াইয়া দেওয়া এবং মালামাল লুটপাট সহ মানুষকে হত্যা করার পেশায় পরিণত হয়। ঘটনার তারিখেও সময় ১নং বিবাদী অন্যান্য বিবাদীদের সহ পাক সেনাদের নিয়া আমার এবং আমার ভাই ১/২/৩/৪/৫ নং স্বাক্ষী ভাইয়েরা বিবাদীগন সহ পাক সেনাদের দেখিয়া বাড়ি ছাড়িয়া পালাইয়া যাই। বিবাদীরা পাক সেনাদের নিয়া আমাকে এবং আমার ভাইদের কাহাকেও বাড়িতে না পাইয়া আমাদের বাড়িতে দেখাশুনা করার জন্য আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার যে মোঃ ইব্রাহীম পিতা- মৃত. সাইজদ্দিন হাং, সাং- বাদুরা, পাইয়া হত্যা করার জন্য ১নং বিবাদী পাক সেনাদের হাতে তুলিয়া দেয়। এবং আমার এবং আমার ভাইয়েরা ১/২/৩/৪/৫ নং স্বাক্ষীদের পাকা কাঠের টিনের চৌচালা ৫টি ঘর ও ধানের গোলা কাচারী ঘর, ২/৩/৪ নং বিবাদীগণ কেরোসিন ছিটাইয়া দেয়। ১নং বিবাদী আগুন লাগাইয়া দেয়। তাহাতে আমাদের ঘরবাড়ি খোলা ঘরকাচারী ঘর পুড়িয়া ছাই হইয়া যায়। যাহাতে উক্ত আগুনে ঘর গুলি ও গোলার ধান (অনুমানিক ২০০ মন) পুড়িয়া আনুমানিক প্রায় ১০,০০০০০/- (দশ লক্ষ) টাকার ক্ষতি হয়। এবং আমাদের ঘরের ভিতরে থাকা নগদ টাকা সোনা গহনা সহ বহু মালামাল ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে সকল বিবাদীগন আগুন ধরাইয়া দেওয়ার পূর্বে লুটপাট করিয়া নিয়া যায়, যাহার আনুমানিক মূল্য ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা হইবে। এবং আমার ঘরে থাকা ইব্রাহীমকে পড়েরহাট বন্দরে বিবাদীদের সহযোগীতায় পাক সেনাদের উপস্থিতিতে ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে ও নির্দেশে পাক রাইফেল দিয়া গুলি করিয়া হত্যা করিয়া ফেলাইয়া রাখিয়া যায়। এমনকি পড়েরহাট বন্দরের হিন্দু পরিবারের ঘর বাড়ি আগুন দিয়া পোড়াইয়া দেয় যাহাতে বহু টাকার ক্ষতি হয়। আমরা দূরে বাগানের ভিতরে বসিয়া ১নং বিবাদী ও অন্যান্য বিবাদীদের নিয়া পাক সেনাদের উপস্থিতিতে আগুন দিয়া ঘর বাড়ি পোড়াইয়া ও লুটপাট করিয়া এবং আমাদের বাড়ির দেখাশুনা করার জন্য রাখা ইব্রাহীমকে নিয়া যায় যাহা আমরা নিজেদের চোখে প্রত্যক্ষ করি। আমাদের ঘটনা সত্য, বহু স্বাক্ষী প্রমান আছে। কারণ এই যে, ১নং বিবাদি সহ অন্যান্য বিবাদীগণ যুদ্ধাপরাধী হইতেছেন। তাহারা অন্যায়ভাবে আমার এবং আমার ভাইদের ঘর বাড়ি আগুন দিয়া পোড়াইয়া এবং ঘর বাড়ির মালামাল লুট পাট করিয়া নিয়া এবং আমাদের কাজের লোক ইব্রাহীমকে হত্যা করিয়া মারাত্মক অপরাধের কার্য্য করিয়াছে।
সেমতে প্রার্থনা হুজুর, আদালত দয়া প্রকাশে অত্র মোকদ্দমাটি গ্রহণ পূর্বক কার্য্য বিধি আইনের ১৫৬ (৩) ধারা মতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানাকে এজাহার হিসাবে গণ করার অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দানের মর্জি হয়।
ইতি-
তাং- ১২/৮/০৯ইং।
১২. বমিান বন্দর ২১(৬)১০
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
ঢাকা আšতর্জাতিক বিমান বন্দর থানা জি আর নং গ ৫২৬/১০ জেলা ডি, এমপি ঢাকা।
মামলা নং- ২১, ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ২৪/১১/২০০৬ ইং তারিখ সন্ধ্যা ১৯.৩০ ঘটিকা হইতে রাত ২১.৩০ ঘটিকা পর্যšত।
পেশ করার তারিখ ও সময়ঃ ৭/৬/১০, ১৬.২০ ঘটিকা।
