![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্যের লাল চোখ রেখে আমি শপথ নিয়েছি আরেক সূর্য হবার
বাবা, এই হাড়গুলো কাদের ?
এগুলো প্যালিওলিথিক যুগের পুরুষ মানুষের হাড় ।
প্যালিওলিথিক যুগ কি বাবা ?
প্যালিওলিথিক যুগ হল আদি প্রস্তর যুগ, যে যুগে মানুষ মূলত পাথরের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে শিকারের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো ।
এই হাড়গুলো এতো বড় বড় আর মোটা মোটা কেন ? দেখে মনে হচ্ছে এগুলো শুধু পুরুষ মানুষের হাড় কেন, মহিলা ও শিশুদের হাড় কোথায় ?
আদি প্রস্তর যুগের মানুষ খুব পরিশ্রমী ও শক্তিশালী ছিল তাই তাদের হাড় এতো বড় আর মোটা । এগুলো বেশীরভাগ শক্তিশালী পুরুষের হাড়, নারী ও শিশুদের হাড় সময়ের বিবর্তনে ক্ষয়ে ফসিল হয়ে গেছে ।
মাঝ খানের হাড়টি সবচেয়ে মোটা আর বড় কেন ?
ঐ হাড়টি সম্ভবত কোন গোত্রপতি বা দলনেতার, ঐ যুগে নিয়ম ছিল কোন গোত্রে যে সবচেয়ে যোগ্য ও শক্তিশালী সে গোত্রের দলপতি হবে । সেজন্য ঐ হাড়টি সব হাড়ের চেয়ে বড় আর মোটা ।
পাশের শোকেসের ঐ হাড়গুলো কাদের বাবা ?
এগুলো নিওলিথিক যুগের মানুষের হাড় । প্যালিওলিথিক বা আদি প্রস্তর যুগ থেকে চাষাবাদ ও পশুপালনের সূচনার মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতা প্রবেশ করে নব্য প্রস্তর বা নিওলিথিক যুগে । কৃষিকাজের বিস্তারের সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষ যাযাবর জীবনযাত্রা ত্যাগ করেস্থায়ী বসবাস ও কৃষিনির্ভর জীবন পদ্ধতি গ্রহণ করে। তবে কিছু সমাজে যাযাবর জীবনব্যবস্থারয়ে যায়, বিশেষ করে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ও যেখানে আবাদযোগ্যউদ্ভিদ প্রজাতির অভাব রয়েছে। কৃষি থেকে প্রাপ্ত খাদ্য-নিরাপত্তা ওউদ্বৃত্ত উৎপাদন এর ফলে গোষ্টীগুলো ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে আরও বড় সামাজিকপ্রতিষ্টানের জন্ম দেয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও এক্ষেত্রে একটিউল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
ওখানে সব হাড় গুলো এক রকমের কেন, এই যুগে কি কোন গোত্রপতি ছিল না ?
এই যুগে কৃষির উন্নতির সাথে সাথে সমাজে শ্রমভিত্তিক শ্রেণী বিভেদের সৃষ্টি হয় । শ্রমভিত্তিক শ্রেণীবিভাগের পথ ধরে সমাজে সুবিধাপ্রাপ্তউচ্চ, মধ্য ও সুবিধা বঞ্চিত নিম্নশ্রেণীর উন্মেষ ঘটে ও শহরগুলো গড়ে উঠে। এই যুগে প্যালিওলিথিক যুগের মত নেতৃত্ব কেবল শারীরিক শ্রেষ্ঠত্ব বা সক্ষমতার উপর নির্ভরশীল ছিল না, নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করতো শ্রেণী বিভাজিত সমাজের সুবিধাপ্রাপ্তউচ্চশ্রেণী । এই যুগের গড় পড়তা মানুষের শারীরিক গঠন একই রকম ছিল বলেই হাড়গুলোও একই রকমের ।
ঐ উল্টা দিকের শোকেসের হাড়গুলো কাদের বাবা ?
ওগুলো আধুনিক যুগের মানুষের । নিওলিথিক যুগে শ্রমভিত্তিক শ্রেণীবিভেদের ফলে সমাজে নানাবিধ জটিলতা বৃদ্ধিতে লেখন ও হিসাব পদ্ধতির উদ্ভব হয় এবং হ্রদ ও নদী তীরবর্তী সুবিধাজনক এলাকাগুলোতে বিভিন্ন সভ্যতা গড়ে উঠে । এর মধ্যে উন্নতি ও উৎকর্ষতার দিক দিয়েমেসোপটেমিয়ার সভ্যতা,মিশরের নীলনদ তীরবর্তী সভ্যতাওসিন্ধু সভ্যতা ছিলউল্লেখ্যযোগ্য । মানব সভ্যতার বিবর্তনকে কয়েকটি ভাগেভাগ করা যায়,প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ, ইসলামী স্বর্ণযুগ ও ইউরোপীয় রেনেসাঁ । আধুনিক যুগের সূচনাকালধরা হয় পঞ্চদশ শতক হতে অষ্টাদশ শতকের শেষ পর্যন্ত যার মধ্যে রয়েছেইউরোপের আলোকিত যুগ। শিল্প বিপ্লব হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত আধুনিক কাল বলেবিবেচিত। ।
আধুনিক যুগের মানুষদের মাধ্যে কিছু হাড় এতো দুর্বল ও হালকা কেন ?
