নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসান ইমতির জন্মস্থান ফরিদপুর, বর্তমান বাসস্থান উত্তরা, ঢাকা। তিনি মূলতঃ অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করে থাকেন। এ ধারায় কবিতা ভিত্তিক সাইটের ভেতর রয়েছে বাংলা কবিতা, কবিতা ক্লাব, কবিতা ইবারয়ারি, গল্প কবিতা, বাংলার কবিতা ইত্যাদি এবং ব্লগের ভেতর সাম

হাসান ইমতি

সূর্যের লাল চোখ রেখে আমি শপথ নিয়েছি আরেক সূর্য হবার

হাসান ইমতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজমহল The Symbol of Love ও কিছু অপ্রিয় সত্যি কথা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের আন্যতম আগ্রার তাজমহলকে বলা হয় SYMBOL OF LOVE কিন্তু আপনি কি নিচের বিষয় গুলো জানেন ?



১. মমতাজ ছিলেন শাহজাহান এর ৭ বউয়ের মাঝে ৪ নাম্বার !



২. শাহজাহান মমতাজকে বিয়ে করার জন্য মমতাজ এর আগের স্বামীকে খুন করে!



৩.মমতাজ এর মৃত্যুর পর শাহজাহান বিয়ে করে মমতাজ এর আপন বোনকে....!!





৪. মমতাজ মারা গিয়েছিল ১৪ নম্বর বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে !



৫. তাজ মহল বানাতে ২০০০০ লোকের দেড় যুগেরও বেশী সময় লেগেছিল । এই সুদীর্ঘ ২০-২২ বছর তাদের একটানা কাজ করতে হয়েছে । খাওয়া, ঘুমানো ও প্রাকৃতিক কাজ ছাড়া তাদের আর কোন ছুটি মেলেনি । এর মধ্যে নবিবাহিত যুবক ছিল যাকে বাসর ঘর থেকে তুলে আনা হয়েছিল ২২ বছর পর ফিরে গিয়ে সে আর তার বউকে ফিরে পায়নি । এমন করুন পরিণতি ঘটেছে বেশীর ভাগ নির্মাণ কর্মীর ভাগ্যেই ।



৬. তাজ মহল নির্মাণের শেষে এর মুল কারিগরদের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে দেয়া হয় যাতে তারা আর এমন কোন স্থাপত্য নির্মাণ করতে না পারে ।



৭. তাজ মহলে অত্যাধিক অর্থ ব্যায়ের ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজাড় হয়ে গিয়ে প্রকট অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল ফলে জনজীবনে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে এসেছিল ।



তাজমহলের সৌন্দর্য অপার যুগ যুগ ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে কিন্তু এর ভিত্তিমূলে লেগে আছে কি নিদারুণ কালিমা ! কি বীভৎস অমানবিকতা ! যে অন্তঃসারশুন্য তথাকথিত ভোগবাদী ভালোবাসার ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে তাজ মহল তা যত সুন্দরই হোক না কেন এটা সম্পদের দাপট আর ক্ষমতার জৌলুস দেখানো বৈ আর কিছু হতে পারে না ।



তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

আহলান বলেছেন: আমি জানতাম হাত নয়, বুড়ো বা বৃদ্ধাঙ্গুলি কর্তন করা হয়েছিলো-
মূল কারিগরকে তাজমহলের ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে হত্যা করা হয়েছিলো - যা সত্যি অমানবিকই শুধু নয়, মৃত্যুদন্ড পাওয়ার মতো শাস্তি যোগ্য অপরাধ - সাধেই তো আর ইংরেজদের কাছে মুঘোল সম্রাজ্যের পতন হয়নি .... লাখ মানুসের অভিশম্পাতেই এই পরিণতি ....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

হাসান ইমতি বলেছেন: আমি স্মৃতি থেকে লিখেছি তাই একটু এদিক সেদিক হতে পারে, তবে অমানবিক শাস্তির ব্যাপারটি কিন্তু সত্যি, ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: B:-)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

