![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার সময় কিছুই মনে আসে না। আর কোন কিছু মনে হলে সেটা লেখা হয়ে ওঠে না। পড়তে থাকি, এক সময় হয়ত লিখতেও পারব...
তখন সবেমাত্র এইচ. এস. সি শেষ করেছি। ফার্মগেটে কোচিং করা ছাড়া আর কোন কাজ কাম করি না। মোটামুটি রিলাক্স মুডেই দিনকাল কাটাচ্ছি। কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া বাবদ যা টাকা পেতাম তা থেকেই হাত খরচ চালাচ্ছি। তো যাই হোক, হঠাৎ আমার এই গা ছাড়া রিলাক্স মুড পর্যবেক্ষন করে এলাকার এক বড় ভাই একদিন ডেকে বললেন উনার এক রিলেটিভের বাচ্চাকে প্রাইভেট পড়াতে হবে। এলাকার বড় ভাই বলে কথা, আমিও আর না করতে পারলাম না। একদিন বিকালে আমাকে তিনি নিয়ে গেলেন ওই বাসায়। আন্টির সাথে কথা হলো, যাকে পড়াবো সেই ছেলেটি স্ট্যান্ডার্ড ফাইভে পড়ে, ওর সাথেও কথা হলো। সেদিন চলে এলাম ভাইয়ের সাথে। তিনি জানালেন আমাকে মাসে ৩০০০ টাকা করে দেয়া হবে। যদিও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের স্টুডেন্ট হিসেবে এই টাকা বেশ কম, তবুও আমি কিছু বললাম না-এলাকার বড় ভাইয়ের আত্মীয় বলে কথা! তো আমার সুবিধামতো দিন থেকে পড়ানো শুরু করলাম। প্রথমে কথা ছিল পড়াবো সপ্তাহে তিন দিন করে। কয়েকদিন পর আন্টি এসে বললেন, 'বাবা আমার ছেলেটাতো বেশ দূর্বল, ওকে আরেকটা দিন বেশি সময় দিতে পারবে?' বেচারী এমনভাবে বললেন, আমি কথাটা ফেলতে পারলাম না, আর ওনার মুখের উপর না করি কিভাবে। আমার প্রাইভেট পড়ানোর অভিজ্ঞতাও তেমন যে নেই, এই কথাও তিনি মনে হয় টের পেয়ে গিয়েছিলেন। এই সুবাদে আমাকে দিয়ে কোনো কোনো সপ্তাহে পাঁচ দিনও পড়িয়ে নিয়েছিলেন। আমিও বলদের মতো এক ঘন্টার যায়গায় কখনো ২/৩ ঘন্টাও পড়াতাম!!! পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তিনি এসে সুখ-দু:খের আলাপও করতেন আমার সাথে। এদিকে আমার স্টুডেন্ট ক্লাস টিউটোরিয়াল গুলোতেও ভালো মার্কস পেলো। টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার শুরুর আগে আন্টি এসে রিকোয়েস্ট করলেন প্রতি পরীক্ষার আগের বন্ধের দিন আমি যেন সকাল বিকাল দুইবার আসি!!! এ কথা শুনে আমার টনক নড়ল, মনে মনে ভাবলাম 'এই বেটি কয় কি!!!' মুখে বললাম আন্টি আমি একটু ব্যাস্ত থাকি তো সকালে আসতে পারব না। তাও উনি রিকোয়েস্ট করতেই থাকলেন, বাধ্য হয়ে একদিন সকাল-বিকাল দুইবার গেলামও। এদিকে আমার এডমিশন টেস্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে তাই আমি দেখলাম এখন আর প্রাইভেট পড়ানোর মতো সময় পাব না, তাই একদিন আন্টিকে ডেকে বললাম অন্য আরেকজন টিউটর ম্যানেজ করতে। তিনি তো নাছোড়বান্দা!! আমাকে কোনোমতেই ছাড়বেন না। তারপরও আমি অনেকগুলো কারন দেখানোর পর মোটামুটি রাজি হলেন। তো এভাবে এক মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত পড়ালাম। এরপর উনি বললেন যে স্কুলের একজন টিচার ওকে পড়াতে রাজি হয়েছেন। আমি হাফ ছেড়ে বাচঁলাম। ভর্তি পরীক্ষার ফরম তোলা, জমা দেয়া, পরীক্ষা দেয়া ইত্যাদি কাজে আমি ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। এরমধ্যে উনি আর ফোন-টোন দেন নি। শেষ যে মাসে পড়িয়েছিলাম, সে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত পড়ালাম...আমিতো অর্ধেক মাসের টাকা হলেও পাই...ভেবেছিলাম আন্টি নিজে থেকেই ফোন করে ডেকে টাকাটা দিবেন, কিন্তু উনারতো কোন খবরই নাই। হাতও খালি ছিল, তাই নিজে থেকেই একদিন ফোন দিয়ে স্টুডেন্টের খবর নিলাম, যদিও টাকা পয়সার ব্যাপারে লজ্জার কারনে কোন কথা বলি নি...অবাক হয়ে দেখলাম ভদ্রমহিলাও কোন কথা বললেন না এ ব্যাপারে
