নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোয়াই পাড়ের রাজু ।

হাসান রাজু

ডুব দিয়ে দিয়ে স্বপ্ন তুলে আনি ।

হাসান রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চোখে - আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয়তা না-পাওয়া বা কম-পাওয়া কিছু অসাধারণ গান ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

৩৫ টাকা । কফি রঙের ফিতা মোড়ানো ক্যাসেট। 'এ' পিঠ 'বি' পিঠ ।



কপাল ওয়ালাদের ডেক সেট আমার মত কারো জন্য টু ইন ওয়ান ই সবে ধন ‘নীল মনি’। কোন মাসে কোন এক ব্যান্ডের ক্যাসেট (এ্যালবাম) বেরিয়েছে। ইত্তেফাকে বড়জোর একটা বিজ্ঞাপন এসেছে। বিনোদনের পাতায় পরের সাপ্তাহে “অডিও বাজার” শিরোনামে একটা রিভিউ থাকলে ও থাকতে পারে। এই ছিল ৯০ এর আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, ফজল, মাকসুদদের ব্যান্ড সঙ্গীত আর আমরা।

ব্লগার মিরোরডডল এর এই পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে ভাবলাম আইয়ুব বাচ্চুর আন্ডার রেটেড ভালো কিছু গান নিয়ে একটা পোস্ট দেয়া যায়।

আজ আপনাদের কিছু গানের লিংক দিব যে সব গান কখনো চর্চায় আসেনি কিন্তু আমাদের অতিপ্রিয় বাচ্চু ভাইয়ের এই গানগুলো ছিল অসাধারণ।


উনার (আসলে সবারই) আন্ডার রেটেড অনেক গান আছে যেগুলো যে এ্যালবামে প্রকাশ পেয়েছে সে এ্যালবামের খুব জনপ্রিয় অন্য গানের আড়ালে হারিয়ে গেছে। যেমন বলব, এল আর বি এর 'সুখ' এ্যালবামের সেই তুমি আর রুপালি গীটারের আড়ালে সেই এ্যালবামের অনেক সুন্দর গান ঢেকে গেছে।

আমরা যারা ৩৫ টাকার মায়া ভুলে কভার সহ পুরো এ্যালবাম কিনেছি তারা সেই তুমি, রুপালি গীটার শুনে শুনে ক্লান্ত হয়ে একসময় ক্ষণিকের জন্য, সুখ গানের গীটার প্লে ও শুনে নিয়েছি। কিন্তু সেই আমলে যে ১০ টাকা দিয়ে বাছাই করা গান রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে সে হয়ত কখনো জানেইনি যে এল আর বি র একটা গান আছে 'হাসপাতালে' যে গানটার কথা, সুর আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গান মেয়ে থেকেও অনেক গুন বেশি ভাল/সুন্দর।

আর পরবর্তী প্রজন্মের যারা বেস্ট অফ আইয়ুব বাচ্চু ডাউনলোড করেছেন। তারা শুধু মাত্র আইয়ুব বাচ্চুর চরম ফ্যান না হলে বা তার উপর থিসিস না করলে তার আন্ডার রেটেড ভালো গান গুলো শুনেন নি এটা বলে দেয়া যায়।
আর এ যুগে যারা ইউটিউব থেকেই গান শুনেন। তারা শুনলেও শুনতে পারেন কিন্তু মনে রাখেন নি কার গান সেটা প্রায় নিশ্চিত।

আমি যে কার, লিরিকঃ বাপ্পি খান , এ্যালবামঃ সুখ



হাসপাতালে , লিরিকঃ বাপ্পি খান , এ্যালবামঃ সুখ


যত বেশি, লিরিকঃ বাপ্পি খান, এ্যালবামঃ সুখ


অপরিচিতা , এ্যালবামঃ চমক


আজ থেকে আর কখনো বলবো না, লিরিকঃ প্রিন্স মাহমুদ, এ্যালবামঃ দহন তোমার জন্য


নিহত নারীকে , লিরিকঃ প্রিন্স মাহমুদ, এ্যালবামঃ শক্তি



পথ থেকে পথে , লিরিকঃ প্রিন্স মাহমুদ, এ্যালবামঃ আড্ডা


ঈশ্বর, তুমি সযতনে রেখো তাকে
সে বড় অভিমানী, চাপা বুকে
ফিরে গেছে রোদ নেভার আগেই..
ঈশ্বর, আজও অনুতাপে ধুকছে সব
বোবা হাহাকারে চোখ নীরব
বলা হয়ে ওঠেনি তাকেই -
বিদায়.. বিদায়..


