নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
জীবনের নীলাকাশে স্বপ্নঘুড়ি ওড়ানোর সাধ সবারই থাকে... কারো ঘুড়ি সীমাহীন আকাশে পাখা মেলে স্বপ্ন ছোঁয় দিগন্ত রেখায়... কারো স্বপ্ন ঘুড়ি গোত্তা খায় বাস্তবতার দেয়ালে... কেউ কেউ স্বপ্নঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে সুতোর ঢিল ছেড়ে ছেড়ে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ে... আবার কারো কারো স্বপ্নঘুড়ি সুতো ছিঁড়ে বাকাট্টা হয়ে গেলে জীবনের শুন্য নাটাই হাতে থেমে যেতে হয়... দুইদিন পর সাকরাইন উৎসব শুরু হবে পুরোনো ঢাকায়। আপনার "জীবনের সাকরাইন" উৎসব কতটা রঙ্গিন হল...
প্রতিবছর ১৪ বা ১৫ই জানুয়ারী পৌষের শেষ দিনে পৌষ সংক্রান্তিকে ঘিরে লোকজন ঘুড়ি উৎসবে মেতে ওঠে। সাকরাইন পৌষ মাসের শেষ দিন নতুন ধানের চালের পিঠাপুলি খেয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ উৎসব করার রেওয়াজ বহু পুরনো। ঢাকায় এই উৎসব হচ্ছে প্রায় ৪০০ বছর ধরে। বাংলাদেশের পুরানো ঢাকায় ঘুড়ি ওড়ানো বিনোদন শুরু হয়েছিল মুঘল আমলে। কথিত আছে, ১৭৪০ সালে নবাব নাজিম মহম্মদ খাঁ এই ঘুড়ি উৎসবের সূচনা করেন। সেই থেকে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এই ঘুড়ি উৎসব পশ্চিম ভারতের গুজরাটেও পালিত হয়। সেখানে মানুষ সুন্দর সুন্দর ঘুড়ির মাধ্যমে সূর্যদেবতার কাছে নিজেদের ইচ্ছা ও আকুতি প্রেরণ করেন। উত্তর ভারতীয় এ ঘুড়ি উৎসবটিকে স্থানীয়রা 'সাকরাইন' নামে অভিহিত করে।
ঘুড়ি উৎসব বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসব। মুঘল আমল থেকে এই উত্সব পালিত হয়ে আসছে। তবে পুর্বে এই উৎসব হতো খোলা মাঠে এবং এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মাঠে প্রচুর লোক সমাগম ঘটত। বর্তমানে মানুষ বাসাবাড়ীর ছাদে উঠে ঘুড়ি উড়ায়। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, মিল ব্যারাক, হাজারীবাগ, সদর ঘাট, নবাবপুর, লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও পোস্তগোলা এলাকার মানুষ এখনও এ উৎসব পালন করে থাকে। তারা তাদের এলাকার সবচেয়ে বড় ভবনকে বেছে নেয় ঘুড়ি উড়ানোর জন্য। সেখানে বন্ধু ও আত্মীদয়রা মিলে ১২-১৫ জন ঘুড়ি উড়ায়, কিন্তু বাড়ীর নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ সবাই ছাদে উঠে তাদেরকে উৎসাহ দেয়।
এ উৎসবে তারা চিকন সূতা দিয়ে পাতলা কাগজের ঘুড়ি উড়ায়। এ উৎসবে সাধারণত ঘুড়ি উড়ানোর চাইতে অন্যের ঘুড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করা হয় বেশী। এ প্রতিযোগিতা হয় মূলত সূতায় সূতায় প্যাচ লাগিয়ে। স্থানীয় ভাষায় একে বলে কাটাকাটি। কাটাকাটির পর বিজয়ী ঘুড়ি আকাশে উড়তে থাকে আর হেরে যাওয়া অর্থাৎ কেটে যাওয়া ঘুড়ি বাতাসে দুলতে দুলতে দুরে মিলিয়ে যায়। আর ভাগেটটা হওয়া ঘুড়ি পেতে এলাকার অপেক্ষাকৃত ছোটরা লগি নিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়। তারা চিকন মুলিবাঁশ দিয়ে ঘুড়ির সূতা পেঁচিয়ে ঘুড়ি নিচে নামিয়ে আনে। এই চিকন বাঁশকে লগি বা লগগি বলে। তারা প্রথম দিন ঘুড়ি ধরে জমায় এবং দ্বিতীয় দিন এ ঘুড়িগুলো উড়ায়।