। একদিন লজ্জার মাথা খেয়ে ফোন করে বলেই ফেললাম। উনি শুনে এমনভাব দেখালেন যেন তিনিও ভুলে গিয়েছিলেন, তাকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আমাকে থ্যাংকস দিলেন আর বললেন বিকালে যেন বাসায় যাই। আমি খুশি মনে গেলাম সন্ধ্যার আগ দিয়ে
। নাস্তা খেতে দিলেন। কিছুক্ষন গল্প করলেন। এরপর একটু ভিতরে গিয়ে আবার এসে আমার হাতে কিছু(টাকা) ধরিয়ে দিলেন। এর আগেও উনি আমাকে এভাবেই বেতন দিতেন। আমি সেটার দিকে না তাকিয়েই পকেটে রেখে দিতাম। আমাকে গুনে নিতে বললেও আমি এই ব্যাপারগুলোতে বেশ লাজুক হওয়ায় কখনোই ওই কাজ করতাম না। তো সেদিনও পকেটে রেখে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। ভাবলাম অর্ধেক মাসের টাকা হলেও তো আমাকে ১৫০০ টাকা দেয়ার কথা। টাকা দেয়ার সময় যেহেতু উনি বলেছিলেন যে, উনার একটু সমস্যা ছিল তাহলে কম করে হলেও তো ১০০০ টাকা দিয়েছেন। রাস্তায় এসে সন্ধ্যার পর রাস্তার আলোতে পকেট থেকে বের করে দেখলাম সেখানে ১০০ টাকার ২টা নোট আর ৫০ টাকার ১টা নোট!!! মানে ২৫০ টাকা!!! আমি তো পুরাই হতভম্ব
...নিজেই প্রচন্ড লজ্জা পেলাম...যতদিন অন সার্ভিসে ছিলাম ততদিন পুরাই ভালো আর পড়ানো শেষ খাতিরও শেষ!!! যাই হোক আমি এই কাহিনী পড়ে আর কারো সাথে শেয়ার করার সাহস পাই নি। এমনকি এলাকার ওই বড় ভাইয়ের সাথেও না। আজকে লজ্জার মাথা খেয়ে বেশ সাহস করে আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম!!!
পুনশ্চ: পুরো ঘটনাটিতেই আন্টির কথা এসেছে, আঙ্কেলের কথা না আসার কারন হলো তিনি চাকরি নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় তার সাথে আমার খুব কমই দেখা হতো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুম...তাইতো দেখলাম....
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪০
নিরব সাক্ষী বলেছেন: আশা করি আপনি পুন: পুন: এইরুপ অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭
নীলসমুদ্র বলেছেন: নারে ভাই....এই আশা কইরেন না পিলিজ....
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪০
রাজসোহান বলেছেন: যাক, মোবাইল খরচ তো উঠসে
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮
নীলসমুদ্র বলেছেন: তা বটে, তা বটে....
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৪
বালক বন্ধু বলেছেন: মহিলা বলে কথা!!!
আপনার জন্য দুঃখই হল।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০১
নীলসমুদ্র বলেছেন: আমার জন্য দু:খ পাইলেন ভাই? আপনারে কি বইলা যে ধন্যবাদ জানাই....
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৯
বোকা বালিকা বলেছেন: া হা আমার এক ছাত্রী আমাকে টাকা নিয়া ঘুরাইছিল কারন তারে চুল রিবন্দিং করতে হ্যছিল
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: আহ্ হারে...আপনেও ঘোরাঘুরির দলে...
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫০
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: চরম অভিগ্গতা দেখি
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: হ রে ভাই...ব্যাপক অভিজ্ঞতা...
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৫
অণুজীব বলেছেন: নিরব সাক্ষী বলেছেন: আশা করি আপনি পুন: পুন: এইরুপ অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৭
নীলসমুদ্র বলেছেন: নারে ভাই....আপনেও এই আশা কইরেন না পিলিজ....পিলিজ......
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮
ঘুমবিলাসী বলেছেন: মনে কষ্ট রাইখেন না। আমার তো ভাংগা মাসে ২০০ টাকার অভিজ্ঞতাও হইছিল
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৯
নীলসমুদ্র বলেছেন: যাক, সত্যিই কষ্ট একটু কমল...আমার দলে একজনরেতো পাইলাম....