আইয়ুব বাচ্চুকে উৎসর্গ করে তারই এক প্রিয় ব্যান্ড ভাইকিংস এই গানটি করেছে। এই ব্যান্ডটি গানে অনিয়মিত হওয়ায় আইয়ুব বাচ্চু খুব অভিমান করেছিলেন, তাদের সাথে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পড়ে ব্যান্ডটি আবার গানে ফিরে আসলে নিজে গিয়ে তাদের সাধুবাদ জানিয়েছিলেন।

ভাইকিংস ব্যান্ডটি ও আমার কাছে মনে হয় আন্ডার রেটেড। তাদের গায়কি, সুর, কণ্ঠ, লিরিক, ইন্সট্রুম্যানট প্লে সব ডিপার্টমেন্ট ই ১০০ তে ১০০। লিজেন্ডকে ট্রিবিউট দেয়ার জন্য তাদের এই আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে শেষ অংশ আমাকে এখনো শিহরিত করে। তাদের রক ধাঁচের এই গানটি শুনতে পারেন

ঈশ্বর, ভাইকিংস ।


ছবিঃ গুগোল মামু, ধন্যবাদঃ ইউটিউব কাকু।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আইয়ুব বাচ্ছু বড় মানের গীটারিষ্ট ছিলেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

হাসান রাজু বলেছেন: উনার ধ্যান জ্ঞান সব এই গীটারে ই ছিল। গান গাওয়া শুরুর অনেক আগে থেকে উনি গীটার বাজাতেন, সুর করতেন। তপন চৌধুরীর উঠতি সময়কার জনপ্রিয় গান গুলোর সুরকার ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: তার গান একসময় আমাকে মুগ্ধ করে রাখতো।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: কি যন্ত্রণা আমার .... এভাবে কি বেঁচে থাকা যায় ও ও ও ও ।

বুঝে না কেউ তো জানলো না...... এই আমাকে ।


কলেজ শেষে দল বেঁধে বেসুরে এগুলো আউরে বাড়ি ফিরতাম ।
সেই দিন গুলো রঙ্গিন হল আইয়ুব বাচ্চু, জেমসদের কারনে।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

একাল-সেকাল বলেছেন:
এনটিভি তে প্রচারিত দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সাথে এ বি'র গীটার। মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। গুণীর কদর এদেশে হয়না আ বাচ্চু তার প্রমান। বিশ্বকাপ ক্রিকেট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে দেশি প্রতিবেশি অনেকেই থাকলেও উনার উপস্থিতি ছিলনা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

হাসান রাজু বলেছেন: টিভি লাইভ প্রোগ্রাম গুলো যতক্ষণে এসেছে ততদিনে আইয়ুব বাচ্চু তার সেই জাদুকরী গলা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে তার গীটার প্লে দিনে দিনে আর শাণিত হয়েছে।
গুণী মানুষের কদর আমরা কবে কখন দিয়েছি? তবে মানুষ তাকে মাথায় তুলে রেখেছে। উনিও সেই সম্মানের পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন। আমরা ভালবেসেছি মনের গভীর থেকে, আমরা পেয়েছি তার পুরো কষ্টার্জিত কর্ম। এটা ভাবলে ভালো লাগে।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গানের মানুষ চলে যাওয়ায় শূন্যতা তৈরী হয়। তার গান মনে রাখবে মানুষ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

হাসান রাজু বলেছেন: আইয়ুব বাচ্চু তার যা দেয়ার তার থেকে বেশিই দিয়ে গেছেন। আরও দিতে পারতেন। উনার কাজ উনি করে গেছেন। এখন আমাদের দায় কত দিন সে দায় বহন করতে পারি।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পছন্দের শিল্পী।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

হাসান রাজু বলেছেন: যতটুকু জানি, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

একাল-সেকাল বলেছেন:

৯০ দশকের কিশোরদের জন্য, অসাধারন উপহার ছিলেন তিনি।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

