নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
দৃষ্টির সীমানার পুরোটা ফোকাস জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। দৃষ্টিকে সম্মোহন করে হাতছানি দিতে থাকে টুকরো টুকরো নিবিড় বনভূমি। শিল্পী তপুর গানের মত বলতে হয়, “একপাশে বঙ্গোপসাগর তোমার, অন্যপাশে বনভূমি"। উত্তাল ঢেউ, বৈরী বাতাস আর জলোচ্ছ্বাসের গর্জন যখন আপনার কর্ণকুহর হয়ে মস্তিস্কে পৌঁছে উদ্বেল করবে আপনার ভাবনার জগতকে, ঠিক তখনই অন্য পাশের সবুজ দ্বীপ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি আপনাকে দিবে নিবিড় ভালোলাগার এক চিরসবুজ প্রশান্তি। আর এই অন্য পাশের সবুজ দ্বীপ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি হল চর কুকরি মুকরি।
ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অনেকটা সাগরের কোল ঘেষে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা এই চর কুকরি মুকরিতেই রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। কথিত আছে যে একসময় এই চরে শুধুমাত্র কুকুর আর ইঁদুর (স্থানীয়দের কাছে যা মেকুর নামে পরিচিত) ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়তো না। আর তাই এই চরের নামকরণ হয় চর কুকরি মুকরি। বঙ্গোপাসাগরের কোল ঘেষে মেঘনা নদীর মোহনায় কুকরি-মুকরির অবস্থান। চারিদিকে জলরাশিদ্বারা বেষ্টিত প্রমত্তা মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে পলি জমতে জমতে এ দ্বীপটির জন্ম। সাগরের কোল ঘেষে জন্ম নেওয়ায় কুকরি-মুকরিকে অনেকে স্বপ্নের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, প্রায় ৮’শ বছরের পুরনো এই স্বপ্নের দ্বীপ কুকরি-মুকরি বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল তথা সর্বাঞ্চলের কাছে অতি পরিচিত নাম। স্বপ্নের দ্বীপ কুকরি-মুকরির ইতিহাস বেশ প্রচীন। ৭’শ বছর আগে এখানে ও মনপুরায় পূর্তগীজ জলদস্যূদের আস্তানা ছিল। কিন্তু কোন এক সময় এই চরটি পানির তলে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯১২ সালে এই চরটি আবার জেগে ওঠে।
দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকুরি-মুকুরি চরে বন সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বনায়ন করার নিদের্শ দিলে ১৯৭৩ সনে বনায়ন শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯ সালের ১৪ মে বন বিভাগের কাছে এক (সর্বশেষ সংশোধিত) প্রজ্ঞাপনে লিখিত নির্দেশনা আসে, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জান-মাল রক্ষায় ভোলায় কমপক্ষে ৩ লাখ ৬০ হাজার একর জমিতে সংরক্ষিত শ্বাসমূলীয় (ম্যানগ্রোভ) বনায়ন করতে হবে। এ সময় মূলত শ্বাসমূলীয় গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন শুরু করা হলেও পরে ক্রমে ক্রমে যুক্ত হয় সুন্দরী, গেওয়া, পশুর প্রভৃতি গাছের চারা রোপণ। এ ছাড়া গোটা এলাকা জুড়েই চোখে পড়ে বিপুল সংখ্যক কেওড়া গাছ। মূলত বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই সব গাছ আর আশপাশের নারিকেল গাছ, বাঁশ ও বেত বন মিলেই এখানে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় একটি ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল। বন বিভাগ ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, ভাঙা গড়ার আবর্তে পড়ে বর্তমান কুকুরি-মুকুরি চরে বনায়নের পরিমাণ ৮৫৬৫ হেক্টর। যার মধ্যে বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম ২১৭ হেক্টর। বসতি ও কৃষি আবাদ আছে প্রায় ৪ হাজার ৮১০ হেক্টরে। চরের মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা ও কৃষিকাজ।