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০১
মনে নাই বলেছেন: যাক কি আর করা, আমাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আপনার বুকটা নিশ্চয়ই হালকা লাগছে, এইটাই শান্তি। এইরকম একটা কাহিনী না হলে কি বলতেন আজকে!!!!!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১২
নীলসমুদ্র বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন....এইটাই শান্তি....
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৩
সািময়া রুপন্তি বলেছেন: ইসসস!!!!! এক কাজ করেন ভাইয়া, আবার আরেকদিন ছাত্রের খবর নিতে ফোন করেন। তারপর কথায় কথায় বলেন,"আন্টি, ওই যে আমি পড়িয়েছিলাম, আমাকে কিন্তু ১৫০০ টাকা দেয়ার কথা ছিল। আপনার মনে হয় সমস্যা ছিল, তাই ২৫০ টাকা দিয়েছিলেন। তো, বাকিটা..!"
খুবই লজ্জা লাগবে বলতে, জানি, কিন্তু বলে না, "শঠে শাঠ্যমঃ....!"
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৬
নীলসমুদ্র বলেছেন: খাইচ্ছে!!! বুদ্ধিটা খারাপ না...কিন্তু এবার যদি ৫০ টাকার দুইটা নোট হাতে ধরাইয়া দেয়???!!!
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১১
khairun বলেছেন: যা পেলেন শুকরিয়া
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৮
নীলসমুদ্র বলেছেন: শুকরিয়া...
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১২
আলফা-কণা বলেছেন: bhy, apni poladare mjh pothe kemne chaira dilen,,,,,,,apnar kosto hoyle o reponsibilities neya uchit cilo, apne koren nai,,,apnare ek poisa o deya uchit na,,,ulta apnar jorimana kora uchit,,,,teaching kono sadaron pesha na,,,,,hat khorocher laiga ja ta abol tabol porabennn,,,,apnar kaj shes hoiya gele chaira diben,,,manlam apnere duibela koyche pory te ,,,,apni strick thakle,,,kokhono e student er maa, apnere dui bela porate bolbto na,,,anyway,,,,apni student ta quit kore gorhitu kaj korchen,,,,,apnera jara haat khorocher lkaiga student poran, apnego moto teacher er jonnoo e society te kono kaj hoy na,,,,,are bhy,,,ek ghonta dui ghonta ki jinish,,,,,,apnar jodi teaching a passion na thake apni sedike jaben na,,,,,,dekhlam polapyne a apenere safay dilu abar,,,,,anywaym,,,,,dont play with teaching
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩১
নীলসমুদ্র বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো...কিন্তু কিছু ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার। আপনি আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়েছেন কিনা আমি জানি না। আমি স্টুডেন্টটিকে ছেড়ে দেয়ার কারন হিসেবে বলেছি..... "এদিকে আমার এডমিশন টেস্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে তাই আমি দেখলাম এখন আর প্রাইভেট পড়ানোর মতো সময় পাব না, তাই একদিন আন্টিকে ডেকে বললাম অন্য আরেকজন টিউটর ম্যানেজ করতে।"...
আর আপনি যে বললেন, মাঝপথে ছেড়ে দেয়ার কথা, আমি সেটাও করি নি, আমি পড়ানো কন্টিনিউ করেছিলাম, আন্টি নতুন টিচার ম্যানেজ করে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন যে উনি ২০ তারিখ থেকে পড়ানো শুরু করবেন। তাহলে আপনিই বলেন আমি কিভাবে মাঝপথে ছেড়ে দিলাম? নতুন টিচার না পেলে আমি পুরো মাসই পড়াতাম। তাই 'hat khorocher laiga ja ta abol tabol porabennn,,,,apnar kaj shes hoiya gele chaira diben'- এই কথাটির সাথে দ্বিমত পোষন করছি।
আর টাকার জন্য পড়ালে আমি নিজেই প্রোফেশনালি স্টুডেন্ট ম্যানেজ করতাম, এলাকার বড় ভাইয়ের চাপে পড়ে পড়াতাম না। তবে আপনার এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরি একমত...'don't play with teaching'--এবং সবাইকেই আমি তা বলি।
মন্তব্য করার আগে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯
সািময়া রুপন্তি বলেছেন: "খাইচ্ছে!!! বুদ্ধিটা খারাপ না...কিন্তু এবার যদি ৫০ টাকার দুইটা নোট হাতে ধরাইয়া দেয়???!!!"
আমার ক্রিয়েটিভ মাইন্ডে এ প্রশ্নের কোনো জবাব নেই.....!!!!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: জবাব চাই....একটু মজা করলাম আর কি...আসলে ঘটনাটা অনেক দিন আগের....