হাসান ইমতি বলেছেন: ধন্যবাদ .।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: এ তথ্য আগেই অবগত ছিলাম শুধু মমতাজের সন্তান জন্মের কাহিনী বাদে। আমিও জানি বুড়ো আঙ্গুল কেটে দেয়া হয়েছিল। পশ্চিম থেকে আসা সব জাতিই নৃশংস ছিল। তারা অবশ্য ব্রিটিশদের হাতে সাজা পেয়েছে। অসংখ্য লোকের শ্রমে গড়ে উঠেছিল ভারতের আরও অনেক স্থাপনা। মাঝবয়সী লোকেদের মৃত্যু হয়েছে ওই স্থাপনার মধ্যে। অজন্তা ইলোরা ভুবনেশ্বরের সূর্যমন্দির এই রকম অভাগাদের হাতে তৈরি । যাক সেই মুঘলদের বংশধর রা এখন বেচে আছে কোনমতে মাথা গুজে । তাদের বর্তমান ইতিহাস বড় দুঃসহ , এটা ঐতিহাসিক সাজা যা ভোগ করতে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, এরা নিজেদের হিন্দুস্তানি ভাবতে ঘৃণা করে।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

হাসান ইমতি বলেছেন: আমি স্মৃতি থেকে লিখেছি তাই একটু এদিক সেদিক হতে পারে, দেখে এডিট করে নেব, তবে অমানবিক শাস্তির ব্যাপারটি কিন্তু সত্যি, ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল্ । ভাল লিখেছেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০২

হাসান ইমতি বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু .

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৬

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: আপনার পোস্টটিতে পরিবেশিত তথ্যগুলি (তাজমহলের নির্মান শ্রমিকদের প্রসঙ্গ বাদে) কিভাবে 'অপ্রিয়' হলো তা বুঝলাম না। মমতাজ যদি ৪ নাম্বার পত্নী হন কিংবা ১৪ বাচ্চার জন্ম দিয়েও থাকেন তাতে কি মমতাজের প্রতি শাহজাহানের প্রেম বা তাজমহলের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়? জেনে রাখা ভালো তাদের ৭ সন্তানই জন্মকালীন বা অল্পবয়সেই মারা যান।

আপনার পোস্টটিতে অনেক তথ্যের ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই কিংবা মনগড়া। ঐতিহাসিক কোনো বিষয় নিয়ে লিখবার আগে বিস্তর গবেষনা (পড়াশুনা) এবং তথ্য যাচাইয়ের ব্যাপারে সাবধানতা আবশ্যক। দায়সারা ভাবে 'তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট'এর উল্লেখ কিংবা কমেন্টে স্বীকার করা 'স্মৃতি থেকে' লেখার ভয়াবহতা কি হতে পারে তা নিচের আলোচনা থেকে আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন আশা করি। আপনার উপস্থাপিত ৭টি পয়েন্টের মধ্যে ২, ৩ ও ৭ নম্বর ভুল তথ্য পরিবেশন করছে। আরো ক'টি পয়েন্টে সন্নিবেশিত তথ্যাদিও বিতর্কিত।

মমতাজের সাথে শাহজাহানের বাগদান হয়েছিলো ১৬০৭ সালে যখন মমতাজ ও শাহজাহানের বয়স ছিলো যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ বছর। মমতাজ ছিলেন শাহজাহানের সৎ মা নূরজাহানের ভাইঝি। (সুত্রঃ http://www.tajmahal.org.uk/shah-jahan.html )।মমতাজের যে আগে কোনো বিয়ে হয়নি তার প্রমান মেলে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, উইকিপিডিয়া সহ নানাসূত্রে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিবেশিত ২নং পয়েন্টে 'আগের স্বামীকে খুন' বিষয়টি অবান্তর।

৩নং পয়েন্টে মমতাজের আপন বোনকে বিয়ে করার তথ্যটিও ভুল। মমতাজের আপন ও একমাত্র বোন পারওয়ার খানম বিয়ে করেন শেখ ফরিদ যার বাবা ছিলেন সম্রাট আকবরের পালিত পুত্র নওয়াব কুতুবউদ্দিন (জাহাঙ্গীরের ভাই) (সূত্রঃ Click This Link)।