হাসান রাজু বলেছেন: ৯০ এর পোলাপান গানের দুনিয়ার মহা বিবর্তনের সাক্ষী। এদের চোখের সামনে দিয়ে অডিও ক্যাসেটের রাজত্ব তৈরি হল। আবার বিলিন ও হল। সিডি জাস্ট পলকের ভিতর ক্যাসেটের বিলুপ্তি ঘটাল। নিজে ভেনিস হয়েগেল আরও দ্রুত। ৯০ এর পোলাপান সাক্ষী, গান কি করে বস্তুগত থেকে অস্পৃশ্য হয়ে গেল।

আর এগুলো তারাই কাছ থেকে দেখেছে যারা অডিও দুনিয়ার খোঁজ খবর রেখেছেন। এল আর বি, ফিলিংস, মাইলস, সোলস, নোভা এদের কল্যাণে ৯০ এর পোলাপান এমন বিবর্তনের সাক্ষী হতে পারল।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:



ক্যাসেটের ছবিটাতো সেইরকমের হয়েছে । হাসান আমার কিন্তু এর মাঝে বেশ কয়েকটি প্রিয়, মোটামুটি শোনা হতো ।

যত বেশী আমি আসবো ফিরে মানুষের কাছাকাছি
ততো বেশী দূরে চলে যেতে হবে আমায় এখনি

ইটস এ নাইস ওয়ান ।

আজ থেকে আর কখনো বলবো না, নিহত নারীকে, এগুলো আমি অনেক শুনেছি ।
আজ অনেকদিন পর আবার শুনলাম, থ্যাংকস মনে করিয়ে দেবার জন্য ।

তপনের প্রথম অ্যালবামের সবগুলো গানই এবির মিউজিক আর প্রতিটা গান সুন্দর ।





২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭

হাসান রাজু বলেছেন: ক্যাসেটের দুই রিং এর মাঝখানে কলম দিয়ে মার্ক করে দিতাম পেন্সিল দিয়ে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফিতা সেখানে নিয়ে যেতে পারলে পছন্দের গান শুনা যাবে। বিশেষ করে ওয়াকম্যানের ব্যাটারি বাঁচাতে এই টেকনিক। যারা করেছেন এ কাজ তারা আপনার মত নস্টালজিক হবেন এটাই স্বাভাবিক।

আপনি তো শুনে থাকবার ই কথা। আপনার পোস্ট পড়ে, মন্তব্য করেই তো মনে হল একটা পোস্ট আমিও লিখি।

গানটা কত বছর পরে যে শুনলাম। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে পেপসি ব্যান্ড পাড়ায় বেশ বড় সড় স্পন্সর করে ছিল। সেই সুবাধে আইয়ুব বাচ্চু, জেমসের খুব সুন্দর দুটো কমার্শিয়াল দেখার সুযোগ হয়েছিল আমাদের।



৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: নিজেই কতগুলো যে মিক্সটেপ বানিয়েছি, মনেও নেই। গেল বছর বাংলাদেশ গিয়ে ৯০+ সিডি কপি করে নিয়ে এসেছি। বাচ্চু ভাইয়ের বেশীরভাগ এ্যালবাম-ই আমার কাছে সিডি কপি আছে। দু'দিন আগেও তার কিছু গানের লিরিক্স সাইটেও যোগ করেছি, আরো করা বাকি আছে। লিখা ভালো লেগেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

হাসান রাজু বলেছেন: মিক্স টেপ সে এক ধারুন অভিজ্ঞতা। ক্যাসেট টু ক্যাসেট কপি ১০ টাকা। মিক্স টেপ (বাছাই) ২০ টাকা। বস্তুগত জিনিষে মায়া তৈরি হয় যা অনলাইনে বা ইউটিউবের লিংকে পাওয়া যায় না। ৯০+ সিডি আপনার শুধু মায়া ই বাড়াবে। আপনার সাইটে ঘুরার ইচ্ছে রাখি। ভালো থাকবেন।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২০

স্থিতধী বলেছেন: ভাইকিংসের কম্পোজিসনগুলো সাধারণত ভালোই লাগে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

হাসান রাজু বলেছেন: আমি চরম ভাইকিংস ভক্ত। সেই ৯৮-৯৯ সালের দিকে বেনসন এন্ড হেজেস আয়োজিত একটা প্রতিযোগিতা থেকে তাদের গান শুনছি, ফলো করছি। আমি হয়ত ভক্ত তাই তাদের ৮০% কর্ম ই ভালো লাগে । তাদের সুর, কম্পোজিশন অসাধারণ।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



এবির এ কমার্শিয়াল অ্যাড আগে দেখিনি ।
থ্যাংকস ।
জেমসের কোনটা ?


