নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারন একজন মানুষ... লিখতে ভালো লাগে।কিন্তু আলসেমি লেখার গতি কমিয়ে দেয়.।এমন একটা যন্ত্র আবিস্কার হত।যাতে বলার সাথে সাথে প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে যেত লেখা।সেই দিনের অপেক্ষায় আছি

পথিক শোয়েব

পথিক শোয়েব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিশাচ

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪




- বাড়ীটা তুই বলতে চাচ্ছিস অভিশপ্ত ?
- হ্যা
-কি দেখে মনে হল ?
-সব কিছু দেখে বলা লাগে না। কিছু জিনিস সিক্সথ সেন্স ই বলে দেয় ।
- তো তোর সিক্সথ সেন্স আর কি বলল ??
- মিশু তুই মজা করছিস আমার সাথে!
- মজা না করার কি আছে। ঢাকার মত জনবহুল শহরের একটা ফ্লাটে তুই বোঝাতে চাচ্ছিস অতিপ্রাকৃত কিছু আছে!! হাউ ফানি ।
-দেখ মিশু তোর ছোট সময়ের সব বিষয়ে মজা করার অভ্যাস পাল্টায়নি।
-তো বল তুই কিভাবে বুঝলি যে এই বাসায় কিছু আছে ?
- কেমন একটা অসস্থি কর পরিবেশ। আন ইজি লাগছে।
-নতুন বাসায় এমন একটু আন ইজি লাগে ।আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায় ।
-তুই যত তারা তারি পারিস বাসাটা চেঞ্জ করে ফেল।
- মাত্র এই মাসে উঠলাম বাসায়। এখনই চেঞ্জ করতে বলছিস । পাগল নাকি ?
- নাহ, যত তারা তারি পারবি ততই মজ্ঞল তোর জন্য।
- আমার জন্য মোজ্ঞল কামনা করতে হবে না। বহু সমাজ সেবা করেছিস জীবনে । ঘরের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানো বন্ধ কর এবার । এখন চল খেতে যাব
মিশু আর নয়ন স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড । মিশু নতুন বাসা নিয়েছে ।তাই তাকে দাওয়াত দিয়েছে সে। নতুন বাসা চিনা ও হল , আড্ডাও মারা হল একটু ।
রাত প্রায় ১ টা বাজে ।বহু আগেই নয়ন চলে গেছে । কম্পিউটারে বসে ফেসবুকের টাইম লাইনটা ঘাটতে ছিল সে। হঠাৎ পিছন দিক দিয়ে কিছু চলে যাওয়ার অনুভূতি হল । এত রাতে কে যাবে । তার মা-বাবা তাদের রুমে ঘুমাচ্ছে ।কাজের মেয়েটা ও তো রান্না ঘরের পাশের খাবার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে কখন । তার পরও উঠে ঘুরে দেখে আসলো সে। সব কিছুই ঠিক ঠাক আছে । কম্পিউটার বন্ধ করে স্মার্ট ফোনটা নিয়ে বসলো । কিছুক্ষন গেম খেলবে । গেম খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে যাবে সে। জানালার পাশে কিসের যেন আওয়াজ হল । জানালার দিকে তাকাতেই আবার মনে হল কেউ চলে গেল জানালার বাহির দিয়ে।ব্যাপারটা কি বোঝার জন্য উঠে গেল দেখার জন্য। দূরের বিল্ডিংগুলোর একটা একটা করে বাতি নিভে যাচ্ছে । তার মানে সবাই ঘুমাতে যাচ্ছে। রাতের ঢাকা সহজে ঘুমায় না। রাত তাহলে অনেক হয়েছে । ঘরির দিকে তাকায় সে। ২ টা বাজে । জানালা বরাবর বিল্ডিংয়ের ছাদে চোখ যায় তার । সাদা পোশাক পরা একটা লোক তার দিকেই ফিরে আছে। চাঁদের আলোতে উজ্জ্বল হয়ে আছে ছাদ। কেমন অতিপ্রাকৃত লাগছে শহরটাকে । যেন কালের গর্ভ থেকে এক মুহূর্তে উদয় হয়েছে ভৌতিক কোন শহর। কারেন্ট চলে গেল এর মধ্যে ।আধিভৌতিক পরিবেশ আরো বাড়লো। ছাদের লোকটাকে কেমন অদ্ভুত লাগছে। এত রাতে ছাদে কি করে ?!! ।হাতে সিগারেট। সিগারেট টানতে কি ছাদে উঠা লাগে নাকি আবার । লোকটা সিগারেটে কিছুক্ষন পর পর টান দিচ্ছে । চোখ দুটো ভাটার মত হলদে লাল আলো নিয়ে জ্বলছে ..। নাহ এটা তার কল্পনা । এত দূর থেকে স্বাভাবিক মানুষের চোখ বোঝাই যাবে না। নয়ন তার মনের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে। এই আধুনিক যুগে ভুত-প্রেত বলতে কিছু নাই....... সে তারাতারি জানালার পর্দা টেনে দিয়ে শুয়ে পড়ে.........। .। ( চলবে )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এইটুক!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

পথিক শোয়েব বলেছেন: বেশি বড় লেখা মানুষ পড়ে না....। :(

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এটুকু দিয়ে এক পর্ব?
এই পর্বে তো পাঠকের ভাবনার খোরাকই নেই কোন। পরের পর্ব পড়ার আগ্রহ না থাকলে তো পর্ব করে দিলেও কেউ পড়বে না।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

পথিক শোয়েব বলেছেন: আন্তরিক দুঃখিত ভাই। আপনার মুল্যবান মতামত পরের পর্বে কাজে লাগাব.।.।.।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.