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩২
অক্টোপাস বলেছেন: ওনার হাজবেন্ডের কাছ থেকে আপনার টাকাটা নিয়ে উনি পুরোটাই মেরে দিয়েছেন তাই ওই টাকা দিয়েই .. ...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৭
নীলসমুদ্র বলেছেন: নারে ভাই, আমি এভাবে ভাবি নি কখনোও....তয়...
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৬
সোহরাব সুমন বলেছেন: আন্টি আঙ্কেলের থেকে কত নিছে ? মনে হয় তিনি ট্যাকাটা মাইরা দিছে, হায়রে আঙ্কেল যানতেও পারলো না !
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৬
নীলসমুদ্র বলেছেন: না না ভাই.....এইভাবে ভাইবেন না...মানুষরে এত খারাপ বানাইতে আমার মন চায় না...
১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৬
আল মুজাহিদ বলেছেন: আমারটা আর কইলামইনা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৮
নীলসমুদ্র বলেছেন: আমিও শুনলাম না, তয় আন্দাজ কইরা নিলাম...
১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩
আমার- নাম- মেহেদী বলেছেন: ভাইরে টিউশনি করাইতে গেলে যে কত রকম অভিজ্ঞতা হয়! একটা ছুত্ত ঘটনা বলি, এক হারামি মাইয়ারে ইংরেজি পরাইতাম, তবে তার পছন্দের বিষয় ছিল প্রেমের কবিতা প্রতি সপ্তাহে সে একটা করে প্রেম কাব্য রচনা করে আমারে কইত স্যার দেখুন তো কেমন হয়েছে? :#>
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হইল একদিন পড়াইতে গেছি, মাইয়া কয় স্যার আজকে বাসায় কেউ নেই শুধু আমি আর আপনি!
থাক বাকিটা আরেকদিন কমুনে...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৯
নীলসমুদ্র বলেছেন: আমিও কান বন্ধ করছি...আরেকদিন শুনব...
১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৭
বিরোধী দল বলেছেন: আমি ভাবছিলাম না জানি কি :!> :!> :!>
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: আহ্ হারে...
১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৫
স্বাধীকার বলেছেন:
উনি ভদ্র মহিলা নন।
উনি কেবল একজন অবিবেচক গৃহকর্তি।
তিনি আপনাকে তার একজন শুভাকাংখি ভাবলেই ভালো করতেন। যদি টাকা ১হাজার দিয়েও আপনাকে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতেন-তাহলেই ভালো হতো। এতে করে পরবর্তীতেও যেকোনো সময় প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা নিতে পারতেন। কিন্তু সেই মহিলা নগদের বিশ্বাসী এবং নগদের হিসাবী।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুম..যখন নগদ ছিলাম, প্রায়ই ফোন করতেন, খোজ খবর দিতেন-নিতেন। কিন্তু সেদিনের পর থেকে আর ফোন পাই নি।
২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২০
জলমেঘ বলেছেন: পরিচিত মানুষজন যদি এমন করে, ভাবছি অপরিচিতরা কি করবে!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫
নীলসমুদ্র বলেছেন:
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৮
নিশম বলেছেন: আর আমারে যে এক মাসের বেতনই দেয় নাই !!! লজ্জায় চাইও নাই, তিনি দেন ও নাই ! আরেক বাসায় মাসে ১২ দিন পড়ানোর কথা, আম্মার চেনা। ৮ দিন পড়াইসি, আমারে বলে বাচ্চার আগের টিচার ব্যাক করতে চায়। আম্মারে ফোন দিয়ে বলসে, " আপা, নিশমকে ভালো দেখে একটা গিফট কিনে দেবোনে"। কোথায় সেই গিফট, কোথায় কী ?????
তবে, একটা সাহসের কাজ করেছিলাম একবার ! এক পিচ্চির মাসে বেতন নিতাম ১৫০০। কথা-বার্তা পুরাই ফাইনাল যে ১৫০০ ! অথচ, বেতন দেয়ার দিন তার আম্মা কয় কি, " বাবা, ১২০০ নিলে হয় না?" সে রীতিমত জোড়াজুড়ি শুরু করে দিসে ১২০০ টাকা নেবার জন্য। আমি এক টাকাও আনিনাই। শাস্তিডা ভালা দিসিনা? যতোদিন দেখা হবে, ততোদিন তার মনের মধ্যে খচখচ থেকে যাবে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৬
নীলসমুদ্র বলেছেন: যাক, আমাদেরতো লাভই হচ্ছে...আমাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী হচ্ছে....
তবে শাস্তিডা খারাপ হয় নাই।
২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: চামার মানুষজন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৮
নীলসমুদ্র বলেছেন: হ রে ভাই...
