নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারকে (মন্ত্রীদের) একহাত নিতে যেমন লাগে....

০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৭



আজ এই দুঃসাহসিক কাজটিই করলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের কত বাড়ি আর অফিস দরকার তা জানতে চেয়েছেন তিনি। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন।



কাজী ফিরোজ রশিদ চিফ হুইপকে প্রশ্ন করে বলেন, চিফ হুইপ যে চার-পাঁচটি বাড়ি দখলে রেখেছেন তা তিনি বলেন নি। তিনি কয়টি বাড়ি কোথায় কোথায় দখলে রেখেছেন তা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। আরো কোথায় আছে কে জানে। এখন তিনি (চিফ হুইপ) কি বলতে চান। যদি আপনি করে থাকেন তাহলে সঠিক কাজ করেন নি।



কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, একটি গরিব দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা এভাবে অপব্যয় করবেন তা হতে পারে না। আপনার (চিফ হুইপের) কত বাড়ি, কত অফিস দরকার। আপনি জায়গায় জায়গায় বাড়ি নেবেন আর খানকা শরীফ খুলবেন, তাতে জনগণ মোমবাতি জ্বালাবে তা তো হতে পারে না।





বাজেট নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজেট দেওয়ার পর বিরোধীদল বাইরে গিয়ে বলবে, বাজেট উচ্চাভিলাসী হয়েছে। হরতাল দেয়। সরকারি দল বলবে ভালো বাজেট হয়েছে। আমরা বিরোধীদল হিসেবে কোনো হরতাল দেইনি। তবে বাজেট যদি বাস্তবসম্মত না হয় তাহলে দীর্ঘ ৪৩ বছরের অভিজ্ঞতায় যা হয়েছে আমরাও তাই করবো।

ব্যাংক খাতের বরাদ্দ সম্পর্কে তিনি বলেন, দিনে দুপুরে একের পর এক ব্যাংক ডাকাতি হয়ে ফতুর হয়ে যাচ্ছে। বেসিক ব্যাংকের ডাকাতির পরও চেয়ারম্যান বহাল তবিয়তে। এভাবে ব্যাংকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনায় অর্থমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে। এসব ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট দেখার কথা বাংলাদেশ ব্যাংকের।





বাংলাদেশের অসাধু কর্মকর্তা, ব্যাংকের পর্ষদ যোগসাজশে এসব লুটপাট করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মিথ্যা এলসি দেখিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা নিচ্ছে, তবুও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

অর্থমন্ত্রীকে এগুলোর জন্য একদিন জবাব দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন রশিদ। দুদককে অর্থ বরাদ্দ, জনবল দিয়ে তা তদন্ত করে বের করার সুযোগ দিতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি।



শেয়ারবাজারে সরকার ও তৎকালীন বিরোধীদলের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। কিন্তু তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। যে দুষ্ট লোকদের আপনি (অর্থমন্ত্রী) সাজা দিতে চেয়েছেন তারা আজও বহাল তবিয়তে।



৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর কথা উল্লেখ করে ফিরোজ রশিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করলো, পথে বসে গেল। কিন্তু কারো বিচার হয়নি। সরকার না বিচার করলেও আল্লাহ তাদের বিচার করবে।





ইন্টার্নি চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের মারামারি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান তিনি।





ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের টাকা নিয়ে জনগণের কোনো কাজ করে না। তাদের কাজ হলো নিজেরা হজে যাওয়া ও আত্মীয় স্বজনদের হজে পাঠানো। এদের কোনো ভালো কাজই নেই।





জনগণের জন্য বরাদ্দ দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পিয়নরা দুই থেকে তিনবার হজ করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।



তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশের বহু আলেম ওলামা আছেন যারা অর্থের অভাবে জীবনে একবারও হজ করতে পারেন না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী হজের টাকার অব্যবহার করেন।





সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (মহীউদ্দীন খান আলমগীর) সমালোচনা করে ফিরোজ রশিদ বলেন, তিনি একজন বিদ্বান ব্যক্তি। নামের আগে ডক্টরেট ডিগ্রি আছে। তিনি একজন ডিসিকে ১২টি হত্যা মামলার আসামিকে একটি রিভলবারের লাইন্সেস দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১০ বছর কারাগারে থাকার পর তিনি তাকে খালাস তো করেই দিয়েছেন। আবার তাকে রিভলবার দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ধরনের নির্দেশ যেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী না দেন।





বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সব পাটকল, জায়গা বিক্রি হয়ে গেছে। এত বিক্রির পরও কেন এত ঘাটতি।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে ফিরোদ রশিদ বলেন, তিনি বাংলার ছাত্র বলে সাহিত্য ভালো লেখেন।





চট্টগ্রাম সমিতিকে জায়গা দেওয়ার ব্যাখ্যায় উনি লিখেছেন, চট্টগ্রামের মেজবান আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছেন। চট্টলা কন্যার পানি পান করিয়াছি বিধায় আমি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ চট্টলা সমিতিকে দিয়াছি।





গোপালগঞ্জবাসীর দূর্ভাগ্য বলে জমি পায়নি। গোপালগঞ্জে খালে-নদীতে অনেক জল আছে। পাটমন্ত্রী যদি গোপালগঞ্জ থেকে পানি গ্রহণ করতেন তাহলে আমরাও মতিঝিলে প্লট পেতাম।





বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে ফিরোজ বলেন, বন ও নেই পরিবেশও নেই। লুটপাটের এক স্বর্গ রাজ্য। ইটভাটা করে সব পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর বন কেটে হয়ে যাচ্ছে উজাড়। সুন্দরবনে হরিণ না থাকলেও নিয়ম বর্হিভূতভাবে কর্মকর্তাদের বাড়িতে হরিণের খামার আছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

পংবাড়ী বলেছেন:

" "
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশের বহু আলেম ওলামা আছেন যারা অর্থের অভাবে জীবনে একবারও হজ করতে পারেন না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী হজের টাকার অব্যবহার করেন। "

-যে লোক এসব বালছাল বলে, সে কাজের লোক নয়। সে কিছু সমস্যার কথা বলেছে, যা সবাই জানে; সাংসদ হিসেবে, সে কি সমাধান খুঁজছে?

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৪

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: তার কিছু করতে পারার অবস্থান আমি আপনি সবাই জানি।
দলীয় মতাদর্শ থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন, এই কথাগুলো বলার মানুষেরও অভাব রয়েছে ভাই।

২| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৬

রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: ভালো দুঃসাহসী মানুষ দরকার।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫১

শ্লোগান০০৭ বলেছেন: ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর কথা উল্লেখ করে ফিরোজ রশিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করলো, পথে বসে গেল। কিন্তু কারো বিচার হয়নি। সরকার না বিচার করলেও আল্লাহ তাদের বিচার করবে।............। কি আর বলব....। উত্তর এখানেই আছে

৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

নামগোত্রহীন বলেছেন: তবুতো তিনি বলেছেন। বলার জন্য অন্তত তাকে ধন্যবাদ দিন। বলার লোকেরই বড় অভাব এই জামানায়। আপনি খুঁজছেন করার লোক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.