চর কুকরি মুকরির বনে যেসব প্রাণী দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, বানর, উদবিড়াল, শিয়াল, বন্য মহিষ-গরু, বন-বিড়াল, বন মোরগ, প্রভৃতি। আর পাখি ও সরিসৃপ হিসেবে এই বনের অধিবাসীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বক, বন মোরগ, শঙ্খচিল, মথুরা, কাঠময়ূর, কোয়েল, গুইসাঁপ, বেজি, কচ্ছপ, কুকুরি বনের ও নানা ধরনের সাপ। দ্বীপ কুকরি-মুকরি শীতকালের চিত্র ভিন্ন ধরনের। সুদ্দর সাইরেরিয়া থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখিদের আগমনে চরাঞ্চলগুলো যেন নতুন রূপ ধারন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে শীত মৌসুমে বাংলাদেশে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। এর মধ্যে সিংহ ভাগই ভোলায় অবস্থান করে। তখন স্বপ্নের দ্বীপ কুকরি-মুকরির চরে অতিথি পাখিদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়।
এছাড়া এখানকার সমুদ্র সৈকতটিও বেশ পরিচ্ছন্ন ও নিরিবিলি। দেশের অন্যান্য পর্যটক কেন্দ্রগুলোর তুলনায় কুকরি-মুকরির চিত্র কিছুটা ভিন্ন ধরনের। মাইলের পর মাইল বৃক্ষরাজির বিশাল ক্যানভাস স্বপ্নের দ্বীপ কুকরি-মুকরিকে সাজিয়েছে সাজের সমারোহে। যেখানে জীবিত গাছের সংখ্যা ৯ কোটিরও বেশি। চর কুকরি মুকরির ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। খালটির নাম ভাড়ানি খাল। মেঘনার বিশাল বুক থেকে বয়ে গিয়ে খালটি পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। এখানকার ধু-ধু বালিয়াড়ির ওপর দাঁড়ালে সাগরের শোঁ শোঁ শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাবে না। একটু সামনে এগোলেই ঢাল চর। এর পরই বঙ্গোপসাগর। এখানে উত্তাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখলেই মনে পড়ে যাবে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কথা। স্থানীয় মানুষ এ স্পটটিকে বালুর ধুম নামে ডাকে। তবে কুকরি মুকরির প্রধান আকর্ষণ সাগরপাড়। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত কিংবা সূর্য ডোবার দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করবে। চর কুকরি মুকরির এ সৌন্দর্য খুব টানে পর্যটকদের।
চর কুকরি মুকরি তে যেতে চাইলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথম জলপথে কোনো লঞ্চ বা জাহাজে চড়ে প্রথমে ভোলায় আসতে হবে। তারপর ভোলা লঞ্চঘাট থেকে চর ফ্যাশনের বাসে চড়ে আসতে হবে চর আইচাতে। আর এখান থেকে চর ফ্যাশন এর চর কচ্ছপিয়া উপজেলা ট্রলার ঘাট হয়ে আবারও ইঞ্জিন নৌকায় বেশ খানিকটা জলপথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছানো যাবে চর কুকরি মুকরিতে।
Info & Picture Courtesy:
ব্লগার নীল ভোমরা - চর কুকরী-মুকরী ট্যুর!
http://www.bhola.gov.bd/node/1052299
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.mohakal24.com/?p=2148
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরো পোস্টটা খুব সুন্দর। চর কুকরি মুকরির ইতিহাস, সেখানে যাবার উপায় সব কিছুই পড়ে ভালো লাগলো, সাথ এছবি গুলো মনোমুগ্ধকর। সামনাসামনি দেখতে আরও সুন্দর হবে নিশ্চয়ই ।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আর হ্যাঁ,
পোষ্টের শিরোনাম/টাইটেলের জন্য শব্দ নির্বাচনও যথার্থ হয়েছে।
এপ্রিশিয়েশান ওয়ানস্ এগেইন।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার !
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
ইফতেখার তুহিন বলেছেন: আসলেই সুন্দর
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: আমরা যাব এবারের ঈদে ! কুকরী-মুকরিতে পূর্নিমাযাপন !!!!!!