২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৩
..:: লিখন আহমেদ ::.. বলেছেন: ১। এই যুগে আড়াইশ টাকারও টিচার জুটে!!! খিকজ। মজা করলাম মাইন্ড কইরেন নয়া।
সািময়া রুপন্তি বলেছেন: ইসসস!!!!! এক কাজ করেন ভাইয়া, আবার আরেকদিন ছাত্রের খবর নিতে ফোন করেন। তারপর কথায় কথায় বলেন,"আন্টি, ওই যে আমি পড়িয়েছিলাম, আমাকে কিন্তু ১৫০০ টাকা দেয়ার কথা ছিল। আপনার মনে হয় সমস্যা ছিল, তাই ২৫০ টাকা দিয়েছিলেন। তো, বাকিটা..!"
২। আইডিয়াটা দারুন। অনেক আগের হলেও ট্রাই করে দেখেন। মজা পাইবেন। যাই রিপ্লাই পান তাই শেয়ার করেন।
৩। আন্টিকে বলেন আন্টি আমার কাছে ১৫০ টাকার একজন টিচার আছে রাখবেন? দেখেন আন্টি কি বলেন...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: ১। আরে না ভাই, মাইন্ড করার মতো মাইন্ডই আমার নাই...
২। আপনেও কইলেন, তাইলে দেখি আরেকটু সাহস সঞ্চয় কইরা নেই...রিপ্লাই পাইলে অবশ্যই জানাবো।....
৩। ফোন যদি করি, তাহলে অবশ্যই বলব....
আপনার কথায় মজা পাইলাম...
২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১৯
ফারহান আহমেদ বলেছেন: ভয়ঙ্কর হইল একদিন পড়াইতে গেছি, মাইয়া কয় স্যার আজকে বাসায় কেউ নেই শুধু আমি আর আপনি!
আমার কাছে ১৫০ টাকার একজন টিচার আছে রাখবেন? দেখেন আন্টি কি বলেন...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৭
নীলসমুদ্র বলেছেন: ....
২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২২
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: আহারে ভাই কি আর কমু দুঃখের কথা । আমার নিজেও এমন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে কয়েক মাস আগে । আমি পরিক্ষার কারণে যেতে পারছিলাম না তো ছাত্রের মা একদিন ফোন দিয়ে বললেন , উনার ছেলের জন্য নতুন টিচার দরকার , (উলেখ্য ওর তখন কোন পরিক্ষা ছিল না) তো আমি নতুন টিচার জোগার করে দিই । আমি তো ভাবছিলাম আমার আগের মাসের টাকা প্লাস পরের মাসের ১৪ দিন না হোক অনন্ত ১ মাসের টাকা দিবেন কিন্তু তিনি দিলেন তো না উলটো আমার ফোন আর জীবনেও ধরেন নাই । আমার টাকার কোন দরকার নাই শুধু উনাকে বলতে চেয়েছিলাম যে হয়তোবা আমার ভুল হচ্ছে আপনি টাকা দিয়েছেন কারণ আমার যেই বন্ধুর মাধ্যমে আমি টিউশনি করতাম সে তাদের ব্যাপারটা আগেই বলেছিল । যাক , কি আর করা ঠিক করছি আর কখনো যেই ছাত্রের মা টাকা পয়সা নিয়ে ড্রিল করে আমি পড়াবো না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুম...বর্নিল অভিজ্ঞতা দেখছি...
২৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২৭
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: @আলফা-কণা ঃ bhai, apni janen keno ekjon tutuiony kore bcoz take sei tk diye nije chote hoy+ tar onek plan thake se kobe tk ta pabe?? apni koto sundorvabe bole dilen likhoker responsibilityr ovab ache ...kon dike seta ?? uni bokar moton poroyechen ei jonno naki unake arO uise kora jay nai se jonno?? sense of humor thakata khub dorkari sobar jonno...jeta khub kom manush e ache zader ache.....sei guardian ar ucit chilo nije thekei bepargula deal kora....tk diye deya...eta kono business na ba kono charity fund na....nijeder tym kaje lagiyei ata korte hoy....valo thakben
২৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৬
বাতিল প্রতিভা বলেছেন: ভাই আমিও টিওশনি করাই ঢাকাতেই । এ পর্যন্ত আমার পাওনা ৮০০০/=। কোন বাসায় পড়াতে ভালো না লাগলে ছেড়ে দিতাম একমাস আগে বলেই । প্রথম মাসের টাকা পাই, পরেরটার পাইনা । এভাবে শেষপর্যন্ত একটারে পাইছিলাম ২০০৯ এ । ভালো লাগল । ঐটাই পড়াইতেছি । কোন মাসে তিন দিন যেয়েও টাকা পুরোটা পাইছি । ঐটা সামনে ইন্টার দিব । তারপর কি করমু ???