ঘটনার স্থানঃ আর্টিশান সিরামিকস অফিসের তৃতীয় তলা। সড়ক নং- ০৭, বাড়ি নং- ১৬
সেকটর ৯, ঢাকা আšতঃ বিমানবন্দর, থানা জে এল নং ১০৬ থানা হইতে অনুমান ১ কিঃ মিঃ উত্তর দিকে।
থানা হইতে প্রেরণের তারিখ ও সময় ঃ ৮/৬/২০১০, ৯.০০ ঘটিকা।
বাদী ঃ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সামছুদ্দিন ছালেহ আহমেদ চৌধুরী পি পিএম বার, অফিসার ইনচার্জ ঢাকা আšতঃ বিমানবন্দর থানা ডি, এম, পি, ঢাকা।
আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ
১) মাহমুদুর রহমান সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা ঢাকা।
২) সহিদুল আলম সাবেক ডিজি বিয়াম সাবেক সচিব ঢাকা।
৩) আবুল কাইয়ুম সাবেক আই জিপি ও সাবেক সচিব, ঢাকা।
৪) মোঃ মজিবর রহমান সচিব, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা।
৫) এ, কে, এম, জাহাঙ্গীর মহা পরিচালক, ত্রান ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, ঢাকা।
৬) আবদুর রহমান তরফদার ইউ এন ও সাবেক সাভার জেলা ঢাকা।
৭) মোঃ জাকির হোসেন কামাল জেনারেল ম্যানেজার (পরিবহন) ঢাকা সিটি করপোরেশন ঢাকা।
৮) মোঃ আবদুল বারী নির্বাহি পরিচালক নতিয়া পুষ্টি প্রকল্প, ঢাকা।
৯) ডঃ আবদুল শবুর যুগ্ম সচিব মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, ঢাকা
১০) সালাহ উদ্দিন নাগরী এমডি সংস্থাপ মন্ত্রণালয় প্রাক্তন ইউ এনও সাভার, ঢাকা।
১১) আবদুল মতিন এমডি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ঢাকা।
১২) ডঃ জাকিরুল ইসলাম উপ সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা।
১৩) প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ ইকবাল ইন্সপেকটর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অব ইন্সপেকশন অবফ্যাক্টরিজ, ঢাকা।
১৪) সাজ্জাদ হোসেন ভুইয়া অরিরিক্ত কর কমিশনার কর্ম ভবন, ঢাকা।
১৫) কাজী ইমদাদুল হক, অতিরিক্ত কর কমিশনার করত বন, ঢাকাও
১৬) শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাস্থ্যও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
উল্লেখিত আসামীগণ সকলে তৎকালীন সময়ে কর্মরত অবসরপ্রাপ্ত ছিলেন।
ঃ ১২১- ক/১২৪- ক/১১৪ পেনাল কোড। পরস্পর প্রত্যক্ষ যোগসাজসে সরকার উচ্ছেদের লক্ষ্যে ও সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিজ মতাদর্শের জোটের পক্ষে আনার জন্য গোপন ষড়যন্ত্র মূলক বৈঠক করিয়া রাষ্ট্র দ্রোহিতা মুলক কর্মকান্ড করার অপরাধ।
মামলার ফলাফল ঃ স্বারক নং- স্বম (আইন- ১) / মঞ্জুরী ৫/২০০৭/৩২২৫ তাং- ৭/৬/২০১০ ইং মুলে সরকারী অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঢাকা আšতঃ বিমান বন্দর থানার জিডি নং- ১৮৯ তাং- ৮/৬/২০১০ এর প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে আমি নিজে বাদী হইয়া এ মামলা রুজু ও খতিয়ানে নোট করিলাম। বিলম্বের কারণ এজাহারে উল্লেখ করা হইল।
এস আই আজিজুর রহমান সরকার মামলাটি তদšত করিবেন।
স্বা/ মোঃ সামসুদ্দিন ছালহে আহামদ চৌধুরী, পিপিএম বার),
বিপি নং- ৬৫৮৯০০৮২৪৮
অফিসার ইনচার্জ ঢাকা আšতঃবিমানবন্দর , ডিএমপি ঢাকা।
৭/৬/২০১০
