নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
বছর শেষে কতই না এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়! কেন না আমরা সরকারের চার বছর মেয়াদ শেষে ব্যতিক্রম একটি এ্যাওয়ার্ড দেইঃ “চার বছরে পাঁচটি জোকস”। আসুন দেখে নেই সরকারের চার বছরে পাঁচটি জোকসঃ
বাস, প্রাইভেট কারের জন্য পৃথক পৃথক লেনঃ ২০১০ সালের শেষে এসে সরকার যে হাস্যকর সিদ্ধান্তটি নেয় তা হল রাস্তায় রাস্তায় প্রাইভেট কার, বাস, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, ট্রাক প্রভৃতির জন্য আলাদা লাইন চিহ্নিত করে লেন নির্দিষ্ট করা। কয়েকদিন চেষ্টার পর যা খ্যান্ত দেয় সরকার। হাস্যকর সেই সিদ্ধান্ত আমাদের লিস্টের ৫ম স্থান দখল করেছে।
চাঁদা দিয়ে পদ্মা সেতুঃ নিজস্ব অর্থায়নে দেশে সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর পরই বাংলাদেশে ও প্রবাসে চাঁদা তুলতে নেমে পড়ে সরকার দলীয় নেতা কর্মী ও সমর্থকরা। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে চলেছে এই চাঁদাবাজি। কোথাও কোথাও চাঁদা আদায়ের জন্য করা হয়েছে কমিটি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নামে সরকারই চাঁদাবাজির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। অভিযোগ উঠে সরকারের বাইরের অংশ হতে, উঠে সরকারের ভেতর থেকেও । শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করতেহয় এই চাঁদাবাজি। আমাদের তালিকায় এটি রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
শেয়ার বাজার ও আমাদের আবুল মাল আব্দুল মুহিতঃ ”শেয়ার মার্কেটে কোন ইনভেস্টর নাই, সব জুয়াড়ি” এই উক্তি আর কারও নয়, আমাদের স্বনামধন্য অর্থমন্ত্রীর, আমাদের মাল(!?!), আবুল মাল আব্দুল মুহিতের। শেয়ার বাজারের ধ্বসের জন্য অধিকাংশ সময় যার মন্তব্য আলোচনায় থেকেছে। যিনি সগর্বে ঘোষণা করেন, “আমি শেয়ার মার্কেট বুঝিনা” অথবা “আমি কথা বললেই সূচক কমে”। আমাদের তালিকায় শেয়ার বাজার নিয়ে মুহিত সাহেবের উক্তি পেয়েছে ৩য় স্থান।
দুই টূকরো ঢাকাঃ সরকারের মেয়াদের মাঝামাঝি এসে প্রায় সব সরকারের মাথা কেন জানি আঊলায়া যায়। এই সরকারও ব্যতিক্রম ছিলনা। হঠাৎ স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ঢাকা দুই টুকরোর সিদ্ধান্ত নিলেন সরকার প্রধান, সাথে সাথে দুই টূকড়ো হল ঢাকা। নেত্রী বললেন সামর্থ্য থাকলে উনি ঢাকাকে চার টূকরো করতেন। দুই টূকরো ঢাকার কোন সুফল ঢাকাবাসী না পেলেও, জানতে পেড়েছে আগ্রহী মেয়র প্রার্থীদের লম্বা লিস্ট। যদিও নির্বাচন রয়ে গেছে অধরা। দুই টূকরো ঢাকা আমাদের লিস্টের ২য় স্থানে রয়েছে।
সময় পেছানোঃ সরকার শুরু থেকেই যানজট নিরসনে বাড়তি রকমের আগ্রহ দেখাতে গিয়ে পুরো চার বছরে অসংখ্য হাস্যকর কাজ করেছে যা আলোচিত হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে হাস্যকর হয়েছে যে সিদ্ধান্তটি তা হল ঘড়ির কাটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়া। দেশবাসীকে বাধ্য করা হয় তা মেনে নিতে। যদিও সরকার ও তার অতি বুদ্ধিমান উপদেষ্টারা নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে খূব শীঘ্রই তা থেকে পিছু হাঁটেন। এই সময় পেছানো ছিল এই সরকারে জোকস নাম্বার ওয়ান।
বিঃদ্রঃ আপনার নিজস্ব কোন পছন্দ থাকলে মন্তব্যয় লিখে আমাড় সাথে শেয়ার করুন।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
আহসান২০২০ বলেছেন: হৌক মৌলা। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা, সরকারের হয়েছে সেই অবস্থা।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: দেইক্কা আইলাম। কঠিন দিছেন ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
আনন্দক্ষন বলেছেন: ধন্যবাদ পুরানো অনেক কিছু মনে করায়ে দেওয়ার জন্য।
আগামী পাচ বছর পর আবারো এই রকম জোকস্ আসবে.....।আমরা বাংলাদেশীরা গন্ডারের চামড়া....।সব ভুলে আবার ভোট দেব....জয় কিংবা তারেককে।