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
জুন বলেছেন: যে ভিজিট করবে কিন্তু মন্তব্য না-করে চলে যাবে সে একটা মহাগাধা ও অপদার্থ।
ছবি দেখে আর পড়ে মনে হয়েছে অসম্ভব নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই দ্বীপ । সাতার জানিনা বলে যেতে সাহস পাইনি । তবে চর ফ্যাশন অবধি গিয়েছি , অসাধারন লেগেছিল ।
+
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: দেশ সম্পর্কে এতভাল কিছু লেখার আসলেই প্রয়োজন।
আমারা আমাদের পর্যটন স্থান দুইএকটা ছারা বাকি গুলো সম্পর্কে এক রকম কিছুই জানিনা।
আমার বাড়ির পাশেই। অথচ আফসোস একবারও যাওয়া হয়নাই।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: দারুন, যাবার ইচ্ছা রাখি
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম । ছবি আর বর্ণনা মিলে অসাধারণ ।
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
গোর্কি বলেছেন:
বর্ণনা পড়ে এবং ছবি দেখে মুগ্ধ।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
ক্যাপ্টেন সাস বলেছেন:
১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন সব ছবি।
১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। চর কুকুড়ি মুকড়ী। যাওয়া হয়নি। প্রফেশনাল ট্যুরে যাওয়া হতেও পারে। ভাল লেগেছে।
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: এহসান সাবির বলেছেন: দারুন সব ছবি।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট।
১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: অসাধারণ!
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
শায়মা বলেছেন: ছবি দেখেই মুগ্ধ!!!
সত্যিকারে দেখতে পেলে না যেন কত সুন্দর হবে!
২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: কেমন হলো ট্রিপ । ছবি সহ ব্লগ চাই ।
২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
ত্রিশোনকু বলেছেন: অসাধারন।
এক্ষুণি যেতে ইচ্ছে করছে।
থাকা, খাওয়া দাওয়া ও খরচপাতি একটু যোগ করে দিন।
পূর্নাংগ ভ্রমণ গাইড হোক।
২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঘুরে আসার পর অনুভূতিসহ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ
চার চর আর তিন সৈকত - এ লাইফ টাইম মেমরেব্ল জার্নি
২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভ্রমণ বাংলাদেশের সাথে এবার যাই যাই করেও যাওয়া হয়ে উঠেনি চর কুকরী-মুকরী ।
আপনি কি ভ্রমণ বাংলাদেশের সাথে ট্যুর করেন ?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই আমি আপনার সাথেও ট্যুর করেছ একবার না দুইবার
২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার আসল নাম বা চেহারা কোনটাই না দেখে আমার তো চেনার কিছু উপায় নাই।
২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
অশ্রু কারিগড় বলেছেন:
২৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২০
কলমি লতা বলেছেন:
বোকা মানুষ বলতে চায় @আমরা খুব সহসা চর কুকরী কুকরী দেখার জন্য ইচ্ছা পোষন করছি।আমার ফোন নাম্বারটা দিলাম - ০১৭১৪৬৬৮২৪৫
পথ নির্দেশনার জন্য আপনার হেল্প চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
অসাধারণ পোষ্ট।
যার সৌজন্যে এটি পেয়েছেন বা লিখতে পেরেছেন, তিনিও অসাধারণ।
নির্ভুল, সুন্দর ও অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার ব্যতিরেকে কিউট একটি ল্যান্ডস্কেপ প্রোফাইল।
ছবিগুলোও চক্ষু শীতল করে। এর সৌন্দর্য মনকে আনমনা করে দেয় কিছুক্ষণের জন্য হলেও।
যে এই পোষ্ট ভিজিট করবে না, সে চক্ষুহীন। হৃদয়হীন। সৌন্দর্যানুভূতিহীন। যন্ত্রমানব।
যে ভিজিট করবে কিন্তু মন্তব্য না-করে চলে যাবে সে একটা মহাগাধা ও অপদার্থ।
যে বাংলাদেশী এই জায়গা ভ্রমন করার সুযোগ পেয়েও এভেইল করে না, সে তো উল্লুকাপাট্টা।
আই হাইলি এপ্রিশিয়েট ইয়্যু ফর দিস ভেলুএবল পোষ্ট।