আমি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সামছুদ্দিন ছালেহ আহমেদ চৌধুরী পিপিএম, (বার) অফিসার ইনচার্জ ঢাকা আšতর্জাতিক বিমান বন্দর থানা ডি, এমপি ঢাকা মাননীয় উপ পুলিশ কমিশনার উত্তরা বিভাগ ডি, এমপি ঢাকা স্মারক নং- ৩৩৯৮ তাং- ৪/৬/১০ ইং এবং স্মারক নং ডি এমপি (সঃ দ) অপরাধ/ ৩-২০১০/অংশ- ১/৭৬৫৯ তাং- ৩/৬/২০১০ ইং স্মারক নং- স্বঃ মঃ পদঃ গোপনীয়/২০১০ তাং- ৩/৬/২০১০ ইং মুলে আদিষ্ট হইয়া ঢাকা আšতর্জাতিক বিমান বন্দর থানার ডিজি নং- ৯৮৯ তাং- ৪/৬/২০১০ ইং মুলে প্রাথমিক অনুসন্ধান করিয়া প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে অদ্য ৭/৬/২০১০ ইং তারিখ- ১৬০২০ ঘটিকার সময় নিজে বাদী হইয়া এই এজাহার দায়ের করিতেছি যে, উপরে উল্লেখিত স্মারক মুলে প্রাপ্ত গত- ১৮/১২/২০০৬ ইং তারিখ কৃষি সচিব জনাব এম আবদুল আজিজ, এন ডিপি এর নেতৃত্বে গঠিত তদšত কমিটি কর্তৃক দাখিল কৃত তদšত রিপোর্টের ছায়ালিপি পর্য্যালোচনায় দেখা যায় গত- ২৪/১১/২০০৬ ইং তারিখ উত্তরায় অবস্থিত জনাব মাহামুদুর রহমান (সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা) এর আর্টিশান সিরামিক অফিসে অবসর প্রাপ্ত ও তৎকালিন সময়ে কর্মরত সরকারী কর্মকর্তাদের এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত তদšত প্রবিবেদনটি অনুসন্ধ্যান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রাপ্ত হইয়া বর্ণিত বিষয়ে সর জমিনে অনুসন্ধ্যান করি। অনুসন্ধানকালে সাক্ষী
১) মোঃ কর্ণেল (অবঃ) আবদুল মালেক মোল্লা (৭০) পিতামৃত আঃ রহিম মোল্লা বাড়ি ১৬, রোড ০৫ সেকটর ৯ বিমান বন্দর, ঢাকা।
২) মোঃ আজিজুর রহমান (৪২) পিতামৃত আবদুল রব গোলজার ৭৭২ মধ্য সায়দাবাদ থানা দক্ষিণ খান, ঢাকা।
৩) মোঃ জহিরূল হক পিতামৃত আবদুল আওয়াল ৩৯৮ আশ কোনা থানা দক্ষিণ খান, ঢাকা।
৪) মোঃ বেলায়েত হোসেন (৩০) পিতা আবদুর রহমান সরকার, সাং বায়া ডাংগা (পশ্চিম পাড়া) থানা শ্রীবর্দি জেলা শেরপুর বর্তমানে দলি পাড়া মোঃ ৃ. মিয়ার বাড়ি রোড ৯/এ, বাড়ি নং ২০ থানা ৃ. ঢাকা।
৫) মোঃ সেলিম খান (৩৫) পিতামৃত আবদুল মোতালেব খান সাং চর বেনামারী থানাৃ জেলা ময়মনসিংহ বর্তমানে বাউনিয়া মতবর বাড়ি (আজম মাষ্টারের বাড়ি) থানা তুরাগ, ঢাকা।
৬) মোঃ ইসহাক আজাদ (৪২) পিতা হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম সাং ৃৃ.. বেপারী পারা থানা বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ বর্তমানে জসিম উদ্দিন কাচা বাজার থানা বিমানবন্দর, ঢাকা।
৭) হাজী মোঃ আক্তারুজ্জামান (৫২) পিতামৃত সুরুজ মিয়া ১২১ দক্ষিণ মোল্লার টেক থানা দক্ষিণ খান , ঢাকা।
৮) মোঃ হাবিবুর রহমান (৬০) পিতামৃত নসর উদ্দিন মন্ডল সাং ধানুয়া কামালপুর থানা বকসিগঞ্জ জেলা জামালপুর বর্তমানে বাড়ি ৯৬ রোড ০৭, সেকটার ৯ বিমান বন্দর ঢাকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তাহাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ব করি। তাছাড়া তদšত প্রতিবেদনে উল্লেখিত সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে নোটিশ প্রেরণ করি। আমার প্রাথমিক তদšেত সাক্ষী দের জিজ্ঞাসাবাদে গৃহীত জবানবন্দিও ঘটনার পারি পার্শ্বিকতা এবং ঘটনার পরপরই সরকার কর্তৃক গঠিত তৎকালিন কৃষি সচিব জনাব এম, আবদুল আজিজ, এন ডিপি এর নেতৃত্বে গঠিত তদšত কমিটির দাখিলকৃত তদšত প্রতিবেদন তদšত প্রতিবেদনে সংযুক্ত বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার পেপার কাটিং পর্য্যালোচনায় সুস্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, গত- ২৪/১১/০৬ ইং তারিখ সন্ধ্যা ১৯.