৭নং পয়েন্টে 'তাজ মহলে অত্যাধিক অর্থ ব্যায়ের ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজাড় হয়ে গিয়ে প্রকট অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল' এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। তাজমহল নির্মানে তৎকালীন সময়ের মূল্যমান অনুযায়ী খরচ হয়েছিলো ৩২ মিলিয়ন টাকা (সূত্রঃ Click This Link)। তাও ২২ বছরের দীর্ঘ নির্মানকালীন সময়ে। তাজ নির্মানের একটি বছর কেবল ১৬৪৮ সালে মোঘল সাম্রাজ্যের কর সহ বিভিন্ন খাত থেকে আয় হয়েছিলো ১২০ বিলিয়ন টাকা (সূত্রঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Shah_Jahan)। ঐ এক বছরের টাকা দিয়েই ৩৭৫০টি তাজ নির্মান করা যেতো। জনজীবনে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে আসা তো দূরের কথা তাজ নির্মানে ব্যয়কৃত টাকার প্রভাবে অর্থনৈতিক 'দুরবস্থা'র কথা কোনো ইতিহাসবেত্তার বর্ণনায় লিপিবদ্ধ হয়নি। বরং শাহজাহানের শাসনামলে বল্খ ও বাদাখস্তান (বর্তমান আফগান ও তাজিকিস্তান) দখল এবং কান্দাহার পূনর্দখলের চাপ মোঘল অর্থনীতিতে পড়ে বলে নানা ঐতিহাসিক দলিলে উল্লেখিত হয়েছে (সূত্রঃ Click This Link )।

আপনার প্রথম পয়েন্টটিকে একেবারে 'ভুল' বলা যায় না। রাজারাজড়াদের বিয়ের সংখ্যা নিয়ে ঐতিহাসিকরাই হিমসিম খেয়ে যান। সম্রাট শাহজাহান মোটমাট ১১টি বিয়ে করেছিলেন (সূত্রঃ http://www.royalark.net/India4/delhi6.htm)। বিয়ের সাল বা সময়ানুযায়ী মমতাজ মহল ছিলেন তৃতীয় (সূত্রঃ Click This Link)।

সবশেষে আবারও বলতে হয় ইতিহাস নিয়ে লেখার ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানতা আবশ্যক। আপনাকে ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২১

হাসান ইমতি বলেছেন: এই বিষয়ে পড়াশোনা ও তথ্যবহুল মন্তব্যরের জন্য ধন্যবাদ, আপনি যে সোর্সগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো দেখলাম কিন্তু আপনি কি জানেন এই বিষয়ে পরস্পর বিরোধী তথ্য রয়েছে, যেমন প্রথমত সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের প্রেম কাহিনীতে বলা হয়েছে সম্রাট শাহজাহান মমতাজকে বাজারে দেখতে পান এবং প্রথম দেখাতেই মমতাজকে পছন্দ করে ফেলেন। কিন্তু এও শোনা যায় শাহজাহানের সাথে বিয়ে হওয়ার আগেও মমতাজের বিয়ে হয়েছিল এবং সম্রাট শাহজাহান মমতাজের সেই স্বামীকে হত্যা করে তারপর মমতাজকে বিয়ে করেছিল। শুধু তাই নয় মমতাজের আগেও সম্রাট শাহজাহানের আরও ৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং মমতাজকে বিয়ে করার পরও সম্রাট শাহজাহান আরও তিনটি বিয়ে করেন। এমনকি মমতাজ মারা যাওয়ার পর শাহজাহান মমতাজের আপন ছোট বোনকে বিয়ে করেন। তাজমহলের ডিজাইনারের নাম ছিল- ঈশা মোহাম্মদ। তিনি তার স্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য একটি ভাস্কর্য বানিয়েছিলেন। পরে সম্রাট শাহজাহানের পছন্দ হওয়াতে সেই ডিজাইনের আদলে বানানো হয় বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল এবং সেই ব্যক্তিটির চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে তিনি নতুন করে আর এই ডিজাইন তৈরি করতে না পারেন। তথ্য সুত্র Click This Link ওপাবেন আরও কিছু নড়েচড়ে বসার মত কথা যেমন উপরে যা বললাম তা কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু এবার একটু নড়েচড়ে বসুন। কারন এখন যা বলতে যাচ্ছি তা হয়ত অনেকের কাছেই নতুন ও অন্যরকম মনে হতে পারে।

