নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আজ বিজয় দিবসের এই সূচনালগ্নে মন বারে বারে টাইম মেশিনে চড়ে ঘুরাঘুরি করছে। আজ জীবনের মধ্য বয়সে দাড়িয়ে ফেলে আসা বছরগুলোর বিজয় দিবস এর কথা মনে পড়ছে। ভিন্ন ভিন্ন বয়সে কত ভিন্ন ভিন্ন ব্যাস্ততায় উদযাপন করেছি বিজয় দিবসের দিনগুলো! কিন্তু প্রতিটি বিজয় দিবসে মনের গভীরে ছিল একটাই সুর - “জন্ম আমার ধন্য হল মাগো...”
অতীতের অলিগলিতে উঁকিঝুঁকি মারলে প্রথম যে বিজয় দিবসের দিনের কথা মনে পড়ে তা হল আমার অবাক বিস্ময় নিয়ে চেয়ে থাকা, লাল সবুজের ছোট ছোট পতাকার পানে... মামা চাচারা রাত জেগে মাইকে গান বাজিয়ে লাল সবুজের চাদরে ঢেকে দিচ্ছে বাসার ছাঁদের কালো আকাশটুকু। এরপর একটু বড় হলে তাদের সাহায্য করতাম কাগজের ছোট ছোট পতাকায় আঠা মেখে দিয়ে। ক্লাস টু’তে যখন পড়ি তখন থেকে বেশ কয়েক বছর আমার একটা রুটিন ছিল বিজয় দিবসের দিনকে ঘিরে। কাঁচা হাতে আর্ট পেপারে মুক্তিযুদ্ধের ছবি আঁকা এবং বিজয় দিবসের দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তা খোলা উঠোনের সাদা দেয়ালে তা এঁটে দেয়া।
প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডি পেরুনোর পর যখন এলাকার খোলা জনপদে বিচরণের ছাড়পত্র আমার হাতের মুঠোয় ছিল, তখন বিজয় দিবসের উদযাপন ছিল এলাকার “বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎসব” ঘিরে। বেশী মজা লাগত এপাড়া ওপাড়া ঘুরে ঘুরে রাতের বেলা আয়োজিত কনসার্ট বা গানের অনুষ্ঠান দেখা। তবে এই সময়ের সবচেয়ে মজাটা ছিল ক্লাস সেভেন থেকে এস.এস.সি.’র আগ পযন্ত বয়স্কাউটের হয়ে শিশু-কিশোর’দের প্যারেডে অংশগ্রহন। এ জন্য মাসব্যাপী প্রস্তুতি, সিলেকশনের টেনশন চলত ডিসেম্বরের শুরু হতে। এরপর ১৬ তারিখ ভোররাতে উঠে তৈরি হয়ে ফজরের আজানের পর স্কুলের দিকে রওনা হওয়া। সেখানে সবার সাথে একত্রিত হয়ে স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে যাত্রা, সারদিন উৎসবমুখর আনন্দে বুঁদ হয়ে কাটানো... .. .।
যে বছর এস.এস.সি. পাশ করলাম, সে বছর কয়েকজন স্কুলের সহপাঠীদের নিয়ে পুরাতন ঢাকার লালবাগের কেল্লার গেট ঘেঁষে বাহিরের দেয়ালে আয়োজন করেছিলাম “মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর”। সারা ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে যোগার করেছিলাম শ’দুয়েক ছবি। এই ছবিগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আরও দুইটা সংগঠনের সাথে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম, কয়েকবছর পরে। গত স্বাধীনতা দিবসে ছবিগুলো সামুতে পোস্ট করেছিলাম একটি ছবি ব্লগে।
কলেজ পেরুনোর পর, ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে সারাদিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা দেখে কাটাতাম খুব কাছের বন্ধুদের নিয়ে। বেশ কয়েক বছর আগে বিজয় দিবসের ঠিক শুরুর ক্ষণে একটা রিকশা ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া করে সাজানো মধ্য রাতের ঢাকা শহর দেখেছিলাম একা একা। কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে কল করেও সাড়া পাইনি।
এখনো বিজয় দিবসে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পরে বারে বারে। আজ নানা বিতর্ক আর পঙ্কিলতার বেড়াজালে হারিয়ে গেছে বিজয় দিবসের সেই চিরচেনা আমেজটুকু। আজ অনলাইনে স্ট্যাটাস আর ব্লগ লিখে পার করে যাই বিজয়ের মাস। সবশেষে আজ সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই চির চেনা গানটি’র কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিয়ে,
“এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
কথাঃ গোবিন্দ হালদার
সুরঃ আপেল মাহ্মুদ
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলবনা।
দু:সহ বেদনার কন্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভূলব না।।
যুগের এ নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।।
কিষাণ কিষাণীর গানে গানে,
পদ্মা, মেঘনার কলতানে,
বাউলের একতারাতে আনন্দ ঝঙ্কারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
তোমরা চিরদিন দিশারী রবে
আমরা তোমাদের ভুলব না।।”
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। আপনাকেও জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
সুমন কর বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। মহান বিজয় দিবস শুভ হোক দেশ ও দশের জন্য।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ! বাংলদেশের জয় হোক।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ দিকভ্রান্ত*পথিক। বাংলদেশের জয় হোক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
মামুন রশিদ বলেছেন: বিজয়ের শুভেচ্ছা!