৩০ ঘটিকা হইতে রাত ২১.৩০ ঘটিকার মধ্যে ঢাকা আšতর্জাতিক বিমান বন্দর থানাধীন ১ নং সেকটরস্থ ৭ নং রোডের ৯৬ নং বাড়িতে সাবেক জালানী উপদেষ্ট মাহামুদুর রহমানের আটিশান সিরামিক অফিসের চতুর্থ তলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলায় তৎকালিন সময়ে দেশ পরিচালনার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্বল চিত্তের হওয়ার সরকার ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলিয় জোটের পক্ষে এক তরফা ভাবে কাজ করিবে কিনা সেই ব্যাপারে সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের প্রতিপূর্ণ আস্থা রাখিতে না পারিয়া একটি রাজনৈতিক জোটের আস্থা ভাজন সমর্থক-
(১) সাবেক জালানী উপদেষ্টা মাহামুদুর রহামন
(২) সাবেক ডিজি বিয়ামও সাবেক সচিব শহিদুল আলম
(৩) সাবেক আই ডিপি ও সচিব আবদুল কাইয়ুম গণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক ঘোষিত ২২ জানুয়ারী/২০০৭ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল যাহাতে কোনভাবেই চার দলীয় জোটের হাত ছাড়া না হয় সেই লক্ষ্যে সম¯ত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল চারদলীয় জোটের অনুকূলে আনার জন্য উল্লেখিত অফিসে-
(৪) মোঃ মজিবুর রহমান সচিব ঢাকা সিটি করপোরেশন ঢাকা।
(৫) এ, কে, এম, জাহাঙ্গীর মহাপরিচালক ত্রানও পুনর্বাণ অধিদপ্তর, ঢাকা।
(৬) মোঃ আবদুর রহমান তরফদার সাবেক ইউ এনও সাভার, জেলা ঢাকা।
(৭) মোঃ জাকির হোসেন কামাল জেনারেল ম্যানেজার (পরিবহন) ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা।
(৮) মোঃ আবদুল বারী নির্বাহি পরিচালক জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প, ঢাকা।
(৯) ডঃ আবদুল সবুর যুগ্ম সচিব মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, ঢাকা।
(১০) সালাহ উদ্দিন নাগরী এম ডি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রাক্তন ইউএন ও সাভার, জেলা ঢাকা।
(১১) আবদুল মতিন এ্রমডি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (উপ সচিব) ঢাকা।
(১২) ডঃ জাকিরুল ইসলাম উপ সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা।
(১৩) প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ ইকবাল ইন্সপেকটর ইঞ্জিরিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অব ইন্সপেকশন অব ফ্যাক্টরিজ এন্ড এ্যাস্টাবলিষ্টমেন্ট, ঢাকা।
(১৪) সাজ্জাদ হোসেন ভুইয়া অতিরিক্ত কর কমিশনার কর ভবন, ঢাকা।
(১৫) কাজী ইমদাদুল হক অতিরিক্ত কর কমিশনার কর ভবন, ঢাকা।
(১৬) সরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঢাকা গণদের দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেন। উল্লেখিত সাবেক জালানী উপদেষ্টা মাহামুদুর রহমান সাবেক ডিজি বিয়াম সচিব শহিদুল আলম সাবেক আই ডিজিও সচিব আবদুল কাইয়ুম গণ ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকের মূল পরিকল্পনাকারী এবং অন্যান্য (ক্রমিক নং- ৪ হইতে ৯৬ পর্যšত)