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩০
নীলসমুদ্র বলেছেন: কি আর করবেন, ভার্সিটিতে ভর্তি হইলেও প্রাইভেট পড়াইতে থাকবেন...(মজা করলাম)
তবে আপনার অভিজ্ঞতা দেখি আমার থেকেও বেশি!!! ৮০০০ টাকা পাওনা এখনও, আহারে...
২৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১১
ধীমান অনাদি বলেছেন: লাষ্টের দুই লাইন লইয়া চরম টেনশিত।
ঠাকুর ঘরে কেরে, আমি কলা খাইনা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩২
নীলসমুদ্র বলেছেন: না না...আমি সত্যিই কলা খাই নাই.....টেনশন লইয়েন না....
২৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৪০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: টিউশনী নিয়ে কত কাহিনি যে ঘটে ! তার ইয়ত্তা নেই।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: সবার কাহিনীই বেশ মজার, তাই না???
৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে তো সবাই সান্ত্বনা, টাকা আদায়ের নানান বুদ্ধি দিয়েই ফেলেছে। আমি আর ওই একই কথা নাইই বললাম। যা বুঝলাম, আপনি একজন ভদ্রলোক। ধান্দাবাজি করে টাকা আদায় করতে পারবেন না। আর ঘটনাটা মনে হয় বেশ কিছুদিন আগের। এতদিনে হয়ত টাকার শোকও কমে গেছে।
আমার শুধু এটা দেখার শখ যে এই জাতীয় ধান্দাবাজি আর ছোটলোকামি করে ভদ্রমহিলা আসলেই তার পুত্রধনকে মানুষ বানাতে পারেন কিনা!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫০
নীলসমুদ্র বলেছেন: না আসলে টাকাটার জন্য শোক ছিল না, এরকম অবস্থায় কখনও পরিনিতো তাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম আর কি!!
হুমম..আমিওতো স্কুল কলেজে পড়ার সময় প্রাইভেট পড়তাম। আমার টিচার মাসে তিন দিন পড়ান আর ত্রিশ দিন পড়ান, আম্মুকে দেখতাম ঠিকই মাস শেষে পুরো মাসের টাকা খামে ভরে দিয়ে দিতেন। আল্লাহর রহমতে তার ফলও আমি পেয়েছি। আমার বন্ধুদের মধ্যে যাদের অবস্থা কিছুটা উপরের কাহিনীটার মতো হতো, তাদের অবস্থাও দেখছি। আসলে শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, আর শিক্ষকের মর্যাদা দিলে কেউ ছোট হয় না। শিক্ষকদেরও উচিত টাকাটা হালাল করে নেয়া অর্থাৎ পড়ানোর সময় ফাকি না দিয়ে আসল শিক্ষাটাই দেয়া।
ধন্যবাদ আপু।
৩১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৭
বাতাসের রূপকথা বলেছেন: টিচারের সাথে প্রতারণা করে হয়তোবা সাময়িক কয়েকটা টাকা বাঁচাতে পারল। কিন্তু সেই প্রতারনা তার সন্তানের জন্য কি শুভ বার্তা নিয়ে আসবে ?
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: তা জানি না...তবে তার সন্তানটি মানুষ হোক সেই দোয়াই করি....
৩২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৯
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: এইসব চামাররা আহে কৈত্থে!!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৪
নীলসমুদ্র বলেছেন: কি জানি.....
৩৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: Dui bochore kom to oviggota hoilo na.....
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭
নীলসমুদ্র বলেছেন: যাক্, আরেকজন অভিজ্ঞ লোক পাওয়া গেল...
৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৩
অদৃশ্য বালক বলেছেন: আমর এ অভিজ্ঞতা নাই, তবে মাঝে মাঝে বন্ধুদের কাছে শুনি যে, প্রথমে বাবা বাবা করে আর পড়ানো শেষ হলে শেষ মাসের টাকা পুরো দেয় না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১০
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুমম...উনিও আমাকে বাবা বলে ডাকতেন..... বলতেন, 'তুমিতো আমার ছেলের মতোই....আহা...'
৩৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৭
সুদীপ্ত কর বলেছেন: টাকাটায় থুতু মাইরা আন্টির মুখে ছুইরা আইতেন
মানুষ এত খাইস্টা কেমনে হয়???
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১
নীলসমুদ্র বলেছেন: আমিতো টাকা উনার সামনে কখনোই গুনে দেখতাম না, সরাসরি পকেটে রেখে দিতাম।
সত্যিই মানুষ বড় অদ্ভুত....
৩৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: এই ধরনের নিচু প্রকৃতির মানুষ আমাদের সমাজে আছে, থাকবে!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: এরা বন্ধুর প্রকৃতির, কখনও উঁচু, কখনও নিচু....