ঐ দুর্বল ও হালকা হাড়গুলো আধুনিক যুগের সমাজপতি বা নেতাদের আর সবল ও সুগঠিত হাড়গুলো সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের । শ্রেণীবিভাজিত আধুনিক যুগে সুবিধাপ্রাপ্তউচ্চশ্রেণীর বেশীরভাগ মানুষ কায়িক শ্রমকে এড়িয়ে গিয়ে ভোগ বিলাসে লিপ্ত হয়ে পড়ে । জীবিকা নির্বাহের অজুহাতে কায়িক শ্রম চাপিয়ে দেয়া হয় ভাগ্য বঞ্চিত সাধারণ মানুষের উপর তাই এ যুগের বেশীরভাগ সমাজপতি ও নেতাদের শরীর এ যুগের পরিশ্রমী ও সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ মানুষের মত সুগঠিত হয় না । এই বৈষম্যের সাক্ষ্য দিচ্ছে আধুনিক মানুষের হাড় ।
মানব সভ্যতা তাহলে আধুনিক হল কি ভাবে, এই হাড়ের যাদুঘরে হাড় দেখে তো বোঝা যাচ্ছে সভ্যতার উন্নতির দাবীর সাথে সাথে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবনতি হয়েছে ?
এই উন্নতি হল জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নতি । প্রস্তর যুগ থেকে সে জ্ঞান বিজ্ঞানে আধুনিক হয়েছে ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নতি হয়তো হয়েছে, কিন্তু এই হাড়গুলো তো সাক্ষ্য দিচ্ছে মানুষ হিসাবে তার আত্মিক ও শারীরিক অবনমন হয়েছে । বেড়েছে বিজ্ঞান নির্ভরতা, মানুষের হয়েছে অবনমন ।
( আটকাহন সাহিত্য পুরষ্কারপ্রাপ্ত )
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭
হাসান ইমতি বলেছেন: এখানে তুলনামূলক বিচারের কথা এসেছে, বর্তমানের তুলনায় সে যুগের মানুষ যে শক্তিশালী, তাদের হাড় ও মাংশ বেশী সুগঠিত ছিল সেটা ধর্ম, বিজ্ঞান ও ইতিহাস সবাই সমর্থন করে . আপনি লেখার মূল বিষয়ে না গিয়ে বাঁকা তর্কে যেতে যাচ্ছেন কেন বুঝতে পারলাম না !
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
হাসান ইমতি বলেছেন: আর একটি কথা এটি আমার ব্যক্তিগত বা স্মৃতি চারনমূলক লেখা নয়, আমার নিজের বাচ্চা নেই বা কোন বাচ্চাকে নিয়ে আমি কখনো হাড়ের যাদুঘরে যাইনি, কোন লেখকের সব লেখার থিম যে তার ব্যক্তিগত হবে বা লেখা দিয়ে ব্যক্তি লেখককে সনাক্ত করে যাবে এটি একটি সংকীর্ণ ধারণা @ চাঁদ গাজি
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আপনি লেখার মূল বিষয়ে না গিয়ে বাঁকা তর্কে যেতে যাচ্ছেন কেন বুঝতে পারলাম না !"
-লেখার শুরু যদি ভুল লজিকের উপর গড়ে তোলা হয়, মুল দিয়ে কি হবে?
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০
হাসান ইমতি বলেছেন: লেখা ভুল লজিকের উপর গড়ে ওঠেনি, বর্তমানের তুলনায় সে যুগের মানুষ যে শক্তিশালী, তাদের হাড় ও মাংশ বেশী সুগঠিত ছিল সেটা ধর্ম, বিজ্ঞান ও ইতিহাস সবাই সমর্থন করে এ কথা, তথ্য ভিত্তিক আলোচনা কাম্য।
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
বেশ মজার করে ইতিহাস শেখালেন তো!
সাথে ভিন্ন কিছূও আসলেই মানুষ মানুষ হিসাবে কতটুকু উন্নত হয়েছে ভাবতে হয় বৈকি!
বরং বিভিন্ন যান্ত্রিক নির্ভরতা যে কত বেশী দুর্বল করে দিচ্ছে মানব প্রজন্মকে তা ভাবনার বিষয়!!!
+++++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
হাসান ইমতি বলেছেন: গল্পের ছলে শিক্ষা, মিষ্টি খাওয়ানোর নাম করে অংক শেখানো, হা হা হা
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্হাপনা আর ভাল লেখা। ভাল লাগল।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩১
হাসান ইমতি বলেছেন: ভালোবাসা বন্ধু .
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫
লাবু২২ বলেছেন: দারুন লাগলো পড়ে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩২
হাসান ইমতি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো, ভালোবাসা বন্ধু . ভালো থাকুন সবসময়য় .।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫
হাসান ইমতি বলেছেন: যারা লেখাটি পড়েছেন বা পড়ে মতামত দিয়েছেন তাদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আদি প্রস্তর যুগের মানুষ খুব পরিশ্রমী ও শক্তিশালী ছিল তাই তাদের হাড় এতো বড় আর মোটা । "
-মানুষকে বাঁচার জন্য অনেক বেশী সংগ্রাম করতে হয়েছে; তবে, মানুষ শক্তিশালী ছিলো না। আপনি হয়তো হাতীর হাড্ডি দেখাচ্ছেন বাচ্ছাকে।