সরকারী কর্মকর্তা গণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় প্রক্রিয়ার সংগে কোন না কোনভাবে সংযুক্ত ছিল বিধায় তাহারা চার দলিয় জোট সরকারের মতাদর্শের হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশে নিয়োজিত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করিয়া ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে যে কোনভাবে চারদলীয় জোট সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা তৈরীর লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকে মিলিত হয় বলিয়া প্রতীয়মান হয় ।
উক্ত গোপন বৈঠকের সংবাদ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার লোকজন জানিতে পারিয়া উল্লেখিত আর্টিশান সিরামিক অফিসের সামনে জড় হইয়াছে টের পাইয়া মিটিং এ থাকা উল্লেখিত আসামীগণ তড়িঘড়ি করিয়া অফিস হইতে বাহির হইয়া কেহ হাতদ্বারা মুখ ঢাকিয়া কেহ নিজের গাড়ি কিংবা অন্যের গাড়িতে উঠিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঐ দিন টিভির বিভিন্ন চ্যানেলে ও পরদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ছবি সহ উক্ত সংবাদ প্রকাশিত হয় । ইহা ছাড়া আমার প্রকাশ্য ও গোপনীয় তদšেত আরো জানা যায় যে, প্রয়োজনবোধে তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চারদলীয় জোটের পক্ষে কাজ না করিলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘœ সৃষ্টি করতঃ সাংবিধানিক শূণ্যতাসৃষ্টি করিয়া দুর্বলচিত্রের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত ইয়াজ উদ্দিন সরকারকে উৎখাত করিয়া তার স্থলে আসামীদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগ কিংবা অন্য কোন পন্থায় চার দলিয় জোটকে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার জন্য ষড়যন্ত্র মূলক গোপন বৈঠক করে। তাহাদের এহেন কর্মকান্ডের ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি সহ জন মনে সরকারের প্রতি ঘৃনা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান ছিল। যাহা সরকারের চলমান স্বাভাবিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রমূলক কাজ ও রাষ্ট্র দ্রোহিতার সামিল। অনুসন্ধ্যানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও তদšত কমিটি কর্তৃক তদšত ফলাফলের আলোকে দেখা যায় উল্লেখিত আসামীগণ পরস্পর প্রত্যক্ষ যোগ সাজশে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল যে কোন মুল্যে প্রভাবিত করিয়া প্রয়োজন বোধে তত্ত্বঃবধায়ক সরকার উৎখাত করতঃ দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করিয়া পছন্দ সই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানকরত ঃ ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল তাহাদের সমর্থিত চারদলীয় জোটের অনুকূলে আনিয়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার অভিপ্রায়ে ষড়যন্ত্র মূলক গোপন বৈঠকে মিলিত হইয়া পেনাল কোডের ১২১-ক/১২৪-ক/১১৪ ধারার অপরাধ করিয়াছে বিধায় আসামীগণের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার জন্য ফৌ কাঃ বিঃ আইনের ১৯৬ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্মারক নং- বিমান বন্দর / ২৮১১/২০১০/ ডি এম পি ঢাকা তাং ৫/৬/২০১০ ইং মূলে সদাশয় সরকারের অনুমোদন প্রার্থনা করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- স্বম- (আইন- ১/ মঞ্জুরি/৫/২০০৭/৩২২৫ তাং- ৭/৬/২০১০ ইং মোতাবেক অনুমোদনপ্রাপ্ত হইয়া আসামী