আমাদের চেনা-জানা তাজমহলের ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন প্রফেসর পি.এন. অক (Professor P.N. Oak-- Taj Mahal: The True Story বই এর লেখক)। তিনি দাবী করেন যে তাজমহল বেগম মমতাজ মহলের সম্মানে নির্মিত প্রেমের সমাধিস্থল নয়; বরং এটা প্রাচীন দেবতা শিব (যাকে আগে বলা হত “তেজ মহালয়”) এর মন্দির যেখানে আগ্রার রাতপুতরা পূজা অর্চনা করত!! পরে শাহজাহান একে তাঁর মৃত স্ত্রীর স্মরণে স্মৃতিশালা হিসেবে গড়ে তোলেন।

ইতিহাস অনুসন্ধানে তিনি দেখতে পান যে শিব মন্দিরটি সম্রাট শাহজাহান অন্যায়ভাবে জয়পুরের মহারাজার (জয় সিং) কাছ থেকে দখল করেন। সম্রাট শাহজাহান তাঁর নিজস্ব দিনপঞ্জীতেও (বাদশাহনামা) উল্লেখ করেছেন যে, জয় সিং এর কাছ থেকে আগ্রার এক চমৎকার প্রাসাদোপম ভবন মমতাজ মহলের সমাধিস্থলের জন্য বেছে নেয়া হয়। এবং এর জন্য জয় সিংকে অনত্র জমিও দেয়া হয় সম্রাট শাহজাহানের পক্ষ থেকে।

“তাজমহল” নাম নিয়েও প্রফেসর অক সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মোগল আমল (এমনকি সম্রাট শাহজাহানের আমলেও) দলিলাদি ও কোর্টের নথিপত্রে কোথাও “তাজমহল” নাম উল্লেখ নাই! তাছাড়া ওই সময়ে কোন মুসলিম দেশে কোন প্রাসাদ/ভবনের নাম “মহল” রাখার প্রচলন ছিল না!
তাজমহল নাম এসেছে মমতাজ মহল থেকে---এটাও তাঁর কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি দুইটি কারনে। প্রথমতঃ তাঁর প্রকৃত নাম কখনই মমতাজ মহল ছিল না। দ্বিতীয়তঃ কেউ কারো নামে কোন প্রাসাদের নামকরন করতে চাইলে তার নামের প্রথম দুই অক্ষর বাদ দিয়ে (মমতাজ থেকে “মম” বাদ দিয়ে তাজ) নাম রাখবেন--এটাও সহজে মেনে নেয়া যায়না।

তিনি আরো বলেন, মমতাজ আর শাহজাহানের ভালবাসার গল্প মুলতঃ রূপকথা যা ওই সময়ের লোকদের মুখ থেকে সৃষ্ট; কারন ওই সময়কার কোন সরকারী নথিপত্রে বা গ্রন্থে মমতাজ-শাহজাহানের প্রেমের কথা উল্লেখ নাই।

পাশাপশি প্রফেসর অক কিছু ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেন যা প্রমাণ করে তাজমহল শাহজাহান শাসনামলের নয়!-
১। নিউ ইয়র্কের আর্কিওলজিস্ট মারভিন মিলার (Marvin Miller) যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন তাজমহলের দেয়ালের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে যে কার্বন পাওয়া যায় তা সম্রাট শাহজাহনের শাসনামলেরও ৩০০ বছরের পুরনো!
২। ইউরোপিয়ান পর্যটক যিনি ১৬৩৮ সালে আগ্রা ভ্রমন করেন (মমতাজ মারা যাওয়ার মাত্র সাত বছর পর) তিনি তার গ্রন্থে সেসময় তাজমহল তৈরির কোন সূত্র উল্লেক করেননি।