২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

হাসান রাজু বলেছেন: এই যে -



হাসান এবং আর্ক কে নিয়ে একটা এড আসার কথা ছিল কিন্তু ততক্ষণে আরকে ভাঙন ধরায় সেটি আর হয় নি।

এড গুলো শুট হয়েছিল কলকাতায়। আর এই এডটি করার সময় ভারতীয় পরিচালক অনুরাগ বসুর (তখন তিনি এড ডিরেকশন করতেন। ) জেমসের ভাবসাব ভালো লেগে যায় । তিনি পরবর্তীতে তার গ্যাংস্টার সিনেমা করার সময় জেমসকে দিয়ে গান করাতে সুরকার প্রীতম কে অনুরোধ করেন । সুরকার প্রীতমের একটা ইন্টারভিউ এ বলছিলেন যে, জেমসের স্টাইল, গায়কী আর ভাবসাব দেখে ইউনিটের সবাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তো দেখাই গেল প্রীতম জেমসকে দিয়ে আরও কয়টা সিনেমায় হিন্দি গান গাইয়ে নিলেন।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ভাইকিংসের এ গানটা আমি খুব শুনি ।
আরও একটা প্রিয় গান ছিল ওটা ভুলে গেছি ।
একা বা একাকী এরকম কিছু একটা ।


কতো কাছে আসা
আর কতো দূরে যাওয়া
আজ ভুবন ঘুরে
পাশে থাকবার নেই কেউ
আমার এই রাতে কোথাও নেই যে কেউ
কি পেলে বলো আসবে তুমি
আমার এই ছোট আঙ্গিনায়







২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

হাসান রাজু বলেছেন: ভাইকিংস নিয়ে কিছু না বলাই ভাল। কারন আমি এদের এমন ভক্ত যে এদের গান, সুর, লিরিক, বাজানো সবই পারফেক্ট মনে হয়। তন্ময় আর সেতু এই দুজন বসে কি যে লেখে আমার মাথায় ধরে না। নিচের লিরিকটা "রাত্রির ঘুম" শিরোনামের একটা গানের অংশ। জানিনা এটার অর্থ কে কি দিবে কিন্তু এটাও আমার অসাধারণ লাগে। আমার এদের সব গানই ভালো লাগে। আমি ভাইকিংসে নেশাগ্রস্ত।

নিশাচর দেহে স্বপ্ন সাজ
তবু ক্লান্তিহীন সব ভিন্ন আজ
কাঁটাতারে ঘেরা অন্ধকার
যত দূর দেখি সব অন্ধকার
বন্ধ প্রান আজ শূন্য ঘরে
এই আমি বড় একা।



একটা গান আছে, "প্রণয়ী এতো যাবার সময় নয় এলো প্রনয় বেলা ......" আপনার পছন্দের গান এটা নয়তো? আন্দাজ করে বললাম।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:

জেমসের গান খুবই প্রিয় । নাহ এই কমার্শিয়াল অ্যাডটাও দেখা হয়নি আগে ।
থ্যাংকস হাসান । হুম, জেমসের মুভির গানটা জোস !







২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

হাসান রাজু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার ব্লগে এতো আন্তরিক মন্তব্য করার জন্য। খুব ভালো লাগছে আপনার প্রতিউত্তর করতে পেরে, ছোট দুইটা সারপ্রাইজ দিতে পেরে।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:



হাসান নিশ্চয়ই জানে জেমসের এই গানটা প্রথমে কলকাতার ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি করেছিলো । ওটাও প্রিয় ।

ভেবে দেখেছো কী
তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে
তারো দূরে
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে...