১) মাহামুদুর রহমান সাবেক জালানী উপদেষ্টা ঢাকা
২) শহিদুল আলম সাবেক ডিজি বিয়াম ও সাবেক সচিব, ঢাকা।
৩) আবদুল কাইয়ুম সাবেক আই জি পি ও সাবেক সচিব, ঢাকা।
৪) মোঃ মজিবর রহমান সচিব ঢাকা সিটি করপোরেশন ঢাকা।
৫) এ, কে, এম, জাহাঙ্গীর মহাপরিচালক ত্রানও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, ঢাকা।
৬) আবদুর রহমান তরফদার সাবেক ইউ এনও সাতার, ঢাকা।
৭) মোঃ জাকির হোসেন কামাল জেনারেল ম্যানেজার (পরিবহন) ঢাকা সিটি করপোরেশন ঢাকা।
৮) মোঃ আবদুল বারী নির্বাহি পরিচালক জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প ঢাকা।
৯) ডঃ আবদুল সবুর যুগ্ম সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ঢাকা।
১০) সালাহ উদ্দিন নাগরি এমডি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় প্রাক্তন ইউএনও সাভার, ঢাকা।
১১) আবদুল মতিন ওএমডি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (উপ সচিব) ঢাকা।
১২) ডাঃ জাকিরুল ইসলাম উপ সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা।
১৩) প্রকৌশলী সোহেল মাহামুদ ইকবাল ইন্সপেকটর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অব ইন্সপেকশন অব ফ্যাক্টরীজ এ্যাস্টার নিষ্ট ম্যাস্ট ঢাকা।
১৪) সাজ্জাদ হোসেন ভুইয়া অতিরিক্ত কর কমিশনার করভবন, ঢাকা।
১৫) কাজী ইমদাদুল হক অতিরিক্ত কর কমিশনার কর ভবন, ঢাকাও।
১৬) শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌঃ সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ঢাকা গণের বিরুদ্ধে-
উল্লেখিত ধারামতে নিয়মিত মামলারজু করার নিমিত্তে অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম। উক্ত ঘটনা সংক্রাšেত সরকার কর্তৃক গঠিত তদšত কমিটির তদšত প্রতিবেদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ও নির্দেশ ক্রমে অনুসন্ধ্যান কার্য সমাপ্ত করিয়া সরকারী অনুমোদন গ্রহণ করত ঃ এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
স্বা/ মোঃ সামসুদ্দিন ছালেহ আহমদ
চৌধুরী পিপিএম, (বায়)
বিপি নং- ৬৫৮৯০০৮২৪৮
পুলিশ পরিদর্শকও অফিসার ইনচার্জ
ঢাকা আšতঃ বিমান বন্দর থানা
পি, এমপি ঢাকা।
তাং- /এ/৬/২০১০ ইং
১৩. পল্টন ৪৬ (৬)১০
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী
জি, আর নং- ৩২৫/১০
থানা- পল্টন মডেল, জেলা- ডি এম পি ঢাকা।
মামলা নং- ৪৬, ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ৩০/০৬/২০১০ইং, তারিখ অনুমান ১৮.০৫ ঘটিকা।
পেশ করার তারিখ ও সময়ঃ- ৩০/০৬/২০১০, ২০.৫০।
ঘটনাস্থল ঃ- পল্টন থানাধীন কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রাšেত মেইন রা¯তার উপর।
থানা হইতে দুরত্ব অনুমান ০১ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে। ওয়ার্ড নং- ৩৬ বিট নং- ম্ফম্ফমতিঝিল পুলিশ ফাড়ী।