৩৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬
ছোট নদী বলেছেন: দুঃখ পাইলাম
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৬
নীলসমুদ্র বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতায় আরেকজন দু:খিত হইল...এজন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
সজীব আকিব বলেছেন:
দুঃখ পেলাম।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৮
নীলসমুদ্র বলেছেন: আরও একজন দু:খিত হইল...ধইন্যা পাতা লন...
৩৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
হা হা হা। ব্লগে যারা আমাকে সহ্য করতে পারে না, তারা আপু ডেকে বিরক্ত করার চেষ্টা করে। আপনারটা বোধহয় জেনুইন মিসটেক।
রাইসুল জুহালা একটা ঐতিহাসিক পুরুষ চরিত্রের নাম। নবাব সিরাজের সহযোগী ছিলেন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৪
নীলসমুদ্র বলেছেন: সত্যিই আমি দু:খিত.....কিছু মনে করবেন না প্লিজ.....একটুও বুঝতে পারি নি...নিকটা দেখে কেন জানি আপু বলতে ইচ্ছা হলো....আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমারটা জেনুইন মিসটেক
আর ভুল হবে না...
৪০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: টিউশনি করতে গিয়ে যে কত্ত রকম বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়!
একবার প্রায় পুরো মাস না পড়িয়েও বেতন পেয়েছি, নিতে না চাইলে স্টুডেন্টের বোন বলে "সামার ভ্যাকেশনে স্কুল যখন একমাস বন্ধ থাকে তখন বেতন দিই না" এর পরে আরেকবার সপ্তাহখানেক পড়িয়ে পুরো বেতন দেয় (সেবার ও জোর করে দেয়) পরে আর পড়াই নি।
আবার সপ্তাহ খানেক পড়িয়ে এমনি এমনি-ই নিষেধ করে দেয়....
আপনার অভিজ্ঞতা করুন
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: সত্যিই কত ধরনের মানুষ যে আছে....আমার অভিজ্ঞতা করুন হলেও আপনার স্টুডেন্টের বোনটি সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তবে এ ধরনের ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা মানুষ চিনতে পারছি....চেনার ব্যপারটা টাকা পয়সায় না, ব্যাপারটা হলো ব্যবহারে।
৪১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৮
ফারহান আহমেদ বলেছেন: রাইসুল জুহালা:হা হা হা। ব্লগে যারা আমাকে সহ্য করতে পারে না, তারা আপু ডেকে বিরক্ত করার চেষ্টা করে। আপনারটা বোধহয় জেনুইন মিসটেক।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: আর লজ্জা দিয়েন না ভাই...এমনিই বেশ লজ্জা পাইছি...
৪২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৪
শিশিরের শব্দ বলেছেন: আন্টি আসলে আঙ্কেলের কাছ থেকে পুরো টাকাটাই নিয়েছিল।ভেবেছিল আপনার হয়ত মনে নেই।পরে আপনি যখন ফোন করলেন তখন ২৫০ টাকাই অবশিষ্ট ছিল।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৭
নীলসমুদ্র বলেছেন: কইতাম পারি না...মানুষ চেনা বড় দায়....
৪৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৬
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আপনার প্রতিবাদ করা উচিত ছিলো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩১
নীলসমুদ্র বলেছেন: হয়তো উচিত ছিল, কিন্তু ওই বাসা থেকে বের হয়ে যখন টাকাটা দেখলাম তখন এতই লজ্জা পেয়েছিলাম আর হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম যে, অতীতের এ সম্পর্কিত সবকিছু মন থেকে মুছে ফেলতে ব্যাস্ত হয়ে গিয়েছিলাম...তিক্ত অভিজ্ঞতা বলে কথা...
৪৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৯
ইন্জিনিয়ার রুমান বলেছেন: ভাই আপনি তো ২৫০ পাইছিলেন আর আমি বলতেই পারবো না যে কত পাইছি... এবং আরেকটা ফুলফ্রি টিউশনি পড়ানোর আবেদন পেয়েছিলাম...
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: ভাই আপনিতো আমার থেকেও কপাল পোড়া.......
৪৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কোন ব্যাপার না। জুহালা নামটার মধ্যে একটা জুলেখা ভাব আছে, এজন্য লোকে বিভ্রান্ত হয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুম...এই জন্য আমিও বিভ্র্রান্ত হয়েছি....
৪৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পুরাই বেইজ্জতি !
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:১৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুমম....