এ প্রতিযোগিতায় সুতাটাই প্রধান। এ সুতাকে মজবুত ও ধারাল করার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয় তাকে মাঞ্জা বলে। সুতা ২-৩ ঘণ্টা লেইতে ভিজিয়ে রাখা হয়। লেই বা ল্যাদ্দি তৈরী করা হয় শিরিষ (যা ল্যাদ্দি কে আঠালো করে), রঙ (সুতা কি রঙ এর হবে সেই গুড়া রঙ), বার্লি, ডিম, বিভিন্ন ডালের কষ, ভাতের মাড় ইত্যাদির সংমিশ্রন ঘটিয়ে। ২-৩ ঘণ্টা পর রিল থেকে সুতা নাটাইয়ে প্যাচিয়ে রাখা হয়। শিরিষের আঠার জন্য সুতার সঙ্গে সুতা যেন না লেগে যায় তার জন্য রিল থেকে নাটাইয়ে সুতা যাওয়ার মধ্যপথে দুই জন সুতায় চূর লাগিয়ে দেয়। এ চূর তৈরী করা হয় কাচের গুরা দিয়ে। মাঞ্জা দেয়া শেষ হলে এ সুতা শুকানোর জন্য সমস্ত সুতা ছেড়ে দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এ সময় তারা কারো সঙ্গে কাটাকাটি খেলে না। তাই তারা সাকরাইনের ৩-৪ দিন পূর্বে মাঞ্জা দেয়। মাঞ্জার গুনাগুনের উপর নির্ভর করে প্রতিযোগিরা একজন আরেকজনকে টানে অথবা ছোড়ে (ঢিল), কোন পদ্ধতিতে পরাজিত করবে।
ঘুড়ি তৈরী করা হয় পাতলা কাগজ বা পলিথিন দিয়ে। ছোটরা পলিথিনের ব্যাগ কেটে নারকেল পাতার শলা দিয়ে ঘুড়ি তৈরী করে। আর বড়দের জন্য দোকানিরা পাতলা কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরী করে এবং এর আকৃতি দেয়া হয় বাঁশের পাতলা চটি দিয়ে। ছেলেরা আগের দিন রাতে সকল ঘুড়িতে দান্তারা বেঁধে রাখে, যাতে একটা কাটা খাওয়ার পর আর একটা উড়াতে সময় ক্ষেপণ না হয়। এদিন আকাশে উড়ে চোখদ্বার, মালাদ্বার, পঙ্খীরাজ, চশমাদ্বার, কাউঠাদ্বার, চাপালিশ, চানদ্বার, এক রঙা ইত্যাদি ঘুড়ি। এমনকি জাতীয় পতাকার রঙেও ঘুড়ি তৈরি করা হয়। তবে ঘুড়ির চেয়েও সুন্দর হয় এর লেজ। লেজ অনেক আকৃতির ও রঙ বেরঙ এর হয়ে থাকে। ঘুড়ির সঙ্গে সঙ্গে নাটাইগুলোর নামও বেশ মজাদার। বাটিওয়ালা, মুখবান্ধা, মুখছাড়া ইত্যাদি। পাতলা ঘুড়ি ভালো হলেও নাটাই যত ভারী হবে ঘুড়ি উড়াতে তত ভালো হয়।
পুরান ঢাকার ঘুড়ি প্রেমীরা সারাদিন ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় সকল ঘুড়ি, নাটাই, সুতা, লগি সকল উপকরণ দিয়ে আগুন জ্বালায়। এসময় তারা আতশ বাজী পোড়ায় ও মুখে কেরোসিন তেল নিয়ে আগুন দিয়ে চমৎকার এক ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরী করে, যা গোল হয়ে আকাশের দিকে উড়ে যায়।
অতীতে সাকরাইনে পুরান ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইদের নাটাই, বাহারি ঘুড়ি উপহার দেওয়া এবং পিঠার ডালা পাঠানো ছিলো অবশ্য পালনীয় অংগ। ডালা হিসেবে আসা ঘুড়ি, পিঠা আর অন্যান্য খাবার বিলি করা হতো আত্নীয়-স্বজন এবং পাড়ার লোকদের মধ্যে। নীরব প্রতিযোগিতা চলতো কার শ্বশুরবাড়ি হতে কত বড় ডালা এসেছে। আজ এই সব চমৎকার আচারগুলো বিলুপ্ত হতে চলেছে। পুরান ঢাকার আদি বসবাসকারী সকল মানুষ এই ঐতিহ্যগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেন। নতুন প্রজন্মকে শোনান সেই সব মুখরিত দিনের কথা। মনের খুব গভীরে পরম মমতায় লালন করেন ঐতিহ্যের পরম্পরা। স্বপ্ন দেখেন এই সকল প্রাণময় ঐতিহ্যগুলো আবার পুনরুজ্জীবিত হবে।
উইকিপিডিয়া
দৈনিক কালেরকণ্ঠ
দৈনিক প্রথম আলো
ফ্লিকার
http://www.shobdoneer.com/horbola/22112
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, বেলা শেষে। আমারে কেউ বাগ থেকে বাঁচান.... ২ দিন পর সামুতে ঢুকতে পারলাম।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট।
+++++++++++++++
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২০
খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরান ঢাকার ঘুড়ি প্রেমীরা সারাদিন ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় সকল ঘুড়ি, নাটাই, সুতা, লগি সকল উপকরণ দিয়ে আগুন জ্বালায়। এসময় তারা আতশ বাজী পোড়ায় ও মুখে কেরোসিন তেল নিয়ে আগুন দিয়ে চমৎকার এক ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরী করে, যা গোল হয়ে আকাশের দিকে উড়ে যায়। বাহ!!!