থানা হইতে প্রেরণের তারিখ ঃ- ০১/০৭/২০১০।
অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা ঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম, এস.আই. মহিঝিল থানা ডি এম পি, ঢাকা।
আসামীর নাম ও ঠিকানা ঃ (১) জয়নাল আবেদীন (৩০), (২) সাইফুল ইসলাম (২৩), (৪) মোঃ হামিদুর রহমাম আজাদ, সেক্রেটারী জেনারেল উভয়ই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগর, ঢাকা। (৫) মোঃ রেজাউল করিম, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটি, (৬) খন্দকার আঃ রব, ৩৬ নং ওয়ার্ড কমিশনারের ঢাকা সহ অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
ধারা- ১৪৪/১৪৮/১৪৯/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/১০৯ পি সি বে-আইনী জনতা বদ্ধ হইয়া রা¯তায় যানবাহন ও জনগনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিয়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার অপরাধ।
মামলার ফলাফল ঃ বাদী লিখিত অভিযোগ থানায় প্রাপ্ত হইয়া কর্তব্যরত অফিসার হিসাবে থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেবের নির্দেশে অত্র মামলা রঞ্জু করিলাম।
থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটি খতিয়ানসহ তদšেতর ব্যবস্থা করিবেন।
স্বা ঃ মোঃ নাসির উদ্দিন
পি এস আই
পল্টন মডেল থানা ঢাকা।
তাং- ৩০/৬/১০
ডিউটি অফিসার
পল্টন মডেল থানা
ডি এম পি ঢাকা।
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
পল্টন মডেল থানা
ডি এম পি ঢাকা।
বিষয়- এজাহার।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি এস আই মোঃ নাজমুল ইসলাম মতিঝিল থানা ডি এম পি ঢাকা। ধৃত আসামী (১) জয়নাল আবেদীন (৩০), (২) সাইফুল ইসলাম (২৩) কে পল্টন মডেল থানা লিক্স ৫২ কল সাইনধারী মোবাইল টিম এর মাধ্যমে থানায় হাজির করিয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি অদ্য ৩০/৬/১০ইং তারিখে স্বারক নং- ১৭৭৫ (৭০) ডি সি মতিঝিল তারিখ ২৯/৬/১০ইং মোতাবেক ইংরেজি ৩০ জুন/২০১০ তারিখ মতিঝিল বিভাগে আইন শৃংখলা রক্ষার্থে বিশেষ নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থায় সকাল ০৮.০০ ঘটিকায় পল্টন থানাধীন কালভার্ট রোডে পশ্চিম প্রাšেত ১ কল সাইন মুলে পি ও এম দক্ষিণ বিভাগের ১৪ (চৌদ্দ) জন সংগীয় ফোর্সসহ মোতায়ন হই। অতপর বিকাল অনুমান ১৮.০৫ ঘটিকায় আসামী (৩) মোঃ রফিকুল ইসলাম, সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়ত ইসলামী, ঢাকা মহানগর (৪) মোঃ হামিদুর রহমান আজাদ, সেক্রেটারী জেনারেল, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী, ঢাকা মহানগর (৫) মোঃ রেজাউল করিম, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটি (৬) খন্দাকার আঃ রব পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ২৯/১ পুরানা পল্টন ৮ম তলা ৩৬নং ওয়ার্ড কমিশনারদের নেতৃত্বে ৩৫০-৪০০ জন লোকের ১টি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় হইতে শুরু করে কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রাšত দিয়ে প্রবেশের সময় রা¯তায় চলমান লোকজন ও যান বাহনের প্রতিবন্ধকতা সষ্টি করে। ঐসময় আমি