প্রফেসর অক তাজমহলের স্থাপত্যশৈলীর কিছু অসামঞ্জস্যতার কথা তুলে ধরে বলেন যে তাজমহল মুলতঃ হিন্দু মন্দির ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন তাজমহলের অনেক কামরাই শাহজাহানের আমল থেকেই তালবদ্ধ করে রাখা হয়েছে যা এখনও জনসাধারনের অজানা রয়ে গেছে। প্রফেসর অক দৃঢ়তার সাথে দাবী করেন যে ওই কামরাগুলোর একটাতেই আছে দেবতা শিবের মস্তকবিহীন মূর্তি যা সচরাচর হিন্দুদের মন্দিরে দেখা যায়।

ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সংঘাতের আশংকায় ইন্দিরা গান্ধির সরকার প্রফেসর অকের বই বাজার থেকে উঠিয়ে নেয় এবং ভারতে এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়।
তথ্য সুত্রঃ Click This Link , ধন্যবাদ আপনাকেও ।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৬

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: আমি আবারও বলি কাহিনী আর ইতিহাস দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট। 'আলিফ লায়লা' স্রেফ কাহিনী; ইতিহাস নয়। 'পরস্পর বিরোধী তথ্য' তখনই বিচার্য যখন তা কোনো না কোনো গ্রহনযোগ্য 'মাপকাঠি'তে মূল্যায়ন করা যায়। 'শোনা যায়' দিয়ে অনুমান নির্ভর কাহিনী লেখা যায় কিন্তু ইতিহাস নয়। অনেক ক্ষেত্রেই ঐতিহাসিক কাহিনীরও সত্যতা বা নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এই প্রশ্ন তোলাটাও আমি আপনি আম জনতা করেন না। তার দায় বর্তায় একাডেমিশিয়ানদের ঘাড়ে যারা নিয়মবদ্ধ কাঠামো অনুসরন করে মূল্যায়ন-প্রতিমূল্যায়ন করে থাকেন। আপনি যেটিকে 'সোর্স' হিসেবে দেখিয়েছেন সেই 'রফিক স্যারের' ব্লগটিও কোনো রেফারেন্স ছাড়া কেবল পি এন অক সাহেবের 'খোঁড়া তত্ত্বের' স্ক্রিবড এর লিংক (তাও তার 'অরিজিনাল' বইয়ের পাবলিকেশন লিংক নয়)।

কথিত আছে আমার পূর্বপুরুষ পারস্য থেকে আগত কিন্তু মমতাজ মহলের পরিবারের সাথে আমাদের আত্মীয়তা ছিলো তা কোনো ঐতিহাসিক দলিল দ্বারা প্রমান না করা গেলে তা আষাঢ়ে গল্পই থেকে যাবে।

পি এন অক যে আদৌ কোনো ইতিহাসবেত্তা ছিলেন তা নিয়ে গবেষণার দরকার নেই। তার লেখা একাডেমিক পর্যায়ে যে গ্রহনযোগ্যতা পায়নি তার প্রমান মিলে একাডেমিক রিভিউয়ের অনুপস্থিতিতে। যে কেউ কোনো দাবি উপস্থাপন করলেই তা তত্ত্ব হয়ে যায় না। এই অক সাহেব তো তার হিন্দুত্ববাদী তত্ত্বে এই দাবীও করেছেন যে ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মের উৎপত্তি হিন্দু ধর্ম থেকে। ইসলাম শব্দ এসেছে ইশালায়াম বা 'ঈশ্বরের মন্দির' আর আব্রাহাম (ইব্রাহিম) 'ব্রহ্ম' থেকে। এমন গাঁজাখুরি সমীকরন দিয়ে আর যাই হোক ইতিহাস লেখা যায় না। তাজমহল নিয়ে লিখতে গিয়ে যদি অক সাহেবের কথা বেদবাক্য হয় তবে ইসলাম ধর্মের অনুসারি না হয়ে আমাদের হিন্দু ধর্ম অনুসরন করা উচিত।