২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

হাসান রাজু বলেছেন: হ্যাঁ জানি। শুনেছি। কলকাতার ব্যান্ডগুলোর মধ্যে ' চন্দ্রবিন্দু 'র গান আমার ভালো লাগে। আর কারো খুব একটা শুনা হয়না।

ভারতের সুরকার প্রীতম সম্পর্কে বলি। সে ও বাপ্পি লাহিড়ীর মতই একজন বাঙালি জনপ্রিয় সুরকার। উনারা দুজনই মৌলিক সুর থেকে চুরি ও স্বত্ব কিনে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ায় মাহির। অবশ্য হিন্দি গানের সব জনপ্রিয় সুরকার ই এভাবেই জনপ্রিয় হন। পরিচালক অনুরাগ বসুর আবদার ছিল মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে গানের আদলে একটা গান করে দিতে। বাবাজি প্রীতম এত পণ্ডশ্রম করবে কেন সে বরং তাদের কাছ থেকে স্বত্বটাই কিনে নিয়ে সুরটা নিজের গানে দিয়ে দিল।

কুমার বিশ্বজিৎ তার সাক্ষাৎকারে একটা কথা বলেছিলেন যে, পুরনো গান নতুন করে গাইলে একজন নতুন শিল্পী হয়ত সাময়িক বাহবা পায়। কিন্তু শ্রোতা একটু পরই ভাবে, অরিজিনাল টা শুনে আসি। অন্য প্রসঙ্গে বলেছিলে, কিন্তু কথাটা এখানে ও প্রযোজ্য। যদিও জেমসের গায়কীর সাথে প্রীতমের কম্পোজিশনে গীটারের কাজ ভালো ছিল কিন্তু অরিজিনাল সুর তো মহীনের ঘোড়াগুলি'র ই।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:



গুড টু নো :)
যেকোনো বিষয় অরিজিনালটাই ভালো লাগে ।
তবে গানে অনেক সময় রিমেক করতে গিয়ে মিউজিক কম্পোজিশন আরও সুন্দর করে ।
কিন্তু চুরি করা কোনভাবেই সাপোর্ট করিনা ।

চন্দ্রবিন্দু আমারও প্রিয় ।
কলকাতা বাংলার এই গানটা ভালো লাগে, ব্যান্ড না সোলো ।





২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

হাসান রাজু বলেছেন: নাহ্ । এই গানটি আগে শুনিনি। অসাধারন গান। এমন গান আমারো পছন্দ।

নকলের ব্যাপারে বলিউড নির্লজ্জ। আর ডি বর্মন থেকে এখনকার প্রিতম কেউ মনে হয় বাদ নেই এই চৌর্য বিদ্যায়। মাইলসের গান যেমন চুরি করেছে আনু মালিক এরকম চুরি সেখানে অহরহ ঘটছে। কেউ কখনো চিন্তাও করতে পারবে না খুবই জনপ্রিয় কিছু হিন্দি গান যেগুলো কি না বিদেশি গানের সুর নকল করা। একটা লিংক দিলাম এমন ভিডিও ইউটিউবে ভর্তি।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:



Oh my goodness!
এগুলো সব চুরি ???
Hundred miles এটা যে কপি জানতাম, অরিজিনালটা আমার পছন্দের গান ।
Shame! সুপার শকিং :(



২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৬

হাসান রাজু বলেছেন:
এইটা দেখেছেন/শুনেছেন?দ



১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:



নাহ এটা দেখিনি আগে ।
মাইলসের এতো জনপ্রিয় গান নিয়ে কিভাবে কি করলো ।
এখানে যে ধরা খাবে এটা নিশ্চয়ই জানতো ।

সব শুধুই কপি আর কপি ।
নিজস্ব স্বকীয়তা উঠে যাচ্ছে :(


২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

হাসান রাজু বলেছেন: হা হা...। কিছুটা হৈ চৈ করেছিল মাইলস। কারন মাইলস পশ্চিম বাংলায় এই গানটি রিলিজ করেছিল সিডি আকারে । তাই করিরাইটের আওতায় ছিল। তাই আনু মালিক গং বাহানা তৈরী করেছিল যে গায়েকের (পাকিস্তানি) নিজস্ব গান যা কিনা অনেক আগে থেকে সে বিভিন্ন শোতে গেয়েছে। কিন্তু আসল ব্যাপার কি সেটা কারো বুঝতে বাকি নাই। আসলে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কপিরাইট আইন কার্যকর না থাকায় এসব চুরিতে কিছু করার থাকে না। তা না হলে অন্তত মেধাস্বত্ব পেত। যেমনটা পেয়েছে “মাহিনের ঘোড়া গুলো” তাদের গানের জন্য। তাই এমন কিছুর পর বেবি নাজনিনের (তার গানও চুরি হয়েছে) শুধু নিজের গানের এতদূর পৌঁছানোর আত্মতৃপ্তি ছাড়া কিছু করার থাকে না।
ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.