সংগীয় ফোর্সসহ তাহাদেরকে অত্র যানবাহন চলাচলের পথ স্বাভাবিক করার জন্য উল্লিখিত নেতা কর্মীদেরকে দ্রুতমূলক সড়ক হইতে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তাহারা আমার কথা কোন রুপ কর্নপাত না করে রা¯তার উপর দাড়িয়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন প্রকার ¯েলাগান দিতে থাকে। আমি তাহাদেরকে বার বার রা¯তা থেকে সরিয়ে যাওয়ার জন্য বলিলেও তাহারা রা¯তা থেকে না সরে পুলিশের উপর মারমুখি আচরণ করে। এক পর্যায়ে উপরোক্ত আসামীগণ সহ বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ও ইহার অংগ সংগঠন এর অজ্ঞাতনামা ৩৫০/৪০০ নেতা পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করে কর্ম হাতে লাঠি ও ইট নিয়ে বে-আইনীভাবে দলবদ্ধ হইয়া আমি ও আমার সংগীয় ফোর্সের উপর এলোপাতাড়ী ইট পাটকেল মারতে থাকে। তাহাদের ইটের আঘাতে আমিসহ সংগীয় কয়েকজন ফোর্স শরীরের বিভিন্ন স্থানে সামান্য জখম প্রাপ্ত হই। আমি সংগীয় ফোর্সসহ আইন শৃংখলা ও রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ঘটনাস্থল হইতে (১) মোঃ জয়নাল আবেদীন (২) সাইফুল ইসলাম দেরকে গ্রেফতার করি। অপরাপর আসামীগণ পুলিশের দিকে ইট পাটকেল মারিতে মারিতে নাইট এঙ্গেল মোড় এবং সেগুন বাগিচার দিকে চলিয়া যায়। আসামী (১) মোঃ জয়নাল আবেদীন (২) সাইফুল ইসলাম (৩) মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪) মোঃ হামিদুর রহমান আজাদ (৫) মোঃ রেজাউল করিম (৬) মোঃ আঃ রব গণ সহ বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলামী ও ইহার অংগ সংগঠনের ৩৫০/৪০০ জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী বে-আইনী জনতা বন্ধ হইয়া রাস্তায় যান বাহন ও লোক চলাচলের প্রতি বদ্ধকতা সৃষ্টি করিয়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দান ও ইট পাটকেল মারিয়া আহত করিয়া পেনাল কোডের ১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/১০৯ ধারায় শা¯িতযোগ্য অপরাধ করিয়াছে। আমি উল্লিখিত ঘটনা নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় এজাহার দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।
অতএব, উল্লেখিত বিষয়ে নিয়মিত মামলা রজু করিয়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয়।
বিনীত,
স্বাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম
এস আই
মতিঝিল থানা, ডি এম পি ঢাকা।
তাং- ৩০/৬/১০ইং
তথ্যসূত্র:
Click This Link
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৪
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: যে হারে সব উদাও হচ্ছে, কোনদিন দেখবেন এসব নথিও উদাও হয়ে গেছে। তাই এখানে রেখে দিলাম, এই আর কি।
আপনার মতো অন্য কেউও যদি বুড়া হতে চায়!
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৫
আমি মেহমান বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো!
এই রখম রহস্য সম্ভার থাকলে আর কোন নবেল নাটকের প্রয়োজন হবেনা বলে আমার বিশ্বাস!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০০
জাহিদ১১মে বলেছেন: ভাই, শুধু শুধু এত কস্ট কেন করেন বলেন তো। পড়তে পড়তে তো বুড়া হয়ে যাব।