৪৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৮
সাই্মুন বলেছেন: ভাই আর কি কমু। নিজের কথা কইতে গেলেও খারাপ লাগে।
২০০৯ সালে ক্লাশ ৬ এর একজন ছাত্রকে পড়িয়েছিলাম ৪ মাস। বেতন পেতাম মাস শেষে। ৪র্থ মাস শেষে ব্যাক্তিগত ঝামেলার কারণে ৫ দিন যেতে পারিনি। পরে ফোন করে শুনলাম তারা অন্যএকজন টিচার নিয়োগ দিয়েছে আমার সাথে যোগাযোগ করা ছাড়াই। আমি তো পুরা টাসকি টিউশনিও গেল, বেতনও নেয়া হয় নাই। বেতনের ব্যাপারে কোন কথা নেই। কিছুদিন পর সাহস করে টাকার কথা বললে সে কি ঝাড়ি আমি তার ছেলের জীবন নিয়ে ছিনিমিন খেলেছি। বুঝলাম টাকা চাইতে গেলে শুধু টাকা না আরো কিছু অতিরিক্ত প্রাপ্তিযোগ হতে পারে। তো তারপরে আর কোনদিন যোগাযোগ করিনি।
হঠাত গত বছর জুনিয়র সমাপনী পরীক্ষার আগে ছাত্রের মায়ের ফোন। তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য সে কি রিকুয়েস্ট। তাদের আচরণের জন্য বারবার ভুল স্বীকার, তারা এখন অনুতপ্ত এমন আরো অনেক কথা। তাদের বাসায় যেতেই হবে। ছেলেটাকে পরীক্ষার আগে একটু দোয়া করে আসতে হবে। টাকার কথাও তারা বললো।
আমি তো প্রথমে আগের কথা মনে করে কাটাতে চাইলেও পীড়াপীড়ির ঠেলায় আর না করতে পারলাম না। তবে একটি শর্তে যেতে রাজি হলাম টিউশনির সেই টাকা আমাকে কোন মতেই দেয়া যাবে না, আমি সেই টাকা নিতে পারব না।
তো একদিন সেই বাসায় যাওয়ার পর কিছুক্ষণ কথা বলার চলে আসার সময় একটি খাম ধরিয়ে দিল হাতে (আগে টাকা সরাসরি দিত)। আমি তো নিতে চাইলাম না । জোরাজুরি শুরু করল। একপর্যায়ে দেখলাম খামটা না নিলে শরীরের উপর হামলা হতে পারে (তবে এই হামলা আক্রমনাত্নক নয়)। সম্মানের কথা চিন্তা করে নিলাম। বাসায় এসে খাম খুলে দেখি আপনার মহিলার চেয়ে কোন অংশে কম নয় সে মহিলা।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:১৮
নীলসমুদ্র বলেছেন: ওই মিয়া, খাম পাইছেন এইটাই কম কি!!! খাম খুলতে গেলেন কোন সাহসে...!!!
তবে এ ধরনের গার্ডিয়ান আছে বলেই আমাদের অবসর সময়ের ব্লগিং তাদের আলোচনায় আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছে....ওনাদেরকে ধন্যবাদ(!)
৪৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৩
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: ভাগ্যিস টিউশনি করি না
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২০
নীলসমুদ্র বলেছেন: বাইচ্চা গেছেন...তবে এ ধরনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা মিস করছেন...
৪৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৭
ferrari_ বলেছেন: মানুষ পারেও ভাই
০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুমম...মানুষই একমাত্র পারে....
৫০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১০
আরেফিন রিমন বলেছেন: ভাই আমারো অনেক অভিজ্ঞতা আছে|যতগুলান টিউশনি স্টুডেন্টের মায়ের সাথে ডিল করছি সবগুলাতেই একটা না একটা ভেজাল হইছেই্.।.।.।।।
০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪০
নীলসমুদ্র বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতাও তাই বলে, অধিকাংশ টিউশনি মায়েরাই ডিল করে...আর সেগুলাতেই ভেজাল হয়ে থাকে....
৫১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫১
নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: হায় টিউশনি! হায় বিচিত্র অভিজ্ঞতা!
০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৫
নীলসমুদ্র বলেছেন: শুধু বিচিত্র না, এটা বিচিত্র ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা...!
৫২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪২
ইকবাল০০৯ বলেছেন: ভয়ঙ্কর।বেশ কয়েক জায়গায় দেখছি যতদিন অন সার্ভিস ততদিন ভাল ব্যবহার ব্যবহার তো নয় যেন মধু।কিন্তু এর পরেই..।
১২ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩
নীলসমুদ্র বলেছেন: হুমম...এরপরেই মধুমাল্যদান....
৫৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০২
সাসুম বলেছেন: আরেফিন রিমন বলেছেন: ভাই আমারো অনেক অভিজ্ঞতা আছে|যতগুলান টিউশনি স্টুডেন্টের মায়ের সাথে ডিল করছি সবগুলাতেই একটা না একটা ভেজাল হইছেই্.।.।.।।।
২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
নীলসমুদ্র বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১
নেক্সাস বলেছেন: মানুষ পারেও