আবারও বলি ইতিহাসের আকর্ষনীয়তার চেয়ে জরুরী তার সত্যতা। ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪২

হাসান ইমতি বলেছেন: বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ইতিহাস হচ্ছে ক্ষমতাসীন বা শাসকদের হাতে লেখা সময়ের একপেশে ডায়েরী, এটা সেভাবেই রচিত হয় যেভাবে তারা চান, অন্যভাবে বলা যায় বিজয়ীর কলমে লেখা পরাজিতের জীবনী হচ্ছে ইতিহাস, অনেক কাটছাঁট ও আরোপের কাজ থাকে তা বলাই বাহুল্য, আমিও তাই বলি যা শুনে আসছি তা কি আসলেই সত্যি ?

The very ink with which history is written is merely fluid prejudice - Mark Twain

আমার এ লেখা সরাসরি ইতিহাস নয়, ইতিহাস তো অনেক আগেই লেখা হয়ে গেছে, এখন যারা ইতিহাস লেখেন তারা করেন কপি পেস্টের কাজ, এ প্রচলিত ইতিহাসের সত্যতা খোঁজার এক প্রয়াস, কথায় আছে যা রটে তা কিছুটা বটে, পরস্পর বিরোধী এসব কথা চালু হবার পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারন আছে, সেসবের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ বা শেকড়ের সন্ধান থেকেই আমার এ লেখা, এটা ক্ষমতাসীন বা শাসকদের হাতে লেখা সময়ের ডায়েরী বা বিজয়ীর কলমে লেখা পরাজিতের জীবনী নয়, নিজের জিজ্ঞাসার উত্তর খোঁজা, নিজের মত করে সত্যের অনুসন্ধান । ধন্যবাদ ।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

উপানন্দ বোস বলেছেন: পি এন ওক -- একজন গেরুয়াপন্থী জোচ্চোর ও মিথ্যাবাদী । "তেজো মহালয়" নামে কোনও শিব ছিল না, আজও ভারতে নেই। ওই পি এন ওক নামের লোকটি কর্মজীবনে মিলিটারিতে ছিলো। মিলিটারি থেকে ফিরে এসে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছে। সে হঠাৎ কী করে ঐতিহাসিক হয়ে গেল ? গাঁজাখুরি গল্প ও ভূতের গল্প লোকে খায় ভালো । কিন্তু তাকে ঐতিহাসিকেরা কখনওই পাত্তা দেয়নি। এখন পাত্তা দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের লোকেরা । আর পাত্তা দিচ্ছে তারা -- যাদের বগলে দাদ ও চুলকানির মতো গোপন সাম্প্রদায়িকতা আছে।

প্রশ্ন হলো, ওক কী ভাবে "প্রোফেসর" হয়ে গেল ? কারণ নামের আগে প্রোফেসর না লাগালে কেউ পাত্তা দেয় না যে !!! উইকিপিডিয়া বলছে -- "Oak's theories have been summarily rejected in academia, they have found a popular following among some members of India's Hindutvas" --- শিক্ষাবিদ-দের কাছে ওকের থিয়োরি প্রত্যাখাত হয়েছে । কিন্তু ভারতের কিছু হিন্দুত্ববাদী সদস্যের কাছে তা জনপ্রিয় হয়েছে।

পি এন ওকের কথা মানলে -- কাবা, ভ্যাটিকান ও ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবে-- সবই শিবের মন্দির। "ইসলাম" -- মানে ঈশালয়ম -- অর্থাৎ শিবের মন্দির। "ক্রিশ্চিয়ানিটি" মানে হলো "কৃষ্ণচিন্তা"। লোকটা কিন্তু পাগল নয়, শয়তান বদমাস।

তার দাবি, তাজমহলের একটা কুঠুরিতে নাকি শিবের মূর্তি চাপা দেওয়া আছে। যে কুঠুরির অস্তিত্ব নেই , কিন্তু যদিও থাকে, সেখানে ওক ঢুকলেন কীভাবে ?

