![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং জানি আমার বাক স্বাধীনতা কতটুকু ।
২০ জুলাই, ২০২৬। একটি ভূগর্ভস্থ ঘরে টান টান উত্তেজনা। ঘরের উচ্চতা বেশ কম, দেয়ালের দুই পাশে দুটি দরজা। মাঝখানে একটি লম্বা টেবিল ঘিরে বসে আছে আট-দশজন বিশিষ্ট কর্মকর্তা। সবাই চুপ, চোখ বড় একটি স্ক্রিনের দিকে। স্ক্রিনজুড়ে লক্ষ লক্ষ আলোক বিন্দু মিটিমিটি করে জ্বলছে আর নিভছে, যেন একটা জীবন্ত গ্রিড।
ঘরের এক মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন একজন গম্ভীর চেহারার, মধ্যবয়স্ক মানুষ । জেনারেল ফিলিপ, তার কাঁধ ও বক্ষের সাজসজ্জা থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় তিনি একজন জেনারেল পদমর্যাদার।
তিনি বললেন, “মাননীয় প্রেসিডেন্ট, আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে আমি বিষয়টি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে পারি।”
প্রেসিডেন্ট চোখ বন্ধ করে এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে মাথা নাড়লেন। ঘরে নিঃশব্দতা আরও ঘনীভূত হলো।
জেনারেল শুরু করলেন, “আমাদের সময় অত্যন্ত সীমিত। আপনারা সবাই জানেন, আমরা প্রায় চার বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করছি। আজ,আমরা দাঁড়িয়ে আছি চূড়ান্ত বাস্তবায়নের একদম দোরগোড়ায়।
এই ‘সাইলেন্ট ট্র্যাকিং র্যাট’ প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। ২০২৪ সালে আমরা বাজারে ছেড়েছিলাম ‘ফ্লোটা’ নামে ১০ লাখ মোবাইল ডিভাইস—দেখতে সাধারণ মোবাইল ফোন, কিন্তু এর পেছনে ছিল এক বৈপ্লবিক প্রযুক্তি।”
জেনারেল স্ক্রিনে কয়েকটি বিন্দুর ওপর ট্যাপ করে জুম ইন করলেন। “এই ডিভাইসগুলো চার্জ ছাড়াই আজীবন কাজ করে। আর সবচেয়ে বড় কথা, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে, সবচেয়ে কম খরচে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন নিশ্চিত করে। এই আর্কষণীয় ফিচারগুলো বিশ্বের নজর কাড়ে। কিন্তু…”
তিনি একটু থেমে চারপাশের উপস্থিত কর্মকর্তাদের দিকে তাকালেন, “…আপনারা জানেন, প্রকৃত বিষয়টা অন্য। প্রতিটি ডিভাইসের মধ্যেই রয়েছে এমন সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি ইউনিটকে স্বতন্ত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। শুধু তাই নয়—প্রয়োজনে ডিভাইসগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এরা শুধু ডিভাইস নয়—চলন্ত সেনা।”
“আমাদের ডিভাইসগুলো ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পৃথিবীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করেছে। এমনকি ডিভাইসটি বন্ধ থাকলেও এর চিপ সক্রিয় থাকে এবং ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অন্যান্য ফ্রিকোয়েন্সিতে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।”
ঘরে উপস্থিত কর্মকর্তাদের চোখে বিস্ময় আর গর্ব মিশে গেল।
“তথ্য, ছবি, ভয়েস, ভিডিও—সব এখন আমাদের কাছে। পৃথিবীর প্রতিটি সামরিক ঘাঁটি, সরকারি কাঠামো ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো—সব এখন একটি স্ক্রিনে দৃশ্যমান।”
জেনারেল একটু নত হয়ে বললেন, “এখন আসল কথায় আসি। এই প্রকল্পের সবচেয়ে গোপন অংশটি আমরা প্রকাশ করছি—এটি মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সারা পৃথিবীকে এক অচিন্তনীয় বাস্তবতায় ঠেলে দেবে। যার কোনো আগাম ধারণা নেই কারো—আমরা অল্প কয়েকজন ছাড়া।”
তিনি এক প্রশান্ত নিঃশ্বাস ফেললেন। “আমি কৃতজ্ঞতা জানাই প্রফেসর মি.হিনস্টিনেককে, যার যুগান্তকারী আবিষ্কার আমাদের এই প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। ইউরেনিয়াম,হেক্সানিয়াম ও সিলিকা-এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে, কয়েকটি জটিল ধাপ অতিক্রম করে ‘ফ্লোটা’ মোবাইল ডিভাইসের ব্যাটারিতে এমন এক প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রতিটি ডিভাইসকে একেকটি ন্যানো নিউক্লিয়ার ডিভাইসে রূপান্তর করেছে। এটি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে এবং সবচেয়ে বড় কথা এটি চিহ্নিত করা একেবারেই অসম্ভব হবে, কীভাবে, কেন,বা কার মাধ্যমে এটি ঘটেছে, কারণ বিস্ফোরণের পর পুরো ডিভাইসটি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে।”
স্ক্রিন জুড়ে ১০ লাখ ডিভাইসের ছোট ছোট বিন্দু কাঁপছে। তিনি একটি অঞ্চল জুম করে দেখালেন—এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৭টি ডিভাইস সক্রিয় হয়ে বিট করছে।
কক্ষজুড়ে সবার মুখে মৃদু গর্বের হাসি ফুটে উঠল।
২১ জুলাই ২০২৬। পুরো বিশ্ব থমকে গেল। কীভাবে কী হলো কেউ বুঝে উঠতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ জুড়ে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হলো।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪
হাসানুর বলেছেন: আল্লাহ না করুন, এমন কোনো দেশের নাম যেন বলতে না হয়। কিছুদিন পর প্রযুক্তি এমন এক চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে...
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: মানুষ তার সুবিধার জন্য সবকিছু আবিস্কার করবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: শোক কোন দেশে?