![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের জন্য কাজ, জীবের জন্য ভালবাসা।
প্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী ভাইয়ের উক্তিটি দিয়েই শুরু করা যাক- "বর্তমানে শেখ হাসিনা ও হেফাজতের মাঝে কি ধরনের সম্পর্ক বিদ্যমান? আমার ধারণা - ইহা পরম শ্রদ্ধার সাথে পরস্পরকে ঠকানোর আন্তরিক প্রচেষ্টা মাত্র।"
খবর: কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস করায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করে কওমির ছয় বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ।
এ সংস্থার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান অতিথি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পর তার হাতে শুকরিয়ার স্মারক তুলে দেন আহমদ শফী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই অবদান ইতিহাসে ‘সোনালি অক্ষরে’ লেখা থাকবে।
সনদের ওই স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন ওই সংস্থার সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
আসন্ন নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আলেম-ওলামাদের দোয়া চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এবার আসুন, একটু পিছনে ফিরে দেখে নেয়া যাক-
৫ই মে ২০১৩, মতিঝিলের শাপলা চত্বর।
১৩ দফা দাবিতে সম্মেলন করতে ঢাকায় জড়ো হয়ে বিএনপি-জামাত জোটের সাথে আতাত করে সরকার উচ্ছেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে সরকার। সে এক বিরাট ইতিহাস...
৪ঠা নভেম্বর ২০১৮।
যারা নারী নেতৃত্ব হারাম বলেন তারাই নারী প্রধানমন্ত্রীকে সম্বর্ধনা দিতে দলে দলে আসছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছিল ১০ লক্ষ কওমী আলেম-ওলামা-শিক্ষার্থী।
তারপর, নতুন করে লেখা হল আরেক ইতিহাস..........
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরানা মাহফিলে অংশ নিয়ে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে কওমি মাদ্রাসার অনেক ছাত্র; টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সেলফি তুলতেও দেখা যায় তাদের।
সোহরাওয়ার্দীতে শোকরানা মাহফিল শুরুর আগে সকালে টিএসসির ভেতরে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ঘুরছেন ফিরছেন, কেউ কেউ শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। টিএসসির ক্যাফেটেরিয়াতেও দেখা গেল তাদের সরব উপস্থিতি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সকল গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের পাদপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এই সরব উপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও মনোযোগ কেড়েছে।
রাজনীতি বড় কঠিন বিষয়!
তবে যাই হোক, নিচের ছবিগুলো সত্যিই আশা জাগানীয়া!
আলোর পথ সর্বদাই উম্মুক্ত...............!
ছবি ও সূত্র- বিডিনিউজ২৪.কম
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা বড়ভাই।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গাজীর কথা ঠিক। ঝামেলা করলে কোন পক্ষই লাভবান হবে না। তার চেয়ে মিলেমিশে যা পাওয়া যায় তাতেই লাভ। একটা লিমিটের মধ্যে, আমিও ইহা সমর্থন করি।।
হেই(হেফাজতে ইসলাম) একটা অরাজনৈতিক দল। দেশের একটা বৃহৎ অংশ তাদের সমর্থন করে(মানবিক ভাবে)। সামনে নির্বাচন, শেখ হাসিনা সুবিধা নিতে চাইবেই।(সমাবেশে লীগের কেউ না থাকলে অনুমতি পেত না। সেই যতোই সাধু সন্ন্যসীর দল হোক।)
আপনার পোস্টের শেষ বক্তব্যটা ক্লিয়ার নয়..
কওমীর ছাত্ররা মূর্তি ভাঙতে বললেও দোষ, মূর্তির পাশে ছবি তুললেও দোষ। দেশের একটা অংশ তাদের মানুষই মনে করে না। (হাজারে দু-একজন ছবি তুলতেই পারে।)
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য।
খুব ভাল লাগল ভাই।
কওমীর ছাত্ররা ভাস্কর্যের পাশে ছবি তোলায় আমি কোন দোষ দেখি না।
বরং এটা তাদের মুক্ত আলোর প্রতিক্ষার প্রতিচ্ছবি................!
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: রাজনীতি বড় কঠিন বিষয়!
তবে যাই হোক, নিচের ছবিগুলো সত্যিই আশা জাগানীয়া! -- ঠিক তাই। বিশেষ করে ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য পোজ দেওয়া বিষয়টা দেখে চমৎকৃত হলুম।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক তাই ভাই।
এটা তাদের মুক্ত আলোর প্রতিক্ষার প্রতিচ্ছবি................!
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
ইনাম আহমদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
রাজীব নুর বলেছেন: চন্ডীদাস লিখেছিলেন, “হাসিতে হাসিতে পিরীতি করিয়া কাঁদিতে জনম গেল-”। এই কথাটা কি আজকালের ছেলেমেয়েরা জানে?নাকি তারা ভাবে “হাসিতে হাসিতে”ই পুরো জনম কাটবে?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য, ভাল লাগল রাজীব ভাই!
হাসিতে হাসিতে ভুল জায়গায় পিরিতে জড়াইলে জনম তো কাইন্দাই যাইবে।
স্থান-কাল-পাত্র বুঝে তবেই না পিরিতি.........
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এতিম ও গরীব শিশুদের অক্ষর জ্ঞান ও পেছনে-পড়া শিক্ষায় দীক্ষিত করছেন মোল্লা শফি, সরকারের তুলনায় এটাও বিরাট অবদান। শেখ হাসিনা শতকরা ১৭. ৪ হারে ধনী প্রসব করছেন, ক্যাডেট কলেজের জন্য টনে টনে টাকা খরচ করছেন, কিন্তু এতিম ও গরীবদের শিক্ষার ব্যবস্হা করেননি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: গরীব ও অসহায়দের জন্য বিনাবেতন পড়া ও বিনামূল্যে বই সরবরাহের প্রকল্প শেখ হাসিনার সরকার অনেক আগেই নিয়েছে।
তবে মোল্লা শফিরা যা করেছে তা সম্পূর্ণ তাদের স্বার্থে। এই গরীব- অসহায়- এতিম শিশুদের কাজে লাগিয়েই তারা বিত্তশালী, ক্ষমতার স্বাদ পেতে মরিয়া।
এ জন্য এদেশের অসচেতন ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীও দায়ী।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্য শ্রদ্ধেয় বড়ভাই।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ধীরেধীরে সবই হবে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
আপনার জন্য রেখে গেলাম এক রাশ ভালোবাসা ও শুভ কামনা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটাকে কতটুকু আলোর পথে আনা যাবে সে ব্যাপারে আমি খুব একটা নিশ্চিত নই।
তবে যাই হোক, তাদের আলোর পথে স্বাগতম............
অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্যও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।