কী সুন্দর।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ১৫ তারিখ চলে আসুন সুত্রাপুর-গেণ্ডারিয়া'র দিকে......।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: ঘুড়ি উৎসব বাঙালীর চিরন্তন আনন্দের একটি উৎসব । আমিও অনেক ঘুড়ি উড়িয়েছি । 'সাকরাইন' নামটা প্রথম শুনলাম ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মামুন ভাই, বাগ থেকে বাঁচতে কি করি?
সাকরাইন এখন বিলুপ্তির পথে...।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
সুমন কর বলেছেন: আমি ঘুড়ি ওড়াতে পাতাম না। আমার এক কাকাতো ভাই উড়িয়ে দিতো, তারপর আমি একটু একটু ওড়াতাম! শুরুটা করতে পারতাম না। তবে সে ভাইটি দারুণ ওড়াতো। সাকরাইন শব্দটি আমারও জানা ছিল না।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর ভাই। ভ্রমণ বাংলাদেশের বন্ধুদের সাথে সাকরাইন দেখার ইচ্ছা আছে....।
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
মেংগো পিপোল বলেছেন: দারুন, ছোটো বেলা উড়াইছি। এখন মাঝে মাঝে ধানমন্ডীর আকাশে দু-একটা দেখি। দেখে অপলক চেয়ে থাকি।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে ঘুড়ি উড়তে দেখলে মনে হয় নিজেই উড়ছি...।
ধন্যবাদ মেংগো পিপোল।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: বাচপান কালের কথা মনে করিয়ে দিলেন
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার !
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় স্বপ্নবাজ অভি। অনেকদিন পর দেখা পেলাম। যাক বর্ষপূর্তিতে প্রিয় ব্লগারের উপস্থিতিতে খুশী হলাম।
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলনটা পুরোন ঢাকার দিকেই খুব বেশি দেখা যায় । আমাদের এই দিকে তো কালে ভাদ্রে দুই একটা চোখে পড়ে ।
পোস্টটা পড়ে ছোট বেলার ঘুরি ওড়ানোর স্মৃতি মনে পড়ে গেল । আমি নিজে নিজে ঘুড়ি উড়াতে পারতাম না কখনো । তাই ভাইয়ের ঘুড়ি উড়ায় দেয়া আর কাটা খাওয়া ঘুড়ির পেছনে দৌড়ানোর মধ্যেই ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ সীমাবদ্ধ ছিল ।
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২১
rasel246 বলেছেন: জাওয়ার ইচ্ছা ছিল। এবারো কাজের চাপে যেতে পারলাম না।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি সেই দুবছর আগে গিয়েছিলাম, আর যাওয়া হয় নাই।
ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন সবসময়।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
সায়েম উর রহমান বলেছেন: সাকরাইন উৎসবের চিরন্তন ঐতিহ্যবাহী যে রূপ তা বর্তমানে অনেকখানি রূপান্তরিত ... পুরান ঢাকাবাসীর কাছে সাকরাইন শুধু ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব নয় বরং ভ্রাতৃত্ববোধ ও অপার আনন্দের উৎস ... বাইরের মানুষজন সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে এ আনন্দে শরীক হতে যতটা উৎসাহী ততটা উৎসাহী নয় এর মূল রূপ আবিষ্কারে ... ডিজে পার্টি করে যে আনন্দই প্রকাশ করা হোক না কেন সেটা সাকরাইন উৎসবের ঐতিহ্য ধারণ করে না ... পুরান ঢাকাবাসী মনে অনেক বেদনা নিয়ে এই রূপান্তর প্রত্যক্ষ করেছে ... সব কিছুতে আধুনিকতা প্রাধান্য বিস্তার করে স্বাতন্ত্র্য নষ্ট করে দিচ্ছে ... অনেকেই এর মর্ম অনুধাবন করতে পারবে না ...
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, মন্তব্যে ভালোলাগা সাথে +++
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
বেলা শেষে বলেছেন: অতীতে সাকরাইনে পুরান ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইদের নাটাই, বাহারি ঘুড়ি উপহার দেওয়া এবং পিঠার ডালা পাঠানো ছিলো অবশ্য পালনীয় অংগ। ডালা হিসেবে আসা ঘুড়ি, পিঠা আর অন্যান্য খাবার বিলি করা হতো আত্নীয়-স্বজন এবং পাড়ার লোকদের মধ্যে। নীরব প্রতিযোগিতা চলতো কার শ্বশুরবাড়ি হতে কত বড় ডালা এসেছে। আজ এই সব চমৎকার আচারগুলো বিলুপ্ত হতে চলেছে। পুরান ঢাকার আদি বসবাসকারী সকল মানুষ এই ঐতিহ্যগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেন। নতুন প্রজন্মকে শোনান সেই সব মুখরিত দিনের কথা। মনের খুব গভীরে পরম মমতায় লালন করেন ঐতিহ্যের পরম্পরা। স্বপ্ন দেখেন এই সকল প্রাণময় ঐতিহ্যগুলো আবার পুনরুজ্জীবিত হবে।
বোকা মানুষ বলতে চায়Brother Assalamualikum, Thenk you very much for good writing, good decoration, good photography works. Respect to you.