ওকের দাবি, কেউ নাকি তাজমহলের ভিত খুঁড়ে বার্বন টেস্ট করেছে। একদম বাজে কথা। কারণ আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) তাজমহলের দেখভাল করে। তাদের অজ্ঞাতসারে এটা সম্ভব ?

দেওয়ানি আদালতে লিখিত বিবৃতিতে এএসআই জানায়, দেবতা শিবের নামে ওই স্থাপনাটি তৈরি করা হয়েছিল বলে যে দাবিটি করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। ২০১৫ সালে ছয় আইনজীবী তাজমহলকে শিবমন্দির ঘোষণা করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটেই আদালতে এএসআই তাদের অভিমত জানিয়েছে।
আইনজীবীরা তাদের আর্জিতে জানিয়েছিলেন, তাজমহল আসলে একটি হিন্দু মন্দির। এর নাম ছিল তেজো মহালয়া। এ কারণে তাজমহলের ভেতরের প্রকষ্ঠে গিয়ে শিব অনুসারীদের ‘দর্শন’ ও ‘আরতি’ অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হোক।
তারা মনুমেন্টটির তালাবন্ধ কক্ষগুলোও খুলে দেওয়ার আবেদন করেছিল।
এএসআই আদালতকে জানায়, তাজ একটি ইসলামি স্থাপনা। অন্য কোনো ধর্মের লোকজন কোনো কালেই এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করেনি।
হলফনামায় এএসআই জানায়, ‘ঐতিহাসিকভাবে এবং এমনকি প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র অনুযায়ী যমুনা নদীর তীরে একটিমাত্র প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। তার নাম তাজমহল। এই স্থাপনাটি বিশ্বের সপ্ত আশ্চর্যের একটি হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে একে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে।’
ব্রিটিশ আমল থেকে প্রাপ্ত নথিপত্র অনুযায়ী, তাজ মনুমেন্টকে ১৯২০ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংরক্ষিত মনুমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

উপানন্দ বোস বলেছেন: দুঃখ ও ক্রোধ এই কারণে যে পি এন ওক নামে একজন নিম্নরুচির লোকের কথা নিয়ে কেউ প্রবন্ধ লিখতে পারে ! তাজমহলকে হিন্দু মন্দির দাবী করে একমাত্র ওই লোকটি ছাড়া আর কারুর কোনও গ্রন্থ নেই। এখন যারাই লেখালিখি করছে, সবই ওই ঠগ ব্যক্তির বই থেকে উদাহরণ দিচ্ছে। ওক নামে এক জোচ্চোরের কাল্পনিক কাহিনী ছাড়া পৃথিবীতে আর কোথাও কোনও আবিষ্কার নেই। সব লোকই ওই ওকে-র মনগড়া লেখার ভিত্তিতেই জাবর কেটে যাচ্ছে।... ওক নাকি রিসার্চ করেছে । রিসার্চ আবার কী ? মনগড়া কথা লিখতে রিসার্চ করতে হয় না । "তেজো মহালয়া" শিবের নাম -- এটা কোন পুরাণে আছে ?

এরপর ভারতের গেরুয়া শিবির কি ভ্যাটিকানে ও কাবা গৃহে শিবের পূজা করতে চাইবে -- যেহেতু ওক-এর দাবি এসবই হিন্দু মন্দির। এমনকি "জর্জ" নামটিও নাকি ভারতের উত্তরপ্রদেশীয় "গর্গ" পদবি থেকে উদ্ভুত।

পি এন ওক মহাশয়ের একটি বই আছে Who says Akbar was Great? । স্বর্গত সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যাল, ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে এই বইয়ের একটি কপির প্রথম পাতায় এক পাঠকের একটি মন্তব্য দেখে মুগ্‌ধ হয়েছিলেন। বইটির প্রথম পাতায় যেখানে বইয়ের নামটি বড় বড় করে লেখা, তার নীচে কলম দিয়ে লেখা Entire forest, except Oak । মানে ওক বৃক্ষ ছাড়া অরণ্য !!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.