নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি- হাসান জাকির। অজ পাড়াগাঁয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু জীবিকার তাগিদে শহুরে জীবনে আটকা পড়ে আছি। কাজ করছি- স্বাস্থ্য সেবা খাতে। ভালবাসি নিজেকে- নিজের পরিবারকে, দেশকে- দেশের মানুষকে। সারাদেশে ঘুরে বেড়ানো আমার নেশা।

হাসান জাকির ৭১৭১

জীবনের জন্য কাজ, জীবের জন্য ভালবাসা।

হাসান জাকির ৭১৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃহত্তর জোট- কমেডি ও একজন পতিত আইনজীবি!!!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২



ড. কামাল হোসেন!
যাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আর কিছু নাই।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট আইনজীবি। এছাড়াও তার আরো অনেকগুলি পরিচয় আছে।

কোন রকম রাজনৈতিক জ্ঞান ও পরিচয় না থাকার পরেও শেখ মুজিব যাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
আইনমন্ত্রী থাকায় পদাধীকার বলে যিনি সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। কমিটিতে আরো অনেক বিশিষ্ট আইনজীবিরা থাকলেও শুধুমাত্র তিনিই সংবিধান প্রণেতা বনে গেলেন। যে পরিচয়টা দিয়ে পরিবর্তীকালে বহুকিছু কুড়িয়ে নয় রীতিমত দু-হাত ভরে শুধু নিলেন।

আর যে লোকটির বদান্যতায় আজ তিনি বিশিষ্ট ড. বনে গেলেন বিনিময়ে তার জন্য, তার সরকারের জন্য, তার জীবন রক্ষায়, মৃত্যুর পরে তার বিচার ও তার সন্তানদের রক্ষায় তিনি কি করেছেন?

শেখ মুজিবের দল ও তার কন্যার বিরোধীতা করার লক্ষ্যে নিজে দল গঠন করেছেন। তবে নির্বাচনী মাঠে তার দল আর তার অবস্থা ও গুরুত্ব তিনি বারবারই প্রমাণ করেছেন! প্রতিবারই জামানত হারিয়েছেন!! কিন্তু কথা শুনলে মনে হয়, সারাদেশের মানুষ শুধু তার কথাতেই চলে।

যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় তার, তার মেয়ের ও মেয়ের জামাইয়ের ভূমিকা খুবই স্পষ্ট। বিচারকার্য বাধাগ্রস্ত করতে ও অপরাধীদের রক্ষায় তারা এমন কোন চেষ্টা নাই যা করতে বাদ রেখেছেন।

তার বর্তমান কর্মকান্ড প্রমাণ করে- শেখ হাসিনা ও তার দলের বিরুদ্ধে শুধু বিষোদ্গারই নয়, বরং এমন কোন ষড়যন্ত্র নাই যাতে তিনি নিজেকে জড়ান নাই।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহাকে সরকারের মুখোমুখি দাড় করিয়ে, বহুল আলোচিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বিতর্কিত পর্যালোচনা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বিচার বিভাগীয় ক্যু তৈরি করে সরকার পতনের জন্য সকল প্রচেষ্টায় তিনিই কলকাঠি নেড়েছেন বলে জানা যায়।

ড. কামালের মত মানুষের সংষ্পর্শে এসে ও তার পরামর্শ শুনে সিনহা ছাড়াও বিচারপতি শাহাবুদ্দিন, ড. ইউনুস সহ আরো অনেক বিখ্যাত ও সর্বজন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিরাও নিজেদের সর্বনাস ও ধ্বংস ডেকে এনেছেন। জানা যায়- তার পরামর্শেই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে মামলা লড়েছেন এবং হেরে গিয়ে এখন বিশ্বব্যাপী দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

বারবার নিজের ও দলের জামানত হারালেও নির্বাচন এলেই তিনি কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে হাইপার এক্টিভ হয়ে উঠেন। এবারেও তার ব্যাতিক্রম নাই। সম্প্রতি তিনি আরো কিছু নাম সর্বস্ব পতিত রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে 'বৃহত্তর নির্বাচনী জোট' নামে নির্বাচনী মাঠে সরব হয়েছেন। যারা অধিকাংশই নির্বাচন করলে নিজের ভোটটা ছাড়া বউয়ের ভোটটাও পাইবে কিনা সন্দেহ! ড. কামাল, মান্না, বদু কাকারা বাপ-বেটা, রব, জাফরুল্লাহ সহ সব মিলে সারাদেশে একজন এমপি নির্বাচিত হবার ভোট আছে?


সামনে জাতীয় নির্বাচন। তাই শুরু হয়ে গেছে এদের কমেডি।
শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাইয়ের মতে এসব ক্লাউনরা সারাক্ষণই লম্ফঝম্ফ মেরে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে ও কথাবার্তা বলে প্রতিদিনই জাতিকে বিনোদন দিচ্ছেন ও মিডিয়া কাভারেজ এর মাধ্যমে কোন বিশেষ শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করে অন্যের সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্নে বিভোর!!



(নােট- বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট- আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা- তৃতীয় মত, সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখের যুগান্তর পত্রিকায় পড়লে এসব বিষয়ে আরো বিস্তারিত ধারনা পাবেন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.